নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার অথবা নাস্তিকঃ চিল নিয়েছে কানে

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২১


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভী বলেছেন, ‘প্রযুক্তি সম্পর্কে বাবার ন্যূনতম ধারণাও ছিল না। ব্লগে লেখালেখির তো কোনো প্রশ্নই আসে না। যারা এ গুজব ছড়িয়েছে, তারাও খুনিদের চেয়ে কম অপরাধী নয়।’ সুত্রঃ
- খবরটায় হঠাত করে চোখ আটকে গেল। রেজাউল করিম সিদ্দিকীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং তার মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভী র সাথে সমব্যাথি হয়েই বলছি তিনি কোন ভাবে ব্লগার পরিচয়ের সাথে তার পিতার পরিচয় মেলাতে চাইছেন না। আর তার প্রমান হিসেবে হাজির করছেন প্রযুক্তি সম্পর্কে তার বাবার অজ্ঞতার বিষয়টি। কিন্তু এখানে প্রশ্ন এসে যাচ্ছে কেন তিনি প্রয়াত পিতার পরিচয় একজন লেখক কিংবা ব্লগার হিসেবে প্রকাশ করতে অনাগ্রহী!!

অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে হয় যে সাম্প্রতিক বাংলাদেশে ব্লগ এবং ব্লগিং তথা ব্লগার সম্পর্কে সারা বাংলার মানুষের আজ চরম নেতিবাচক মনোভাব ধারন করে চলেছে যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। এইতো, দিন কয়েক পূর্বে গুগল ট্রান্সলেটে ‘blogger’ লিখে এর বাংলা অর্থ চাইলে উত্তরে পাওয়া যেত ‘মাইরালা’ শব্দটি। যত সহজে গুগল ট্রান্সলেট এই ‘blogger’ শব্দের ‘মাইরালা’ অর্থের জোগান দিত তত সহজই যেন আজ ব্লগারদের প্রান। ইচ্ছে হলেই হত্যা করা যায়। কেউ কিছু বলবে না, কেউ কিছু জানবেনা, কারো কিছু হবেনা। রিজওয়ানা হাসিন শতভী র সাথে সমব্যাথি হয়েই বলছি শুধু তিনি নন (হয়তোবা তিনি ভীত) বরং বাংলার আপামর জনগনের নিকট ব্লগার শব্দের সমার্থক হিসেবে ‘নাস্তিক’ শব্দটি হয়েছে বেশ স্বাভাবিক। আর তাদের হত্যা করা হয়েছে ‘জায়েজ’ এবং ‘ফরজ’। বিষয়টা আজ এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে একটা রাস্তার কুকুর মরলেও মানুষের যে আফসোস টুকু হয় একজন ব্লগার খুন হলে তা হয় না। প্রতিবাদ তো বেশ দূরের কথা।

