![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রবিনঃ হ্যালো দোস্ত,তুই কই? ফারিহা তো এক্সিডেন্ট করছে? Square এ ভর্তি আছে তুই তাড়াতাড়ি আয়।……..
সায়মাঃ হ্যালো কবে? কিভাবে?.........
(ফোন কেটে দিল রবিন)
আধা ঘন্টার মধ্যে square এর বারান্দায় এসে ফোন দিচ্ছে সায়মা,রবিন,জাহেদ,অন্তু সবাইকেই।
সায়মার ফোন অফ,রবিন receive করে না, আর অন্তু নাকি আগ্রাবাদ এ।
সে square থেকে বের হতেই রাস্তার ওপারে ওষুধ এর দোকানের সামনে থেকে জাহেদ তাকে ইশারায় ডাকে।
তারপর জাহেদ আর সায়মা দুজনেই হাটতে হাটতে একটা রেস্টুরেন্ট এ
প্রবেশ করতেই “happy Birthday to you” স্বরে পুরা রেস্টুরেন্ট ই কেপে উঠে।
আজ ১২ ই ফেব্রুয়ারী,২০০৫ সায়মার জন্মদিন,সারপ্রাইজ দেওয়ার idea টা ছিল রবিনের।
এদিকে সায়মা পুরাই হতভম্ব।
যত ধরনের মজাই করুক না পড়ালেখার ক্ষেত্রে রবিন অনেকটা ত্রি ইডিয়টস এর “আমির খান” এর মত।
এপ্রিলের ১৫ তারিখে physics 1st year ফাইনাল পরীক্ষা,সায়মার সিলেবাস পুরোটাই বাকি প্রায়,ফোন দিল ফারিহা কে,ফারিহার ও নাকি শেষ হয়নাই।
শেষমেশ ফোন দিল রবিনকে।রবিন তখন কলেজের লাইব্রেরীতেই ছিল।কলেজের লাইব্রারীতেই রবিনের কাছ থাকে সব বুঝে নিল সায়মা।
জুলাইয়ের ৩ তারিখ,বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে কলেজের ক্লাশ ও শেষ ......ফ্রেন্ড রা সবাই অপেক্ষা করছে বৃষ্টি থামার জন্য। এদিকে রবিনের মাথায় ভুত চাপল সে বৃষ্টিতে ভিজবে। সে তো ভিজলই সবাইকেও ভিজাল।
এভাবে রবিন আর সায়মার বন্ধুত্ব গভীর হতে লাগল।
দ্বিতীয় বর্ষের শেষের দিকে কোন এক দুপুরে রবিন হুট করে সায়মা কে propose করে বসল।সায়মা তো ভীষন রেগে গেল।পরের দিন ই সায়মা চিঠি লিখে পাঠাল রবিনকে
“sorry,I am engaged with abrar hossain আর আমি বুঝতেও পারিনি তুই এমন একটা কাজ করে বসবি। you will be retreated for this”
সায়মার সাথে কলেজে রবিনের শেষ দেখা বলতে গেলে এখানেই।
এরপর থেকে সায়মা রবিনকে দেখলেই ১০ হাত দূরে সরে যায়।
এরপর তিন চার মাস রবিন ও পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডার ফাঁকে হঠাত কে জানি বলল সায়মারা নাকি Dhaka তে shift হয়ে গেল। এ কথা শোনার পর রবিনের মনে হল হয়ত সায়মার সাথে তার আর দেখায় হবে না।propose এর ঘটনার পর সায়মা নাম্বার চেঞ্জ করেছিল।ফলে ফোন এ কন্টাক্ট এর ও কোন ওয়ে নাই।
১৮ সেপ্টেম্বর,২০০৭
১৬ তারিখ থেকেই ট্রান্সক্রিপ্ট দেওয়া শুরু হয়েছে কলেজে।সবাই admission এর প্রস্তুতির নিচ্ছে বলে ফ্রেন্ড দের মধ্যে তেমন দেখা সাক্ষাত ই হয়না।রাহাত,জাহেদ,মইনুল,ফারিহা,আলিফ,রবিন সবাই মিলে প্ল্যান করল ১৮ তারিখে ট্রান্সক্রিপ্ট তুলতে যাবে।কিন্তু সকাল নয়টাই জাহেদ সবাইকে ফোন দিয়ে বলে তার কোচিং এ extra ক্লাশ দিছে তাই সবাই ১১.৩০ এর দিকে আসলেই ভাল হয়।যেই কথা সেই কাজ সবাই ১১.৩০ এর মধ্যেই আসবে ক্যাম্পাসে।রবিন আর রাহাতের নিউ মার্কেট এ দেখা।তারা কথা বলতে বলতে কলেজের গেইটে প্রবেশের সময় রাহাত ক্রস করে যাওয়া মেয়ের দিকে তাকায়ে বলে এটা সায়মা না?
