নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশ্বিক পানি সংকটঃ স্পটলাইট বাংলাদেশ

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৯



পানির অপর নাম জীবন!!!

সারা বিশ্বের প্রানী ও উদ্ভিদকুলের বেঁচে থাকবার প্রথম এবং প্রধান অনুষঙ্গটিই হল পানি আর এই পানির বিকল্প একমাত্র পানি। একারনেই হয়তোবা পুরো সৌরজগতে পৃথিবী-ই একমাত্র পানিপূর্ন গ্রহ যেখানে প্রানের সঞ্চারন হয়েছে। একজন মানুষ পানি ছাড়া গড়ে মাত্র তিনদিন বেঁচে থাকতে পারে। যদিও পানি, প্রতিনিয়তই বাষ্পীভবন, ঘনীভবন, বাষ্পত্যাগ, ইত্যাদি বিশিষ্ট পানিচক্রের মাধ্যমে ঘূর্ণমান হয়ে পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত পানি সরবরাহ করেই চলেছে তথাপি প্রতি বিশ বছরে মানবকুলের পানি ব্যবহারের হার দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পাওয়া এবং পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে যাবার কারনে খুব দ্রুত সারা বিশ্ব তীব্র থেকে তীব্রতর পানি সংকট সমস্যার মুখোমুখি হতে চলেছে।

চিত্রঃ পানিচক্র

বলা হচ্ছে যে, এই গ্রহের ভূ-গর্ভের প্রায় ৭১ ভাগ অংশই পানি দ্বারা পূর্ন এবং পৃষ্ঠ তলের মোট পানির ৯৬.৫ ভাগ হল লবনাক্ত পানি (যেগুলো মূলত সমুদ্রে রক্ষিত) আর বাকী ২.৫ ভাগকে বিবেচনা করা হয় বিশুদ্ধ পানি হিসেবে। যদিও পৃথিবীতে মোট বিশুদ্ধ পানির পরিমানের কথা ২.৫ ভাগ বলা হচ্ছে কিন্তু তার বেশীর ভাগই বরফ এবং হিমবাহ দ্বারা আচ্ছাদিত।

চিত্রঃ পৃথিবীর সাপেক্ষে মোট পানি, ভূর্গভস্থ-লেক-জলাভূমি-নদী-অন্যান্য বিশুদ্ধ পানি, হ্রদ এবং নদীর বিশুদ্ধ পানির পরিমান

আসেন উপরের ছবিটার দিকে মনযোগ দেই। ছবিতে খুব খেয়াল করলে পৃথিবীর উপরে পাশাপাশি তিনটি নীলরঙ্গা বাবল দেখা যায় (একটি মার্বেলাকৃতির এবং বাকী দুটো বিন্দু আকৃতির)। মার্বেলাকৃতির বড় বাবলটি আসলে সারা বিশ্বের সকল পানির পরিমানকে (৯৬.৫%) নির্দেশ করছে। ছোট বিন্দুটি নির্দেশ করছে ভূগর্ভস্থ, লেক, জলাভূমি, নদী এবং অন্যান্য সকল বিশুদ্ধ পানির পরিমানকে। এবং ক্ষুদ্র বিন্দুটি নির্দেশ করছে সারা বিশ্বের সকল নদী এবং লেকের মোট বিশুদ্ধ পানির পরিমানকে। সূতারাং এটা পরিস্কার যে, পানিচক্র যে পরিমান পানি পৃথিবীতে সরবরাহ করছে কিংবা পৃথিবীতে মজুদ মোট পানি পৃথিবীর সাপেক্ষে যথেষ্ঠ নয়। ওয়ার্ল্ড ওয়াটার কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ১১০ কোটি মানুষ সুপেয় পানির অধিকার হতে বঞ্চিত আর ৮০ কোটি মানুষ প্রতিদিন দূষিত পানি পান করছে। জাতিসংঘ বলছে ২০২৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বের প্রায় ১.৮ বিলিয়ন মানুষের এলাকা গুলো পানি বঞ্চিত এলাকায় পরিণত হবে।

