নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাংঘাতিক

আহরার হোসেন আরিফ

এতদিন রিডার ছিলাম। এখন ব্লগার হবার চেষ্টা চালাচ্ছি।

আহরার হোসেন আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌন সুড়সুড়ি দেবেন তো পর্ণ সাইট খুলুন, সংবাদপত্র কেনো?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৫৬

প্রতারিত মনে হচ্ছে। সাংঘাতিক প্রতারিত লাগছে নিজেকে। আমি একজন সাংবাদিক, এটা ভাবতে প্রচন্ড লজ্জা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ বছরের সাংবাদিকতার কোর্স শেষ করেছি সাত বছর ধরে। ছাত্রাবস্থাতেই শুরু করেছি সাংবাদকিতা। পাশ করার আগেই মোটামুটি পেশায় একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছি। কর্মজীবনে অগুনতি প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এখন আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে কাজ করতে এসেও, প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। শিখছি প্রতিনিয়ত। সবখানেই একটা কথা সবার আগে এসেছে। সংবাদ লিখতে গিয়ে কখনো নিজের মতামত তুলে ধরবেন না। সংল্শিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলুন। সূত্র হিসেবে তাদের নাম উল্লেখ করুন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিন।

আমার কাজের খাতিরেই রোজ অসংখ্য কাগজে চোখ বুলাতে হয়। সঙ্গত কারনেই বহুল প্রচারিত এবং জাতীয় দৈনিকগুলোর দিকেই থাকে নজর। কম প্রচলিত কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকাগুলোর দিকে নজর দেয়ার তেমন একটা সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই 'নতুন সময়' নামে একটি দৈনিকের অস্তিত্ব যে আছে বাংলাদেশে সেটাও জানা হয়ে ওঠেনি। জানলাম গত দুদিন ধরে চলা একটি গুজবের সূত্র ধরে। গুজবটি মঙ্গলবারের সংস্করণে অনেক জাতীয় দৈনিক প্রকাশ করলেও লেখার ক্ষেত্রে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করেছে। কোনো কোনো পত্রিকা গুজবটিতে কানই দেয় নি। কোন প্রসঙ্গে বলতে চাইছি, নিশ্চয়ই এতক্ষণে স্পষ্ট হয়ে গেছে আপনাদের কাছে।

হ্যাঁ, আমি মেহেরুন রুনী-সাগর সারওয়ার দম্পতির হত্যাকান্ড প্রসঙ্গেই বলছি। এটা নিয়ে গত দুদিন ধরে চলা সবচেয়ে বহুল আলোচিত গল্পটি যে নিছকই গুজব তা মঙ্গলবার স্পষ্ট হয়েছে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যেও। গল্পটি কি, সেটি বলতে আমার খুব খারাপ লাগছে। আরেকটু সামনের দিকে এগোলেই আপনি জানতে পারবেন। নোংরা ওই কথাগুলো এখানে লিখতে কি-বোর্ডে আমার আঙুল সরছে না।







যাইহোক, বলছিলাম নতুন সময় নিয়ে। এটি'র মাস্টহেডের (সাংবাদিকতার ভাষায় পত্রিকার নামসহ লোগোটিকে মাস্টহেড বলি আমরা) ঠিক ওপরে লেখা 'প্রতিদিনের মিড-ডে ট্যাবলয়েড'। বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পে নতুন সংযোজন নি:সন্দেহে। তবে একটু খটকা লাগলো শ্লোগানটি দেখে। 'আমরা খবর বদলে দেই না'। কিসের সাথে যেন মিল খুঁজে পাচ্ছি! অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমের সাথে প্রতিহিংসা বশত: এই শ্লোগান নির্বাচন নয়তো?



