নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আহমাদ মাগফুর। ৯৪ এ ময়মনসিংহে আমার জন্ম। স্কুল, কওমি আর আলিয়া -- সবার অবদান প্রাপ্ত হয়ে আপাতত আমি ‘মূর্খ কবি’ হিসেবে জীবনযাপন করছি। তাই আমার অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করে। জানতে ইচ্ছে করে, মানুষ কেন খুন করে! জানতে ইচ্ছে করে, মানুষ কেন ভালবাসে!

আহমাদ মাগফুর

অবশেষে তুমি নিরব হলে, নিভে যায় দিগন্তের বাতি। দিক ভুলে পিছু হাটতে হাটতে, বেড়ে যায় আঁধারের বেলা। পান্থপথের ফুটপাত মনে রাখে তোমার, মোমের মত নরম আঙুলের ছোঁয়া। ভুলে যাই তখন, দিগন্ত আমারও আছে। রৌদ্র নেই যদিও। নেই বসন্তের সুখময় রেখা। উত্তর দক্ষিণ সব কিছু ভুলে আমি তখন সে দিগন্তেই ঝুঁকি। বিকেলের শেষে যে দিগন্তে জ্বলে টুকটুকে লাল স্বপ্নের অনুশিখা। তাই সাধারণ চাওয়াটাই আজ হলো প্রতিবাদ। রাগে নয় অনুরাগে। শুধু একবার খুলে দাও দিগন্ত তোমার। সিঁথিতে সিঁদুর কি বা কবুল বলার আগে।

আহমাদ মাগফুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘটনা সামান্য...

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৪৮


হে মানবসন্তান, পশুদের প্রতি দয়া করুন
এমন নির্মমভাবে এদের হত্যা করবেন না প্লিজ
এরাও তো জীব, এদেরও তো আমাদের মতই জীবন আছে
আছে বেঁচে থাকার অধিকার, সে অধিকার তাদের দিন।

এই অধিকারের মূল্য দিতে গিয়েই একদিন আমি শাকসবজি
আর শস্যাদি খেয়ে জীবন পার করতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু বিজ্ঞানের কী নির্মম খেলা দেখুন,
বিজ্ঞান জানালো গাছগাছড়ারও নাকি জীবন আছে!

কী আর করা,
যেহেতু গাছগাছড়ারও জীবন আছে
তাই তাদেরকেও দিলাম বেঁচে থাকার অধিকার
আর আমি বেছে নিলাম প্লাস্টিক
হ্যাঁ বন্ধু, মানবতার দায়ে আজ আমি প্লাস্টিক খেয়েই বেঁচে আছি।


- আহমাদ (মানবতা) মাগফুর
মানবতা (কুরবানি) দিবস ২০১৮ বাংলাদেশ

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:০৮

আর্ফ জামান সুজন বলেছেন: প্লাস্টিকের চাল পাওয়া যায় শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম। চায়না পারলে সামনে প্লাস্টিকের মাংসও প্রস্তুত করবে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০২

আহমাদ মাগফুর বলেছেন: যাদের আমিষ খেতে বাঁধা নেই তাদের হল সমস্যা। তাদের খেতে হবে প্লাস্টিক। ব্যাপারটা মজার হত অতি আবেগীদের বেলা। দেখতে খুব ইচ্ছে করছে, তারা কি মানবতার দায়ে সত্যিই প্লাস্টিক খায় কি না! :)

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

ক্স বলেছেন: গাছ গাছালি খাবার একটা যুক্তি আছে। গাছের দাল ভাংলে অন্যদিক দিয়ে তা আবার গজিয়ে যায়, মানে গাছ তার ক্ষয় পূরণ করে ফেলে, কিন্তু প্রাণী তা পারেনা। তাছাড়া প্রাণিকে হত্যা করলে সে ব্যাথা পায়, কষ্ট পায়, কিন্তু গাছকে শিকড় সুদ্ধ উলটে ফেললেও সে কিছু টের পায়না।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২০

আহমাদ মাগফুর বলেছেন: *
যথেষ্ট ভুল তথ্য দিলেন। আর আপনার আবেগটাও যথেষ্ট ফালতু মনে হল। ৭১ এর যুদ্ধের পর আমাদের দেশে মানুষ কত ছিলো? আর তখন গবাদি পশুর সংখ্যা কত ছিলো? আজ আমাদের দেশে কত মানুষ? আর এই দীর্ঘ সময়ে প্রতি বছর কুরবানী সহ এত এত গবাদি পশু খেয়ে ফেলার পর তার সংখ্যা বাড়ছে না কমছে?

*
তার উপর সুন্দরবনে ৪০ বছর আগে বাঘের সংখ্যা কত ছিল? । হত্যা করা হয়েছে খবর পাওয়া যায় মাত্র ৩০টা। একটা বাঘও জানামত এখন্ও কেউ খায় নি। এখন বলেন বলেন বাঘের সংখ্যা বেড়েছে না কমেছে?

*
গাছের বেলাতেও বাঘের বক্তব্য। যা বরাবর কমেই আসছে।

*সুতরাং খেলেই খেলেই কমে যাবে এটা হলো আপনার শিশুসুলভ ধ্যান ধারণা।

< একটা দৈনিকের তথ্য দিলাম, বাকিগুলো আপনি পড়ে নিবেন!