স্বাভাবিক প্রশ্ন চলে আসে যে কয়েক লক্ষ ব্লগারের মধ্যে ৪/৫ জন ব্লগার কি এমন করে বসেছিল যে যার দায় আজ পুরো ব্লগ কমিউনিটিকে নিয়ে ফিরতে হচ্ছে? নিজেদের নাস্তিক তথা সর্ব জ্ঞানী জাহির করা উন্মাদ ব্লগারেরা ভূলে গিয়েছিলেন যে তারা ভূল পথে রয়েছেন। ‘সত্যের আসলে একক কোন রুপ নেই’। একজনের কাছে যা সত্য তা অন্যের নিকট নাও হতে পারে। তারা রীতিমত অন্ধ হয়ে স্বাধীন মত প্রকাশের নামে একটা কমিউনিটির দীর্ঘ দিনের লালিত বিশ্বাস, মূল্যবোধকে খাটো করে দেখা শুরু করলেন সাথে অকথ্য গালি গালাজ ছিলই। যার সুযোগ গ্রহন করল একটা কুচক্রী মহল। তারা সারা দেশে এটা প্রচার করতে লাগল যে, ব্লগার মাত্রই ইন্টারনেটে বসে আল্লাহ্‌, নবীকে গালাগালী করে। খবরে, বাঙ্গালী মুসলিমদের নিকট অবস্থাটা শেষে ‘কান নিয়েছে চিলে’ তে গিয়ে ঠেকল। যাচাই বাছাই কিংবা ব্লগ সম্পর্কে বিষদ কোন জ্ঞান গ্রহনের তোয়াক্কা না করেই আম জনতা ব্লগার মাত্র নাস্তিক ধারনায় তাদের ঈমান নিয়ে আসল। আর সেই কুচক্রী মহল, ধর্মের নামে একটা বৃহত জমায়েতের স্বপ্ন দেখতে লাগল যেখানে বলির পাঠা হল বাংলা ব্লগার গন। বেশ সূক্ষ একটা রাজনীতি কাজ করে চলেছে প্রতিনিয়ত। সুকৌশলে একটা এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আম জনতার মনে এটা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ব্লগার মানেই তারা নাস্তিক। তারা আল্লাহ্‌ ও তার রাসুলকে নিয়ে গালাগালি করে। আমার যদি ভূল না হয় তবে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম, জাতীয়তাবোধ, জাত-পাত ছাড়া বৃহৎ কোন জমায়েত সম্ভব নয়। ব্লগারদের নাস্তিক বানানোর মাধ্যমে একটা বৃহৎ জমায়েত কোন একটা মহল আশা করেছিল। তারা খুব বেশি সফল না হলেও, রেশ এখনো তীব্র ভাবে রয়ে গিয়েছে।
একজন ব্লগার খুন হলে আমজনতা, আরেকটা নাস্তিক হত্যা হল ভেবে পূন্যতা অর্জনের আরাম বোধ করে। যেটা কোন ভাবেই খোদা ভক্তি নয় বরং এটা খোদার না-ফরমানী। খোদা ভক্তির সাথে খোদা ভীতিটা থাকা জরুরী কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি একজন ব্লগারকে খুন করলাম আর আমার জান্নাত নিশ্চিতের সাথে সাথে ইসলাম ও কায়েম হয়ে গেল! মহান আল্লাহ্‌ পাক নিজেই দ্বীন ইসলামের দায়িত্ব নিয়েছেন আর মুমিন বান্দাকে জ্বিহাদ করতে বলেছেন তার নিজের সাথে, তার নিজের ভেতরে বিরাজ করা শয়তানের বিরুদ্ধে। ব্লগার হত্যা করে নয়।

হে মুমিন আপনি না জেনে না বুঝে ব্লগারদের সকলকেই নাস্তিক আখ্যা দিয়ে চলেছেন!

আল্লাহ্‌ পাক মানুষকে জ্ঞান অর্জন করতে তাগিদ দিয়েছেন এবং এটিকে তিনি ফরয কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পবিত্র কোরআনে তিনি প্রথম শব্দটিই হাজির করেছেন ‘ইকরা’। আমাদের নবীজী জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদুর চীন পর্যন্ত যেতে বলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগ হল শুদ্ধ জ্ঞানার্জনের একটা ভান্ডার। এখানে অসত্য জানবার কোন অবকাশ নেই। মত দ্বিমতের মাধ্যমে এখানে উঠে আসে নিখাদ জ্ঞান এমনকি সেই তথ্য ও যেটি কেউ লুকিয়ে রাখতে চায়। তাহলে ব্লগারেরা নিশ্চয়ই একটা ফরয পালন করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। আর দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী ব্লগ এবং ব্লগিং সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন না করে ব্লগারদের সকলকেই নাস্তিক হিসেবে অবিহিত করে তাদের মৃত্যু কামনা করে চলেছে প্রতিনিয়ত। যা বেশ দুঃখজনক।
একটা কমিউনিটিতে আমরা নানা মত, নানা ভেদ, নানা জাতের মানুষ বসবাস করি। কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান, কেউ বৌদ্ধ, কেউ খ্রিস্টান। যদি ধরতে যাই তাহলে সেই হিসেবে মুসলিম ছাড়া বাদ বাকী সকলেই তো নাস্তিক! তারা শিরক করে। তবে কি তাদের কারো বেচে থাকবার অধিকার নেই? যদি তাই হয় তবে কেন শুধু ব্লগারদেরই হত্যা করা? হত্যাই যদি একমাত্র পন্থা হয় তবে ব্লগারদের সাথে বিধর্মীদের ও হত্যা করে দেশে ইসলাম কায়েম করা হউক কারন তারাও তো এক অর্থে ‘নাস্তিক’।

