নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সারাদিন দৌড়ের উপর থাকাই- মানবজীবনের সার্থকতা।

মাতাল রাজ্জাক

মাতাল রাজ্জাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমজনতার(যারা ব্যাংকার নন) জন্য এই লেখাটা। এফ ডি আর তাহলে ক্যান করমু ?????? X(( X(( X((

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

টাকা ব্যাংকে রাখলে লাভ হয়, এটা আপনারা শুনেছেন। অনেকে হয়তোবা রেখে লাভ পেয়েছেনও। কেউ কেউ হয়তো আবারও রাখার কথা ভাবছেন। তবে আমার কথা যদি শোনেন, তবে বলবো, ‘টাকা ব্যাংকে রাখার চেয়ে বালিশের তলে রাখেন, কিংবা তোশকে ভরে সেলাই করে, ’বনের রাজা ওসমানের’ মতো’।
ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলি।
ধরি আপনার হাতে এখন এক লক্ষ টাকা আছে। আপনি ব্যাংকে রাখবেন। ১মাসের জন্য। ০৩ জানুয়ারী, ২০১৬, রবিবার রিকশা ভাড়া দিয়ে ব্যাংকে গেলেন। নতুন বছরের প্রথম দিনে একটা ভাল কাজ করবেন, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য। শুনলেন, সুদের হার ৬%(এটাই এ মুহুর্তে ভালো রেইট, অনেক ব্যাংক এর চেয়েও কম দেয়। যাই হোক, অন্তত: ৫০০ টাকা তো পাওয়া যাবে, এই ভেবে আপনি করলেন এফডিআর। ব্যাংক আপনার মূল্যবান ঘন্টাখানেক সময় খেয়ে আপনাকে ধরালো একটা সই করা কাগজ। ব্যাংকাররা যেটাকে বলে এফডিআর রিসিট।
০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬ আপনি যাবেন ব্যাংকে। এফডিআর ভাঙাতে। ব্যাংক আপনাকে কত টাকা দেবে জানেন? ****** টাকা। আপনি তো রেগেমেগে আগুন। ক্ষোভে ’মাননীয় স্পিকার’ হয়ে যাবেন ম্যানেজার সাহেবের রুমে। ‘এর মানে কি’?
ম্যানেজার সাহেব আবার নিপাট ভদ্রলোক, অমায়িক ব্যবহার। উনি বেয়ারা ডেকে আপনার জন্য কফি অর্ডার করবেন, তারপর আপনাকে বুঝিয়ে দেবেন হিসাব:
১০০,০০০ টাকায় ৬% হারে আপনি সুদ পেয়েছেন ৫০০ টাকা।
৫০০ টাকা সুদের উৎসে কর ১৫% হারে ৭৫ টাকা।(ধরে নিচ্ছি আপনার টিআইএন নাই, থাকলে উৎসে কর হতো ১০% হারে ৫০ টাকা।)
আর আপনার হিসাবে আবগারী শুল্ক কাটা হবে ৫০০ টাকা।
অর্থাৎ আপনি পাবেন (১০০,০০০+৫০০-৭৫-৫০০)=৯৯৯২৫টাকা। ম্যানেজার ভদ্রলোক অতি বিনয়ের সাথে আপনাকে জানাবেন যে, আপনাকে ব্যাংক ঠিকমতোই সুদ দিয়েছে। সরকারের নির্ধারিত চার্জ না নিয়ে ওনার কোন উপায় নেই। আপনি ব্যাপারটা নিশ্চয়ই বুঝবেন। না বুঝে উপায় থাকবে না আপনার।
অর্থাৎ আপনার লস হবে ১. নগদ ৭৫ টাকা, ২. যাওয়া অাসার রিকশা ভাড়া ৩. আপনার মূল্যবান কিছু কর্মঘন্টা।

সুত্রঃ জনৈক ব্যাংকার বন্ধুর কাছে ঈষৎ জ্ঞানপ্রাপ্ত

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কস্কি মমিন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

কি শোনাইলেন ভাই! পুরাই স্পিকার হইয়া গেনু!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

ঘটনা কি আসলেই এমন? হলেতো ভয়াবহ!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