পুরো পৃথিবী ভর্তি পানি হলেও সারা বিশ্বে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা আজকের নতুন কিছু নয়। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা আজ প্রকট হতে প্রকটতর হতে চলেছে। আর এই পানিকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান রাজনীতি আর দ্বন্দ্ব। উদাহরন হিসেবে সিরিয়ার সাম্প্রতিক যে সংকট তার সূচনাটিকে সামনে নিয়ে আসা যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন সেটির সূত্রপাত কিন্তু সিরিয়ার শহর দারাতে এই পানির বরাদ্দে নানান অনিয়ম আর দূর্নিতির মধ্য দিয়ে, একই ঘটনা ইয়েমেনেও। পানি নিয়ে ঝামেলা চলছে নীল নদে, তুরস্কে, কঙ্গোতে নীল নদ নিয়ে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে, ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে। সূতারাং এটা পরিস্কার যে, পানি-ই হল আগামী দিনের পেট্রোলিয়াম এবং এই পানির উপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতেই বিশ্ব আরেকটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশুদ্ধ পানির এই চাহিদাগত সমস্যা হতে বাংলাদেশ যে মুক্ত বিষয়টা তেমন নয় বরং অধিক জনসখ্যার ছোট্ট এই দেশটায় দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। বাংলাদেশের পানি সংকট সমস্যার কারন কয়েকটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

১। নদীগুলো পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে পুরোপুরি ব্যার্থ এবং পানি বন্টনের ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থপর আচরন
২। ভূর্গভস্থ পানির উপর চাপ এবং পানিতে আর্সেনিকের পরিমান বৃদ্ধি
৩। উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে লবনের পরিমান বৃদ্ধি
৪। অভ্যন্তরীণ পানির উৎস ধ্বংস অথবা চাপ বৃদ্ধি
৫। অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত

১। নদীগুলো পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে পুরোপুরি ব্যার্থ এবং পানি বন্টনের ক্ষেত্রে ভারতের একচোখা নীতিঃ যদিও বলা হচ্ছে নদী মার্তৃক বাংলাদেশ তথাপি এই নদীগুলো পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে এখন পুরোই ব্যার্থ। কারন, বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃ নদী সংযোগ রয়েছে মোট ৫৪ টি যার ৫৩ টি-ই ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে মাত্র একটি নদী তথা গঙ্গা-পদ্মার পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে ভারতের সাথে চুক্তি রয়েছে৷ বাকি ৫২টি নদীর ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের চুক্তি নেই। গঙ্গা-পদ্মার পানির হিস্যা নিয়ে চুক্তি থাকলেও ভারত বাংলাদেশকে তার ন্যায্য হিস্যা প্রদান করছে না। তারা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে ফারাক্কায় বাধ নির্মাণ করে নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করেছে যা তীব্র পানি সংকট তৈরির পাশাপাশি উপকুল অঞ্চলের পানিতে লবনের পরিমান বাড়িয়ে তুলছে।

২। ভূর্গভস্থ পানির উপর চাপ এবং পানিতে আর্সেনিকের পরিমান বৃদ্ধিঃ দেশের নদী-নালাগুলো শুকিয়ে যাবার দরুন ভূর্গভস্থ পানির উপর চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মতে বোরো মৌসুমে মাত্র এক কেজি ধান উৎপাদনের জন্য ৩-৫ হাজার লিটার পানি খরচ হয়। CSISA Bangladesh এর ২০১৩ এর একটা রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে ৩৫৩২২ টি ডিপ টিউবওয়েল, ১,৫২৩,৩২২ শ্যালো টিউবওয়েল, ১৭০,৫৭০ টি অন্যান্য পাম্পের সাহাজ্যে প্রায় ৭০% কৃষি এরিয়াতে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে সেচ প্রদান করা হয়। ভূর্গভস্থ পানির উপর এই চাপ শুধু গ্রাম এলাকাগুলোতে নয় বরং শহর এলাকাগুলোতে আরো প্রকট। ঢাকা শহরের প্রায় ৯০% পানি উৎপাদন করা হয় ভূগর্ভস্থ উৎস হতে। অন্যান্য উৎস গুলো বিলুপ্ত প্রায়। প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষের জন্য শুধুমাত্র ঢাকা শহরে প্রতিদিন পানির চাহিদা হল ২.২ বিলিয়ন লিটার যেখানে ঢাকা ওয়াসা প্রতিদিন ১.৯ থেকে ২ বিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ করতে পারে। এই ওভার পাম্পিং এর কারনে এই ভূগর্ভস্থ পানি পর্যন্ত আজ হুমকির মধ্যে। এপ্রিলের শুরুর দিকটায় ঢাকা শহরে পানি সংকট এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায় যে অনেকেই পানি পর্যন্ত পান না। বিএডিসি বলছে ২০১১ সালে ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির লেভেল সমুদ্র লেভেল থেকে ৫২ মিটার নিচে নেমে গিয়েছে যেটি কিনা ২০০৪ সালে ছিল ৪৬ মিটার নিচে। আর এসবের পরিনামটা হল পানিতে ভয়াবহ ভাবে আর্সেনিকের উপস্থিতি। সাম্প্রতিক সময়ে আর্সেনিক সমস্যাটা প্রায় বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক জেলার গ্রামগুলোতে পরিলক্ষিত হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটা রিপোর্ট বলছে বাংলাদেশে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ এখনো আর্সেনিক যুক্ত দূষিত পানি পান করছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪৩০০০ মানুষ মৃত্যু বরন করছে শুধুমাত্র আর্সেনিক নামক বিষ পান করবার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের প্রায় ১১ মিলিয়ন টিউবওয়েলের মধ্যে ৫ মিলিয়ন টিউবওয়েলই আর্সেনিক আক্রান্ত।

