নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!
দুটো অনুভবঃ
১।
আমার সন্তানের বয়স মাত্র তিন ! আর এই তিন বছর বয়সেই তার মা রীতিমত তাকে স্কুলে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে, কারন হাতে নাকি একদম সময় নেই। ঢাকা শহর বলে কথা, পূর্ব প্রস্তুতি না থাকলে ভালো স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করানো যাবেনা। সন্তানের সুশিক্ষা নিয়ে আমার স্ত্রী যে পরিমান পেরেশান, আমার পুরো শিক্ষাজীবনে হয়তোবা আমার মা এতটা টেনশন করেন নাই।
যাক সে কথা, চলেন এখন আমরা নারায়নগন্জ- চাষাড়াতে যে রেল স্টেশন রয়েছে সেখানে বিকাল ৫ টা ৩২ এর ঢাকাগামী ট্রেনটা ধরব। ট্রেন কেন? কারন বাসে গেলে আপনাকে মিরপুর পৌছাতে সময় লাগবে পাক্কা ৫ ঘন্টা! ৪ ঘন্টা জ্যামে বসে থাকার চেয়ে ২৫ মিনিট ট্রেনে দাড়িয়ে যাওয়াই উত্তম নয় কি! স্টেশন থেকে একটু সামনের দিকে এগিয়ে যান, যেন ট্রেনের সামনের বগি গুলোতে উঠতে পারেন কারন সামনের বগিতে ভীর একটু কম হয়। কপাল ভালো হলে, হালকা ঠেক দিয়ে দাড়ানোর জায়গাও পেয়ে যেতে পারেন। ওটা কিছু নয়, ছোটলোকেদের স্কুল! রেলটাকে শালারা বাপ দাদার পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। রেলের জায়গা তো অনেক আগেই দখল করেছে, এখন স্টেশনটা দখল করে স্কুল বানাইছে। স্কুলের নাম দিছে আবার 'সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মানবিক শিক্ষায় লাল সবুজের পতাকা'। শুভ চন্দ্র না কি নাম বানচোদের সে দখল নিয়া স্কুল বানাইছে। ফইন্নি স্কুলে মাগনা পাঠ। দেখছেন! পিন্দনের কাপড় দিয়া গতর ঠিক মতন ঢাকতে পারে না বেডিরা, তারা ABCD বই হাতে কইরা দলে দলে তাগো বাচ্চা স্কুলে দিতে আইছে। জজ-বেরিস্টার বানাইবো একেকটারে। চলেন, চলেন টেরেন আইছে। আরে জলদি উঠেন! ঐ মিয়া ধাক্কান ক্যান!
২।
আইয়ে ইমলি কা আচার খাইয়ে! বড়ই কা আচার খাইয়ে! আচার ওয়ালার হঠাৎ বাংলা হতে হিন্দিতে পরিবর্তিত আহ্বানে ফিরে তাকাতে রীতিমত বাধ্য হলাম। আমি কথা বলছি জাফলং এর নদীর পাড় এর নো ম্যানস ল্যান্ডের সেই জায়গাটা যেখানে শুধু একটা দড়ি ফেলে দিয়ে দিব্যি দুটা দেশকে ভাগ করে ফেলা হয়েছে। আর সেই দড়ির উপরে তথা আচারের ঝাপির দুটো পায়া ইন্ডিয়াতে রেখে এবং দুটো পায়া আর নিজেকে কৌশলে স্বদেশে রেখে আমাদের আচারওয়ালা মামা সেখানে একটা গ্লোবাল মার্কেট বানিয়ে ফেলেছে। ছবিতে আচারওয়ালার সামনের মানুষেরা ভারতীয় এবং সে সহ আমরা তার পেছনের মানুষেরা বাংলাদেশী। এটাকে একভাবে মিলন মেলা বললেও খারাপ শোনাবেনা। যাই হোক, ভারতীয় দিদি ও তার সাংগপাংগদের হিন্দি মিন্দি বলে খুব তেল তোয়াজ করে, পেছনে দাড়িয়ে থাকা স্বদেশী ক্রেতাদের বিন্দুমাত্র বেইল না দিয়ে চতুর আচার ওয়ালা যখন তাদের আচারের ঝাপির কাছে টেনে নিয়ে আসলেন তখন তাদের চোখে মুখে ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবোধের স্পষ্ট অহংকার এবং তার