তারা সায়মা কে ডাকার আগেই সায়মা আর এক মধ্যবয়স্ক মহিলা রিকশায় উঠে চলে গেল।
২০০৮ তে সবাই কলেজ ছেড়ে university তে পা রাখল।কলেজের ফ্রেন্ড্ররা বলতে গেলে সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।
রবিন ভর্তি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি তে।এরমধ্যে সে ফেসবুক এ অনেক active হয়ে গেল। ফেসবুকে সার্চবার থেকে শুরু করে অনেকের কাছেই খোজ নিতে চাইছিল কিন্তু ফলাফল শূন্য ।এভাবেই versity তে ১ম বর্ষ কেটে গেল ।রবিনের একটাই আক্ষেপ সায়মা আর ওর বন্ধুত্ব টা যেন আবার ফিরে আসে।
২০০৯ সালের কোন একদিন রবিনের নিজেকে খুব দোষী মনে হতে লাগল সায়মাকে propose করে তাদের বন্ধুত্বে ভাঙ্গন ধরানোর জন্যে। প্রতিবার ই সে এ অবস্থায় সায়মার দেওয়া চিঠিটি একবার পড়ে।কিন্তু আজ ঘটল ভিন্ন ঘটনা।সে চিঠিটি অর্ধেক পড়ে হঠাত থমকে গেল তারপর pc অন করে fb তে লগিন করে “abrar hossain” নামে সার্চ দিল।পেল নিউইয়র্ক প্রবাসি এবং জাহেদের সাথে mutual আবরার কে friend request পাঠায়।
রবিন আবরার এর সাথেই ভালই ভাব্ জমাইতে লাগল।ওখানকার facility,scholarship,etc নিয়ে।
পরে একদিন নিশ্চিত হল যে আবরার ই সায়মার bf.