৩। উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে লবনের পরিমান বৃদ্ধিঃ বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম উপকুলবর্তী অঞ্চলের পানিতে স্যালাইনিটির পরিমান দিনদিন বেড়েই চলছে। সমুদ্র লেভেলের উচ্চতা বৃদ্ধি এই স্যালাইনিটি বৃদ্ধির অন্যতম কারন হিসেবে বিবেচিত হলেও বড় আরেকটা কারন হল গড়াই নদী গতিপথ পরিবর্তন এবং তুলনামুলক কম বৃষ্টিপাত। উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জন্য একমাত্র ফ্রেস পানির উৎস ছিল গড়াই নদী যেটি কিনা গঙ্গা হতে আসা। ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মান করবার মধ্য দিয়ে গঙ্গা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়ার কারনে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোতে স্যালানিটি বৃদ্ধি পেয়েছে চরম আকারে। পানিতে লবন বৃদ্ধি পাবার আরেকটি অন্যতম কারন হল ব্যাপক হারে চিংড়ি চাষ। ক্রমবর্ধমান লাভের আশায় চাষীরা তাদের স্বাদু পানির পুকুর গুলোতে লবনাক্ত পানি ভরাট করে শুরু করল চিংড়ি ঘের তৈরি। আর এখন উত্তরাঞ্চলের মাঠগুলোর যেদিকে চোখ যায় শুধু ঘের আর ঘের। সবুজের চিহ্নটুকু নেই কোথাও। অবস্থা আজ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে শুষ্ক মৌসুমে খুলনা, বাগের হাট এবং সাতক্ষীরা অঞ্চলে পানিতে স্যালাইনের মাত্রা ৪ পিপিটির বেশি থাকে যেখানে পানিতে স্যালাইনের মাত্রা যদি ১ পিপিটির বেশি হয় তবে তা গৃহস্থালী কাজের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।


৪। অভ্যন্তরীণ পানির উৎস ধ্বংস অথবা চাপ বৃদ্ধিঃ
উপরোক্ত তিনটি কারনে যদিও অভ্যন্তরীণ পানির উৎসগুলোর উপর চাপ বাড়ছে তথাপি ক্রমবর্ধমান নগরায়ন, মনুষ্য বসতি নির্মান, কলকারখানার অথবা রাসায়নিক বর্জ্য নিক্ষেপ ইত্যাদির মাধ্যমে অসচেতনতার বশবর্তী হয়ে মানুষ পানির অভ্যন্তরীণ উৎস গুলোও নষ্ট করে দিচ্ছে। যার ফলাফল হিসেবে আমরা বুড়িগঙ্গা নদীর কথা ভাবতে পারি। বুড়িগঙ্গা আজ বিপর্যয়ের এমন দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে যে, নদীর পানির নিকটবর্তী হলে ঠিকমত নিঃশ্বাস নেয়া যায় না এবং কি সেটিকে আর নদী বলে বিবেচনা করলে বড় হাস্যকর ঠেকে।

৫। অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতঃ জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত পানি সমস্যার আরেকটা কারন। আর এই জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারনের মধ্যে মানব সৃষ্ট কারন অন্যতম। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রতি বছর দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আশংকাজনক হারে কমছে। ২০০৪ সালে বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের উপরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৯ হাজার ৯০৫ মিলিমিটার। ধারাবাহিক ভাবে দেখলে দেখা যায়, ২০০৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫৮,৪৫৮ মিলিমিটার, ২০০৬ সালে ৫৩,৩৭২ মিলিমিটার, ২০০৭ সালে ৬৬,৫২০ মিলিমিটার, ২০০৮ সালে ৬০,৫৫১ মিলিমিটার, ২০০৯ সালে ৫৬,১৬৩ মিলিমিটার, ২০১০ সালে ৪৭,৪৪৭ মিলিমিটার ও ২০১১ সালে ৪৩,৫৭২ মিলিমিটার।