ছোট বেলায় পড়া একটা গল্প দিয়ে শেষ করলাম,
আমাদের নবীজী প্রতিদিন সকালে ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে যেতেন আর এক বুড়ি তার পথে কাটা বিছিয়ে রাখতেন। নবীজীর পায়ে কাটা বিধার পর ও তিনি কিছু না বলে, কাটা তুলে, মসজিদে চলে যেতেন। একদিন নবীজী দেখলেন তার পথে কাটা নেই, তিনি চলে গেলেন সেই বুড়ির বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখেন বুড়ি অসুস্থ। তিনি তার সেবা করে, তাকে সুস্থ করে তোলেন। বাকীটা সকলেরই জানা।

-আমার তো মনে হয়, এটাই হল ইসলাম যেখানে আল্লাহ্ নিজে বলেছেন ‘ লা কুম দিনুকুম, ওয়ালিয়াদিন’।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

অমিত অমি বলেছেন: ++

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

চিত্রনাট্য বলেছেন: জেন রসির পোস্ট টা এই মাত্র পড়ে আসলাম। আপনি যেটা বললেন, ব্লগার মানেই নাস্তিক, তারা আল্লাহ নবী নিয়ে কটুক্তি করছে, এই ধারণাটা তাদের মনে কেন আসলো? শুধু শুধু তো আসে নি, এখানে ব্লগ কর্তপক্ষের কি পশ্রয় ছিল? যেহেতু আমি আগে ব্লগে ছিলাম না, তাই ঠিক বলতেও পারছি না। যে কোন কিছু নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। আমি যদি প্রথমেই আপনার যে কোন বিশ্বাস নিয়ে প্রথমেই আক্রমন করে বসলাম, তারপর বললাম, এবার আসেন, আলোচনা করি।
আপনার কি ইচ্ছে থাকবে?
একটা সুস্থ পর্যায়ের আলোচনা চলতেই পারে। বেশি কিছুদিন আগে আমার দু জন কলিগকে বললাম, ব্লগে আমার একটা আইডি আছে। সে ভয় পেয়ে গেলো।
এই অবস্থাগুলো প্রথম পর্যায়ে একটা মজা করা থেকে শুরু হয়। যেমন, একজন ব্লগার ( মহা সমন্বয়) বিভিন্ন সুরার বাংলা অনুবাদ নিয়ে একটা খেলা শুরু করেছেন। ব্লগে এখনো সীমিত পর্যায়ে ওনার খেলা খেলছেন। কিন্তু ফেবুতে দেখি মহা জমজমাট ব্যাপার।
এখন ব্লগ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্য রিজওয়ানা এইটা বলতেই পারেন। দোষ আমাদের, দোষ ব্লগ কর্তপক্ষের।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ব্লগ কর্তপক্ষের উপর দোষ কেন চাপালেন ঠিক বুঝলাম না। আসিফ মহিউদ্দিনরা যখন লিখত এই ব্লগে সেদিন কজন আমরা যুক্তি ধরে তার সাথে তর্ক করতে গিয়েছিলাম কিংবা তার পোস্ট গুলোতে রিপোর্ট করেছিলাম? তারা আমাদের বিশ্বাসের উপর আক্রমন করেছে যুক্তি তর্ক হাজির করে, অনেক পড়াশুনা করে রেফারেন্স ধরে ধরে। আমরা তার একটা পোস্টের বিপরীতে দুই লাইনও কি পড়াশুনা করেছিলাম?
মহা সমন্বয় কি করছে জানিনা তবে রিজওয়ানা শুধু রিজওয়ানা না সে পুরো বাংলাদেশের একটা শ্রেনীর প্রতিনিধিত্ব করছে (ভয় পেয়ে হোক আর অন্য কিছু) যারা ব্লগার সংশ্লিষ্টতায় ভয় পায়। যারা ব্লগার অর্থ জানে নেতীবাচক অর্থে। আর এটা খুব সূক্ষ্ণ একটা রাজনীতির অংশ।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: ব্লগারদের একটি সংগঠন জরুরী