মাতাল রাজ্জাক বলেছেন: খাইছে আমারে । আপনি তো হিট ব্লগার। আমার ব্লগে স্বাগতম

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

মাতাল রাজ্জাক বলেছেন: জি ভাইজান। আমি নিজেও ভাবছিলাম কিছু টাকা এফ ডি আর করে আর চাকুরী করতাম না । কি আর করা, কামলা-জীবনটা আরো ২/৩ বৎসর বেশি করা লাগপে X(( X(( X((

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আমার সিটি ব্যাংকে বাপের দেয়া ৯ লাখ টাকা আছে ( চলতি হিসাব) ,জমার ঠিক ছয়মাস পর থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১২ , ৫০০ টাকা করে সুদ পাচ্ছি কয়েকমাস ধরে ।
শুধু এই টাকা দিয়াই আমি ব্যাচেলার মানুষ , রাজার হালে দিন কাটাচ্ছি ।

ক্যামনে কি ?????।!!!!!!!!

আমার মনে হয় আপনি সরকারি ব্যাংক গুলার কথা বলছেন । যেমন সোনালি , রূপালি , অগ্রণী , জনতা ইত্যাদি ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

মাতাল রাজ্জাক বলেছেন: ভাইজান আপনি মনে হয় ২০১৫ আগে এফ ডি আর করেছেন । পাশাপাশি ১ মাসের জন্য ও আবগরী শুল্ক আর ১ বৎসরের আবগরী শুল্ক একই পরিমান। আমি ২০১১ সালে যে এফ ডি আর গুলি করেছিলাম তা থেকে যে সুদে টাকা পাই ২০১৫ তে যে এফ ডি আর করেছিলাম তার চেয়ে কম সুদে টাকা পাই । আমি মুলত ২০১৬ সালের ১ মাস মেয়াদি এফ ডি আর এর হিসেবটা উল্লেখ করেছি। এফ ডি আর ম্যাচিউর হইলে ব্যাংক কিছু ফাও টাকা কেটে রাখে :-&

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

হানিফঢাকা বলেছেন: সুদের হার নির্ভর করে অর্থনীতির উপর অথবা অর্থনীতি নির্ভর করে সুদের হারের উপর। ২০১১-১৩ এই সময়ে শেয়ার মার্কেট ধস, ডলারের মুল্য বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্কিং খাতে কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারনে ইকনমিতে তারল্য সঙ্কট দেখা দেয় যার ফলে ঐ সময় সুদের হার অনেক বেশী ছিল।তারল্য সঙ্কট এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে এই কারনে অনেক ব্যাঙ্ক হুমকির সম্মুখে পড়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যঙ্ক সেই সময় সুদের হার নিয়ন্ত্রনের জন্য সর্বচ্চ সুদের হার বেধে দেয় যা ছিল ১৪-১৪.৫ %। কিন্তু ঐ সময় অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে অনেক ব্যঙ্ক টাকার জন্য ১৫.৫% পর্যন্ত সুদ দিতে বাধ্য হয়। নন ব্যাঙ্ক ফাইনানশিয়াল ইন্সটিটিউশনের অবস্থা ছিল আরও খারাপ।