সূতারাং উপরোক্ত আলোচনা হতে এটা পরিস্কার যে বাংলাদেশের পানি সংকট সমস্যার মূল কারনের অন্যতম প্রধান কারন হল ভারতের আন্তঃ নদী সংযোগ প্রকল্প। যেখানে আন্তর্জাতিক আইনে, কোন আন্তর্জাতিক নদীর উপর কোন দেশের একক ভাবে বাঁধ নির্মান কিংবা পানি প্রত্যাহারের কোন সুযোগ নেই সেখানে বাংলাদেশ ভারতের এই পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিস্ময়করভাবে নীরব। আন্তঃ নদী সংযোগের নামে ভারত বাংলাদেশের সাথে অভিন্ন ৫৪ টি নদীতে বাঁধ নির্মান করে যে জাতীয় পানিগ্রীডের পরিকল্পনা করছে তা বাংলাদেশের জন্য মরন ফাঁদ বটে। দেশের তীব্র পানি সংকট মোকাবিলায় নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহন করা যেতে পারেঃ

১। ভারতের সাথে পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান তথা ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সোচ্চার হওয়া এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চাপ অব্যহত রাখা।
২। কৃষিখাতে পানির অপচয় রোধকল্পে নতুন নতুন পদ্ধতির আবিস্কার।
৩। ভূর্গভস্থ পানির উপর চাপ কমিয়ে পানির অন্যান্য উৎসের ব্যবহারের প্রতি মনযোগী হওয়া।
৪। পানির অভ্যন্তরীণ উৎসগুলোর রক্ষন এবং দূষন মুক্ত রাখা
৫। বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক পানি যথাযথ সংরক্ষন ও ব্যবহার
৬। পানির সব ধরনের অপচয় রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া
৭। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে কিংবা রাবার ড্যাম নির্মান করে পানি ধরে রাখা
৮। পানিকে কিভাবে রিসাইক্লিং করবার মধ্য দিয়ে পুনঃ ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায় তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা।
৯। স্বাদু পানির পুকুর নষ্ট করে চিংড়ি ঘের তৈরি বন্ধ করা।
১০। পানির অপচয় রোধে, ব্যবহারে অথবা পানির উৎস বিনষ্টে কঠোর আইন প্রনয়ন করা এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন
১১। গনমানুষের মধ্যে পানির অপচয় রোধে ব্যাপক গন সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজনে পানিশিক্ষা বাধ্যতামুলক করা।

ভারত কিংবা চীন তথা বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর মধ্যে পানির ব্যাপারে তাদের চরম সতর্ক অবস্থান পরিলক্ষিত হলেও পানির চরম সংকটময় মুহুর্তেও বাংলাদেশের মধ্যে এই বোধ এখন পর্যন্ত জাগ্রত হয় নাই। আর তাইতো পানির ন্যায্য হিস্যা প্রশ্নে সরকার বাহাদুর বিস্ময়কর ভাবে নীরব আর জনতা করে চলেছে পানির যত্রতত্র অপচয় আর অভ্যন্তরীণ উৎসগুলোর ক্ষয় সাধন। আমার মনে হয় আমাদের আর চুপ করে বসে থাকলে খুব দ্রুত এই অঞ্চল মরুতে পরিণত হবে। আমাদের সোচ্চার হতে হবে এখনই, সচেতন হতে হবে এখনই।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশ ভয়ংকর সংকটে প্রবেশ করেছে আনেক আগে, এখন সমুহ পরিবেশ ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাংলাদেশ ভয়ংকর সংকটে প্রবেশ করেছে আনেক আগে - সহমত! সমুহ পরিবেশ ধ্বংসের প্রক্রিয়ায়ও প্রবেশ করেছে অনেক আগেই।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

রাফা বলেছেন: চমৎকার -জনসচেতনতার বাইরে বৃহৎ আকারে সরকার ও যথাযথ কতৃপক্ষের বিবেচনায় নিয়ে আরো পূর্ব থেকেই কাজ শুরু করা উচিত ছিলো।জানিনা বুড়িগঙ্গা নদির পানি বিশুদ্ধ করে পুনরায় ব্যাবহার করার প্রজেক্টটি নিয়ে কাজ অব্যাহত আছে নাকি বন্ধ হয়ে গেছে।ভবিষ্যতের জন্য বৃষ্টির পানি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে ।

যদি তা না করা হয় আগামি ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে পানি নিয়ে গৃহযুদ্ধের আশংকা আছে বলে মনে করি।

ধন্যবাদ,অগ্নি সারথি।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত রাফা। বুড়িগঙ্গা নদির পানি বিশুদ্ধ করে পুনরায় ব্যাবহার করার প্রজেক্টটি মনে হয় থেমে গিয়েছে। সবকিছুর সাথে জনসচেতনতাটাও জরুরী।
আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: দেশে সবকিছু সংকটে,
কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবেন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: পর্যায়ক্রমে সবগুলো নিয়েই কথা বলতে হবে আমাদের নিজেদের বেঁচে থাকবার জন্য, আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য। ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: উপ মহাদেশে এবং কি বিশ্বে পানি নিয়ে সংঘাত বেধে যেতে পারে।

ভারতের একচোখা আচরণ গ্রহন যোগ্যনয়।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

অগ্নি সারথি বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধটা বোধ করি এবার পানি নিয়েই শুরু হল বলে! পানির হিস্যা নিয়ে ভারতের একচোখা নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের নীরবতাটাও বেশ বিস্ময়কর বটে।
ধন্যবাদ সত্যের ছায়া!