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত। শক্ত একটা সংগঠন।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

সত্যের ছায়া বলেছেন: মুক্ত চিন্তার নামে আমরা যারা অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করছি বুঝতে হবে এটাও একটা মৌলবাদ বা জঙ্গিবাদ। আমরা সমালোচনা করতে পারি তাই বলে অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত দিয়ে নয়। কিছু কিছু ব্লুগার আছে যারা সহজেই জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য ধর্মের আঘাত করাটা বেছে নেয় এটা ঠিক না।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

অগ্নি সারথি বলেছেন: মুক্ত চিন্তার নামে আমরা যারা অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করছি বুঝতে হবে এটাও একটা মৌলবাদ বা জঙ্গিবাদ।- সহমত চরম ভাবে।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লাগারদের দায়ও কম নই। ব্লাগারদের জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে মাহমুদুর রাহমান। প্রথমে ফায়দা লুটেছে বিএনপি জামাত, এরপর আওয়ামী লীগ।
গণজাগরণের জন্ম না হলে ব্লগাররা কখনই আলোচিত হত না।
আরও অনেক কিছু বলার ছিল, দেখি একটা পোস্ট দিতে পারি কিনা

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত। পোস্ট দেন তয় হালকা খিয়াল কইর‍্যা ভাইজান। দিন কাল খুব একটা সুবিধার না।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

সত্যের ছায়া বলেছেন: এক দল বলছে আমরা হত্যা করেছি আরেক দল বলছে তোমরা হত্যা করনি... দেশে তোমাদের অস্তিত্ব নেই। তাহলে হত্যা করল কে? এদেশের মুসুল্লিরা? নাকি যারা পাাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, টুপি দাড়ি রাখে তারা? এর কোন সহজ উত্তর নেই। আমাদের কে সরকার কঠিন ধাঁধার মুখে রেখেছে। আমাদের বুঝতে হবে কারা এর সাথে জড়িত। কারা রাষ্ট্র ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় আর কারা এর দায় অন্যের গাড়ে চাপিয়ে দিচ্চে। এর ভিতর দিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র উপলদ্ধি করা যায়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: বুঝতে হবে কারা এর সাথে জড়িত। কিন্তু কিছু বলা যাবেনা ভাই। খুব খিয়াল। আমিও কিছু বলি নাই আর একারনেই পোস্ট টা দায় সারা গোত্রের হয়ে গিয়েছে।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

বীরেনদ্র বলেছেন: Even if a blogger is an atneist why should he be killed?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

অগ্নি সারথি বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর খোজার সঠিক সময় যাইতাসে না ভাই। খুঁজতে গেলেই বিপদ।

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

সত্যের ছায়া বলেছেন: দেন ভাই (ডার্ক ম্যান) একটা পোষ্ট দেন। আমরা নতুন কিছু জানতে চাই।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: :)

