নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশে গ্রন্থ মেলার বিড়ি চত্ত্বর, বাংলা সাহিত্য কার দখলে এবং কালো তালিকাভূক্ত সামহোয়্যার ইন ব্লগ!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১০



বই মেলায় বেশ কিছু চত্ত্বর রয়েছে! শিশু চত্ত্বর, সালাম চত্ত্বর ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সকল চত্ত্বরের মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ন একটা নামহীন চত্ত্বর রয়েছে, মেট্রো বেকার্সের পাশে যেটি কিনা অনেকের ভাষায় বিড়ি চত্ত্বর নামেই পরিচিত। বিড়ি চত্ত্বরটা মূলত নিত্য বই মেলায় আসা শত শত লেখক, কবি, সাহিত্যিক, প্রকাশক আর প্রচ্ছকারেদের মিলন মেলা। বই বিক্রি কিংবা নিয়ম করে বইয়ে অটোগ্রাফ দেবার ফাঁকে সুযোগ বুঝে এসব লেখক, প্রকাশক কিংবা প্রচ্ছদকারগন হুট করে স্টল হতে হারিয়ে গিয়ে চলে আসেন এই বিড়ি চত্ত্বরটায়। এটা একটা মিলনমেলার ভেতরে যেন আরেকটা মিলনমেলা।

প্রশাসনিক তুমুল কড়াকড়ির ভেতরে বই মেলার ভেতরে কোন বিড়ি-সিগারেট কিংবা পানের দোকান তো নেই-ই এমনকি মেলায় প্রবেশের সময়ও ব্যাক্তির সাথে থাকা বিড়ি সিগারেটগুলোও পুলিশ ভাইগন নির্দ্বিধায় নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও বিড়ি চত্ত্বরে অনবরত বিড়ির ধোয়া ওঠে চলে। বিড়ি চত্ত্বরে তিনটা কফির দোকান রয়েছে যেখানে বেশ সস্তায় এক কাপ কফি আপনি খেয়ে নিতে পারেন কিন্তু সমস্যাটা বাঁধে তখনই যখন আপনি দেখেন আপনার কাছে কোন সিগারেট নেই এমনকি কেউ সিগারেট বিক্রিও করছেনা। দু একজনকে আপনি হয়তো জিজ্ঞেসও করে বসেছেন, ভাই সিগারেটের দোকানটা কোথায় এখানে? কিন্তু তার উত্তরে ভীষন হতাশ হতে খুব একটা সময় লাগেনা আপনার, তখন কফির কাপ হাতে করে আপনার মধ্যে তীব্র একটা অপরাধবোধ কাজ করা শুরু করে এই ভেবে যে, কেনো আপনি পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে অন্তত একটা সিগারেট সাথে করে নিয়ে আসলেন না! আপনি সামান্য ইদিক-উদিক তাকান, পরিচিত কাউকে পাওয়া যায় কিনা! যদি পেয়ে যান তবে আপনার ভাগ্য নেহায়েত মন্দ নয়! আপনি তার কাছে গিয়ে দেখেন একটা মাত্র বিড়ি জ্বলছে তার হাতে আর সেই বিড়ির দিকে বিড়ির জ্বলজ্বল আগুনের মত চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে আরো জনা ছয়েক পিপাসার্ত মানুষ!

যাই হোক, প্রথম দিন বই মেলায় সিগারেট নিয়ে ঢুকতে আমি না পারলেও পরবর্তীতে এই ভুল আমার একবারো হয় নাই। মানিব্যাগের চিপায়-চাপায়, ব্যাগের ভেতরে, প্রতি পকেটে একটা করে সিগারেট লুকিয়ে এভাবে ৫/৭ টা সিগারেট নিয়ে আমি রোজ-ই ঢুকি। আর কতক্ষন পর পর হুট করে হারিয়ে গিয়ে বিড়ি চত্ত্বরে হাজিরা দিয়ে আসি। তবে আমার আজকের কথন বিড়ি চত্ত্বরকে ঘিরে নয়, বরং কিছু কড়া কথা বলতে এসেছি।