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
অাসলে মানবতার কথা, মানুষের কথা, পরিবেশের কথা সবাই উপেক্ষা করে চলেছে। বিশেষ করে শাসক মহল।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: :( :( অবস্থাটার পরিবর্তনও খুব করে দরকার।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্য উপলদ্ধি করছে সবাই!

কিন্তু যাদের কিছূ করার সক্ষমতা আছে তারাই যেন বধির!!!!

বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্যই জাগতে হবে- বাঁচাও নদী বাঁচাও দেশ চেতনায়।

+++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: শুধু বধির নয় বরং চতুরও বটে!
বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্যই জাগতে হবে- বাঁচাও নদী বাঁচাও দেশ চেতনায়। - সহমত ভৃগু।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: যাদের বিষয়টা নিয়া কাজ করার কথা তাদেরই খবর নাই!

যখন অভাবে হেলে দুলে মানুষ মারা যাবে, তখনই হয়তো তাদের নজর পড়বে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: জনগন কিংবা জনগনের জন্য পানি দিয়া কাম নাই, শুধু ভূখণ্ড থাকলেই চলবে।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি ,




সচেতনতা নিয়ে তথ্যে ভরা পোস্ট । আসলেই বিশ্বকে একদিন হয়তো " পটেবল ওয়াটার ক্রাইসিস " এর কারনে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে হবে ।
++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: আর এই পানিকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান রাজনীতি আর দ্বন্দ্ব। উদাহরন হিসেবে সিরিয়ার সাম্প্রতিক যে সংকট তার সূচনাটিকে সামনে নিয়ে আসা যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন সেটির সূত্রপাত কিন্তু সিরিয়ার শহর দারাতে এই পানির বরাদ্দে নানান অনিয়ম আর দূর্নিতির মধ্য দিয়ে, একই ঘটনা ইয়েমেনেও। পানি নিয়ে ঝামেলা চলছে নীল নদে, তুরস্কে, কঙ্গোতে নীল নদ নিয়ে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে, ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে। সূতারাং এটা পরিস্কার যে, পানি-ই হল আগামী দিনের পেট্রোলিয়াম এবং এই পানির উপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতেই বিশ্ব আরেকটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পানিপথ গুলো আবার ভরে উঠুক। নাব্যতা ফিরে আসুক সকল মরা গাঙে। লেখাটি তাৎপর্যপূর্ণ! কোন সন্দেহ নেই! প্লাস!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০১

অগ্নি সারথি বলেছেন: পানিপথ গুলো আবার ভরে উঠুক। নাব্যতা ফিরে আসুক সকল মরা গাঙে- সুন্দর বলেছেন ভ্রমরের ডানা। ধন্যবাদ।

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

মেঘ ছাউনী বলেছেন: আমাদের দেশের পানির সমস্যাগুলো পানির মতই সহজ.।.।.।তারপর ও সরকার বুঝেনা।
ধন্যবাদ ভাইজান, এত পরিশ্রম করে পানির সমস্যা গুলো সবার সামনে তুলে ধরার জন্য।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: পানির মতই সহজ এই সমস্যা তারা জটিল করে রেখেছে। আমার সোজা কথা, পানি নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন কি বলছে? যদি উজানের দাদারা এই আইন লঙ্ঘন করে তবে তাদের সাথে বসতে হবে বারংবার ব্যার্থ হলে বিষয়টা নিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে ভাবতে হবে। পররাষ্ট্র নীতি যদি নতজানু হয় তবে তা আর কখনোই সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ!

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সুন্দর প্রতি উত্তরে আপনাকে আবারো ধন্যবাদ!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা। শুভকামনা শতত!

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে লিখেছেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ ভাই। গুরুত্বপূর্ন লেখা আপনিও লিখছেন কিন্তু! আপনাকে অনুকরন করবার সামান্য প্রচেষ্ঠামাত্র। শুভকামনা জানবেন।

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আপনার পোস্ট থেকে।
ধন্যবাদ একটি সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য।

আমি ব্লগে নতুন, পাশে আছি, পাশে থাকবেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ! পাশে থাকা থাকি বিষয়টা ঠিক তেমন নয় ভাই, আপনি আপনার লেখনি দিয়েই ব্লগে আপনার অবস্থান পোক্ত করবেন বলে আমার বিশ্বাস!

