নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!
বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনটি দেখে একদম-ই চমকাই নাই। প্রথমে মনে হয়েছিল কোন গুড়া মসলার বিজ্ঞাপন, যেখানে নারীকে কেবল গৃহিনী, অর্ধাঙ্গীনী আর রাঁধুনি বানানোর পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের উপর চপেটাঘাত করে সম অধিকার আর সম দায়িত্ব বন্টনের ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু যখন নিচের দিকে, ডান পাশে চোখ পড়ল তখন তাজ্জ্বব না হয়ে বরং রীতিমত দ্বিধায় পড়ে গেলাম। ঠিক কোন আঙ্গিকে দেখা উচিত বিজ্ঞাপনটিকে, ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারছিলাম না।
একটা পাবলিক প্লেসে এমন বৃহৎ পরিসরে কনডমের বিজ্ঞাপন শুরুতেই জনমনে দৃষ্টিকটু ঠেকে যায় যেখানে ফেমিকন, নরডেট-২৮ কিংবা আইইউডি-র মত বিজ্ঞাপনগুলোর অবস্থান কোন ভাবেই অস্বভাবিক হিসেবে আবির্ভূত হয় না। স্বাভাবিক হতে হতে এগুলো এমন একটা পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে যে এগুলো এখন কোন ভাবেই যৌনতাকে আর নির্দেশ করছে না বরং জন্মনিয়ন্ত্রন টার্মটাকে খুব সহজ কথায়, সহজ করে তুলে ধরছে যেখানে পাবলিক পরিসরে একটা কনডমের বিজ্ঞাপন জন-মনকে সরাসরি যৌনতায় নিয়ে চলে যায়। রেডিও, টেলিভিশনে যত সহজে জন্মবিরতিকরন পিল কিংবা নারীদের জন্য অন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতিকে উপস্থাপন করা যায় তত সহজে পুরুষের জন্য কনডম কে উপস্থাপন করা যায় না। কেউ করবার দুঃসাহস ও দেখায় না। এটা হয়ে ওঠে অস্বাভাবিক, হয়ে ওঠে লজ্জ্বার।
জন্ম নিয়ন্ত্রনের মোট সাতটি পদ্ধতির মধ্যে পুরুষের জন্য বরাদ্দ দুটি আর বাকী পাঁচটি নারীর জন্য। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২০১৩-র ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গ্রহণকারী পুরুষের হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং কনডম ব্যবহারকারীর হার ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। বাদ বাকী সকল জন্ম নিয়ন্ত্রনের দায়ভার যেন শুধু নারীর উপরই যেখানে সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব এবং সংস্কৃতিগত ভাবে নারী স্বাস্থ্য রক্ষার চেয়ে পুরুষের পৌরুষত্ব রক্ষা করাটাই মুখ্য।
যাই হোক, কথা বলছিলাম বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনটি নিয়ে। বিজ্ঞাপন বিষয়টাকে আমরা একভাবে ফরাসি তাত্ত্বিক রোলাঁ বার্থ (Roland Barthes) এর মত করে রেপ্রিজেন্টেশন হিসেবে দেখতে পারি। যেখানে তিনি রেপ্রিজেন্টেশন বলতে, ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে সকল কিছুকেই অর্থপূর্ন ভাবে উপস্থাপন করার উপর জোর দিয়েছেন। আর এই ভাষা হতে পারে নাটক, সিনেমা, গল্প, কবিতা, পেইন্টিং, বিজ্ঞাপন অথবা অন্য কিছু। রেপ্রিজেন্টেশনের ধারণা সেই ভাষাকে এবং এর অর্থকে সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত করে। অর্থবহনকারী শব্দ, ধ্বনি ও ইমেজকে আমরা চিহ্ন (সাইন) নামক সাধারণ পরিভাষায় বর্ণনা করে থাকি। আমরা আমাদের মাথায় যেসব-ধারণা ও সেগুলোর মধ্যে বিদ্যমান ধারণাগত সম্পর্ক নিয়ে ঘুরি-ফিরি, চিহ্ন সেগুলোকে রেপ্রিজেন্ট করে অথবা প্রতিনিধিত্ব করে এবং এগুলো একত্রে আমাদের সংস্কৃতির অর্থ-পদ্ধতি তৈরি করে। একটি বিজ্ঞাপনের চিত্র বা পোস্টারের তাই ওপরের নির্দেশিত অর্থ থাকে, আমরা যদি তার সঙ্গে লেপ্টে থাকা সাংস্কৃতিক সঙ্কেতলিপি বা কোডগুলোক আলাদা করতে পারি তবে সেই চিত্রের গূঢ়ার্থও বের করা সম্ভব।
আমার এই লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল, উপরোক্ত বিজ্ঞাপন হতে রেপ্রিজেন্টেশনের রাজনীতি এবং এর গূঢ়ার্থ খুঁজে বের করা। বিজ্ঞাপনটির ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন নারী একজন পুরুষকে একটি মেডেল পড়িয়ে দিচ্ছেন। আপাতঃ দৃষ্টিতে ছবিটি শুধুমাত্র পুরো গল্পের একটা লাইন অথবা স্ট্যাটমেন্ট মাত্র যেটি বাকী ভাষাগুলো ছাড়া অসমাপ্ত। পরবর্তীতে যখন চোখ পড়ে ‘সংসার সুখের হয়, আসল পুরুষের গুনে’ লেখ্য অংশটুকুর উপর চোখ পড়ে তখন বিষয়টি তথা গল্পটি আবছা পরিস্কার হতে শুরু করে। কৌতুহলী দর্শক, মনে একটা বিশ্লেষন দাড় করিয়ে ফেলেন যে ছবির এই পুরুষ নিশ্চয়ই এমন কোন কর্ম সাধন করে ফেলিয়াছেন যার জন্য সংসার সুখের হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনের গল্পটির সমাপ্তি এখানেই ঘটে না। লেখ্য অংশ সমাপ্ত করার পর কৌতুহলী মন যখন নিচের দিকে ডানে চোখ দেন এবং এক প্যাকেট প্যান্থার কনডমের চিত্র তার চোখে ফুটে উঠে তখন তার মনে ভিড় করা নানান গল্পের বিনাশ হয়ে বিজ্ঞাপনের মূল গল্পটা তার মনে থিতু হয়ে যায়। গল্পটির অর্থ তখন এমন দাঁড়ায় যে, যৌন জীবনে সমর্থ্য একজন পুরুষই পারে তার সংসারকে সুখী করতে অথবা অন্য কিছু। বিজ্ঞাপনের গল্পটির সাথে রয়েছে আরো দু-একটা ছোট খাটো ম্যাসেজ। যেমন, প্যান্থার নামক কনডমটি এখন নতুন প্যাকে পাওয়া যাচ্ছে। এটি সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানি নামক একটি কোম্পানি দ্বারা প্রস্তুতকৃত। গল্পের চরিত্র রুপায়নে বেশ সতর্কতা এবং কৌশলের অবতারনা করা হয়েছে। নারী চরিত্রে যিনি রয়েছেন তাকে চরম যৌন আবেদনময়ী এবং পুরুষ চরিত্রে যিনি রয়েছে তাকে গর্বিত স্বত্ত্বা হিসেবে উপস্থাপন করার প্রয়াস চালানো হয়েছে।
এখন যদি আমরা, বিজ্ঞাপনের সাংস্কৃতিক অর্থের দিকে মনোনিবেশ করি তবে দেখা যাবে যে এটি কোনভাবেই আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায় না। যত সহজে না আমরা নারীদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতির বিজ্ঞাপনগুলোকে গ্রহন করে নেই তত সহজে আমরা এই কনডমের বিজ্ঞাপনটিকে নিতে পারি না। আমি পূর্বেই বলেছি যে, এই সমস্যা আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব এবং তার পুনঃ পুনঃ চর্চার ফসল। আমাদের সংস্কৃতি কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস আমাদের কোনভাবেই দেয় নাই আর দেয় ও না।
