নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিনের কোন শেষ নেই । এ এক অনন্ত ধারা....।

রক্তাক্ত-আমি

খুব বাজে স্বভাবের স্বর্থপর একটা বদ্ধ পাগল মানুষ আমি ! আমাতে কারো সুখ খুঁজতে নেই ! অনেক ইচ্ছা হয় ভালবাসবার, কিন্তু ভয় হয় মর্যাদা রক্ষার, তাই ভালবাসার সাথে আমার আঁড়ি, মাঝে মাঝে ভালবাসা আমাকে ধিক্কার দেয়, আমি প্রতিবাদ করতে পারিনা, মুখ বুজে মাথা নুইয়ে শুধু সয়ে যাই । অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি সৌন্দর্যে, একটু পরেই ঘোর কাটে, বুঝি সে আমার নয় ! এভাবেই কেটে যায় আমার না পাবার রিক্ত হস্ত জাগরিত প্রহরগুলো, আর দিবা - সে তো নিশির অপেক্ষার ব্যস্ততায় ! তাই অতৃপ্তির কষাঘাতকে অমরলোকীয় মেনে ভেতর থেকে কেউ বলে ওঠে - এই বেশ ভাল আছি ! জানি ভাল থাকতে নেই, ভাল মানুষ ভাল থাকেনা, নিজেকে ভাল বলে কখনো মনেও করিনা । শত বিপত্তির মাঝেও এই একটা সান্তনামূলক বাণীর গর্ভেই সন্তুষ্টি খুঁজে পাই । বার বার বাহুল্য দোষে দুষ্ট আমি, তাই বর্জনীয়, ঘৃণ্য, আর ভাগ্যের কাছে তো বার বারই অপদস্ত, নিগৃহিত, বিতাড়িত । খুব আশাবাদী, ওটাই বারবার সঞ্জীবণী শক্তি জুগিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে আমায় । বুঝেছি ভালবাসা না দিলে ভালবাসা পাওয়া যায় না, তাই তো এ জীবনে আর ভালবাসা হল না । ঝলসে যাওয়া এক নাগরিক আমি ।

রক্তাক্ত-আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫০০ টাকায় বাচ্চু রাজাকারের সীমান্ত পার !! (কপি-পেস্ট)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

মাত্র ৫শ টাকার বিনিময়ে বাচ্চু রাজাকার (আবুল কালাম আযাদ) বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গেছেন বলে বাংলানিউজের অনুসন্ধানে এ তথ্য বের হয়ে এসেছে।



বাচ্চু রাজাকার ভারত হয়ে পাকিস্তান চলে গেছেন এমন খবরের ভিত্তিতে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে দিনাজপুরের বাংলা হিলি সীমান্ত এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়।



জানা যায়, মাত্র ৫শ টাকায় দালাল আজিজুল হক মুন্সী ২০১২ সালের ২ এপ্রিল রাতে বিজিবি সদস্যদের ‘ম্যানেজ’ করে বাচ্চু রাজাকারকে বাংলাদেশ সীমান্তের ২৮৫/১১এস পিলারের কাছ দিয়ে দিনাজপুরের বাংলা হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পার করে দেন।



তখন আজিজুল জানতেন না যে, ‘বাচ্চু রাজাকার’-কেই পার করে দিলেন, এমন কথাই বাংলানিউজকে জানিয়েছেন তিনি।



এর আগে ৩০ মার্চ একটি কালো গ্লাস যুক্ত (টিনটেড) মাইক্রোবাসে করে বাচ্চু রাজাকার ও তার ছেলে শাহ মোহম্মাদ ফয়সাল আযাদ ঢাকা থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর এলাকার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাশেম আজাদের কাছে আসেন।



আবুল কাশেম বাচ্চু রাজাকারের ঘনিষ্ঠজনদের একজন বলে জানা গেছে।



সেখানে (হিলি) আবুল কাশেম আজাদেরই মালিকানায় আবাসিক হোটেল ক্যাপিলাতে বাচ্চু রাজাকার ও তার ছেলে শাহ মোহম্মাদ ফয়সাল আযাদ ৩ দিন অবস্থান করেন ।



এর পর ২রা এপ্রিল সন্ধ্যায় দালাল আজিজুল হক মুন্সীর সহযোগিতায় হিলি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যায় বাচ্চু রাজাকার।



মাত্র ৫শ টাকায় সীমান্ত পার হন ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামি আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার।



এদিকে, বাচ্চু রাজাকার সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর টনক নড়ে প্রশাসনের। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর হয়।



৭ দিন পর অর্থাৎ ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল বাচ্চু রাজাকারকে পালানোর সহযোগিতা করার অভিযোগে ক্যাপিলা আবাসিক হোটেলের মালিক ও হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাশেম আজাদকে র‌্যাব-৫ এর একটি দল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে হিলি থেকে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যায়।



এবিষয়ে র‌্যাব জানায়, আবুল কাশেম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা জানতে পারেন, হাকিমপুরের বিশাপাড়া মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক মুন্সী (৪৫), আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে হিলি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলেন।



আবুল কাশেম আজাদকে আটকের ২ দিন পর দালাল আজিজুল হক মুন্সীকে আটক করে হাকিমপুর থানা পুলিশ।



জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক স্বীকার করেন যে, মাত্র ৫শ টাকার বিনিময়ে বাচ্চু রাজাকারকে বাংলা হিলি সীমান্ত পার করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।



এর পর পুলিশ তাদের রাজধানীর উত্তর খান থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।



সম্প্রতি, হিলি স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও হোটেল ক্যাপিলার মালিক আবুল কাশেম আজাদ ও দালাল আজিজুল হক মুন্সী উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।



জানতে চাইলে আজিজুল হক মুন্সী বাংলানিউজকে জানান, তিনি যে লোককে সীমান্ত পার করিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ‘বাচ্চু রাজাকার’ নাকি অন্য কেউ, তা তিনি জানতেন না।



এবিষয়ে তিনি বলেন, “আমি টাকা পেয়েছি। তাই, বর্ডার পার করে দিয়েছি। এ ছাড়া আর কিছু জানিনা।”



উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে ফাঁসির আদেশ দেন।



তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে ১৪ জনকে হত্যা, ৩ জনকে ধর্ষণ, ৯ জনকে অপহরণ, ১০ জনকে আটকে রাখা, ৫ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ১৫টি বাড়িতে মালামাল লুণ্ঠনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: এখন তারে খোজার জন্য সরকার পাচ হাজ :P :P ার টাকা খরচ করুক!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০

রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: বাইরে থেকে ধরে এনে এ পর্যন্ত কয়টা বিচারের কথা শুনছেন ??

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

শূন্য পথিক বলেছেন: এখন আর লাভ কি?

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: ৫০০ টাকায় বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া যেতে !! আজব কাহিনী ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: যাবেন নাকি??

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: যাবেন নাকি??

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রবিনহুড বলেছেন: এই সব দালাদের কাছে রাজাকার আর প্রধানমন্ত্রী একই কথা, যার কাছে টাকা পাবে তাকেই পার করে দিবে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.