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পরোটা পড়তে পারলামনা ভাই সময়ের অভাবে। পরে একবার এসে পড়বো।

যেটুকু পড়েছি সেটুকুতে ভালো লাগা রেখে গেলাম।
ভালো দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!

১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বৈশ্বিক পানি সংকট নিয়ে বিষদ তথ্যপুর্ণ লিখাটি খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম ও প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
সমস্যাগুলি যুক্তি ও তথ্য দিয়ে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে,
এ সমস্যা মোকাবেলায় করণীয় বিষয়গুলিও যথাযথ হয়েছে ।
কৃষিখাতে পানির অপচয় রোধকল্পে নতুন নতুন পদ্ধতির আবিস্কার বা প্রয়োগের বিষয়ে একটি পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে অনেক দিন থেকেই মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে ।
নতুন পদ্ধতির পানি সাস্রয়ী একটি বিষয় উল্লেখ করে সামুতে আমার একটি পোস্ট আছে , ইচ্ছে হলে দেখা যেতে পারে নিন্মের লিংক ফলো করে ড্রিপিং ইরিগেশন ও ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রতি হেকটরে ৩০০ টন টমেটু উৎপাদন

সুন্দর অতি প্রয়োজনীয় এই লিখাটির জন্য রইল প্রাণডালা অভিনন্দন ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২১

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

নেক্সাস বলেছেন: রিয়েল ব্লগার বলতে আপনাকে আর মাঈনুল ভাইকে বুঝায়। আমরা হলাম আসলে পানতুয়া। দারুন আর্টিকেল। লিখে যান-----------

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

অগ্নি সারথি বলেছেন: মাঈনুল ভাই!!! বস। তারে আমি গুরু মানি। আর এর বাইরে প্রিয় যে কজন ব্লগার রয়েছেন তার মধ্যে আপনি অন্যতম, যদিও আপনি নিজেকে ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। ধন্যবাদ প্রিয় কবি!

১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

ভাবুক কবি বলেছেন: সারা অঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিবেন কোথা?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: সমস্যাটা সেখানেই ভাই। ঘুণে খেয়ে ফেলেছে পুরোটাই। নিরাময়ের চেষ্টা তবু করে যেতেই হবে, না হলে এর খেসারত দিতে হবে আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের।
ধন্যবাদ!

১৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৭

রিমন ৫০ বলেছেন: ধন্যবাদ । সকলকে সর্তক বার্তা আগে দেওয়ার জন্য ......

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ রিমন! শুভকামনা।

১৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ধন্যবাদ দাদা

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ছবিপা। সচেতনতাটা জরুরী এখনই।

২০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমরাই আসলে সচেতন নই। ব্রাশ করার সময়ও ট্যাপ ছেড়ে রাখি। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: খেসারত দেবার সময়টা এলো বলে!! আবারো ধন্যবাদ জানবেন আপা।

২১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দেশের তীব্র পানি সংকট মোকাবিলায় নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহন করা যেতে পারেঃ

১। ভারতের সাথে পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান তথা ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সোচ্চার হওয়া এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চাপ অব্যহত রাখা।
২। কৃষিখাতে পানির অপচয় রোধকল্পে নতুন নতুন পদ্ধতির আবিস্কার।
৩। ভূর্গভস্থ পানির উপর চাপ কমিয়ে পানির অন্যান্য উৎসের ব্যবহারের প্রতি মনযোগী হওয়া।
৪। পানির অভ্যন্তরীণ উৎসগুলোর রক্ষন এবং দূষন মুক্ত রাখা
৫। বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক পানি যথাযথ সংরক্ষন ও ব্যবহার
৬। পানির সব ধরনের অপচয় রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া
৭। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে কিংবা রাবার ড্যাম নির্মান করে পানি ধরে রাখা
৮। পানিকে কিভাবে রিসাইক্লিং করবার মধ্য দিয়ে পুনঃ ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায় তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা।
৯। স্বাদু পানির পুকুর নষ্ট করে চিংড়ি ঘের তৈরি বন্ধ করা।
১০। পানির অপচয় রোধে, ব্যবহারে অথবা পানির উৎস বিনষ্টে কঠোর আইন প্রনয়ন করা এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন
১১। গনমানুষের মধ্যে পানির অপচয় রোধে ব্যাপক গন সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজনে পানিশিক্ষা বাধ্যতামুলক করা।



