নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদকঃ সমাজের আরেক মরন ব্যাধি। আপনি, আমি, আমরা কতটুকু প্রস্তুত!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০







চিত্রে দখানো ছবিগুলো জনমনে বেশ দৃষ্টিকটু ঠাহর হলেও, এগুলো সম্পর্কে নতুন করে আর কোন কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। এগুলো বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত তিনটি মরন নেশা। যার দরুন ধীরে ধীরে আমাদের আগামী প্রজন্ম মেধাহীন আর পঙ্গুত্ব বরন করে চলেছে, ধ্বংস হয়ে চলেছে পরিবার, রাষ্ট্র, সমাজ। খুব জনপ্রিয় এই নেশাজাতীয় দ্রব্য গুলো দেশের আনাচে কানাচে, গ্রামে গঞ্জে, হাটে বাজারে আড়ালে আবডালে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে। আর এর প্রধান খরিদ্দার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সহ অনেকেই। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনে দেশে একটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসন থাকলেও কার্যত তারা অক্ষম এবং এই ব্যবসার প্রধান মুনাফাভোগী তারাই। পত্রিকায় কালে ভদ্রে দু একটা মাদক সম্রাট কিংবা সম্রাজ্ঞীর গ্রেফতারের খবর প্রচারিত হলেও তা খুব নগন্য। যেখানে কথা ছিল মাদকের এই ভয়াল ছোবলকে সমূলে উৎপাটনের সেখানে এই মরন ব্যাধি সমাজের শিরায় শিরায় আজ বাসা বেধে ফেলেছে। আশু প্রতিকার জরুরী।

দশ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা পর্যন্ত এই মরন নেশাজাত দ্রব্যগুলোর দাম। প্রধান ভোক্তা মূলত কিশোর আর যুব সম্প্রদায়। নেশা গ্রহনের ক্ষেত্রে নেশা হওয়া যেমন জরুরী তেমনি জরুরী দল বেঁধে কিংবা দুই তিনজনের সঙ্গীদল তৈরি করে শেয়ার করে এই নেশা গ্রহন ও বেশ আরামদায়ক। নেশাজাত দ্রব্য গুলো গ্রহনের অনুভূতি কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে যে , সেবনকারী কি পদ্ধতিতে এবং কি পরিমাণ গ্রহন করবে । সাধারণত সেবনে কল্পিত বস্তু , কল্পনার রং আরও প্রখর হয়ে দেখা দেয় । মায়া বিভ্রমও দেখা দিতে পারে । স্থান , কাল , পাত্রের কোন খেয়াল থাকে না । কথা বলার প্রবনতা বেড়ে যায় । চোখ লাল হয়ে যায় । এছাড়া শরীরের রক্তচাপ কমে যেতে পারে । ঘন ঘন শুকনা কাশি হতে থাকে । আস্তে আস্তে শিথিলতা আসে,ঘুম আসে । এমনকি স্ট্রোক করে মৃত্যুও হতে পারে।

স্থায়ী ক্ষতির মধ্যে,
১) রক্তকোষে পরিবর্তন ও প্রতিরোধী ক্ষমতা হ্রাস ।
২ ) জিনের গঠন পরিবর্তন হয়ে যায় ।
৩ ) ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখা দেয় ।
৪ ) যৌন অক্ষমতা ।
৫ ) এনজাইনা পেক্টোরিস
৬ ) ফুসফুসের ব্যাধি ।
৭ ) স্নায়ুতন্ত্রে পরিবর্তন ।
৮ ) ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন বা আরগ্যানিক ব্রেন-সিন্ড্রোম ।
এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