বিড়ি চত্ত্বরে একজন বন্ধু প্রতিম মানুষ (প্রকাশক গোত্রীয়) তার স্টলে আমন্ত্রন জানালে আমিও সেই নিমন্ত্রন প্রত্যাখান করতে পারি নাই। গিয়ে দেখি তার স্টলে হু হু করে দেদারসে একজন উঠতি লেখকের বই বিক্রি হচ্ছে! উঠতি লেখক না বলে তাকে একজন অনলাইন সেলিব্রিটি বলাই শ্রেয়। নিজে যেহেতু আমি একজন লেখক, সেহেতু বিষয়টা আমার জন্য বেশ ঈর্ষাজনক হওয়াই উচিত। স্টলের ভেতরে একটা চেয়ারে বসে আমি সেই সেলিব্রিটি লেখকের বইটি হাতে নিয়ে কিয়ৎক্ষন পড়লাম। বইটি পড়ে আমার মনে হয়েছে, হোয়াট এ ফাক শিট ইট ইজ! আর সেই ফাক শিট নেবার জন্য তরুন সম্প্রদায় হৈ-হৈ করে রীতিমত লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। পহেলা ফাল্গুনের দিনও অন্য একজন রেডিও সেলিব্রেটির বই উঠতি কিশোরীদের লাইনে দাঁড়িয়ে আমি কিনতে দেখেছি, যদিও বইটি পড়বার সৌভাগ্য আমার এখনো হয় নাই তথাপি বইটার নাম আমার কাছে কিছুটা যৌন-উদ্দীপক ঠেকেছে।

বই মেলাতে এবার প্রায় ১২/১৩ হাজার নতুন বই এসেছে। পাঠকের পক্ষে সবগুলো বইয়ের মান যাচাই করা সম্ভব নয় কিন্তু যেসব লেখক ধুনফুন লিখছেন এবং অনলাইনে ব্যাপক প্রচারনা চালিয়ে বিশাল একটা জনগোষ্ঠিকে সেই বই কেনাচ্ছেন তারা কি তাদের বিবেককে একবারো প্রশ্ন করছেন, আপনার এই বইয়ে সমাজে এবং বাংলা সাহিত্যে কি কন্ট্রিবিউট করছে? এতগুলো মানুষের সাথে আপনি যে বই বিক্রির ব্যবসাটা করছেন, সেটি কতটা যৌক্তিক?

বাংলা সাহিত্যের বারোটা যে শুধু এসব বাল-ছাল লেখকই বাজাচ্ছেন বিষয়টা তেমন নয়! বাংলা সাহিত্যের বারোটা বাজানো হচ্ছে এখন প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে। কিছুদিন আগে হাজারো পর্ন সাইট বন্ধের সাথে সাথে সামহোয়্যার ইন ব্লগ ও বন্ধ করে দেয়া হল এবং এখন পর্যন্ত এর কোন সূরাহা হয় নাই। আমি ধরেই নিচ্ছি এটা বিটিআরসি'র একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল।

পূর্ববর্তী এসব ভূলের কারনেই আমরা আজ একটা ফাকিং হুজুগে ইয়ুথ জেনারেশন পেয়েছি যাদের সাহিত্যের সাথে সেভাবে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তারা বই মেলায় আসে, সেলফি খিচে তারপর ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এদের মধ্যে যারা বই কেনে তারা ভুল মানুষের ভুল বই নিয়ে ঘরে ফেরে।

আমি এখানে আমার নজরবন্দী'র প্রচার প্রচারনা করতে আসি নাই। শুধু বলতে এসেছি, সামহোয়্যার ইন ব্লগ আমাকে প্রথমে ব্লগার এবং পরবর্তীতে একজন লেখক বানিয়েছে। এবং অবশ্যই আমার লেখাগুলো শুধু বাংলা সাহিত্যে নয় বরং সমাজেও কন্ট্রিবিউট করে। সাহিত্য চর্চার স্বাধীন, মুক্ত এবং চমৎকার এই প্ল্যাটফর্মটাকে কালো তালিকাভুক্ত করবার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গেলাম। এবং আশা করছি সরকার বাহাদুর অচিরেই এই সমস্যার আশু প্রতিকার করবেন।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: হুমায়ূন আজাদ ছাগলের বাচ্চা প্রসব আর হাতীর বাচ্চা প্রসবের ব্যাপারে কি যেন বলেছিলেন।