এবার আসি বিজ্ঞাপনের কিছু দূর্বল দিকের দিকে। বিজ্ঞাপনের যেভাবে এর চরিত্র এবং ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে তা একভাবে যৌনতাকে উস্কে দেয়। এখানে আবারো আরেকবার পৌ-রুষত্বের জয়গান গাওয়া হয়েছে পক্ষান্তরে ‘সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে’ টার্মটির বিপরীতে। যেখানে সংসার নামক প্রতিষ্ঠানটি সুখের হবার কথা ছিল নারী-পুরুষ উভয়ের যৌথ উদ্দ্যোগের ফসল। বিজ্ঞাপনে খুব স্বল্প পরিসরে কনডমের প্রচার থাকলেও সুপুরুষ মাত্র প্যান্থার কনডম ব্যবহার করে কিনা সে সংক্রান্ত কোন ম্যাসেজ নেই যা এর রিপ্রেজেন্টেশনের আরেকটা দূর্বল দিক।
একই সাথে বিজ্ঞাপনের গল্পটায় একটা লুকায়িত বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে, স্বামী যদি তার যৌনতা দিয়ে তার স্ত্রীকে চরম ভাবে সন্তুষ্ট না করতে পারে তবে সেই সংসার সুখের হয় না। এই বিষয় নিয়ে আমি নিজের কোন মন্তব্য হাজির করতে চাইব না। এখানে এসে আমি সত্য বিষয়টাকে আপেক্ষিক হিসেবেই জেনে নিলাম। সত্য বলে আসলে কিছু নেই। সব আংশিক সত্য। একজনের কাছে যা সত্য হিসেবে আবির্ভূত হয়, অন্যের কাছে তা নাও হতে পারে।
বিঃদ্রঃ লেখায় উপস্থাপনকৃত বিশ্লেষন গুলো শুধুমাত্র লেখকের অভিমত মাত্র যেখানে একটা বিজ্ঞাপন এবং তার উপস্থাপনকে সমাজ-সংস্কৃতির আলোকে বোঝার প্রয়াস করা হয়েছে মাত্র। কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে হেয় করবার উদ্দেশ্যে যার অবতারনা হয় নাই। তথাপি কেহ নিজেকে হেয় প্রতিপন্ন মনে করলে লেখক কোনভাবেই দায়ী থাকিবেন না।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: যদ্দুর জানি একমাত্র রোলা বার্থ ই রিপ্রেজেণ্টেশনকে খুব গুছিয়ে সামনে নিয়ে এসেছেন যেখানে ছায়াছবি, বিজ্ঞাপন, সংকেত ছিল তার মূল উপজীব্য যেগুলোকে তিনি ভাষা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাই তার আবির্ভাব।
যত সহজে না আমরা নারীদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতির বিজ্ঞাপনগুলোকে গ্রহন করে নেই তত সহজে আমরা এই কনডমের বিজ্ঞাপনটিকে নিতে পারি না। আমি পূর্বেই বলেছি যে, এই সমস্যা আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব এবং তার পুনঃ পুনঃ চর্চার ফসল। আমাদের সংস্কৃতি কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস আমাদের কোনভাবেই দেয় নাই আর দেয় ও না।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রোলা বার্থ তো এই সেদিনের মাত্র। হ্যাঁ! আধুনিক ভাষায় তিনি বেশ খাতির করেন বলে গিয়েছেন। আচ্ছা, আমাদের সংস্কৃতি বলতে আপনি কোন সংস্কৃতিকে বুঝাতে চাইছেন ? আর কে বলেছে ! কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস আমাদের কোনভাবেই দেয় নাই আর দেয় ও না! শালীন অশালীন টার্ম আপনি আনতে পারেন। কিন্তু কনডমের সাথে সংস্কৃতির বিরোধ কিভাবে আসে !
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: রোলা বার্থ তো এই সেদিনের মাত্র !!! তাহলে নোয়াম চমেস্কিকে কি বলবেন?
কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস যদি থাকত তবে বহুল জন মাধ্যম গুলোতেও সমান তালে এর প্রচার আপনি লক্ষ্য করতে। ভারতের একটা স্পোর্টস চ্যানেলে একটু আগেই দেখছিলাম স্কোর নামক একটা কনডমের কয়েকবার করে প্রচার তারা করছে। কিন্তু আমরা করছি না। কেন?
আমাদের সংস্কৃতি বোঝেন নাই তাহলে আপনি সামগ্রিক ভাবে কোন সংস্কৃতির অংশ এখন?
শালীন অশালীন টার্ম কি আপনার সংস্কৃতি আপনাকে নির্ধারন করে দিচ্ছে না?
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কিছুই বলার নেই!!!!!!!!!!
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: ওকে বইলেন না।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেকাংশেই সহমত। তবে বিজ্ঞাপনের ভাষা চয়নে শিষ্টাচার ও মার্জিত ভাষা জরুরী। অন্ততপক্ষে স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে। আমাদের সংষ্কৃতির সাথে এই জায়গায় মিল খোঁজাটা দোষণীয় মনে হচ্ছে না।
যৌনতাকে উস্কে দেয়া নয়, শিল্পের ছোঁয়ায় মার্জিতভাবে উপস্থাপন করা যেত। ছোটবেলায়(তখন অতোটা বুঝতাম না) এসএমসি'র এই অ্যাড এ দেখতাম- "কাশফুলের নরম ছোঁয়া" এই ধরণের মার্জিত ও আকর্ষণীয় বাক্য থাকত।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলের বিজ্ঞাপনের গল্পটাকে সব দিক দিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। বাজারে হাজারো কনডমের ভীরে একটা দুইটা কনডমের এড দেয় তাও খুব অনিয়মিত। কারন হিসেবে কি বলবেন, কনডম কোম্পানিগুলোর হাতে টাকা পয়সা কম আছে?
মানেন আর নাই মানেন, সাম্প্রতিক সময়ে কনডমের খুব বেশি বেশি প্রচার হওয়াটা জরুরী বিশেষত কুমারী মাতা নামক টার্মটার জন্য উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায়।
"কাশফুলের নরম ছোঁয়া" লাইনটা একবার নিয়ে আসতে চেয়ে ও আর ব্যবহার করি নাই।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫০
ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: এই ব্যাপারটা মনে হয় খুব কম মানুষই এরকম ভাববে। তাছাড়া এখনকার জেনারেশন এই ব্যাপারটার সাথে ভালোই পরিচিত।
মনে পড়ে ছোটবেলায় আমরা বেলুন বানাতাম। কিন্তু বিজ্ঞাপনের বদৌলতে সবাই জানে।
হয়তো ভাষাটা চেইঞ্জ করা যেত।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: আমার উপস্থাপনার মূল বিষয় হল, প্রচার-ই প্রসার নামক তত্ত্বের আওতায় যখন সকল পন্যই চলে এসেছে তখন কনডমের মত এত এমন দরকারী একটা বস্তু কেন সেভাবে প্রচারের আওতায় আসছেনা ভেবে দেখেছেন কখনো?
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২
মহা সমন্বয় বলেছেন: কিন্তু বাঁচতে হলে তো জানতে হবে।
আসলে সমস্যা হল ওই সমস্যার মধ্যেই সমস্যা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০
অগ্নি সারথি বলেছেন: মানুষের সচেতনতা জরুরী। জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি নারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে কয়দিন? কেন এর দায়িত্ব সমান ভাবে পুরুষেরা না নিয়ে নারীদের একভাবে স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে?