“যে ঘরে দেবদাস থাকে, তাহারই পাশের ঘরে চুনিলাল বলিয়া একজন যুবক আজ নয় বৎসর হইতে বাস করিয়া আসিতেছেন। তাঁহার এই দীর্ঘ কলিকাতা বাস বি এ পাস করিবার জন্য অতিবাহিত হইয়াছে-আজিও সফলকাম হইতে পারেন নাই বলিয়া এখনো এইখানেই তাঁহাকে থাকিতে হইয়াছে। চুনিলাল তাঁহার নিত্যকর্ম সান্ধ্যভ্রমণে বাহির হইয়াছেন, ভোর নাগাদ বাটী ফিরিবেন। বাসায় আর কেহ এখনও আসেন নাই। ঝি আলো জ্বালিয়া দিয়া গেল, দেবদাস দ্বার রুদ্ধ করিয়া শুইয়া পড়িল। তাহার পর একে একে সকলে ফিরিয়া আসিল। খাইবার সময় দেবদাসকে ডাকাডাকি করিল, কিন্তু সে উঠিল না। চুনিলাল কোনদিন রাত্রে বাসায় আসে না, আজিও আসে নাই। তখন রাত্রি একটা বাজিয়া গিয়াছে। বাসায় দেবদাস ব্যতীত কেহই জাগিয়া নাই। চুনিলাল গৃহপ্রত্যাবর্তন করিয়া দেবদাসের ঘরের সম্মুখে দাঁড়াইয়া দেখিল, দ্বার রুদ্ধ কিন্তু আলো জ্বলিতেছে; ডাকিল, দেবদাস কি জেগে আছ নাকি হে? দেবদাস ভিতর হইতে কহিল, আছি, তুমি এর মধ্যে ফিরলে যে? চুনিলাল ঈষৎ হাসিয়া কহিল, হাঁ, শরীরটা আজ ভাল নেই, বলিয়া চলিয়া গেল। কিছুক্ষণ পরে ফিরিয়া আসিয়া কহিল, দেবদাস, একবার দ্বার খুলতে পার? পারি, কেন? তামাকের জোগাড় আছে? আছে। বলিয়া দেবদাস দ্বার খুলিয়া দিল। চুনিলাল তামাক সাজিতে বসিয়া কহিল; দেবদাস, এখনো জেগে কেন? রোজ রোজই কি ঘুম হয়? হয় না? চুনিলাল যেন একটু বিদ্রূপ করিয়া কহিল, আমি ভাবতুম তোমাদের মত ভাল ছেলেরা কখনো দুপুর রাত্রের মুখ দেখেনি-আমার আজ একটা নূতন শিক্ষা হল। দেবদাস কথা কহিল না”।
উপরোক্ত চরন গুলো শরৎ চন্দ্রের দেবদাস হতে চারন করা। আমার আসলে ভীষন আগ্রহের জায়গা হল এই চুনিলাল নামক চরিত্রটি। আমরা যখন দেবদাস পড়ছি, শুনছি কিংবা দেখছি তখন খুব কৌশল করে কৌশলি এই চুনিলাল চরিত্রটি পাশ কেটে চলে যাচ্ছি। আমরা দেবদাসের করুন পরিনতির জন্য সমাজের শ্রেনী ব্যবস্থা, জাত-পাত এবং সম্ভ্রম বৈষম্য কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের খুব করে দায়ী করে চলি কিন্তু দেবদাসের দেবদাস হয়ে ওঠবার গল্পে চুনিলাল ও যে সমান দায়ী তা কখনো ভেবে দেখি না। হয়তো বা ভাবী, কিন্তু খুব করে নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে একজন মানুষ যে কিনা নেশা করে তাকে নেশা ধরার কারন জিজ্ঞেস করলে সে তার নেশা করার কারন হিসেবে হাজারটা দেবদাসীয় গল্প হাজির করে ফেলে। কিন্তু আমার মনে হয়, তার নেশায় আসক্তির পিছে খুব বেশি মাত্রায় কৌতুহল আর এই চুনি লাল নামক বন্ধুদের অবদান খুব বেশি মাত্রায় প্রভাব ফেলে একই সাথে দ্রব্য সমূহের সহজলভ্যতা তো থাকছেই।