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

সত্যের ছায়া বলেছেন: আমাদের সমাজে ব্যাধি ছড়ানোর জন্য দুটি দল সৃষ্টি হয়েছে। একটি দল আছে- যারা ব্লগে অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করছে তাদের কে মুক্তমনা/মুক্ত চিন্তা/বিজ্ঞান মনষ্কা বলছে আর আরেকটি দল আছে তাদের কে বলছে নাস্তিক/ধর্মদ্রোহী/ইহুদি- খ্রিষ্টান/ভারত - ইসরাইলের দালাল। আর যারা ব্লগে মুক্ত চিন্তার নামে অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত হানছে তারা চাপাতির কুপে মারা যাচ্ছে। ফায়দা নিচ্ছে মাঝখান থেকে সরকার আর ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠী আইএএস। এবার বুঝুন ঠেলা।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আসলে এ প্রসংগে মন্তব্য করতেও ভয় হয়, কারণ এই টোটাল চ্যাপ্টারটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। ব্লগারদের হত্যার ফলে কারা উপকৃত হচ্ছে, কারা কারা এটা ব্যবহার করছে এবং ফায়দা লুটছে তাতে নজর দিলেই আঁচ করা যায়।
কত গোপন খবরাখবর নিয়ে ভয়ংকর সাইবার অপরাধী, খুনী, ডাকাত ধরার দৃষ্টান্ত যেই প্রশাসনের আছে তারা কি একটা খুনেরও কোন তদন্ত ফলাফল ও খুনী ধরতে সক্ষম হয়েছে??

হ্যাঁ, দেশের সিংহভাগ মানুষই ধর্মাশ্রয়ী ও দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে অসভ্যতা ও অন্ধত্বে রয়ে গেছে হোক তারা শিক্ষিত কি অশিক্ষিত। এরা ব্লগার হত্যায় পাছায় তালি দেয় যেমন সত্য তেমনি সত্য নয় কেউ অন্য দর্শনে আকৃষ্ট হলে তাকে মেরে ফেলতে চাওয়ার মতো হিংস্রতা।

একটি ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন, দেশের রাজনীতি'র ছকে-ই কিছু ব্লগার/অ্যাক্টিভিস্টের প্রাণ যাচ্ছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: দেশের রাজনীতি'র ছকে-ই কিছু ব্লগার/অ্যাক্টিভিস্টের প্রাণ যাচ্ছে। - সহমত।

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বেশির ভাগের সাথেই একমত নই!
কিন্তু যেটুকুর সাথে একমত, সেটুকু ভালো বলেছেন, একেবারে মনের কথা

১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫১

প্রামানিক বলেছেন: লেখা এবং মন্তব্য পড়ে অনেকগুলোর সাথে একমত হলাম। ধন্যবাদ

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: একটু আগে আপনার ছবি দেখছিলাম। মঈনুল ভাইয়ের এলবামে। খুব সম্ভবত বই মেলায়। সাথে জাদীদ ভাই ও ছিলেন! :)

১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: কোন বলয়ের ব্লগার খুন হচ্ছেন সেটা বিবেচ্য বিষয়। ৮৪ জনের তালিকা কে তৈরি করেছিল ??
মুক্তমনা বলতে কি বুঝায়?
কেন ব্লগার শব্দটি আজ ঘৃণিত??

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমারো একই প্রশ্ন ভাই।

১৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি ,



উপরে সকলের মন্তব্য পড়ার পরে আমার মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়েছে। উত্তর দিতাসি আবার দিতাসি না, দেখেন না। খিক।

১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

ইয়েলো বলেছেন: প্রতিবার হত্যার পর লিখা আসে ব্লগার মানে নাস্তিক না।ধর্মে হত্যা নিসেধ।ধর্ম যারা ঠিকমত মানে তারা এসব করতে পারেনা।কিছুদিন পরে এমন আরেক লিখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমিও।

১৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

সাগর মাঝি বলেছেন: পোষ্ট আর মন্তব্য, সব লিখাগুলো ভালো করে পড়লাম।

মোটকথা হলো, একজন আম গাছে উঠে আম-পিঁপড়ার কামড় খেয়ে আমগুলো সুন্দর করে নিচে ফেলতেছে। আরেকজন নিচে বসে আমগুলো চুষে চুষে খাচ্ছে আর আমের আঁটিগুলো আম পাড়ুকের জন্য রেখে দিচ্ছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: :)

১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৮

জেন রসি বলেছেন: কেউ যদি নাস্তিক হয়ে থাকে এবং নাস্তিক্যবাদ প্রমান করার জন্য ব্লগিং করে থাকে তাহলে সমস্যা কি? শাহবাগের আন্দোলনের সময় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আর ফারহাদ মাযহার গং খুব কার্যকরী একটা প্রোপাগান্দা চালিয়েছিল। তারা এই নাস্তিক আস্তিক ইস্যু নিয়ে এসেছিল সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে। এবং মানুষ কিন্তু ঠিকই বিভ্রান্ত হয়েছিল। কেন হয়েছিল? কারন তারা ধর্মীয় বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে যৌক্তিক ভাবে ভাবতে পারেনি। একজন ব্লগারকে হত্যা করার পর কেন তাদের নাস্তিক্যবাদের উপর দোষারোপ করে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিতে হবে। তারাত কারো মসজিদ কিংবা মন্দির পুড়িয়ে দিচ্ছেনা। কাউকে ধর্ম ছেড়ে দিতে বাধ্য করছেনা।বরং কারা মানুষের উপর মতবাদ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে সেটা খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝতে হবে।

নেক্সাস ভাইয়ের কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই? আপনি স্বীকার করেছেন যে, এই নাস্তিক আস্তিক ইস্যুটা বিএনপি জামাতের বুদ্ধিজীবীরাই প্রথমে নিয়ে এসেছে। শাহবাগের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কৌশল হিসাবে। আপনি আবার বলছেন এসব সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র। আপনার কি মনে হয়না এই ধর্মের নামে ব্লগার হত্যার প্রথম ইন্ধনটা সাম্রাজ্যবাদীরা দেয়নি। তারা শুধু দুর্বলতাকে কাজে লাগায় মাত্র। যেমন মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে তারা লাদেনের জন্ম দিয়েছিল। নেক্সাস ভাই আপনাকে বলছি, আপনার লজিকে কিছু বিপরীতমুখী ব্যাপার আছে যা বরং আরো বেশী বিভ্রান্তির জন্ম দিতে পারে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত।

১৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: ব্লাগারদের খুন করা জায়েজ আছে আর ব্লগার মানেই নাস্তিক বেশিরভাগ মানুষের এটাই ধারণা।
আর আমাদের বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ যা বিশ্বাস করে তা সাধারণত ভুল হয়ে থাকে। ;)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২০

অগ্নি সারথি বলেছেন: চিল নিয়েছে কানে!

১৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

কালনী নদী বলেছেন: যদি একমাত্র পন্থা হয় তবে ব্লগারদের সাথে বিধর্মীদের ও হত্যা করে দেশে ইসলাম কায়েম করা হউক!!!
আমি এইখানে আটকিয়া রইছি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: ইসলাম টিকিয়ে রাখতে যদি হত্যাই একমাত্র পন্থা হয় তবে তাদের মতে বাকী ইসলাম পন্থী নয় যারা তাদের ও হত্যা তারা একসময় করা শুরু করে দিতে পারে!