গতবছর থেকে আরও স্পষ্ট করে বললে ২০১৩-১৪ সাল থেকে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ না হবার কারনে ব্যাঙ্কে তারল্য বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালের শেষের দিকে ব্যাঙ্কের তারল্যের হার এত বেশী হয় যে আমানতের বিপরীতে সুদের হার কমতে কমতে এক অঙ্কে নেমে আসে। জনতা ব্যাঙ্ক সহ সব ব্যাঙ্ক এফ ডি আর এবং ডিপিএস এর বিপরীতে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনেন। এখন ব্যাঙ্ক প্রচুর টাকা নিয়ে বসে আছে, কিন্ত লোণ দিতে পারছে না। এই কারনে এই অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারী বা বিনিয়োগকারীদের জন্য তেমন কোন অল্টারনেটিভ ইনভস্টমেন্ট ইন্সট্রুম্যন্ট বা ভ্যাহিক্যাল নাই। যে অপশন আছে তা হচ্ছে সঞ্চয়পত্র, ব্যাঙ্ক ডিপোজিট এবং শেয়ার মার্কেট। কোন অরগানাইজড বন্ড বা ডেবট মার্কেট নাই। শেয়ার মার্কেটের অবস্থা ২০১০ এর ডিসেম্বর থেকে খারাপ, ব্যঙ্কের আমানতের উপর সুদের হার কমেছে। সঞ্চয়পত্রে যদিও সুদের হার কমেছে, তারপরেও এখনও এটা ব্যাঙ্ক থেকে অনেক বেশি সুদ দেয়।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাক্তি ক্ষেত্রে করনীয় হচ্ছে কখনোই দীর্ঘ মেয়াদী সঞ্চয়ে না যাওয়া। সবসময় স্বল্প মেয়াদী সঞ্চয়ে যেখানে সুদের হার বেশী সেখানে সঞ্চয় করা। সুদের হার যখন বাড়বে তখন সেই টাকা তুলে নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সঞ্চয়ে টাকা লক করা। যেমন যারা ২০১১-১২ সালের দিকে ১৩-১৪% রেটে দীর্ঘ মেয়াদী এফ ডি আর, ডিপিএস বা মাসিক আয় সঞ্চয় করেছেন তারা কিন্তু এখনও সেই সুফল পাচ্ছেন যেখানে এখন এই রেট ৭-৯%।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মাতাল রাজ্জাক বলেছেন: "এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাক্তি ক্ষেত্রে করনীয় হচ্ছে কখনোই দীর্ঘ মেয়াদী সঞ্চয়ে না যাওয়া। সবসময় স্বল্প মেয়াদী সঞ্চয়ে যেখানে সুদের হার বেশী সেখানে সঞ্চয় করা। সুদের হার যখন বাড়বে তখন সেই টাকা তুলে নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সঞ্চয়ে টাকা লক করা। যেমন যারা ২০১১-১২ সালের দিকে ১৩-১৪% রেটে দীর্ঘ মেয়াদী এফ ডি আর, ডিপিএস বা মাসিক আয় সঞ্চয় করেছেন তারা কিন্তু এখনও সেই সুফল পাচ্ছেন যেখানে এখন এই রেট ৭-৯%। "- ধন্যবাদ

হানিফ ভাই - অর্ধেক কথা আমার মাথার উপরে দিয়ে গেছে রে বস :( আমি সোস্যাল সাইন্সের স্টুডেন্ট আছিলাম । তবে আপনার পরামর্শ আমার অনেক কাজে আসবে। এখন নাকি ডলারের দাম কম। চিন্তা করতেছি টাকা দিয়ে ডলার কিনে রাখবো, দাম বাড়লে বিক্রি করে দিব যদিও ধারনা নাই কতো লাভ হবে ।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৭

সুমন কর বলেছেন: আবগারী শুল্ক কি বছরে একবার কাঁটে !!

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: দুঃখিত ওটা সঞ্চয়ী হিসাব হবে ।

চলতি হিসাবে সম্ভবত সুদ নেই ।

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১১

ভারসাম্য বলেছেন: টাকা একমাসের জন্য রাখলে লস তো হবেই। ৬% হারে একলাখ টাকায় বছরে সুদ আসবে ৬০০০ টাকা। বছর শেষে সরকারি ট্যাক্স হিসেবে ১০০০ টাকার মত কাটা যাবে। এখন আপনি যদি এক মাস পরেই ভাঙাতে যান, তাহলে আবগারী শুল্ক, ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ তো মাফ হয়ে যাবে না।

আপনার ব্যাংকার বন্ধুর দেয়া ব্যাখ্যাটা ঠিকই আছে, কিন্তু আপনি এক মাস আর এক বছরের প্যাঁচটা বুঝেন নাই। :P

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

আহলান বলেছেন: এক মাসের জন্য কি এফডিআর হয়? ন্যুনতম ৩ মাস না?

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

দ্বিতীয় আমি - আমার ভিতরের লুকায়িত মানুষ বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই, সুদ হারাম।
আর আবগারি শুল্ক বছরে একবার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.