একটা গল্প শুনায়ে যাইঃ একজন লোক বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খাবার সময় প্রিমোলার আর মোলার দাঁতের মাঝে এলাচ পড়ায় নিজেকে নিজে বলে উঠলো- দূর শালা, মুখটা গন্ধ হয়ে গেল; বাড়ি যায়ে একটা পিয়াজ খায়ে মুখ শুদ্ধ করতে হবে।

কালকের কফির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমরা আইসক্রিম খাইলাম, আপনি পাইলেন না, বলতেছেন বিড়ি খাওয়ার জন্য গেছিলেন, কিন্তু আমিতো দেখলাম মহিলা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন :P

ভালো লেখা বের হলে ভালোর চাপে খারাপ এমনিই চলে যাবে। ঢাবিয়ান ভাই এই বিষয়ে এই মাসেই একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। বই রিভিউ শেষ হলে আমিও একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা রাখি।

একদিন ৪-৫ ঘন্টা দাড়ায়ে থেকে আমার কোমরে আর পায়ে ব্যথা। সারা মাস পারেন কি করে!
ভালো থাকবেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনার নিকট হতে অবশ্যই একটা রিভিউ আশা করি হাসান ভাই! আর কন কথার উত্তর দিলাম না শুধু বলি, কিচ্ছু করার নাই।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বিড়ি চত্ত্বরে যাবার দাওয়াত কি আমাকে দিবেন?
আসুন সবাই মিলে যারা সাহিত্যের বারোটা বাজাচ্ছে তাদের একটা তালিকা তৈরি করি। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনাকে সবসময় আমন্ত্রন জানাই আমি রাজীব ভাই কিন্তু আপনি আসেন না! গতদিনও আপনাকে অনেক আশা করেছিলাম।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: লেখক প্রকাশক এই অবস্থার জন্য দায়ী । একটা ব্লগের উপর বাংলা সাহিত্য নির্ভর করে না। যে সব ব্লগার লেখক হিসেবে খ্যাতি পেয়ে নিজেকে বড় ভাবছেন, তারা আদতেই ভাল লেখকের পর্যায়ে পড়েন বলে আমার মনে হয় না। বেশি বই বিক্রি হওয়ায় মানেই ভাল লেখক না।
এখন প্রকাশক যেমন লেখকও সেই ক্যাটাগরির ।
বাংলার সমাজে এখনো ব্লগারদের কোন অবস্থান নাই। কয়জন ব্লগার সমাজে নিজেকে ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিতে সংকোচ করে না ???
ব্লগারদের এই পরিণতির জন্য ব্লগ পক্ষ কোন ভাবে দায় এড়াতে পারেন না ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

অগ্নি সারথি বলেছেন: অবশ্যই ব্লগ কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন না।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: গতকাল রাতে অামার এক frnd বইমেলার একটি স্টলের ভিডিও পাঠালো। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি স্টলে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে একটি বিশেষ বই কেনার জন্য। বিক্রেতারা ভীড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। বইটির লেখককে অামি কিছুটা চিনি, কারন উনার প্রথম বইটা অামি পড়েছি। উনি সেই বইয়ের কিছু কিছু অংশ ফেসবুকেও প্রকাশ করতেন উনার অাইডি থেকে।ফেসবুকে উনার সাথে কমেন্টে তর্কও করা যেত। অামি যেহেতু বিজ্ঞানের মানুষ, একবার ফেসবুকে উনার একটি পোস্টে উনার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ ভালোই তর্ক চললো, তারপর হঠাৎ দেখি অামাকে ব্লক করে দিয়েছেন সম্মানিত সেই লেখক। এই ঘটনাটি সম্ভবত ২ বছর অাগের।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: হ যুক্তি শেষ হয়ে গেলে ব্লক ই একমাত্র পন্থা অন্তত নিজের জনপ্রিয়তা ঠেকিয়ে রাখবার জন্য।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বিড়ি চত্তর থেকে একদিন সিগ্রেট খেয়ে আসবো:P

সাহিত্য যার দখলেই থাক, একে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার।