গুরুত্বপূর্ণ সার সংক্ষেপ দিয়েছেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দেশের তীব্র পানি সংকট মোকাবিলায় নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহন করা যেতে পারেঃ
১। ভারতের সাথে পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান তথা ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সোচ্চার হওয়া এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চাপ অব্যহত রাখা।
২। কৃষিখাতে পানির অপচয় রোধকল্পে নতুন নতুন পদ্ধতির আবিস্কার।
৩। ভূর্গভস্থ পানির উপর চাপ কমিয়ে পানির অন্যান্য উৎসের ব্যবহারের প্রতি মনযোগী হওয়া।
৪। পানির অভ্যন্তরীণ উৎসগুলোর রক্ষন এবং দূষন মুক্ত রাখা
৫। বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক পানি যথাযথ সংরক্ষন ও ব্যবহার
৬। পানির সব ধরনের অপচয় রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া
৭। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে কিংবা রাবার ড্যাম নির্মান করে পানি ধরে রাখা
৮। পানিকে কিভাবে রিসাইক্লিং করবার মধ্য দিয়ে পুনঃ ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায় তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা।
৯। স্বাদু পানির পুকুর নষ্ট করে চিংড়ি ঘের তৈরি বন্ধ করা।
১০। পানির অপচয় রোধে, ব্যবহারে অথবা পানির উৎস বিনষ্টে কঠোর আইন প্রনয়ন করা এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন
১১। গনমানুষের মধ্যে পানির অপচয় রোধে ব্যাপক গন সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজনে পানিশিক্ষা বাধ্যতামুলক করা।


সময় নিয়ে আমি এই আলোচনা একাডেমিক ও সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পারস্পেক্টিভে দীর্ঘায়িত করবো ইনশাল্লাহ।

পঞ্চাশের দশকে ফারাক্কার প্রস্তুতি শুরু হলে সেসময়ে পানি ও পরিবেশ বিসেশজ্ঞগণ পাল্টা ব্যবস্থায় গঙ্গা, এর শাখা প্রশাখা (শাখা নদী, উপ নদী, খাল, বিল) রক্ষার জন্য, গঙ্গা অববাহিকার (প্রায় ৩২টির মত নদী উপনদী, শাখা নদীর পানি) পানি নির্ভর কৃষি বাঁচাতে এবং ভারতের বাঁধ ছেড়ে একতরফা বন্যার সৃষ্টি ঠেকাতে "গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পের" পরিকল্পনা তৈরি হয়। ষাটের দশকে এর একটা খসড়া দাঁড়িয়ে যায়। যদিও ১৯৭৪ এ ফারাক্কা চালু হলেও তা আর বাস্তবায়নের টেবিলে উঠানো হয়নি। পরবর্তি সরকারগুলো দায়সারা ভাবে এই পরিকল্পনা করেছে যা জন্য নতুন সমীক্ষার সরকার পড়ে। ফলে আমরা বিগত চার দশকে সমীক্ষাই নিয়ে পড়ে আছি, এর মধ্যে ভারত এই কাজে ভেটো দিয়েছে। সমস্যা হচ্ছে-এর মধ্যে পদ্মা এবং তার অববাহিকা সিল্টেড আপ হয়ে জল ধারণ ক্ষমতা একেবারেই হারিয়েছে। ফলে যত দিন যাচ্ছে ততই পুর্বের ফরমেটে রাজবাড়িতে গঙ্গা ব্যারেজ করা ততই খরুচে হবে, যদি আগের পরিমানে পানি ধারণ টার্গেট নেয়া হয়, অর্থাৎ হাজার হাজার কোটি টাকার শুধু ড্রেজিং ই করতে হবে।

এমতাবস্থায় ভারত চাইছে এই প্রকল্প আরো প্রলম্বিত করতে অন্তত পরবর্তি গঙ্গা চুক্তির সময় আসন্ন হওয়া পর্জন্ত। ২০২৬ এ বাংলাদেশে গঙ্গা ব্যারেজ করতে না পারলে তার স্ট্রং নেগোসিয়েশন করার এবং গ্যারান্টি ক্লজ ইঙ্কলুড করার ট্রাম কার্ড হাতছাড়া হবে।

তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি,
১। ৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শুধু গঙ্গা ব্যারেজ না করে এর সাথে যমুনাকে যুক্ত করে মেঘনায় ব্যারেজ করা যায় কিনা তার দ্রুত স্ট্যাডি করা দরকার। কারণ পুর্বের নদী বৈচিত্র নেই, নেই পানির আঁধার আর গঙ্গার সমস্যা তিস্তা, মহানন্দা এবং যমুনাতেও বিস্তৃত, ব্রম্মপুত্র তো আগেই নাই হয়েছে।