দেশের ভারত সীমান্ত দিয়ে দেদারসে গাঁজা আর ফেন্সিডিল ঢুকছে আর মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে ইয়াবা। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ইন্ডিয়াতে গিয়ে কোথাও ফেন্সিডিলের কোন চিহ্ন দেখি নাই। তারা মূলত ফেন্সিডিল উৎপাদন করে বাংলাদেশকে টার্গেট করেই। হয়তো বা মিয়ানমারের ও একই অবস্থা। আর এসব মরন নেশা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে তার খরিদ্দারদের হাতে। খরিদ্দার তালিকা দেখলে রীতিমত আফসোস লাগে যে ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া বাচ্চারাও আজ এই মরন নেশা তাদের মুখে তুলে নিয়েছে।

সন্তানকে কিংবা পরিবারের সদস্যটিকে নেশামুক্ত রাখার কথা বলতে গেলে অনেক পরামর্শই চলে আসবে সামনে। যেমনঃ
১। পারিবারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা
২। খোলামেলা আলোচনা করা
৩। হতাশ না হতে দেয়া
৪। বেশি বেশি সময় দেয়া
৫। বন্ধু সূলভ আচরন করা
৬। মাদকের কুফল সম্পর্কে অনেক অনেক আলোচনা করা
৭। ছোটদের সামনে মাদক গ্রহন না করা
এবং আরো আরো অনেক কিছু।

উপরোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন তবে একই সাথে আমার প্রস্তাবনা হল কৌতুহল এবং বন্ধু নির্বাচন। পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে যে সে কোন ভাবে মাদকের প্রতি কৌতুহলী হয়ে উঠছে কিনা। মাদক যে খুব ভয়াবহ একটা বস্তু, তার ভয়াবহতা তার মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে। এবং একই সাথে সে কি ধরনের বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব করতে যাচ্ছে এটাও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন।

একটা সুন্দর, সুস্থ মাদক মুক্ত সমাজের প্রত্যাশায়……..

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: সমসাময়িক এবং গণসচেতনতামূলক অত্যন্ত চমৎকার একটি পোষ্ট।একজন সুস্থ মানুষের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে চুনিলালদের প্রভাব সত্যিই অনেক বেশী।
+++++

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২১

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম ভাই। শুভ কামনা নিরন্তর।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

মহা সমন্বয় বলেছেন: বেশ কয়েকজনের জীবন, পরিবার ধ্বংস হতে দেখিছি নিজের চোখে।
মাদকের গভীরে একবার নিম্নজিত হয়ে গেলে বের হয়ে আসা অনেক টাফ হয়ে যায়।

জনসচেতন মূলক একটি পোষ্ট, সবার পড়া উচিৎ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: পারলে আপনার অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করবেন ভাই। জনসচেতনতা খুব বেশি দরকার।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: এখন এসব খুব সহজলভ্য । এদের খুব সক্রিয় লিংক অনেক আগেই তৈরী হয়ে আছে । যাদের দরকার তারাই শুধু এদের খোঁজ জানে । এরা খুব কৌশলী । আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও এদের কৌশলের স্বীকার, সেখানে আর এসব রোধ হবে কীভাবে !! দেবদাসের চুনিলালের মত চরিত্রগুলো খুব সুক্ষ্মভাবে নেশাগুলো সমাজে ঢুকিয়ে দেয়, মনে হয় যেন এরা সাধু ! আমার কাছে মনে হয় এইসব থেকে সমাজকে সচেতন করতে হলে যৌন শিক্ষার মত মাদক শিক্ষাও চালু করা জরুরী । এতে করে যুবসমাজের কৌতুহল মিটবে এবং এর খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জানবে এতে করে এসব নেশা থেকে তারা নিজেকে রক্ষা করতে পারবে ।