দৈনিক নতুন সময়



বিশ্বিবদ্যালয় জীবনে আমাদের একটি হোমওয়ার্ক করতে হতো প্রায়ই। সংবাদপত্রের আধেয় বিশ্লেষণ। অর্থাত বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়বস্তু নিয়ে তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ বিশ্লেষণ। আজ আমি এই দৈনিক নতুন সময় পত্রিকাটির ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রকাশিত সংস্করণটির আধেয় বিশ্লেষণ করবো। সংক্ষেপেই করবো। নিজের মতো করে করবো। ছাত্রজীবনের মতো করে নয়। একজন সাধারণ পাঠকের দৃষ্টি দিয়ে। যদিও সাধারণ পাঠকের দৃষ্টি নিয়ে আমার পক্ষে বিশ্লেষণ করাটা খুব কঠিন হয়ে যাবে।



নতুন সময় পত্রিকার ১৪ ডিসেম্বর সংখ্যার প্রথম পাতা



পত্রিকাটির প্রধান সংবাদটি দেখুন। 'পরকীয়ার কারনেই খুন'। লিংকটি ওপরে শেয়ার করেছি। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। মনে হচ্ছে না, রিপোর্টার ইমরান আলী গাঁজা খেয়ে রিপোর্টটি লিখতে বসেছে? তার সূত্র কে? গোয়েন্দা সংস্থা! আমি যদি বলি, গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, 'ইমরান আলী একজন প্রথম শ্রেনীর গাঁজাখোর'? এরপর এটা ব্লগে তুলে দেই! তাহলে কি বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে গেলো?

ইমরান আলী লিখেছেন : 'সূত্রমতে, তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তারা দুটি বিষয়ে ধারণা করছেন, এর একটি হলো .....' না। বাকিটা আমার মুখে আসছে না। যাহোক। উদ্ধৃত লিংক পড়ে জেনে নেবেন কি লিখেছেন তিনি। আমার প্রশ্ন: আমরা সবাই জানি, নৃশংস ওই হত্যাকান্ডের একমাত্র সাক্ষী মেঘ। যদিও বলা হচ্ছে মেঘকে অন্য রুমে আটকে রেখে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। আর বাকি দুজন সাক্ষী হলো হত্যাকারীরা। যারা এখনো ধরা পড়েনি বলে নিশ্চিত করা হয়েছে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফ থেকেও। তাহলে: মিস্টার ইমরান আলী এতো নিখুঁত বর্ণনা কোথায় পেলেন? তার সূত্র কি স্বপ্নে পেয়েছে ঘটনার এই বিবরণ? তারপর বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় পত্রিকার সবচাইতে বড় রিপোর্টার ইমরান আলীকে সেই স্বপ্নের বিবরণ জানিয়েছে!



পৃষ্ঠা ৫ এর একটি প্রতিবেদন লক্ষ্য করুণ। সংবাদদাতা তানিয়া মমতাজ লিখেছেন 'সাগর-রুনির প্রেম বিয়ে হতাশা দুরত্ব খুন অতপর...'। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। একটি সুস্থ্য সবল স্বাভাবিক মানুষের জীবনে যা ঘটে থাকে: রোমান্স, প্রেম, বিয়ে, ঝগড়া, খুনসুটি, ক্যারিয়ারের উত্থান পতন, বিদেশ যাত্রা, ফিরে আসা...রুনি-সাগরের জীবনেও এর ব্যতিক্রম ছিলো না। তানিয়া মমতাজ তার অতি-দীর্ঘ ফিচারের চার কলাম জুড়ে সেই একান্ত ব্যক্তিগত অম্ল-মধুর জীবনের বিবরণ দিয়েছেন। নিহত দম্পতির বন্ধুদের বরাত দিয়েই লিখেছেন তিনি। এসব তথ্য সঠিক বলেই ধরে নিচ্ছি। কিন্তু সেসব বন্ধুদের নাম কি? তথ্যগুলোতো এমন কোনো স্পর্শকাতর কিছু না যে তাদের সেই 'বন্ধুরা' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকবেন! তারপরও যুক্তির খাতিরে মেনে নিচ্ছি, তানিয়া মমতাজ আপনি সঠিক। কিন্তু শেষটাতে এসে এ কি করলেন?

সূত্রের বরাত দিয়ে আপনি লিখেছেন: '....পুলিশ ওই ঘটনা বের করতে পারলেই বের হবে কারা খুন করেছে সাংবাদিক দম্পতিকে। কারা এ ঘটনার জন্য দায়ী। সাগর ও রুনির সহকর্মী ও বন্ধুরা বলেছেন, সবার আগে প্রয়োজন রহস্যের কিনারা করা। কি সে রহস্য, যা কি-না মেঘের মতো একটি শিশুকে এতিম করে দিতে পারে।'