সাম্প্রতিক সময়ে সেক্স একটা কমন বিষয় আর এর সাথে সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবোরেশন,মৃত্যু কিংবা আত্মহত্যার মত বিষয়গুলো। সেখানে তবে সমান ভাবে কনডমের প্রচার কেন নয়?
সমস্যা হল ওই সমস্যার মধ্যেই সমস্যা।- সহমত।
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪
প্রামানিক বলেছেন: আপনি যেভাবে ভেবেছেন এভাবে কয়জন ভাবে?
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২১
অগ্নি সারথি বলেছেন: কি জানি, জানি না প্রামানিক দা। নিজের অবস্থানটা হয়তোবা ক্লিয়ার করতে পারলাম না।
৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
অগ্নি সারথি,
আমাদের সংস্কৃতি তো বহু ব্যাখ্যা পড়ি আজকাল। তাই সামগ্রিক ভাবে আমরা কোন সংস্কৃতির অংশ সে প্রশ্ন করতে তো ইচ্ছে হয়ই। হাহ হাহ। নোয়াম চমেস্কি, রোলা বার্থ এঁদের আগেও তো অনেকেই দেখিয়ে গেছেন, তাই না! সেটা কথা না। কথা হলো, এই এঁদেরই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমাদের ক জনেরেই-বা পরিচয় আছে।
প্রচার-প্রসারের মাত্রা নিয়ে তো কথা হয়নি। আপনি বলছিলেন, আমাদের সংস্কৃতি কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস আমাদের কোনভাবেই দেয় নাই আর দেয় ও না। তাই জিজ্ঞাসা করা!
নির্ধারন করার কথা ঠিক আছে। আবার তা সময়ের সাথে সাথে ইভেলুয়েটও তো হয়। দেখেন, শুধু ভাল লাগলো বলে চলে যেতে পারতুম। তাতে আমার সময়ও বাঁচতো। আপনার সাথে কথা বললেম, কারণ আপনার পর্যবেক্ষণ টি প্রয়োজনীয় লেগেছে আমার।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: সংস্কৃতির ব্যাখ্যা দিয়ে কি করবেন? আপনি জানেন আপনার কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়, আর যেটা এটা নির্ধারন করে দিচ্ছে তাও একভাবে আপনার সংস্কৃতি আর এটা বোঝার জন্য সংস্কৃতির বহু ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। এখন যদি বলেন ইভালুয়েশনের কথা তবে একটা সময়ে সেটা ইভালুয়েট হয়ে যদি আপডেট কোন কিছু হয় এবং আপনি ও আপনার সমাজের লোকেরা তা ধারন করেন তবে তখন সেটাই আপনার সংস্কৃতি। আর পেছনেরটা নয়।
রোলা বার্থ কে আমি শুধু পরিচয় করিয়ে দেই নাই তার রিপ্রেজেন্টেশন টার্মটাকেও ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছি জনস্বার্থে।
চিৎকারে করে পাবলিক প্লেসে কনডম বলে একটা চিৎকার দিতে পারবেন। হয়তোবা জেদ করে দিতে পারবেন কিন্তু তৎক্ষণাৎ আপনার আশে পাশের লোকগুলো রিএকশ্যান কি হতে পারে জানেন কি? শোনেন ভারতে কিছুদিন আগে, একটা এড দিত যেখানে জড়তা কাটিয়ে কনডম উচ্চারন শেখানো হত। তাদের চ্যানেল গুলোতে হর হামেশা কনডমের এড দেয় কিন্তু আমরা পারি না? কেন? আমাদের কনডম কোম্পানি কি ফকির হয়ে গিয়েছে?
মানুষের সচেতনতা জরুরী। জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি নারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে কয়দিন? কেন এর দায়িত্ব সমান ভাবে পুরুষেরা না নিয়ে নারীদের একভাবে স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে?
সাম্প্রতিক সময়ে সেক্স একটা কমন বিষয় আর এর সাথে সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবোরেশন,মৃত্যু কিংবা আত্মহত্যার মত বিষয়গুলো। সেখানে তবে সমান ভাবে কনডমের প্রচার কেন নয়?
আপনিযুক্তি তর্ক হাজির করেছেন দেখে আমার বেশ লেগেছে। সত্যি বলতে কি এজন্যই আপনাকে আমার ভাললাগে। পারসোনালি নিবেন না।
৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: আপনি কি ভাবছেন যে প্রচার হলেই জন্মনিয়ন্ত্রণ এর এ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে? পুরুষরা নিজেরাই জন্ম নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণ করবে?
এটা অন্তত প্রচার আর প্রসারে সম্ভব নয়।
এ প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আপনাকে একটু মাঠ পর্যায়ে যেতে হবে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪০
অগ্নি সারথি বলেছেন: প্রচার হলেই জন্মনিয়ন্ত্রণ এর এ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে- আমি বলছি না। কিন্তু আমরা তো এখনো চেষ্ঠা করি নাই! আর দশটা চেষ্টার সাথে এই চেষ্টার অবদান কিছুটা হলেও থাকতে পারে না কি?
১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: এইটা দিয়ে যদি শহর আর শহর ছেয়ে ফেলা হয় তাহলেও হবেনা।
আপনি একটা কাজ করেন। আপনার বন্ধুমহলে একটা জরিপ করতে পারেন।
তারা অবভিয়াসলি সচেতন। এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি নিচ্ছে। এবং কেন তারা নিচ্ছে।
প্রতি দশজনে করে দেখতে পারেন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: বন্ধু মহলে জরিপ করতে হবে না, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের রিপোর্ট টি তো আমি লেখায় রেফারেন্স হিসেবে টেনেছি! ৮৯.৬ ভাগ নারী যারা কিনা জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গ্রহন করছেন তাদের বেশিরভাগই যদি নারীদের জন্ম বিরতিকরন পিলের স্বাস্থ্য ঝুকির বিপরীতে কনডমের ঝুকিহীনতা জানার পরও জন্ম নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বটা নারীদের উপর চাপিয়ে দেন তবে আমি তাদের এই বিষয়ে সচেতন কখনোই বলব না। শোনেন, জানাজানি এক বিষয় আর সচেতনতা ভিন্ন বিষয়।
নেটে নারীদের জন্মবিরতিকরন পদ্ধতিগুলোর ইম্পেক্ট নিয়ে একটা সার্চ দেন। অবশ্যই ইংরেজীতে দিবেন। দেখবেন হাজারো লেখা সামনে চলে এসেছে। উন্নত বিশ্বের মানুষেরা আমাদের দেশে ব্যবহ্রত নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানেই না। এমন স্বাস্থ্য ঝুকির কোন বিষয়ের ধারে কাছেও তারা নেই।
১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫২
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
যাক আশ্বস্ত করলেন। আপনি-আমি যুক্তি তর্ক হাজির করছি বলেই এ থেকে সমাধান বের হয়ে আসছে। সংস্কৃতির ব্যাখ্যা দিয়ে করবো, এর উত্তর হলো গো-এষনা। আমাদের কথাও(রিপ্রেজেন্টেশন টার্ম) পরবর্তী প্রজন্ম আপনার মত করে কেউ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেবে, এ আশায় ...