২। পদ্মা সেতুতে ব্যারেজ ইঙ্কলুড করা যেত কিনা সেটার স্ট্যাডী দরকার ছিল।

৩। সেচ প্রকল্প নির্ভর প্লেইন ব্যারেজ নির্মান এর সাথে কি কি ভবিষ্যৎ মুখী টেকসই প্রকল্প ইঙ্কলুড করা যায় তার স্ট্যাডি দরকার, পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

৪। ব্যারেজ থেকে উজানে যেরকম ড্রেজিং দরকার (সেচ, পানির আঁধার গড়া এবং ৩২টি নদী উপনদী শাখা নদী খালে পানি সঞ্চালন) তেমনি ভাটিকেও ড্রেজিং এ আনতে হবে। কেননা বর্ষায় ভারত ফারাক্কা ছেড়ে দিলে ব্যারেজ থেকে চাঁদপুর, বরগুনা, পায়রা, পাথরঘটা পর্জন্ত চ্যানেল গুলোর ওয়াটার ক্যারেজ ক্যাপাসিটি (এগুলা সবই সিল্টেড আপ রিভার বেড) এই পাশে ভয়াবহ বন্যা এবং আর্থিক ক্ষতি হবে। দেখা যাবে উত্তরে যা আয় হচ্ছে দক্ষিণে তা ক্ষতিতে যাবে। (ফারাক্কারও একই সমস্যা)।

৫। অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন ভাবে গঙ্গায় ব্যারেজ প্রকল্প না করে সম্পুর্ণ নতুন ডেল্টা স্ট্যাডী করে পুরো বাংলাদেশের উত্তর দক্ষিণের জন্য সমন্বিত করে একটি মহা পরিকল্পনা করা হোক যা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ তে সমন্বিত হবে। নচেৎ বিচ্ছিন্ন ভাবে টাকা লূটপাটের অকার্যকর প্রকল্পই বাড়বে কাজের কাজ কিছু হবে না। ইতিপূর্বে ড্রেজিং, বিভিন্ন সেচ, নদি পুনঃ খনন (যেমন গড়াই পুনঃ খনন) কথা বলেও রাষ্ট্রের অর্থ লোপাট হয়েছে।


৬। পাশাপাশি পানি ব্যবহারের টেকসই পদ্ধতি আনতে হবে, অপচয় রোধে শক্ত হতে হবে।

৭। ওয়াসা কিভাবে ভবিষ্যৎ এ শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা নাগঞ্জে পানি সাপ্লাই করবে সেটাও রোডম্যাপে আনতে হবে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, ধলেশ্বরী নদী পানি শোধনের অযোগ্য। বর্তমানে শীতলক্ষ্যার পানি নির্ভর শোধন আর এগিয়ে নেয়া যাবে না কারন তাতে প্রায় ৬২ রকমের ক্যামিক্যাল আবর্জনা দেখা মিলেছে। বর্তমানে পদ্মার পানি শোধন করে ঢাকায় আনার প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে (পদ্মা (জশলদিয়া) পানি শোধনাগর প্রকল্প। এর পর আর কোন সম্ভাবনা নেই।

পদ্মার পানিতে দূধণ বাড়ছে। ভারতীয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের স্ট্যাডী বলছে

“ Conducted by the National Cancer Registry Programme (NCRP) under the Indian Council of Medical Research, the national study throws up shocking findings. The river is thick with heavy metals and lethal chemicals that cause cancer, it says.
Ganga so full of killer pollutants that those living along its banks in UP, Bihar & Bengal are more prone to cancer than anywhere elese in the country. Even more frightening is the finding that gallbladder cancer cases along the river course are the second highest in the world and prostate cancer highest in the country. The survey throws up more scary findings: Of every 10,000 people surveyed, 450 men and 1,000 women were gallbladder cancer patients. Varanasi in Uttar Pradesh, Bihar's Vaishali and rural Patna and the extensive tract between Murshidabad and South 24-Parganas in West Bengal are the hot zones. In these parts, of every 1 lakh people surveyed, 20-25 were cancer patients. This is a national high. Relentless discharge of pollutants into the riverbed is responsible.”


এমতাবস্থায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, উপকূলীয় স্যালাইন পানি শোধনের স্ট্যাডিও দরকার।

আজ থেকে ২০-৩০ বছর বা ৫০-১০০ বছরে আমাদের পানি নির্ভরতার প্যাটার্ণ এবং সাস্টেইনেবিলিটির সুত্র কি হবে, তার স্ট্যাডী এখনই দরকার।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: মন্তব্যের ঘরে দেখবার আগেই ফেসবুকে দেখে ফেলেছি ভাই। নিঃসন্দেহে আপনি আরো চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ। শেয়ার দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.