মিস মমতাজ, আমি অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার অফিসে কোনো সমন্বয় নেই। আপনি যেখানে এখনো রহস্য খুঁজছেন, সেখানে একই দিনের পত্রিকার প্রথম পাতার প্রধান খবরে আপনারই এক সহকর্মী রহস্য উম্মোচন করে দিয়ে বলছেন, 'পরকীয়ার কারনেই খুন'। তিনি ঘটনার সময়কার নিখুঁত বর্ণনাও দিচ্ছেন।



তানিয়া মমতাজের ফিচার



এই পর্যায়ে এসে বিষয়বস্তু থেকে একটু দূরে সরে যাচ্ছি। নতুন সময়ের ১৪ ফেব্রুয়ারি সংস্করণের শেষ পৃষ্ঠার দিকে লক্ষ্য করুন। একেবারে নিচে বামের কলাম। 'মিলনের চারটি গোপন সূত্র'। বাহ! এই না হলে একটা রুচিশীল দৈনিক।

নতুন সময়: মিলনের চারটি গোপণ সূত্র







সম্পদাক ও প্রকাশক নাজমুল হক শ্যামল। আপনাকে জানাই বিনম্র অভিনন্দন। দারুন একটা পত্রিকা বের করেছেন আপনি! তবে, আপনার এই পত্রিকাটি দেখার পর থেকে সাংঘাতিক প্রতারিত লাগছে নিজেকে। আমি একজন সাংবাদিক, এটা ভাবতে প্রচন্ড লজ্জা হচ্ছে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:২৮

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: এই গুলাও পত্রিকা, ভাই আপনি হতাশ হবেন না। মাঝে মাঝে শুধু নিজের দিকে একটু সময় নিয়ে তাকাবেন, আর নিজেকে প্রশ্ন করবেন, আপনি আপনার সঠিক জায়গায় আছেন তো........ উত্তর হ্যা হলে, আর এদের দিকে তাকাবেন না। এগিয়ে চলুন....... সময়ই সকল সমস্যার সঠিক বিচার করবে।



আপনি এমন একটা বিষয়কে এত সুন্দর করে তুলে আনলেন, এটা প্রসংশনীয়।
তবে ওদের নাম বলে, প্রচার করে আদতে ওদের অনেক উপকারও করলেন।
এই দিক টাও খেয়াল রাখবেন...

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৩২

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: প্রচার যা হওয়ার এই সামুতে অনেক আগেই হয়ে গেছে। সামুর অনেক ব্লগারই এই গুজবকে ভিত্তি দেয়ার জন্য পত্রিকাটিকে রেফারেন্স হিসেবে টেনেছে এবং গ্লোরিফাই করেছে। তাই আর থাকতে না পেরে সামুতেই লিখলাম।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৫০

কথাফাজিল বলেছেন:

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৫৪

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: কারন কি? আমি দায়ী নই তো আবার?

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:১৫

নভেম্বর বলেছেন: ভাই, মাইন্ড খাইয়েন না। এই পত্রিকা গুলা মানুষ বাসের সীট মুছার লাইগা কিনে। পইড়া মজা পায়।ওই মজা লওয়া পর্যন্তই। কিন্তু এইটা ঠিক যে এখন মানুষ খালি এক পত্রিকা পড়ে কিছু সহজে বিশ্বাস করে না। আপনি আপানার নিজের অবস্থানে ঠিক থাকুন। সত্য কে ঢেকে রাখা যায় না। পোস্টে ++

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৩৭

অলস ছেলে বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণের সূত্র ধরে বলতে চাই, বাংলাদেশের প্রথম সারির পত্রিকাগুলোতে রাজনৈতিক এবং আদর্শিক কারণে এরচে' জঘন্য ভাবে হলুদ সাংবাদিকতা হয়। সাংবাদিকদের পক্ষপাতিত্বের কারণে সমাজে ন্যায় বিচারের পক্ষে সচেতন জনমত আর গড়ে উঠে না। সাংবাদিকরা এখন সত্য প্রকাশের মাধ্যম না হয়ে প্রোপাগানডা আর স্বার্থসিদ্ধির বড় খুঁটি।