প্রকাশ। আচার খেতে খেতে বাংলাদেশী পশ্চাদপদ-অনগ্রসর জাতীর জন্য অনেক হা-হুতাশ ও করলেন। আচারওয়ালা মামা তাদের সাথে সমব্যাথি হয়ে সমুদয় দোষ এই অশিক্ষিত-কুশিক্ষিত বাঙ্গালী জাতির উপ্রে চাপিয়ে দিয়ে তিন কৌটা আচারের দাম যখন তিনশত রুপি ধরিয়ে দিলেন তখন তারা আর কোন রা কাড়ে নাই। শুধু মমতা কুলকারনির মত দেখতে মাইয়াটা বলেছিল-ইতনাসা আচার তিনশ রুপিয়া? প্রতি উত্তরে আচারওয়ালা বলেছিল- ইমলি কা আচার হ্যায় ম্যাডাম! খাট্টা তো লাগেগাই।
দুটো কবিতাঃ
১।
দূর্বিনীত তুই, সাপুড়ের ঝাঁপিতে বন্দি কুলীন!
আজন্ম এক পলায়ন ছোবল স্বপ্নে বিভোর।
আমি!
আমি-বুনো জাত কেউটে।
সদা সর্বত্র, প্রতিহিংসায় আমি উন্মত্ত্ব!
ছোবলে বাচি, আমি ছোবলে মরি......মারি।
আমি-বুনো জাত কেউটে!
ছোবলে আমার নেশা! ছোবল আমার বিষ্!
২।
নতুন দিনের বার্তা নিয়ে,
পরিত্যাক্ত নগরীটায়, রোজ যখন ফিরি!
ঘুম কাতুরে, অলস কাকেরা,
প্রভুহীন পথের কুকুরেরা,
আর নগর সন্তানেরা,
তখনো ঘুমে!
আমি প্রার্থনা করি!
আমি প্রতীক্ষা করি!
আমি পান করি!
নতুন একটা দিনের!
নতুন আরেকটা জীবনের।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা! তবে বিশ্বাস করেন জীবনে আমি কখনোই কবিতা লিখি নাই, এই দুটো ছাড়া।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: তবে বিশ্বাস করেন জীবনে আমি কখনোই কবিতা লিখি নাই, এই দুটো ছাড়া।
আপনার কবিতাগুলো আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
আপনি চেষ্টা করলে কবিতাকে সহজে আপন করতে পারবেন
আপনার জন্য শুভকামনা।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা! জ্বি ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
হাবিব বলেছেন: কবিতাগুলো বেশি ভালো লাগলো..........
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার!
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবিতা লা জবাব। সবটুকুই ভাল লেগেছে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন সুজন ভাই!
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি,
দ্বিতীয় অনুভবটা বোধগম্য কিন্তু প্রথম অনুভবে শিশুদের স্কুলের বৈআপারে ঠিক বলবো বুঝতে পারছিনে।
আর প্রথম হলেও কবিতা খারাপ হয়নি। কবিতাগুলোর ভাব সুন্দর।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
অগ্নি সারথি বলেছেন: ব্লগ থেকে দীর্ঘ দেড়টা বছর বাইরে থেকে মূলত এগুলোই প্রসব করতে পেরেছি। ধন্যবাদ ভাই।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি,
টাইপো হয়েছে, বৈআপারে < ব্যাপারে ঠিক কি বলবো... হবে ।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
অগ্নি সারথি বলেছেন:
৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
সুমন কর বলেছেন: ৪ ঘন্টার জায়গায় ২৫ মিনিট !! দারুণ।
লেখা আর কবিতা ভালো লেগেছে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: কবিতাগু্লো অনেক সুন্দর++