‘‘অব্যাহতভাবে দেশে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার উৎপাদন বাড়ছে। এ কাজে বাড়ছে মানুষের আগ্রহও। কয়েক বছরে মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় গবাদিপশু পালনে আগ্রহী খামারিরা। তরুণ শ্রেণির মধ্যে পশু খামার গড়ার ঝোঁক লক্ষ্য করার মতো। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে দেশে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৪৫ হাজারে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩ লাখ ৮৮ হাজার বেশি। এর মধ্যে গরু ২ কোটি ৩৯ লাখ, মহিষ ১৪ লাখ ৭৮ হাজার, ছাগল ২ কোটি ৫৯ লাখ এবং ভেড়া ৩৪ লাখ। এ সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। দেশে গরু পালনের গরজটি আসে ভারত সরকার সীমান্ত দিয়ে গরু ঢুকতে কড়াকড়ির জেরে। ২০১৪ সালে মে মাসে ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গরু পাচার রোধে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এর আগে আনুষ্ঠানিক হিসাবে দেশে বছরে ২০ লাখের মতো গরু ভারত থেকে আসত।’’

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: ক্স বলেছেন: গাছ গাছালি খাবার একটা যুক্তি আছে। গাছের দাল ভাংলে অন্যদিক দিয়ে তা আবার গজিয়ে যায়, মানে গাছ তার ক্ষয় পূরণ করে ফেলে, কিন্তু প্রাণী তা পারেনা। তাছাড়া প্রাণিকে হত্যা করলে সে ব্যাথা পায়, কষ্ট পায়, কিন্তু গাছকে শিকড় সুদ্ধ উলটে ফেললেও সে কিছু টের পায়না।

কে বলেছে ভাই গাছ কষ্ট পায় না। গাছের একটা পাতা ছিড়লে ও গাছ কষ্ট পায়।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

আহমাদ মাগফুর বলেছেন: “বেশিদিন আগের কথা নয়, এই তো সে দিন পর্যন্ত মানুষ জানত না যে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। কিন্তু আমাগো পাড়ার কৃতী সন্তান বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত মানুষের ধারণা_ উদ্ভিদ জড়পদার্থ মাত্র। তিনিই লক্ষ্য করেন, উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। মানুষের মতো উদ্ভিদেরও রয়েছে আবেগ ও সুখ-দুঃখের অনুভূতি।”

পুরো লেখাটা এই লিঙ্ক এ পাওয়া যাবে..

https://forum.projanmo.com/topic27703.html

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: সসহমত।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

আহমাদ মাগফুর বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর। পাঠ এবং অভিব্যাক্তির জন্য। :)

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

ক্স বলেছেন: আমাদের দাড়ি লোম কাটলেও আমরা ব্যাথা পাইনা। গাছের বৃদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে গাছের ডালপালা কেটে দিতে হয়। আমার গোলাপের চারা প্রতি সপ্তাহেই কোন না কোন ডাল কাটা লাগে, নাহলে ফুল ভাল করে ফোটেনা। লাউ গাছ কেটে শেপ করে দিতে হয়, নইলে লাঊ বড় হয়না। কাজেই ডাল পালা কেটে ফেললে উদ্ভিদের জন্য তা ভালই হয়। আমাদের মুসলমানির মত ব্যাপার আর কি!

বাঘের কোন যত্ন আত্তি নেই। কাঠুরিয়া, মাওয়াল এবং চোরা শিকারীদের উৎপাতে তাদের খাদ্য সংকট প্রবল আকার ধারণ করেছে। অসুখ বিসুখ হলে চিকিৎসাও পায়না। তাই বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে গরুর খাবারের প্রাকৃতিক উৎসের কোন অভাব নেই, রীতিমত ইন্ডাস্ট্রি করে গরুর খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সামান্য অসুখ বিসুখ হলেই ডাক্তার এসে চিকিৎসা করাচ্ছে, ওষুধ দিচ্ছে। মানুষের চেয়েও বেশি যত্ন এখন গরু ছাগলেরা পাচ্ছে।

গাছের কষ্ট পাওয়া একটা বিতর্কিত বিষয়। আমাদের শরীরে ব্যাথার অনুভূতি সৃষ্টি করে নার্ভ। যা ব্যথার অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌঁছে দিয়ে ব্যথা সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু গাছপালার এরকম কোন নার্ভাস সিস্টেম আছে বলে আমার জানা নেই। থাকলেও তা প্রাণীর মত এত সংবেদনশীল নয়। তাই প্রাণী হত্যাকে উদ্ভিদের সাথে তুলনা দেয়া ঠিক নয়।

আরেকটা কথা, ধান-গম-ডাল জাতীয় শস্যগুলো আমরা আহরণ করি ঐসব উদ্ভিদ মরে শুকিয়ে যাবার পর। কাজেই নার্ভাস সিস্টেম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এদের কেটে ফেললে কোন কষ্ট হবার কথা নয়।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

আহমাদ মাগফুর বলেছেন: আপনি যে আলোচনায় নামছেন সেটা হলো কম ভালো বেশি ভালোর ব্যাপার। এইটা রীতিমত ওয়াজ নসীহত টাইপ আর কি। আপনি কী খান, কেন খান? সেই মত অনুসারে আপনে খান না। যারা মত মেনে খায় এরা মূলত ধরমকে মেনেই খায়। এছাড়া প্রাণী খাওয়ার প্রতি নিজস্ব যে আবেগ সমূহ তৈরী হয়, তা সামাজিক করতে চাওয়া নিছক ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নয়। আদলে আপনিও সেই ভন্ডামীতেই আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.