তো, হঠাৎ এতোদিন পর আপনি প্রচনড মর্মাহত হয়ে গেলেন। সুন্দর। মূলধারার সাংবাদিক হিসেবে মর্মাহত হলেন, কনটেনট এনালিসিস করে বহু জ্ঞান দিলেন। আহা আহা, কি বিবেক!!! কারণ এখানে হলুদ সাংবাদিকতার শিকার হয়ে সাংবাদিক গোষ্ঠির কাপড় খুলে যাচ্ছে। (ব্যাক্তি রুনি কে আমি জানি না, কিন্তু বেশ কয়েকজন সাংবাদিক কে জানি)।

আমি বলি, বাংলাদেশে কৌশল করে স্লো পয়জনিং করে যে সাংবাদিকতার ধারা চলে আসছে তার একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেই আবির্ভূত হওয়া নতুন সময়কে অভিনন্দন। আপনাদের 'সিলেকটিভ জাসটিস' আর পর্দার আড়ালে খেমটা নাচা সুশীলগিরি নিপাত যাক।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪২

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না। তবে হালও ছাড়তে চাইছি না। কতিপয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কারনে পুরো পেশাটাকে কলুষিত মনে করারও কোনো কারন দেখছি না। মনে করছি, কোনো একটা পর্যায় থেকে হলেও শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়া উচিত।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫৬

িবিডেপম বলেছেন: আমিও এই ঘটনায় নতুন সময়ের বিরোধী।কিন্তু তথাকথীত শুশীল দৈনিক (আপনি যার সাংবাদিক মনে হচ্ছে) প্রথম আলো যখন জয়নাল আবেদীন ফারুকের মোবাইল হাতের ছবিকে ঢিল ছোড়ার ভঙ্গিতে ফারুক বলে ছাপালো, আপনের তখন প্রথম আলো ছেড়ে দিতে ইচ্ছে হয়নি? নাকি তথন ঠিক বিবেক কাজ করে নেই।আপনাকে প্রথম আলোর সাংবাদিক ভাবছি কারন, নতুন সময়ের বিপক্ষে যেখানেই কথা বলেছেন প্রথম আলোকে কেন বেঙ্গ করল, তা দেখিয়েছেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১০

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: আপনার ধারণা ভুল ভাই। আমি প্রথম আলোর সাংবাদিক না। আপনি লেখাটা খেয়াল করে পড়লে দেখতে পেতেন, প্রথমেই উল্লেখ করেছি, আমি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কাজ করি।

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১০

পিচ্চি পোলা বলেছেন: মামা, আপনি সব ব্লগে নতুন সময় নামের এই টয়লেট টিস্যুপেপারের (সরি নিউজপেপারের) লিংক ছড়াচ্ছেন কেন? আসলে আপনার উদ্দেশ্য এই মফিজমার্কা পত্রিকার ওয়েবসাইটে ভিজিটর টানা। প্রশংসা করে লিংক দিলে সবাই সন্দেহ করবে, আপনি কট খেয়ে যাবেন একারণে সমালোচনার কৌশল নিয়েছেন। লাভ নাই। বাঙালী এখন আর আবুল নেই।
তারপরেও আপনি নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান মনে করেছেন এজন্য অনেক ধইন্যবাদ। :-0

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১২

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: বাঙালী আবুল নাই জেনে খুব ভালো লাগলো। আর আপনি যদি সামুর নিয়মিত পাঠক হন, তাহলে দেখতে পাবেন, অনেক আগেই অনেক বন্ধু এই লিংক ছড়িয়েছে। আমার মতো সমালোচনা করে নয়, প্রশংসা করে। আমিও সেখান থেকেই এর অস্তিত্ব জেনেছি।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৪৬

িবিডেপম বলেছেন: ভাই সবই তো বুঝলাম।কিন্তু এই ডাকাত কিসিমের লোকটার ছবি পেলেন কৈই?আপনার আবার বন্ধু না তো?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০৪

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: ঐ লোকটাই আলোচ্য পত্রিকাটির সম্পাদক কাম প্রকাশক। সাংবাদিক যেহেতু, বন্ধু তো বটেই!

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১৭

সুইট টর্চার বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম, পরে কমেন্টস করব। আগে দেখি সারোয়ার-রুনীর তদন্ত কোন দিকে যায় :P

৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৩

হাবীব কাইউম বলেছেন: ***

১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২২

কাজল আব্দুল্লাহ বলেছেন: aita ekta potrika r telapoka ekti pakhi¡¡¡ jaroj sontan jemon thake, jaroj potrikao temni thake.

