![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৭১, ১৯৯০ আমরা সবাই ছিলাম একে অন্যের জন্য, আমরা তো এই দেশ এই দেশের মানুষের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম নির্দ্ধিায়, আমরা তো সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলাম যার যেমন সার্মথ্য সেই ভাবে, তবে আজ কেনো এতো অনীহা আমাদের, আজ কেনো আমরা শুধু আমাদের কথাই ভাবি, কেনো আজ আমরা বড্ড স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বসে আমরা কয়েকশ টাকা একবারেই খরচ করি, প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে কথা বলতে প্রতিদিন রিচার্জ করি, মাসে মাসে নতুন কাপড় বানাই, পড়ায় উন্নতি করার জন্য কয়েকজন টিউটর রাখি, প্রতিদিনে হাত খরচের জন্য বাবা মায়ের কাছ থেকে ১০০/২০০টাকা পাই। এতো সুযোগ সুবিধার জন্যই কি আমাদের বিবেক আজ অনুভুতিশুন্য। পিৎজ্জা হাট বা কেএফসিতে একটা বার্গার বা একটা পিৎজ্জা খেয়ে ফেলছি কয়েকশ টাকা খরচ করতে কিন্তু যখন কিছু অসহায়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানোর প্রয়োজন তখন নিজেকে ছাত্র ভাবছি, তখন নিজেকে কম বেতনে কর্মরত কমচারী ভাবছি, তখন ভাবছি আমার ব্যবসায় এই মাসে মন্দাবস্থায় আছে, কতো অজুহাত আজ আমাদের কাছে।
এতো কিছু লিখছি ক্ষোভে? না ক্ষোভ নয়, অনুভুতিহীন বিবেকের অনুভুতি জাগ্রত করতে নিজেকে ধীক্কারের হাত থেকে রক্ষা করতে, এই আমি এক সময় ভাবতাম নিজের উর্পাজনের টাকা কেন অন্যের জন্য খরচ করব, কি পাব তাতে, কিন্তু এক সময় নিজেই বিবেকের কাছে লজ্জিত হলাম, একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই এই পরিবর্তনের, আমার প্রথম চাকুরী শুরু ২০০৩ সালে, নিয়মিত টিএসসিতে যাতায়াত। আমার এক বন্ধু ছিলো বাঁধন, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠনের সভাপতি। একদিন টিএসসিতে আড্ডা দিচ্ছিলাম একজন জীর্ণ অসহায় মহিলা (তখন দেখে তাকে তাই মনে হচ্ছিল) আসলেন শুনলাম উনার একমাত্র ছোট্ট বাচ্চার জন্য রক্তের দরকার। প্রায় রক্ত দিতে হচ্ছে। এতো রক্ত তখন যোগাড় করা সম্ভবপর ছিল না, উনি উনার বাচ্চার জন্য ব্লাড দিতে ডোনার খুজে দিতে আমায় অনুরোধ করলেন, আমার অনুরোধে একজন রাজি হলো, আমরা গেলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজে, রক্ত দেয়ার জন্য। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে রক্ত নেয়া হলো। ফেরার দেখি ভদ্র মহিলা কাঁদছে, আমরা কি বলব বুঝতে পারিনি, পরে আরো কয়েকবার রক্ত যোগাড় করে দিয়েছিলাম। ভদ্র মহিলা আমার আমার মাথায় দোয়ার হাত রেখে বলেছিলেন, তুমি অনেক বড় হবে বাবা। মানুষের জন্য তোমরা মনে যে মায়া তা আজীবন রেখো, যেভাব পার এই হাতটাকে গুটিয়ে রেখ না” আমি তার কথা আজো ভুলতে পারিনা, আমি এরপর থেকে চেষ্টা করে গেছি আমার সার্মথ্য অনুযায়ী কিছু করতে, না খুব বেশী কিছু করতে পারিনি, ইচ্ছার অভাবে বা সামর্থ্যের অভাবে, অনেক সময় অনেক কিছু অবহেলা করে যাই, বিবেক যখন আমাকে ধীক্কার দেয় তখন চেতনায় ফিরে আসি।
এতো কথা লেখার কিছু কারণতো আছেই, দেশে প্রতিবছর কোন না কোন দূর্যোগ আসেই, হয় বণ্যা না হয় সুনামী না হয় প্রচন্ড শীত। এই বছর শীত ঋতুর শুরু থেকে ঠান্ডা পড়া শুরু হয়েছে, প্রতিদিনি কিছু এলাকার মানুষ ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে। র্ত এই মানুষগুলো আশার চোখ নিয়ে পথ চেয়ে থাকে, কেউ পায় কেউ পায় না।