২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

বিজন রয় বলেছেন: দারুন জমে উঠেছে।

কাল্পনিক_ভালবাসা সবচেয়ে এগিয়ে আছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা।

২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। আসলে আমাদের দেশে ব্লগ বিষয়টা এখনও বেশির ভাগ মানুষ তেমন বোঝে না।তারা অন্যদের কাছ থেকে যা শুনে তাই বিশ্বাস করে হয় সেটা ঠিক আর ভুল হোক।বেশির ভাগ মানুষ শুনেই বিশ্বাস করে যাষ্টিফাই কেউ করে না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: জাস্টিফাই না করেই তারা গনহারে ব্লগার মানেই নাস্তিক জানে। আর এটা তাদের মধ্যে পুশ করা হয়েছে চরম ভাবে।

২২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: সময়োপযোগী লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

হাসান নাঈম বলেছেন: "সেখানে আন্দোলন হচ্ছিলো রাজাকারদের উপযুক্ত বিচারের দাবিতে। গণ মানুষ মনে করে মুক্তিযুদ্দকালীণ সময়ে জামাতে ইসলাম যাদের নেতৃত্বে ঘৃণ্য অপরাধসমূহ করেছিলো, তার উপযুক্ত শাস্তি মৃত্যুদন্ড। সেই উপযুক্ত শাস্তির দাবিতেই আন্দোলন চলছিলো। একটা জাতীয় ইস্যু মিডিয়ায় খবর হবে, এটাই স্বাভাবিক। যেমনটা নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি চেয়ে শাপলা চত্বরে সমাবেশও অনেক চ্যানেল লাইভ, নিয়মিত আপডেট দেখিয়েছিলো।"

আমার মনে হয় এটা একটা খুবই মৌলিক চিন্তার বিষয়। "গণ মানুষ মনে করে মুক্তিযুদ্দকালীণ সময়ে জামাতে ইসলাম যাদের নেতৃত্বে ঘৃণ্য অপরাধসমূহ করেছিলো, তার উপযুক্ত শাস্তি মৃত্যুদন্ড" - 'গন মানুষ' যা মনে করে সেটা দিয়ে কি কোন অপরাধীর বিচার করা যায়? 'গন মানুষ' বলতেই বা আমরা কাদেরকে বুঝব? শাপলা চত্ত্বরে দেশের কত ভাগ মানুষ গিয়েছিল, বা কত ভাগ মানুষ তাদের দাবি সমর্থন করেছিল? তার ভিত্তিতে আদালতের রায় পাল্টে যাবজ্জীবন কে মৃত্যুদন্ডে উন্নীত করা কি সমর্থনযোগ্য? আপনি এবং আপনারমত অনকেই কিন্তু তা অকুন্ঠ সমর্থন করছেন।

যদি আপনি এটাকে সমর্থন করেন - তাহলে অন্য আর এক 'গন মানুষ' এর মনে করার ভিত্তিতে নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা করা কেন নিন্দনীয় হবে? আপনি যদি একটা জরিপ করেন যে কত মানুষ শাহবাগের দ্বাবির প্রেক্ষিতে ট্রাইবুনালের যাবজ্জিবন রায়কে মৃত্যুদন্ডে উন্নিত করা সমর্থন করে, আর কত মানুষ নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা করা সমর্থন করে - আমার মনে হয় ফলাফলে উনিশ-বিশ এর বেশী পার্থক্য থাকবে না।

শাহবাগের পক্ষে থাকা মানুষদের সন্তুস্ট করতে সরকার সংসদে আইন পরিবর্তন করে ট্রাইবুনালের জাবজ্জীবন রায়কে মৃত্যুদন্ডে উন্নীত করে কিছু মানুষকে ফাঁসি দিয়েছিল। তখন তারা সরকারকে বাহবা দিয়েছে, যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় থাকা সমর্থন করেছে। শাপলা চত্ত্বরে সমবেত একই দেশের অন্য কিছু মানুষকে রাস্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে অপদস্থ অপমানিত করে বিতারণ করা হয়েছে - কিছু মানুষ সেটাও অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছে।

এ'সব করতে গিয়ে দেশের আর এক দিকের 'গন মানুষ' ব্যাথিত হয়েছে - সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েছে। এখন সেই গনমানুষদের ক্ষোভ/কস্ট লাঘব করার উপায় কি? একটা উপায় হচ্ছে তাদের কাছে ঘৃনিত ব্লগারদের হত্যা করা। সরকার সেটাই করছে। এর মাধ্যমে একদিকে তাদের ক্ষোভ প্রশমিত হচ্ছে - অন্যদিকে বিদেশীদের বলা যাচ্ছে যে এই দেশে ধর্মীয় জঙ্গীবাদ মোকাবেলার জন্য এই সরকারকেই ক্ষমতায় রাখতে হবে।