সরকার বাহাদুরের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আসুন! ভালো লাগবে।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না; মন্তব্য করলে আপনার বিপক্ষে যাবে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: লেখক হিসেবে যদি আপনি বলতে চান তবে আমি বলব আপনি নজরবন্দী পড়তে পারেন এবং সাথে সেই জনপ্রিয় লেখকের বইটিও! ভালো লিখি কিনা জানিনা চাঁদ গাজী ভাই তবে তার থেকে অনেক ভালো লিখেছি। আমি চাই আপনি নজরবন্দী পড়ে একটা রিভিউ দেন। আর হ্যাঁ! পক্ষে কিংবা বিপক্ষে যা অথবা না যাক, আপনার মন্তব্যটি করাই উচিত ছিল।

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

করুণাধারা বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হতাশার কিছু নেই ভায়া

চুলীকা পিছে ক্যায় হ্যায় রা আসে মাঠ গরম করে, আবার দ্রুতই কালের কালো গহব্বরে হারিয়ে যায়!
প্রতিবছর যে হারে নতুন বই বের হয়, একদিকে প্রকাশকদের ধান্ধা
আরেক দিকে মানুষের লেখক পরিচয়ের বাসনা! এ দুয়ের ভাইস ভার্সা খেলা!

ওল্ড ইজ গোল্ডের সোনালী গানগুলো যেমন আজীবন টিকে থাকে
সাহিত্যেও তেমনি -গুনিরাই টিকে থাকবে!
সময়ের স্রোতের ফেনায় টেনশন নেবার কিছূ নেই।

সামুর বিষয়ে আর কি বলবো?
ভুপেন হাজারিকার গানটাই মনে পড়ছে

নৈতিকতার স্খলন দেখেও মানবতার পতন দেখেও
নির্লজ্জ অলস ভাবে বইছো কেন
সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়ে
লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর
অগ্রগামী করে তোল না কেন।।

জ্ঞানবিহীন নিরক্ষরের খাদ্য বিহীন নাগরিকের
নেত্রী বিহনতায় মৌন কেন
সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়ে
লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর
অগ্রগামী করে তোল না কেন।।

ব্যক্তি যদি ব্যক্তি কেন্দ্রিক
সমষ্টি যদি ব্যক্তিত্ব রহিত
তবে শিথিল সমাজকে ভাঙ্গনা কেন
সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়ে
লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর
অগ্রগামী করে তোল না কেন।।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাল্লাগছেনা ভৃগু দা! যাই হোক সামুর হয়ে আপনি যে সামান্য উদ্যোগটুকু নিয়েছিলেন সেজন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৪

প্রামানিক বলেছেন: বিড়ি চত্ত্বরের উছিলায় বাস্তব কিছু কথা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

অগ্নি সারথি বলেছেন: প্রামানিক দা! আপনার সাথে কাটানো অনন্য দুটা দিন ছিল। ধন্যবাদ ভাই।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সামহোয়ার ব্লগ কোন সরকার বিরোধী প্লাটফর্ম নয়। বরং বলতে গেলে উল্টোটাই বলা চলে। অথচ এইটুকু বিরোধিতাও সরকার পক্ষ বরদাশত করতে রাজী নয়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমার মনে হয় কেউ এখানে ব্যাক্তিগত ক্ষোভও ঝাড়ছে কিনা!

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এ যেনো সামুর প্রতি অন্যায় হচ্ছে। কোন এজেন্ডাদের মনো ভাষনা পূর্ণ হচ্ছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ব্লগারদের প্রতিও অন্যায়! কোথায় যাবো আমরা?

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বর্তমান প্রজন্মটা কেমন যেন একটা উন্মাদনার মধ্যদিয়ে চলছে এর শেষ কোথায়?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: আভাগা-র মত একটা আন্দোলন খুব সন্নিকটে!

১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

হাসান রাজু বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বর্তমান প্রজন্মটা কেমন যেন একটা উন্মাদনার মধ্যদিয়ে চলছে এর শেষ কোথায়?