উচিত অনুচিত সংস্কৃতির প্রো-একটিভ উপাদান নয়। আপনি আমি সেটা চর্চা করেই সিলেকটিভ করে তুলি। এই যে আপনি যেভাবে পোস্ট করলেন, সেটা কিন্তু এ সংস্কৃতিতে এখনো প্রচলিত হয়ে ওঠে নি। তাই বলে কি আমি আপনাকে সাপোর্ট করছি না! কেনো করছি। কারণ, ইহাই সংস্কৃতি থেকে সংস্কৃত হবার উপায়।
আসলে সংস্কৃতির কথা বলতে গেলে বিশাল প্রেক্ষাপট চলে আসবে। যাইহোক, ভাল লাগল কিন্তু কথা বলে
ভাল থাকবেন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনি আমি সেটা চর্চা করেই সিলেকটিভ করে তুলি। এবং যা সিলেকটিভ করে তুলি তা কিন্তু আর একটা সংস্কৃতি। আমি যেভাবে পোস্ট দিয়েছি, সেটা এ সংস্কৃতিতে এখনো প্রচলিত হয়ে ওঠে নি বিধায় আমাকে হাজারো প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হচ্ছে। এখানে দু একটা হাদিস সংকলনের পোস্ট দিলে সেটা একটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠত আর আপনারা এসে মারহাবা মারহাবা আওয়াজ তুলতেন। হয়তোবা এটা একসময় সংস্কৃতির একটা উপাদান হয়ে উঠবে। আমিও আসলে সেই কথাই বলছি, উচিত অনুচিত সংস্কৃতির প্রো-একটিভ উপাদান নয়। আপনি আমি সেটা চর্চা করেই সিলেকটিভ করে তুলি। যেখানে কনডমের চর্চাই বন্ধ, সেখানে তা সিলেক্টিভ হবে কোন উপায়ে?
আমারো বেশ লাগল, তর্ক করে। আপনিও ভাল থাকবেন।
১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫
আবু শাকিল বলেছেন: সালাম জানবেন অগ্নি সারথি ভাই-
বিজ্ঞাপনে বিলবোর্ডের অস্বাবিকতা আগেও ছিল ।এখনো আছে -
গত বছর টাকাওয়ালা এক মেয়ে বিবাহের প্রস্তাব দিছে বিলবোর্ডে !!!! দুষ্ট বালকরা ও কম যায়নি। তারা বলেছে- বিবাহের প্রস্তাব যদি বিলবোর্ডে দেয়া হয় তালাক কি বিলবোর্ডে দেয়া হবে !
আর দেশের চুশীল পাছা চুল্কাইয়া বলেছে - দেশে আবাল শুমারী করা দরকার ।
বিজ্ঞাপন আমাদের দেশীয় পরিবেশ বিবেচনা করে বিজ্ঞাপন দেয়া উচিৎ ।
এইখানে আমার আপত্তি ছিল ।
"
আমাদের সংস্কৃতি কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস আমাদের কোনভাবেই দেয় নাই আর দেয় ও না। "
মন্তব্যে দেখলাম অন্ধুবিন্ধু দা একই প্রশ্ন রেখেছেন । ওখানে ক্লিয়ার হইছি -
তবে কি দাদা -
আমাদের সংস্কৃতি কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস দেয় না বলেই -ফার্মেসী দোকানে আমি কনডম কিনতে গিয়ে নিয়ে আসি প্যারাসিটামল আর কাঁধে ব্যাগ, স্কুল ড্রেস পড়া মেয়েকে দেখি প্রেগন্যান্সি টেষ্ট কিনতে !!!
অগ্নি সারথি ভাই - রোলাঁ বার্থ এর কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । আপনার পর্যবেক্ষণ টি আমার ভাল লেগেছে ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: আসলে কি জানেন লেখাটি একটু নৃবৈজ্ঞানিক ধাঁচের হয়ে গিয়েছে। বড় সমস্যাটা হল, জ্ঞানকাণ্ড হিসেবে সেমিওলজির বিকাশ এখন পর্যন্ত না হয়ে ওঠবার কারনে আমাকে এত্ত এত্ত কথা বলতে হচ্ছে। সেমিওলজি বা সেমিওটিকস সম্পর্কে সামান্য ধারনা থাকলে অন্ধবিন্দু কিংবা ব্যাক ট্রেইল এত্ত এত্ত যুক্তি হাজির করতে পারতেন না।
আমাদের সংস্কৃতি কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস দেয় না বলেই -ফার্মেসী দোকানে আমি কনডম কিনতে গিয়ে নিয়ে আসি প্যারাসিটামল আর কাঁধে ব্যাগ, স্কুল ড্রেস পড়া মেয়েকে দেখি প্রেগন্যান্সি টেষ্ট কিনতে !!!
- এই একই কথাই আমি বারেবারে চিৎকার করে বলে চলেছি।
আপনি যে এত্ত সহজে লেখার বিষয় বস্তু অনুধাবন করতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে শুধু রোলা বাথ নয় বরং পুরো সেমিওলজি নিয়ে একটা পোস্ট দিব। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যাই বলুন, বিজ্ঞাপন দেখে অামি কিন্তু মজা পাইছি!
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
অগ্নি সারথি বলেছেন:
১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪৮
মাসূদ রানা বলেছেন: [si ..... সহজ করে তুলে ধরছে যেখানে পাবলিক পরিসরে একটা কনডমের বিজ্ঞাপন জন-মনকে সরাসরি যৌনতায় নিয়ে চলে যায়।
স্বল্পবসনা নারী দেখলে যাদের ইয়ে হয়, তাদের সাথে তো আপনের কুনু পার্থক্য দেখতাছি না মিয়া
ভালো লেখছেন, শ্লীলতা আসুক সবখানে ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
অগ্নি সারথি বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপনার মূল পোষ্টের সাথে আমার খুব বেশী দ্বিমত নেই।এটা শুধু আমাদের সংস্কৃতির সাথে বেমানানই নয় এই বিজ্ঞাপনের বক্তব্যে নারী সত্ত্বাকে অত্যন্ত অরুচিকর ভাবে হেয় করা হয়েছে। আপনাকে আমি আমার তরফ থেকে স্যালুট জানাই অন্যায় এবং অসংগতির বিরুদ্ধে কলম ধরার জন্য।
তবে আপনার কাছে আমি জানতে চাইবো, আপনি আপনার মন্তব্যে বেশ কয়েকবার ভারতের উদাহরণ টেনে এনেছেন, ভারতের সংস্কৃতি আর আমাদের সংস্কৃতি কি এক?
আপনি বলেছেন,
'এখানে দু একটা হাদিস সংকলনের পোস্ট দিলে সেটা একটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠত আর আপনারা এসে মারহাবা মারহাবা আওয়াজ তুলতেন। হয়তোবা এটা একসময় সংস্কৃতির একটা উপাদান হয়ে উঠবে।'
যে ব্যপারটা যেরকম সেখানে সেটা ঘটা স্বাভাবিক নয় কি?