পোস্ট ভাল লেগেছে ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: যৌন শিক্ষার মত মাদক শিক্ষাও চালু করা জরুরী - চরম ভাবে সহমত কথকথি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গণসচেতনতামূলক অত্যন্ত চমৎকার একটি পোষ্ট।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক ।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সন্তানকে কিংবা পরিবারের সদস্যটিকে নেশামুক্ত রাখার কথা বলতে গেলে অনেক পরামর্শই চলে আসবে সামনে। যেমনঃ
১। পারিবারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা
২। খোলামেলা আলোচনা করা
৩। হতাশ না হতে দেয়া
৪। বেশি বেশি সময় দেয়া
৫। বন্ধু সূলভ আচরন করা
৬। মাদকের কুফল সম্পর্কে অনেক অনেক আলোচনা করা
৭। ছোটদের সামনে মাদক গ্রহন না করা
এবং আরো আরো অনেক কিছু।
৬। মাদকের কুফল সম্পর্কে অনেক অনেক আলোচনা করা
৭। ছোটদের সামনে মাদক গ্রহন না করা
এবং আরো আরো অনেক কিছু।


সন্তানকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে আপনার উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলির উপর আর কোন সমাধান নেই।

ভালো পোস্ট।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফেরদৌসা রুহী। একই সাথে চুনীলাল দের থেকেও সাবধানতা জরুরী।

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দেশের ভারত সীমান্ত দিয়ে দেদারসে গাঁজা আর ফেন্সিডিল ঢুকছে আর মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে ইয়াবা। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ইন্ডিয়াতে গিয়ে কোথাও ফেন্সিডিলের কোন চিহ্ন দেখি নাই। তারা মূলত ফেন্সিডিল উৎপাদন করে বাংলাদেশকে টার্গেট করেই। হয়তো বা মিয়ানমারের ও একই অবস্থা। আর এসব মরন নেশা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে তার খরিদ্দারদের হাতে। খরিদ্দার তালিকা দেখলে রীতিমত আফসোস লাগে যে ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া বাচ্চারাও আজ এই মরন নেশা তাদের মুখে তুলে নিয়েছে।

আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে এটার ভাল মিল আছে। আপনার পোস্টটি অনেক গুরুত্বপুর্ণ। দেবদাস বলেন আর যার কথাই বলেন, সমাজে এদের মাদকে জড়িয়ে পড়ার পেছনের গল্পে এক বা একাধিক চুনীলালদের বড় ভুমিকা আছে তাতে সন্দেহ নাই।

আশা করি সরকারের দ্বায়িত্বশীল মহল নিজেদের দায়িত্বের ব্যাপারে আরো সচেতন হবেন। পোস্টে (+)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ গেম ভাই। আপনার লেখাগুলো পড়ছি। বেশ লিখছেন ইদানিং কিন্তু আফসোস কোন মন্তব্য করতে পারছি না। শুভ কামনা জানবেন।

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
++++++++++++

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন দা।

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা দুঃখনদী, যেখানে ডুবে গেছে কতশত স্বপ্ন। :(

অভিশপ্ত এই নদীতে যেন পরম শত্রুও নাইতে না নামে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট এর জন্য।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাস্তবিক ভাই, যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা এ দুঃখ নদী। অভিশপ্ত এই নদীতে যেন পরম শত্রুও নাইতে না নামে।
চমতকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ইয়াবা চক্র খুব কাছ থেকে দেখেছি। ইয়াবায় আসক্ত কয়েকজনকে নিঃস্ব হয়ে যেতে দেখেছি একেবারে। গল্পগুলো খুব কষ্টের।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০১

অগ্নি সারথি বলেছেন: আসলেই কষ্টের ভাই। মাঝে মাঝে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে আমার খুব চিন্তা হয়।

১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার ।
সমাজ সচেতনামূলক পোস্ট।ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

তার আর পর নেই… বলেছেন: কম বেশি সবাই কিন্তু এসবের ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে জানে …… তারপর ও কৌতুহল, ব্যর্থতা, হতাশা এসবের দিকেই মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে …

সুন্দর পোস্ট।

মন্তব্য করতে পারছেন না? কদিন বিশ্রাম নেন …… অহংকারও ঠিক নয় ……

আবার উল্টো ভাববেন না, আমি ক্যাচাল ভয় পাই। ;)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার ধারনা ভূল। আমি কোনভাবেই অহংকারী নই। জনম দাসীকে দম্ভ করে বলার কারন ছিল সে আমাকে বলেছিল আপনি কি পেরেছেন এমন লেখা লিখতে (সত্যান্বেসী যুবকের মত) এবং কি সে আমার লেখাগুলোকে কপি পেস্ট বলে আখ্যায়িত করেছিল। অথচ তার পোস্টে আমি পজিটিভ মন্তব্য করেছিলাম। কে বলেছে আপনাকে আমার কমেণ্ট ব্যান। খোজ নিয়ে দেখেন এক্টু আগেই কত্তগুলা কমেণ্ট করলাম। দুঃখিত আপনার কোন পোস্ট দেখি নাই। শোনেন আমি অহংকার করি না কিন্তু অহেতুক কেউ গায়ে পড়ে এসে আমার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে তবে তাকে আমি কে বুঝিয়ে দিতে বিন্দু মাত্র সময় নেই না। আশা করি বুঝেছেন আর অযথা ক্যাচাল সবার সাথে আমিও পছন্দ করিনা।

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: নেশার ভয়াবহতা অবিশ্বাস্য। মানুষকে কীভাবে বদলে দেয়, কল্পনাও করা যায় না। ফেন্সিডিল, আর ইয়াবা বেশ কস্টলি, আর যেখানে সেখানে পাওয়ায় যায় না। কিন্তু আপনি কি জানেন, ফার্মেসি থেকে মাত্র ৭০ টাকায় কাশির সিরাপ, বিশেষ করে ডেক্সপোটেন কিনে শত তরুণ কোথায় যাচ্ছে! আর ওটা কিনতে কোন প্রেসক্রিপশনও লাগে না। আমি বুঝি না এটা নিষিদ্ধ করা হয় না কেন!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

অগ্নি সারথি বলেছেন: ফেন্সিডিলটা কস্টলি ঠিক বলেছেন কিন্তু ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এটা মোটামুটি বেশ সস্তা এবং সহজলভ্য। প্রয়োজন হলে এক বোতল ফেন্সিডিল তিনজনে মিলে শেয়ার করে খায়। কাশির সিরাপের সাথে সহমত। আরেকটা নতুন নেশা এসেছিল কিছুদিন আগে ঝাকি। কাশির সিরাপ আর ঘুমের ঔষধ মিক্স করে খাওয়া হয়।
বাস্তবিক এগুলো ব্যান করা উচিত। কিন্তু করবে কে? পুলিশ প্রশাসন নাকি অথর্ব মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর! তাহলে তো তাদের উপ্রি বন্ধ হয়ে যাবে।

১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

আবু শাকিল বলেছেন: গনসচেতনামূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অগ্নিসারথি ভাই-
একটি পরিবার এবং সমাজ সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখে।তার ছেলে/মেয়ে যেন মাদকের বিষাক্ত ছোবল রক্ষা পায়।
সরকারী-বেসরকারী ভাবে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রশাসন রয়েছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর!
আমার কাছে গার্ডিয়ান এবং সমাজের চেয়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
একদিকে তারাই মাদক বিরোধী কর্মসূচী পালন করছেন আর অন্যদিকে মাদক গ্রহনে সুযোগ করে দিচ্ছেন।
গাছের আগা কেটে দিচ্ছ আবার গাছের গোড়ায় পানি ঢালছি।
হাসান যা বললেন-
আপনি কি জানেন, ফার্মেসি থেকে মাত্র ৭০ টাকায় কাশির সিরাপ, বিশেষ করে ডেক্সপোটেন কিনে শত তরুণ কোথায় যাচ্ছে! আর ওটা কিনতে কোন প্রেসক্রিপশনও লাগে না। আমি বুঝি না এটা নিষিদ্ধ করা হয় না কেন!
মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের আর জোরালো ভূমিকা পালন করা দরকার।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের আর জোরালো ভূমিকা পালন করা দরকার। - সহমত।

১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

আবু শাকিল বলেছেন: মোবাইল দিয়ে মন্তব্য করতে সমস্যা।
হাসান ভাই লিখতে গিয়ে লেখছি হাসান??
দিচ্ছে লিখতে গিয়ে লেখছি দিচ্ছ।
কারেকশন করে নিয়েন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ওকে ব্যাপার না। আর হাসান ভাই ভাল মানুষ মাইন্ড খায় না! ঃ)

১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

তার আর পর নেই… বলেছেন: আরে, কি যে বলেন না …… আপনি এত বিশাল করে লিখলেন না …… আমার একটু লজ্জাই লাগছে ( লজ্জার ইমো কোনটা হবে ঠিক বুঝতে পারছিনা, এখনো নতুন তো)

আমি কি তাই বললাম নাকি!

সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে আপনার করা মন্তব্য দেখেই আপনার নিক ধরেই এলাম।
এসেই কমেন্টে দেখলাম, মন্তব্য বন্ধ ছিল … এই আর কি ……

আমার ঘাড়ে কটা কল্লা আছে যে আপনাকে অহংকারী বলবো!!

শুভকামনা রইলো। আর এরকম সচেতনতা মূলক আরো পোস্ট চাই …

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাই শোনেন, মেজাজটা খুব খারাপ হয়েছিল জানেন। ৭০ টা বাজে মন্তব্য ডিলিট করেছিলাম সেদিন। কাউকে ব্লক ও করতে পারছিলাম না। আমার কথায় কষ্ট নিবেন না। কোন কারনে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমা প্রার্থী। হ্যাপি ব্লগিং।

১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

তার আর পর নেই… বলেছেন: আপনার এখনকার মন্তব্যে আমার সত্যিই ভালো লাগছে। ( এবার খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করছিনা)

ছোট্ট একটা ব্যাপারে কত বিশাল কিছু হলো তা দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছিল।

হ্যাপি ব্লগিং

:) :) :)

ভাল থাকবেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: :)

১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি ,



সচেতনতার পোষ্ট ।
পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে যে সে কোন ভাবে মাদকের প্রতি কৌতুহলী হয়ে উঠছে কিনা।
আপনার এই লাইনটির পরিপ্রেক্ষিতে আপনার সাথে গলা মিলিয়ে সাথের লিংকটি সবাইকে দেখতে বলি ---
আপনি কি জানেন, আপনার স্নেহধন্য পুত্র সন্তানটি কিম্বা অতি স্নেহের কন্যাটি কিম্বা আপনার প্রিয় ভাইটি অথবা আদরের বোনটি এই প্রশ্নটির সাথে জড়িয়ে নেই ?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: দেখে আসলাম। রক্ষক যখন ভক্ষক প্রতিকার সেথায় অন্ধ কুঠুরীতে লুক্কায়িত। আমাদের সন্তানেদের কি হবে?

১৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এসব কাছ থেকে দেখা। ভয়ানক জিনিস।

বন্ধু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরিবারের ভূমিকা আরো বেশি। পরিবারের কাছ থেকে সব সময় সহযোগিতা পেয়ে একটা স্বাভাবিক ধার্মিক/মানসিক গ্রোথ নিয়ে বেড়ে ওঠা এবং সমমনা বন্ধুদের সাথে চলা মানুষ কখনো মাদকে আকৃষ্ট বা নেশাগ্রস্ত হবে না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:০২

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত প্রফেসর। ম্যালা দিন পর দেখলাম। আছিলেন কই?

১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে একজন মানুষ যে কিনা নেশা করে তাকে নেশা ধরার কারন জিজ্ঞেস করলে সে তার নেশা করার কারন হিসেবে হাজারটা দেবদাসীয় গল্প হাজির করে ফেলে। কিন্তু আমার মনে হয়, তার নেশায় আসক্তির পিছে খুব বেশি মাত্রায় কৌতুহল আর এই চুনি লাল নামক বন্ধুদের অবদান খুব বেশি মাত্রায় প্রভাব ফেলে একই সাথে দ্রব্য সমূহের সহজলভ্যতা তো থাকছেই।

আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ। প্রচুর ছেলেমেয়ে আছে বন্ধুদের প্ররোচণায়, স্মার্ট সাজতে গিয়ে, কৌতূহলের কারণে মাদক নেয়, পরে আর ছাড়তে পারে না।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ তনিমা। শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.