২০১০ এর জানুয়ারীতে এর কোন একদিনে ফেবু ঘাটতে ঘাটতে হঠাত দেখল তার জাহাঙ্গিরনগর এর এক ফ্রেন্ড এর ছবিতে sayma alam নামে কেউ একজন like দিছে
সাথে সাথেই profile এ ঢুকে আবিষ্কার করল এই সেই সায়মা ......সাথেই সাথেই friend request এবং দুই দিনের মাথায় ব্লক। ব্লক দিছে তো কি হইছে পোকার খেলার জন্য ইতোমধ্যে অনেকগুলা account আছে রবিনের।ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে রেগুলার ই সায়মার profile এ গিয়ে update দেখত রবিন।স্নিগ্ধা (jnu) এর সাথেও ভালই ভাব জমাল রবিন।
স্নিগ্ধার কাছ থেকে মাঝে মাঝে সায়মার খোজখবর নিত রবিন। এভাবে খোজখবর নিতে নিতে একদিন সে শুনে সায়মা নাকি এবারের সেমিস্টার ফাইনাল দেয় নাই।ওর family থেকে নাকি অনেক pressure দিচ্ছে বিয়ের জন্য।এটা নিয়ে ও অনেক চিন্তিত ।এই মুহূর্তে DU এর IBA থেকে পাশ করা এক ছেলের ব্যাপারে কথাও চলতেছে নাকি।
ততদিনে আবরার আর রবিন অনেক ভাল বন্ধু হয়ে গেল।২০১২ এর কোন একদিন
একদিন knock করে বলে ও এখন অনেক চিন্তিত কারণ ওর gf এর বিয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে পাত্রের ফেবু লিঙ্ক ও দিল।গ্রিন কার্ড টা পেয়ে গেলেই বিয়ে করে আমেরিকায় সায়মাকে নিয়ে যাওয়ার plan আবরারের।এদিকে রবিন দেখল IBA এর ভাইয়াটার সাথে আবির ভাইয়ার mutual।কী আর করা সে আবির ভাইয়ের সাথে পুরা ঘটনাটা share করল।তারপর এক বিকালে আবির ভাইয়া আর রবিন মিলে ফাহিম ভাইকে সব কাহিনী খুলে বলল ফাহিম ভাইও বুঝলেন ।
ফাহিম ভাই দীর্ঘ ২ বছর ধরে মেয়ে দেখছেন।ওনার পছন্দ হইলে তো ফ্যামিলির হয়না,ফ্যামিলির হইলে তো ওনার হয়না।সায়মাকে মনে ধরল উনার।ফ্যামিলির ও দ্বিমত নাই।কত জল্পনা কল্পনা ছিল ফাহিম ভাইয়ের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তবা এই বছরের মাঝামাঝিতেবিয়ের পিড়িতে বসবেন তিনি।তার সব স্বপ্নই ধুলিস্যাত করে দিল ১৩ ই মার্চের সেই বিকাল।
২০১৩ জানুয়ারী
হঠাত জাহেদের ফোন,জাহেদঃ দোস্ত আমি এখন আবরারের সাথে KFC তে আছি।আবরার তোর সাথে দেখা করতে চাইতেছে।
রবিনঃও কী এখন BD তে?
জাহেদঃ হ দোস্ত, এক সপ্তাহ হইছে নাকি আসছে,তোর নাম্বার ছিল না তাই আমাকে কল দিয়ে আনল।
রবিনঃ ওকে দোস্ত আমি আইতাছি
২৩ অক্টবর নাকি আবরারের বিয়ে,তাই দাওয়াত দিতে ডাকল।
আবরারঃতোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,রবিন,তুমি আমার বিশাল উপকার করেছ,বিয়েতে অবশ্যই আসবা।
আবরারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রিকশায় হলে ফিরছে জাহিদ ও রবিন
জাহিদঃ দোস্ত তুই কী আসলেই সায়মাকে ভালবাসতি?
রবিনঃ ভালবাসি বলেই তো আজকে আমি অনেক খুশি।তবে সবচেয়ে খুশির দিন হবে ওদের বিয়ের দিন।
১৪ ই ফেব্রুয়ারী,২০১৩
সায়মার বিয়েতে কলেজ ফ্রেন্ড দের মধ্যে শুধু ফারিহা,জাহেদ আর রবিন।রবিন আর জাহেদ কে দেখে সায়মা পুরাই হতভম্ব।সে মনে মনে ভাবতেছে নিশ্চয় কোন গন্ডগোল পাকানোর জন্য আসছে এরা।তারপর আবরার নিজেই রবিনকে ডেকে সায়মার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
আবরারঃ ও আমার ফেবু friend
ততক্ষনে সায়মা রাগে ফুসতেছে।
রবিনঃ আরে ও তো আমার কলেজ ফ্রেন্ড
সায়মা ও একটা বিকট হাসি দিল.
আবরার সায়মাকে বলল “রবিনের কারনেই আজ আমরা বিয়ের পিড়িতে”। (continued)
©somewhere in net ltd.