১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৩

সবুজ সাথী বলেছেন: অলস ভাইয়ের মন্তব্যে পাঁচতারকা।

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৮

মামদো ভুত বলেছেন: আমার একটি পোস্ট কিছুক্ষন আগে মুছে ফেলা হয়েছে।
কারন আমি দুজন প্রতিশ্রুতিশীল সাংবদিকের মৃতু্য নিয়ে আজেবজে কথা বলেছি।
আমি খুবই লজ্জিত।
আমি খুবই লজ্জিত। হই যখন আমার সাংবদিক ভাইয়েরা আম জনতার হত্যা সংবাদে ক্যামেরা রাস্তায় রেখে বসে পড়ে না।
আমি খুবই লজ্জিত। যখন আমার সাংবদিক ভাইয়েরা একটি মাসুম শিশু সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেলে রাস্তা অবরোধ করে না।
আমি খুবই লজ্জিত। যখন আমার সাংবদিক ভাইদের কলম সময়ের ফেরে থেমে যায়।
আমি খুবই লজ্জিত। যখন জানি না কবে আমি সেইফ হব।

১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০২

জানালার বাইরে বলেছেন:
এইসব পত্রিকার খবরে বেকুবরা ছাড়া কেউ অবশ্য পাত্তাও দেয়না ভাই।আর বেকুব রা তো বেকুব ই।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫২

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: সমস্যা হলো। কিছু মানুষ এইসব পত্রিকার নিউজ দেখে আঁকড়ে ধরে। সপক্ষে ব্লগ লেখে। বিশ্বাস করে। অপরকে বিশ্বাস করায়। ছড়ায়। তারা সংখ্যায় খুব অল্প হলেও এ সমাজেরই অংশ। বাজার থেকে আমরা যেমন টিপে-টুপে ভালো জিনিসটা কিনতে চাই। গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হওয়া উচিত না। এখনই সময় এইসব আবর্জনা পরিষ্কার করার। শুধু পাঠক-বা সাংবাদিক মহল থেকেই নয়। সরকারি পর্যায় থেকেও হতে হবে। কারণ এরা সরকারের তোষণ করে সরকারি বিজ্ঞাপন আদায় করে। আর সরকারি এসব বিজ্ঞাপণই এদের বেঁচে থাকার ফূয়েল জোগায়। নগ্ন মিথ্যাচার করার আস্পর্ধা বাড়ায়। এভাবেই টিকে থাকে শ্যামলরা। যাদের রাস্তায় ঝাড়ুদার হবার যোগ্যতাও নেই।

১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫০

সত্য ভাষণ বলেছেন: এই শ্যামল এক সময় আমাদের সময়ে চাকরি করত। প্রথম দিকে আইটি সাংবাদিক, পরে ডিজিটাল সময় নামে একটি ম্যাগাজিন বের হতো তার নেতৃত্বে।
আর আহরার হোসেন আগে এনটিভিতে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করত। এখন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে কাজ করে।
তবে আহরার এর প্রতিবেদনের বক্তব্যে আমি একমত। আবার পরকীয়া কিনা এমন সম্বাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায়না। যতদুর মনে হচ্ছে ঘটনাটিকে ঢেকে ফেলে অন্য কিছু প্রমানের চেষ্টা চলছে...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৬

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: সেই সম্ভাবনা আমিও উড়িয়ে দেইনি সত্য ভাষণ। আমি যেটা বলতে চাইছি, সত্য প্রকাশ এক জিনিস আজ গুজব ছড়াতে সাহায্য করা অন্য জিনিস। পরকীয়া হোক বা অন্য কিছু হোক সেটা তো কেউ এখনো নিশ্চিত করেনি। আমরা তো খুনের মামলার রায় না হওয়ার পর্যন্ত আসামীকে অভিযুক্ত বলি, খুনী বলি না! তাহলে এক্ষেত্রে এমনটি ঘটবে কেনো?

১৫| ১৭ ই মে, ২০১২ রাত ৮:৪৭

অনন্ত আরেফিন বলেছেন: এটা আমাদের পত্রিকা গুলোর একটা কমন সমস্যা। ঘটনা প্রমাণিত হবার আগেই এর সমাধান দিয়ে ফেলতে তারা পছন্দ করে।

সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন। ধন্যবাদ।

১৯ শে মে, ২০১২ রাত ৩:২৩

আহরার হোসেন আরিফ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.