কারণ আপনার আমার বক্তব্যের মাঝে ভুল থাকতে পারে কিন্তু হাদিসে কোনো ভুল নেই তাই সেটা করলে নির্দ্বিধায় মারহাবা দেওয়াই যায়।
আর আপনার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই বলছি,
জন্মনিয়ন্ত্রণের মোট সাতটি পদ্ধতির মধ্যে পুরুষের জন্য বরাদ্দ মাত্র দুটি 'আপনি এটাকে বরাদ্দ না বলে উদ্ভাবিত বলতে পারতেন। এখন সাতটি পদ্ধতির মধ্য পাঁচটি যদি নারীদের জন্য হয় তাহলে আপনি যে হিসেব দিয়েছেন তাতে আনুপাতিক হারে বা শতকরা হিসেবে আমিতো খুব বেশি গরমিল দেখিনা। যদি এমন হতো যে নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই সমসংখ্যক পদ্ধতি রয়েছে কিন্তু তাতে পুরুষদের অংশগ্রহণ কম তাহলে আপনি পুরুষদের দোষারোপ করতে পারতেন। এখন দোষটাতো পুরুষদের না, উদ্ভাবকদের।
পরিশেষে বলবো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অসংগতি নিয়ে লিখেছেন বলে আপনাকে অন্তরের অন্থঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাই।
তবে সত্যি বলতে কি কোনটা যে সংস্কৃতি আর কোনটা অপসংস্কৃতি আজ পযর্ন্ত সেটাই বুঝে উঠতে পারলাম না! অবশ্য এটাকে আমার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা বলতে পারেন। ধন্যবাদ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভারতীয় সংস্কৃতি বার বার ঘুরে ফিরে নয় বরং দুইবার হাজির করা হয়েছে। আর এতে বলা হয়েছে একটা এডে, কন্ডম উচ্চারন করা শেখানো হত। অর্থটা কি দাঁড়ায়? কনডম ভারতেও তাহলে এমন একটা বস্তু ছিল যেটা উচ্চারন করাও নিষিদ্ধ ছিল, লোকে এটাকে বাকা করে দেখত। যেটা আমাদের সমাজে হর হামেশাই ঘটে যাচ্ছে। আর ভারতের ২য় এডের কথা বলা হয়েছে, যেখানে চ্যানেল গুলো এখন নিয়মিত ভাবে কনডমের এড দেয়। সম-মানসিকতা থেকে তারা বের হয়ে আসছে কিন্তু আমরা পারছি না। আমি একই সংস্কৃতির কথা বলছিনা। আমি বলছি সংস্কৃতিগত সম-মানসিকতার কথা। আপনার এই সম-মানসিকতার বিষয়টা ধরতে না পারাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আমার লেখার একেবারে নিচে, সত্যের স্বরূপ বলতে আমি কিন্তু পোস্ট মাডার্নিজম ধারনা নিয়ে এসেছি। ধর্ম-বিশ্বাস, হাদিস, কোরান এগুলোকে যদি আপনি পোস্ট মডার্ন ধারনায় না দেখতে পারেন তবে সেটা আপনার ব্যার্থতা আমার নয়।
জন্মনিয়ন্ত্রণের মোট সাতটি পদ্ধতি নিয়া আপনে তো পুরাই অংক করতে বইস্যা গেলেন। শোনেন ভাই আনুপাতিক হারে জন্মবিরতিকরন পদ্ধতি বিতরন করতে আসি নাই। এসেছে কোনটা ভাল আর কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুকির সেটা জানাইতে। ইন্টারনেটে নারী জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গুলোর নাম লেখেন আর এর স্বাস্থ্যের উপর এর ইম্পেক্ট লিখে সার্চ দেন। দেখবেন হাজারো গবেষনা পত্র সামনে এসেছে। এমনকি এমন ও তথ্য পাবেন যে, এই নারী জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গুলো তৃতীয় বিশ্বে শুরু করা হয় গবেষনার উদ্দেশ্যে। আমি বার বার বলে যাচ্ছি যে, কনডম ব্যাবহারে স্বাস্থ্য ঝুকির মাত্রা খুব নগন্য যেখানে নারীর জন্য পদ্ধতি গুলো চরম ঝুকির।
কেন আমি উদ্ভাবন না বলে বরাদ্দ বলেছি এটা আপনি বুঝতে পারবেন না। বোঝাতে হলে আপনাকে পুরো ভাষাতত্ত্ব ততা ভাষা কিভাবে প্রতিনিধিত্বশীল হয়ে ওঠে এসব বোঝাতে হবে। এসব নিয়ে পুরো একটা পোস্ট দিব এক সময়।
পোস্ট মডার্নিজম পড়েন সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতি দুটোই বুঝে যাবেন। ব্যাক্তিগত সীমাবদ্ধতাও থাকব না।
১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সেমিওলজি বা সেমিওটিকস সম্পর্কে সামান্য ধারনা থাকলে
অগ্নি সারথি... অগ্নি সারথি...
অন্ধবিন্দুর মন্তব্য ও লেখা পড়ে যদি আপনার এ ধারনাই হয়ে থাকে তবে আর কি বলবো। ভাষাবিজ্ঞান নিয়ে ব্লগের মন্তব্যে আমিও প্রায়ই কথা বলেছি/বলি। আচ্ছা আপনি নৃবিজ্ঞান, সংকেতবিজ্ঞান নিয়ে পোস্ট দিয়েন। সময় পেলে কথা বলে যাবো আর সামান্য-অসামান্য সেখানেই বলার চেষ্টা করবো। একেবারে খুলে-দেখিয়ে বললে পরে আপনাদের ধারনা হবে হয়তো।
সংকেতবিজ্ঞানে প্রতিসংকেতও রয়েছে, জানেন নিশ্চয়ই। আমার মন্তব্যগুলোতেও সেটির উপস্থিতি ছিল। মারহাবা মারহাবা কে বা কারা করলো, সে দেখে আমার কাজ নাই! আপনারা যুক্তি-বিজ্ঞান-দর্শন বিচারে কথা বলুন। আর তা নকল(pseudo) না হলে অন্ধবিন্দু ঠিকই মারহাবা করে যাবেন, হুম
শুভ কামনা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
অগ্নি সারথি বলেছেন: সত্যি কথা কি বাস্তবিক আপনার মন্তব্য গুলো আমার কাছে বেশ কাঁচা গোছের ঠেকেছে যেমন রোলা বাথ কে আপনি বলে বসলেন, এই তো সেদিনের। কিন্তু সেমিওলজিতে রোলা বাথের অবদান অনস্বীকার্য।তবে কি আপনি নোয়াম চমেস্কির চমেস্কিয়ান গ্রামার ধুত্তুরি বলে উরিয়ে দিবেন। এটা যে আরো সাম্প্রতিক সময়ের! জ্ঞানকাণ্ড হিসেবে সেমিওলজির উঠে আসা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
মানলাম আপনি সংকেত বিজ্ঞান খুব ভাল বোঝেন তাহলে এটা বুঝতে পারলেন না কেন যে আমার লেখাটি রোলা বাথের ফরাসি ম্যাগাজিন 'প্যারিস ম্যাচ' এর প্রচ্ছদ রহস্য উন্মোচনের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট যেখানে (ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে) একজন তরুণ নিগ্রো ফরাসি ইউনিফর্ম পরে ওপরের দিকে তাকিয়ে স্যালুট ঠুকছে।