আমরা আসলে হিপোক্রেট হয়ে যাচ্ছি কী না সেটাই এখন ভেবে দেখা উচিত। সরকারের প্রয়োজনে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে, 'গন মানুষ' এর দোহাই দিয়ে, সংসদের ক্ষমতা ব্যাবহার করে - নিজেদের অপছন্দের মানুষের ফাঁসি নিশ্চিত করার কাজটা যারা শুরু করে ছিল - আজকে একই সরকারের প্রয়োজনে যখন একই ভাবে ভিন্ন ক্ষমতা বলে(ধরুন: চাপাতি), আর এক 'গন মানুষ' এর সমর্থন পেতে তাদের অপছন্দের মানুষদের হত্যা করছে - তখন হয়ত আমাদের বোধদয়ের সময় হয়েছে - আমরা যা করেছিম তা কতটা ভুল ছিল।

আসলে পুর্ণ স্বচ্ছ, বাদী বিবাদী উভয়ের আস্থাশীল বিচার ব্যাবস্থায়, উপযুক্ত সাক্ষি প্রমানের ভিত্তিতে বিচার করা ছাড়া কোন মানুষকে (সে যত বড় অপরাধীই হোক, বা গন মানুষ যাই মনে করুক) মৃত্যুদন্ড দেয়া কিছুতেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। এর ফলে সমাজে যে অনাস্থা এবং অস্থিরতা তৈরী হয় তার পরিনতি ভাল হয় না। যদি আমরা এই উপলব্ধিতে আসতে পারি, তাহলে হয়ত এই দুস্ট-চক্র থেকে বের হওয়ার একটা উপায় পাওয়া যেতে পারে - অন্যথায় নয়।

২৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভাল বলেছেন

২৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রথমে তারা নাস্তিকদের মারতে আসলো, আমি চুপচাপ দেখে গেলাম।
তারপর ওরা প্রগতিশীলদের মেরে ফেললো। আমি তখনও চুপ ছিলাম, কারণ আমি নাস্তিকও নই, প্রগতিশীলও নই।
তারপর ওরা মাওলানা, ফাদার, মুয়াজ্জিন, বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক কাউকেই ছাড়লো না; ছাড়লো না সাধককেও। আমি তখনো চুপ ছিলাম। কারণ, আমি সাধক নই, মুয়াজ্জিন নই, মাওলানা নই, ফাদার নই।
শেষ যেদিন ওরা আমাকে ঘিরে ধরলো,
আমি চিৎকার করে চারদিক তাকিয়ে কাউকে পেলাম না। কারণ, সেদিন কেউ বেঁচে ছিলো না, আমার জন্য প্রতিবাদ করবার।
নাস্তিক, আস্তিক, মাওলানা, মুয়াজ্জিন, ফাদার, সাধু, শিক্ষক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, শিয়া, মাজারপন্থী - তালিকা শুধু লম্বা হতেই থাকে।
-- Nishom Sarkar

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩২

অগ্নি সারথি বলেছেন: এমনই হবে। তালিকা শুধু লম্বাই হবে প্রতিবাদ আর কেউ করবে না।

২৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা অশিক্ষিত হওয়ায়, বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে পারছে না; যেখানে ড: এমাজুদ্দিনের মতো লোকের পক্ষে ব্লগিং বুঝা সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে অশিক্ষিতরা কি করে বুঝবে।

গরীব দেশে শিক্ষার ভার নেয়ার দরকার ছিল শেখ সাহেবের, জিয়ার, এরশাদের, খালেদার ও শেখ হাসিনার; এরা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই করেনি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.