শীত আমাদের কাবু করে দিচ্ছে, সোয়েটার, শাল, হাতমুজা, পা মুজা, মাফলার, টুপি, কোর্ট, কতো কিছু পড়ছি আমরা অথচ ওই মানুষগুলো বহু আগে পাওয়া চাদর জড়িয়ে বসে আছে একটা চাদরে ২/৩জন। একটু পর পর খড় জ্বালাচ্ছে ঠান্ডার হাত থেকে বাচতে, ঠান্ডায় কেড়ে নিচ্ছে ছোট ছোট শিশুদের সাথে বয়স্কদের তাদের কাছ থেকে। স্বজন হারানো কষ্টে তারা এখন কাঁদতেও পারে না, কারণ এই কান্না দেখার লোকও যে এখন নেই। এখন মানুষগুলোতো বিবেকশুন্য, মানুষগুলোতো স্বার্থপর। তারপরেও এই স্বার্থপর মানুষগুলোর জন্য পথ চেয়ে আছে, কারো না কারোতো বিবেক জেগে উঠবে আর তারা একটা চাদর, একটা সোয়েটার বা একটা কম্বল পাবে। সেই কারো না কারো বিবেক-এই বিবেকটা কি আপনার বা আমার জেগে উঠছে না? আমরা কি আমাদের একদিনের আড্ডার টাকা, একটা জামার টাকা, একসপ্তাহের রিচার্জের টাকা তাদের জন্য দান করতে পারি না, আমাদের আড্ডার ছোট্ট একটা অংশ কি তাদের দিতে পারিনা, একটা চাদর কেনার টাকা দেয়ার সামর্থ্য কি আমাদের নেই, একবার ভাবুনতো আপনার দেয়া একটা চাদর, আরেকজনের দেয়া একটা কম্বল এক সাথে করলে কতোগুলো পরিবার এই শীতের হাত থেকে রক্ষা পাবে, কতোগুলো শিশু একটু উম পাবে, কতোগুলো বৃদ্ধ/বৃদ্ধা দোয়ার হাত তুলবে?
আমার বা আপনার পক্ষে সম্ভব নয় একটি বা দুটি চাদর/ কম্বল নিয়ে তাদের কাছে যাওয়া, সেই কারণেই বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে আসেন আশা করেন আপনার একটু সাহায্যের, তারই একটি আমরা ক জন বন্ধু। আমরা কোন সংগঠন না। কয়েকজন বন্ধুর মিলিত প্রয়াস। যাদের বয়স মাত্র ২৮-৩২ এর মধ্যে, আগেও চেষ্টা করেছি। এবার প্রথমবার আমরা সাতক্ষীরা জেলায় যাবো। আজ আবার সেই সময় এসেছে আমাদের এগিয়ে আসার, সময় আমাদের অন্যের জন্য, একটু সহায়তার হাত বাড়ানোর সময়, যার যা সামর্থ্য আছে আসুন আমরা এগিয়ে আসি, আমরা আবার দেখিয়ে দেই আমাদের বিবেক মৃত নয়, আমাদের বিবেক জীবিত, আমরা আবার দেখিয়ে দেয় নিরাস্ত্র বাঙ্গালীরা যদি এক হয়ে শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে একটা নতুন দেশের জন্ম দিতে পারে তাহলে এই শীততো খুব ছোট্ট একটা বিষয় একেও আমরা পরাজিত করতে পারব, আমাদের দিকে চেয়ে থাকা মানুষদের আমরা নিরাশ করবো না।
সবশেষে একটাই অনুরোধ লজ্জা ভুলে এগিয়ে আসুন যার যা সার্মথ্য সেইভাবে, আমাদের এই কাজে আপনাকে সামিল করে দেশের অসহায় মানুষগুলোকে সাহায্য করুন, শুধু মনে করুন আমার আপনার একটু সহায়তা বাচিয়ে দিতে পারে অনেক গুলো পরিবারকে।
নগদ অর্থও পাঠাতে পারেন। আমরা আপনার অর্থের সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি আপনার প্রেরিত অর্থে শীতবস্ত্র কিনে পৌছে দিবো সেইসব অসহায় মানুষের কাছে।
শীতবস্ত্র পাঠানো ঠিকানাঃ
আরিফুজ্জামান মামুন
বাসা নং-২০০
এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুল কাঁচাবাজারের সামনে
অর্থ পাঠাতে পারেন
মোঃ আরিফুজ্জামান
সঞ্চয়ী হিসাব নং-৩৪২১০৭৪৮
সোনালী ব্যাংক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শাখা
[email protected]
অর্থ পাঠাতে পারেন
মোঃ আরিফুজ্জামান
সঞ্চয়ী হিসাব নং-219.200.22740
ঢাকা ব্যাংক
বিকাশ করতে পারেন
মোবাইল: ০১৭১৭৪৪৪৪৯৭
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমরা যদি আম্লিগ বিম্পির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি তাহলে কী করে বিবেক জাগ্রত হবে ভাই। আমাদের অবস্থা হলো দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে নেতা নেত্রী বড়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
পাগলা বস বলেছেন: ভালই লিখছেন , আপনার এই মহত উদ্দেশ্য সফল হউক , বাট লিখার শুরুতে মনে কিরছিলাম দেশে চলমান রাজনৈতিক দুর্যোগের কথা বলছেন।