ফরাসি ইউনিফর্ম পরা তরুণ নিগ্রোটি ওপরের দিকে তাকিয়ে স্যালুট ঠুকছে, সম্ভবত সে তিনরঙা ফরাসি পতাকার দিকে তাকিয়ে ছিল। কোনো অর্থ পেতে চাইলে প্রথম স্তরে আমাদের ইমেজটির প্রতিটি দ্যোতককে (সিগনিফায়ার) যথাযথ ধারণায় সঙ্কেতোদ্ঘাটিত (ডিকোড) করতে হবে। এখানে দ্যোতকগুলো হলো সৈন্য, ইউনিফর্ম, স্যালুট-ঠোকা হাত, ওপরে-তোলা চোখ, ফরাসী পতাকা। এই একপ্রস্থ দ্যোতক এখানে সাধারণ যে-অর্থটি বর্ণনা করছে তা হলো, "একজন কালো সৈনিক ফরাসি পতাকাকে স্যালুট করছে" (নির্দেশিত অর্থ বা ডিনোটেটিভ মিনিং)। কিন্তু বার্থ বলছেন এই ইমেজের একটা বৃহত্তর সাংস্কৃতিক অর্থও রয়েছে। যদি আমরা প্রশ্ন করি, "কালো সৈন্য ফরাসি পতাকাকে স্যালুট করছে, এই ছবির মাধ্যমে 'প্যারিস ম্যাচ' কী বোঝাতে চাচ্ছে?" বার্থ মনে করছেন এর উত্তরে আমরা এই বার্তা পেতে পারি যে: ''ফ্রান্স একটা বৃহৎ সাম্রাজ্য, এবং তার প্রতিটি নাগরিক, বর্ণনির্বিশেষে, তার পতাকার নিচে থেকে, বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাকে সেবা করে থাকে (নির্দেশিত অর্থ) এবং ফ্রান্সকে উপনিবেশবাদের দায়ে অভিযুক্ত করে থাকে যে-নিন্দুকেরা তাদের জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো উত্তর হয় না, যেখানে একজন নিগ্রো তার তথাকথিত নিপীড়কের প্রতি সম্মান দেখাতে কতোখানি উদ্যমী তা দেখা যাচ্ছে (গূঢ়ার্থ বা কনোটেটিভ মিনিং)।"
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: বোঝার সুবিদার্থে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদটিও দিয়ে দিলাম।
১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আমাকে উত্তর দেওয়ার জন্য। ভারতের ব্যপারে উদাহরণ দেওয়ার জন্য আপনি বিষয়টি যেভাবে ব্যাখ্যা করলেন সেটি যদি ব্যখ্যার খাতিরেই হয় তাহলে ঠিক আছে। আমি ব্যপারটা না বুঝতে পারার জন্য লজ্জিত।হয়তোবা এটা আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। এই জায়গায় আপনি ঠিক, আমি ভুল।কিন্তু, 'সম-মানসিকতা থেকে তারা বের হয়ে আসছে কিন্তু আমরা পারছি না।'এটা কি ঠিক।আপনি আজ থেকে দশ বছর আগের কথা চিন্তা করুন। তারপর পাঁচ বছর .......এবং বর্তমান অবস্থা! আসুন এবার আমরা কিছু পরিসংখ্যান দেখি, কিছু লিঙ্ক আমি মোবাইল থেকে ব্যবহার করার কারনে আপনাকে দিতে পারছিনা। অথবা কিভাবে লিঙ্ক এড করে এটা আমার জানা নেই তবে আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন যে কিভাবে আমরাও ধীরে ধীরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি। যদি আমাদের মানষিকতায় পরিবর্তন নাই আসতো তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে? আসলে আমরাও বের হয়ে আসছি, তবে তাদের তুলনায় সেটা হয়তো কিছুটা ধীরগতিতে। পুরো বিষয়টি ব্যখ্যার দরকার নেই, বুঝার জন্য আপনার মতো এতো বেশী জ্ঞানী না হউক আমার মতো বোকা হলেও যে কেউই এটা বুঝতে পারবে।
আমি হয়তো আপনার মতো গুছিয়ে বলতে পারিনা এবং সন্দেহাতীতভাবে আপনার মতো এতোটা জ্ঞানীও নই তাই পরিসংখ্যানেই মানে তত্ত্বের চেয়ে তথ্যেই বেশী বিস্বাসী।
আর আপনি মনেহয় কিছুটা রেগে গেছেন, আমি কিন্তু আপনাকে বিরক্ত করতে বা অযথা ক্যাঁচাল করতে এখানে আসিনি। এসেছি কিছু শিখতে, সে কারনেই আপনার লেখায় কমেন্ট করছি এবং আপনার লেখা শিক্ষনীয় বলেই কিন্তু আপনাকে ফলো করছি।
তারপরও আমার আচরণে কষ্ট পেলে ক্ষমাপ্রার্থী।
বিরক্ত হলে বলবেন, কমেন্ট করবোনা। ধন্যবাদ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: 'সম-মানসিকতা থেকে তারা বের হয়ে আসছে কিন্তু আমরা পারছি না।' আমি এই অর্থে বলেছি যে তারা কিন্তু হর হামেশাই কনডমের প্রচার করে চলেছে যেখানে বাংলাদেশে কনডমের প্রচার নেই বললেই চলে।
আমরাও ধীরে ধীরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি। যদি আমাদের মানষিকতায় পরিবর্তন নাই আসতো তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে? আসলে আমরাও বের হয়ে আসছি, তবে তাদের তুলনায় সেটা হয়তো কিছুটা ধীরগতিতে। - মানষিকতায় পরিবর্তন আসছে এবং সেটা ধীর গতিতে কেন? প্রশ্ন টা যখন নারী স্বাস্থের ঝুকির ক্ষেত্রে তখন সেখানে তড়িৎ একটা পরিবর্তন জরুরী। আর অন্যান্য অনুষঙ্গ গুলোর সাথে এর প্রচার, জনগনের এক্সেস খুব জরুরী। আবু শাকিলের মন্তব্যের একটা অংশ কোট করে দিলামঃ
আমাদের সংস্কৃতি কনডম নিয়ে নাড়াচাড়া করবার অনুমতি কিংবা প্রয়াস দেয় না বলেই -ফার্মেসী দোকানে আমি কনডম কিনতে গিয়ে নিয়ে আসি প্যারাসিটামল আর কাঁধে ব্যাগ, স্কুল ড্রেস পড়া মেয়েকে দেখি প্রেগন্যান্সি টেষ্ট কিনতে !!!
আমি কখনোই নিজেকে জ্ঞানী হিসেবে জাহির করতে চাই না কিন্তু কি জানেন আমার লেখাটি রোলা বাথের প্যারিস প্রচ্ছদ বিশ্লেষনের আদলে লেখা ছিল। সেদিন হয়তোবা রোলা বাথ কে ও এত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় নাই।
বিরক্ত হচ্ছি না বরং সমাজে তর্ক চালু থাকা উচিত। তর্ক না থাকলে মুক্তি মিলবে না। কোন কিছুই পারসোনালি নিবেন না। হ্যাপি ব্লগিং।
১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আরেহ অগ্নিসারথি,
আমার প্রথম মন্তব্যটিতেই আমি বলেছিলাম-
“এই বিজ্ঞাপনের দর্শক বা বিলবোর্ডের উৎসুক দৃষ্টি যদি আপনার মতো করে ভাবতো এবং তা যদি বিপরীত হতো; তবুও আমি খুশি হতেম। কারণ এত সমঝদার দর্শক পেলে নির্মাতারা যে খুশি হবেনই !!”
