![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক’দিন আগেই আমি পা রেখেছি বিশে’র ঘরে
জানি এর সাতে আর এক যোগ করলে একুশই হবে।
তবুও বড় আফসোস!
সত্যিকারের একুশ দেখা হয়নি বলে, কারন
বিধাতা আমার চক্ষুদ্বয়কে স্বর্গীয় করে রেখেছিলো তখন
তাই যাওয়া হয়নি সেই সত্যের মিছিলে।
একদিন চক্ষু পেলাম, পেলাম তার মাঝে আলো
শুরু হলো আলোর পথিক হয়ে পথ চলা
খুঁজে পেয়েছি তখন ইশ্কুলঘর, আর চোখ মেলে দেখেছি কালো কাঠের ফলকে
সুজন স্যারের সু নিপুন হস্তে অঙ্কিত শুভ্র চকের আভরনে ক খ অ আ
কালো রাত্রির পিঠে ঐ চাঁদের অক্ষরগুলো
অন্তরে আমার বুনে দিয়েছিলো মায়াবতী এক জাল,
কার, অথবা কিসের মায়া?
সেটা বুঝবার প্রচেষ্টায় ঘেমে উঠেছিলো আমার শিশু কপাল।
তারপর ক্ষণে ক্ষণে শুনেছি আর জেনেছি!
অক্ষরসমূহের করুণ ব্যথার বিজয় ইতিহাস,
তখন দেখি রক্তের স্রোতে ভেসে যেতে চাইছে আমার
প্রাণোদ্যানের ঘুমিয়ে থাকা চারু সবুজের ঘন ঘাস।
এরপর মিনারের সিঁড়িতে যখন দেখেছি
পড়ন্ত বেলার লাল সূর্যের রক্তিম আভা,
আর তার সাথে খুব মিল ঐ কৃষ্ণচূড়ার ডালের,
তখন ঠিক বুঝে নিয়েছি ,
এই স-ব কিছুই বেদনামুখর তৃপ্তির হাসি -
রফিক, জব্বার, বরকত আর সালামের।
অক্ষরগুলুকে ঘিরে হওয়া রহস্য-রাত্রির
আজ হলো ঠিক প্রত্যুষ,
তবুও মন ভেজা স্বরে বলে উঠে উফ্!
দেখা হলো না বায়ান্নের একুশ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
আহমাদ মাগফুর বলেছেন: সুন্দর এবং শুদ্ধ হয়। অনেক ভালোবাসা নিবেন!
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: অসাধারণ মহান একুশ নিয়ে লেখা । খুব ভাল লাগলো আপনার অতীতে অংশগ্রহণ না করতে পারার আফসোস, যা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসারই প্রকাশ ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪
আহমাদ মাগফুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যর জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয়।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। তবে এমন কবিতায় বানানের দিকে বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
আহমাদ মাগফুর বলেছেন: একদম। হয়তো নিমগ্নতা কম ছিলো আমার। শুধরে নিবো। ভালো থাকবেন!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
সুমন কর বলেছেন: তখন ঠিক বুঝে নিয়েছি ,
এই স-ব কিছুই বেদনামুখর তৃপ্তির হাসি -
রফিক, জব্বার, বরকত আর সালামের। -- পুরোটাই চমৎকার হয়েছে। +।
অক্ষরগুলুকে < এখানে অক্ষরগুলোকে দিলে কেমন হয়?