৯০এর দশকে আমাদের দেখিয়ে বড়রা ঠিক এই কথাটাই বলত । এখন আমরা বলি । তখন আমরা ভাবতাম বড়রা না জানি কত সাধু ছিল । এখন আমরা জানি আমরা কত সাধু ছিলাম ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: সাধু-অসাধু প্রত্যেক যুগেই বিরাজমান। এর মাঝে নব্বই কিংবা তার পূর্ববর্তী সময়ে অনেক ভালো মানের সাহিত্যিক আমাদের মাঝে ছিলেন।। এখন যে দু একজন নেই তা বলব না কিন্তু এবারের বই মেলায় একজন লেখক হিসেবে আমার যে উপলব্ধিটা সেটা হল লেখক হবার পূর্বে আপনার সেলিব্রেটি হওয়াটা বাঞ্চনীয়। তার পর আপনি যে ধুনফুন-ই লেখেন না কেনো তা হু হু করে চলবে বাজারে। বই মেলায় একজন অনলাইন সেলিব্রেটি লেখকের বইয়ের ভূমিকায় লেখা দেখলাম, আজ তার ভূমিকা লিখতে ইচ্ছে করছেনা তাই সে ভূমিকা লিখবে না। একটা বইয়ের ভূমিকা আপনাকে বইটি সম্পর্কে সম্মক ধারনা প্রদান করবে নট লেখক হিসেবে আপনার ব্যাক্তিক অবস্থা। একটা বইয়ে সাহিত্য চর্চা করতে এসেছেন আপনি, স্ট্যাটাস দিতে আসেন নাই। এটা তো শুধু ভূমিকা অবস্থা বললাম, ভেতরে বাংলা সাহিত্যের বড়ই নিদারুন অবস্থা করে রেখেছেন সেই জনপ্রিয় লেখক। নব্বই এর দশকে এই চর্চাটা বোধ করি ছিলনা।

১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

সুমন কর বলেছেন: গতকাল ফেবুতেই পড়েছিলাম। দারুণ লিখেছেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন সুমন দা!

১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি প্রথম যখন এই ইস্যূতে ব্লগে পোস্ট দেই তখন বেশ টেনশনে ছিলাম। কারন ব্লগে প্রসংসার ঝরে উড়তে থাকা কবি সাহিত্যিকরা এটা ভালভাবে নেবে না । এমনকি এমনও মনে হচ্ছিল যে , ব্লগ আমাকে জেনারেল করে দেয় কিনা। পরবর্তীতে আরো কিছু ব্লগার এবং আপনারা যারা নিজেরা লেখক তারা এই ইস্যূ নিয়ে নিজেদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরায় এটা শক্ত ইস্যূতে পরিনত হয়। কিছু গুনী ব্লগার সাহসিকতার সাথে রিভিউ লিখে সরাসরি এইসব অভিযোগের পক্ষে শক্ত তথ্য প্রমান হাজির করেন। এটার খুব দরকার ছিল। ব্লগার লেখকেরা নিঃসন্দেহে পরবর্তীতে অনেক সচেতন হবেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: গতদিন আপনার ব্লগে গিয়ে আপনার বেশ কিছু পোস্ট পড়ে এসেছিলাম! ধন্যবাদ।

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বইমেলায় বই প্রকাশ বহুদিন ধরেই একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। আমার মতে একটা বই প্রকাশ, একজন লেখকের চূড়ান্ত পরীক্ষার ধাপ। বর্তমানে সেই পরীক্ষার প্রস্তুতি তো দূরের কথা, লেখালেখির অ আ ক খ না শিখেই বই বের করতে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কি মানসিক তৃপ্তি লাভ হয় এহেন বই প্রকাশে, তা বোধগম্য নয়।

লেখালেখির অ আ ক খ প্রসংগ ধরে বলতে চাই, সামু ছিল আমাদের লেখালেখির বিদ্যাপীঠ, এখনো আছে। শেখার চেষ্টা প্রতিনিয়ত চলছে। সেই বিদ্যাপীঠে সরকারের ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের মত অভাজনদের বিপাকে ফেলে দিচ্ছে। এতটুকু মানসিক চর্চার জায়গা ছিল আমাদের, আশা করি থাকবেও। কিন্তু সেটাও যে এতবড় পদধারীদের গাত্রদাহের কারন হয়ে দাঁড়াবে তা ভাবতেও অবাক লাগে।

আশা করি দ্রুত সকল ভুল বুঝাবুঝি সমাপ্ত হবে। মুক্তচিন্তার জগত মুক্ত হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.