আপনার রোলাঁ বার্থ-ইয় ব্যাখ্যা পড়েই না সমঝদার বলেছিলুম। আবার আমার তৃতীয় মন্তব্যে বলেছিলুম, এই এঁদেরই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমাদের ক জনেরেই-বা পরিচয় আছে।
আমি যদি দু-তিন হাজার বছরের হিসেব করি তবে রোলা বাথ সেদিনের নয় ? এই সেদিন বলতে আপনি উরিয়ে দেয়া ধরে নিচ্ছেন কেনো। আমি কি বলি নি- আধুনিক ভাষায় তিনি বেশ খাতির করেন বলে গিয়েছেন
রোলা বাথ বা নোয়াম চমেস্কির অবদান নিয়ে এখানে কথা বলি নি। তাই এ আলোচনায় যাওয়া কোনও প্রয়োচন মনে করছি না। তবে আপনার বোঝার সুবিদার্থে বলে রাখি, তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রয়েছে। নিয়েছি/শিখেছি যে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: পারসোনালি নিয়ে নিলেন তো! এজন্যই প্রিয় ব্লগারদের সাথে আমি তর্কে জড়াতে চাই না। ভাল থাকবেন। হ্যাপি ব্লগিং।
১৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা।
২০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
অগ্নি সারথি,
আরেহ, পারসোনালি নিলে কি আর আপনার এই পোস্টে বারবার আসতাম! একদম পারসোনালি নেই নি। আমি যে আপনার লেখার ধরনটির প্রশংসা ও এপ্রিশিয়েট করেছিলুম। সেটা হয়তো বুঝাতে পারলুম না এখনো।
এখন আপনার ট্রেন জার্নি পোস্টটি পড়ছি
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি পূর্বেই বলেছি যে সামুতে আমার চরম পছন্দের ব্লগারদের একজন কিন্তু আপনি তাই তর্কে যাবার লোভটা সামলাতে পারছিলাম না।
আপনি যে চরম ভাবে এপ্রিশিয়েট করেছেন এটা শুরুতে বুঝতে পেরেছিলাম। ভাল থাকবেন, শুভ কামনা নিরন্তন।
২১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: এসব বিজ্ঞাপনগুলোর ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হওয়া জরুরী, কারণে এসব বিজ্ঞাপন দরুণ মিসলিড হলে তা বেশ ক্ষতিকর। সময়ের সাথে সাথে মানুষ দিন দিন খোলামেলা হচ্ছে, তাই এখন গোপনীয় বিষয়গুলো বেশ সস্তা হওয়া শুরু করেছে ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: দামী একটা কথা বলেছেন ভাই। সহমত চরম ভাবে।
২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে আপনার টোটাল দর্শনের সাথে আমার কিন্তু কোনো বিরোধ নেই। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সহমত।সেটা আমি বারবার উল্লেখ করেছি এবং আপনাকে তারজন্য কিন্তু সাধুবাদও জানিয়েছি। দুএকটি লাইন নিয়ে কিছুটা কনফিউশন ছিলো, সেজন্যই আসলে আপনাকে এতো প্রশ্ন করা।আমি আপনার লেখাটি পড়লাম আর মনের মধ্যে কনফিউশন রেখেই কিছু না বলে নিজের মতো করে বুঝে নিয়ে মনে মনে আপনার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে চলে গেলাম। না হলো আমার বুঝা আর না হলো আপনার বলা। কারন যাদের বা যে সমাজের মানষিকতায় পরিবর্তন আনার জন্য আপনার এতো পরিশ্রম তাদের মানে আমার মতো আমজনতার মাথায় যদি আপনার মেসেজ না পৌঁছায় তাহলে পরিবর্তন আসবে কি করে! তাই আমি প্রথম কাজটি না করে দ্বিতীয় কাজটিই এতোক্ষণ করেছি।আপনি জ্ঞানী বলে খোঁচা নয় বরং বলতে চেয়েছি সহব্লগার 'অন্ধবিন্দু'র কথাটা যে,আপনার যে মেধা শক্তি সেরকম করে কজন সাধারণ মানুষ চিন্তা করতে পারবে বলুন?
অথচ আপনার মেসেজটি তাদের মতো করে তাদের কাছে পৌঁছানো খুবই জরুরি।
আমার এক কবিবন্ধু আমাকে প্রায়ই বলে যে (ওর ভাষায় ) তোর কবিতা কোনোদিনই জনপ্রিয় হবেনা, তুই কবিতা লিখে কখনো ভালো করতে পারবিনা ইত্যাদি ইত্যাদি! তো, আমি তাকে বল্লাম যে আমিতো এসবের জন্য লিখিনা। তারপর মুখে হাসি চেপে তাকে বলি আচ্ছা কেন আমি জনপ্রিয় হবোনা?
সে বলে যে, তোর কবিতা গুলো খুবই সাধারণ ভাষায় লেখা। এবার আমার অবস্থা আরও খারাপ! কোনোভাবে নিজেকে সামলে নিয়ে বলি, তা তোর অসাধারণ হতে গেলে কি করতে হবে?
সে বল্লো যে, কবিতা লিখার পর মাঝখানে কিছু শব্দ কেটে অভিধান থেকে সেখানে সমার্থক কিছু কঠিন এবং দুর্ভেদ্য শব্দ বসিয়ে দিবি তাহলেই সুপার হিট কেউ তোর কবিতা বুঝতে পারবেনা! বলবে কি মেধাবী ছেলে!
বুঝুন অবস্থা! এই হলো আমাদের বতর্মান সামাজিক প্রেক্ষাপট। যারা সমাজ পরিবর্তনে অবদান রাখবে তাদের অনেকের বর্তমান মানষিকতার এটা একটা ছোট্ট উদাহরণ মাত্র।
তাহলে আমরা কি ভাবে দ্রুত পরিবর্তন আশাকরতে পারি? আপনি ব্যতিক্রম ঠিক এই জায়গায়। আপনি অনেক বিষয় নিয়েই লিখে বাহবা পেতে পারতেন, কিন্তু আপনি একটি জাতীয় সমস্যা নিয়ে লিখেছেন। আর আমি আপনাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করছি আপনার সৎ উদ্দেশ্য কে আরও ভালোভাবে বুঝতে ও ছড়িয়ে দিতে। আপনাকে হেয় বা মানষিকভাবে বেকায়দায় ফেলতে অথবা নিরুৎসাহিত করতে নয়।
আপনার সুসাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। হ্যাপি ব্লগিং।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল। হ্যাপি ব্লগিং।
২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মোবাইল থেকে পড়লাম আপনার লেখা। টেলিভিশন দেখাই হয় না বলা চলে। তবে এ জাতীয় বিজ্ঞাপন বিলবোর্ড এ না দেখলেও টিভিতে হয়ত কোনো ফাঁকে চোখে পড়ে গিয়েছিল। বিজ্ঞাপন নির্মাণ সস্তা মাপের মনে হয়েছিল এবং গা ঘিন ঘিন করেছিল কারণ কামুক টাইপ বিজ্ঞাপন লেগেছে। যে কোনো নির্মাতার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ইউনিক কিছু করা যাতে দর্শক দেখে এবং বুঝে বিচার করতে পারে প্রোডাক্ট টা তার কতখানি জরুরী। পিল,স্যানেটারি ন্যাপকিন বিলবোর্ডের পণ্য হতে পারলে কন্ডমও হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সামাজিকতার ট্যাবু। এখনো এসব ব্যাপারকে গোপন হিসেবে দেখানো হয়,ভাবা হয়। প্রচার হয় না কিন্তু হাতে হাতে অস্বাভাবিক উপায়ে কি বিক্রি হচ্ছে না?? বিয়ে না করেও কি কেউ কিনছে না? আবার বিবাহিত দম্পতিদের মাঝে কয়জন কন্ডম ইউজ করে সেটাও উল্লেখ যোগ্য ব্যাপার। ডাক্তারদের কেউ কেউ সাজেস্ট করেন নারীদের পিল খেতে যা উনারা সেফ ভাবেন কন্ডম এবং অন্য জন্মবিরতিকরণ মাধ্যমের চেয়ে।
আজকাল ক্লাস ফাইভ সিক্সের বাচ্চারাও পিরিয়ড, বীর্যপাত,যৌনতা,কন্ডম,স্বপ্নদোষ, কামনা,রতি এসব শব্দের সাথে পরিচিত। ক্লাস এইটের বইতে সম্ভবত শারিরীক শিক্ষা বইতে বিশদভাবে এসব দেয়া আছে, আরো দেয়া আছে ক্লিনিক,এবোরোশন নামক ব্যাপক পরামর্শ সে হিসেবে প্রাপ্তবয়স্ক বা বিজ্ঞাপনের ভাষা, প্রতীক,মেকিং প্রোসেস নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। ইনফ্যাক্ট আরো আগেই এসেছে। এসব লুকোচুরির বিষয় নয়।
আমার আরো কিছু পয়েন্ট নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল।মোবাইলে সুবিধা করতে পারছি না লিখে।
আপনি যে আরো একটা বিষয় লিখলেন শক্ত সামর্থ পুরুষ কে মেডেল পরিয়ে দেয়া, সে যৌনতার মাধ্যমে সংসারে সুখ এনে দিচ্ছে কিনা,বিজ্ঞাপনের এই থীম টা চরম আপত্তিকর।
অপ্রাসংিক হলেও আরেক টা উদাহরণ দেই। প্রাণ চাটনির বিজ্ঞাপন বোধ হয়।মেয়ে চাটনি খেয়ে প্যাকেট জমায়।মা বাবা সেটা টের পেয়ে মেয়ের রুমের বিছানা উল্টিয়ে মা কাঁদতে কাঁদতে বলে - তুই সত্যি করে বল তোর কি হয়েছে,এসব কেন খাচ্ছিস এই টাইপ বিজ্ঞাপন। খুব উদ্দেশ্যমূলক বিজ্ঞাপনের ভাষা। বাংলাদেশের নির্মাতারা এসব সেক্সিস্ট ধরণের ভাষা ব্যবহার করছেন যা ঠিক নয়।
যা যা লিখতে চেয়েছিলাম গুছিয়ে বলা হলো না। মোবাইল থেকে পোস্ট বা মন্তব্য স্ক্রল করে দেখতে সমস্যা হচ্ছে।
পোস্ট এর বিষয়বস্তু ভালো লাগল।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়, প্রথমে আপনাকে স্যালুট জানাতেই হয়। আপনি সামজিকতার ট্যাবুর কথা বলেছেন, আমার মনে হয় এই ট্যাবুর কারনেই নারী ব্লগারেরা আমার পোস্টকে এড়িয়ে চলছেন। আপনি এসে কথা বললেন, এজন্য আগে স্যালুট দিয়ে নিলাম। তারপর আপনি যা বললেন সকল কিছুর সাথেই সহমত জানালাম। ভাল থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
২৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: কি আর বলবোরে ভাই, আপনার লেখাটার সাথে সহমত পোষণ কইরা গেলাম!
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ সহ ব্লগার। আপনার এই সহমত টুকুই আমার জন্য অনুপ্রেরনা।
২৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮
-দীপু বলেছেন: ফিলিং প্রাউড [ছবি দেখে]
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১
অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি তো পথথমে পুরাই টাসকিত পরে প্রাউড ফিল করেছি।
২৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬
নীল ভায়োলিন বলেছেন: সহমত অগ্নিসারথি
২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬
নীল ভায়োলিন বলেছেন: সহমত অগ্নিসারথি
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: বিলবোর্ডটা প্রথমবার দেখে আমিও রীতিমত ধাক্কা খেয়েছিলাম। বিজ্ঞাপনের উপস্থাপনটা ভাল রকমের অশ্লীল মনে হয়েছে আমার কাছে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২২
অগ্নি সারথি বলেছেন: অশ্লীলতা ছাড়া কি কনডমের এড হয় না?
২৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: অতিরিক্ত প্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। যাবেই, সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে না?
কিন্তু কিছু ব্যাপারে রক্ষনশীলতাই সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করতো। কিছু ব্যাপার ব্যক্তিগত থাকাই ভালো, অতিরিক্ত প্রগতিশীলতার নাম দিয়ে আমরা সেগুলোকে বৃদ্ধাংলি দেখাচ্ছি। এ কারণে এসব ব্যাপার দুধভাত হয়ে যাচ্ছে। ক্লাস ফাইভ সিক্সের বাচ্চারাও এখন কি করে সেটা আপনি আমি সবাই জানি। এরা ভবিষ্যতে জীবনের এই ব্যাপারটাকে স্বেচ্ছাচারীতার বিষয় না ভাবলেই হয়। ভাবলে যে নির্মল যুগল জীবন আমাদের কাম্য সেটা কতটূকু পাওয়া যাবে প্রশ্নের ব্যাপার। কিছু ব্যাপারে অনেক দ্বায়িতশীল হতে হয়, প্রগতি আর ব্যক্তিস্বাধীনতার কথা বলে আমরা হয়তো সুস্থ্য পারিবারিক জীবনকেই হুমকীর মুখে ফেলে দিচ্ছি... আর এসব বিজ্ঞাপনের কথা নাই বলি, এদের মুল উদ্দেশ্য ব্যবসা, এরা কোনকিছুতেই দ্বায়িত্বশীল কিংবা রুচিশীল নয়...
পোস্টে ভালোলাগা রইলো সারথি ভাই...
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জন্ম নিয়ন্ত্রনের মোট সাতটি পদ্ধতির মধ্যে পুরুষের জন্য বরাদ্দ দুটি আর বাকী পাঁচটি নারীর জন্য। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২০১৩-র ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গ্রহণকারী পুরুষের হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং কনডম ব্যবহারকারীর হার ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। বাদ বাকী সকল জন্ম নিয়ন্ত্রনের দায়ভার যেন শুধু নারীর উপরই যেখানে সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব এবং সংস্কৃতিগত ভাবে নারী স্বাস্থ্য রক্ষার চেয়ে পুরুষের পৌরুষত্ব রক্ষা করাটাই মুখ্য।
এই অংশটাই সব বলে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে সংখ্যারাও অনেক অর্থবহ হয়ে ওঠে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা। আপনার এই সহমত টুকুই আমার জন্য অনুপ্রেরনা।
৩১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ‘সংসার সুখের হয়, আসল পুরুষের গুনে’ আর শক্ত সামর্থ পুরুষ কে মেডেল পরিয়ে দেয়া, সে যৌনতার মাধ্যমে সংসারে সুখ এনে দিচ্ছে কিনা,বিজ্ঞাপনের এই থীম টা আমার কাছেও বেশ আপত্তিকর ঠেকেছে ।
চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।
৩২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোষ্ট এবং মন্তব্যগুলো তাৎপর্যপূর্ণ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার বক্তব্যের গভীর অর্থটি বোঝার চেষ্টা করছি। এবং সহমত পোষণ করছি।
গ্লোবালাইজেশনের চরম পর্যায়ে আমরা বাস করছি, যেখানে একটি দেশ চাইলেই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে বন্ধ করতে পারবে না।
অর্থানৎ পয়েন্ট অভ নো রিটার্নে চলে গেছি। এসব বলে কি কোন লাভ হবে? থ্রিজি ফোরজি'র যুগে যেখানে নিরক্ষর জনতার হাতেও স্মার্টফোন শোভা পায়, বিলবোর্ডের বক্তব্যকে কীভাবে আপনি থামাবেন। তাদের তো ব্যবসার প্রয়োজন। তামাক হলে না হয় ক্ষতিকর বলে নিষিদ্ধ করে দেওয়া যেতো!
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
হাহ হাহ হাহ। অগ্নি সারথি, রোলাঁ বার্থ কে টেনে এনেছেন। আমি হাসছি। এই বিজ্ঞাপনের দর্শক বা বিলবোর্ডের উৎসুক দৃষ্টি যদি আপনার মতো করে ভাবতো এবং তা যদি বিপরীত হতো; তবুও আমি খুশি হতেম। কারণ এত সমঝদ্বার দর্শক পেলে নির্মাতারা যে খুশি হবেনই !! হাহ হাহ।
লেখকের অভিমতকে ছোট করে দেখছি না। তাই তার পরামর্শও জানতে চাইছি; কিভাবে কনডমের বিজ্ঞাপন তৈয়ার করলে তা আমাদের সংস্কৃতির সাথে যাবে ?