![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব বাজে স্বভাবের স্বর্থপর একটা বদ্ধ পাগল মানুষ আমি ! আমাতে কারো সুখ খুঁজতে নেই ! অনেক ইচ্ছা হয় ভালবাসবার, কিন্তু ভয় হয় মর্যাদা রক্ষার, তাই ভালবাসার সাথে আমার আঁড়ি, মাঝে মাঝে ভালবাসা আমাকে ধিক্কার দেয়, আমি প্রতিবাদ করতে পারিনা, মুখ বুজে মাথা নুইয়ে শুধু সয়ে যাই । অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি সৌন্দর্যে, একটু পরেই ঘোর কাটে, বুঝি সে আমার নয় ! এভাবেই কেটে যায় আমার না পাবার রিক্ত হস্ত জাগরিত প্রহরগুলো, আর দিবা - সে তো নিশির অপেক্ষার ব্যস্ততায় ! তাই অতৃপ্তির কষাঘাতকে অমরলোকীয় মেনে ভেতর থেকে কেউ বলে ওঠে - এই বেশ ভাল আছি ! জানি ভাল থাকতে নেই, ভাল মানুষ ভাল থাকেনা, নিজেকে ভাল বলে কখনো মনেও করিনা । শত বিপত্তির মাঝেও এই একটা সান্তনামূলক বাণীর গর্ভেই সন্তুষ্টি খুঁজে পাই । বার বার বাহুল্য দোষে দুষ্ট আমি, তাই বর্জনীয়, ঘৃণ্য, আর ভাগ্যের কাছে তো বার বারই অপদস্ত, নিগৃহিত, বিতাড়িত । খুব আশাবাদী, ওটাই বারবার সঞ্জীবণী শক্তি জুগিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে আমায় । বুঝেছি ভালবাসা না দিলে ভালবাসা পাওয়া যায় না, তাই তো এ জীবনে আর ভালবাসা হল না । ঝলসে যাওয়া এক নাগরিক আমি ।
সালটা ১৯৯৮ ।
আমার দাদা মৃত্যু শয্যায় । শেষ চেষ্টা চিকিৎসকদের । একটা ইঞ্জেকশন দিতে বলা হয় । ইনজেকশনটি আনা হয় দূর শহর থেকে । দেওয়ার আগে দাদা জানতে পারেন এটা পাকিস্তানে তৈরি ।
দাদা ছুড়ে ফেলে দেন অসুস্থ শরীরেও । পরে একই ওষুধের ব্যবস্থা করা হয় চীনের তৈরি । কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় । বিশেষ কাজে লাগে না সেই চিকিৎসা ।
কিন্তু সেদিনের আমার অশিক্ষিত গেঁয়ো দাদা যে চিকিৎসা আমাদের পরিবারে দিয়ে গেছেন তার সুস্থতা আজও বিরাজমান ।
২০০০ সালের পর কোন এক ঈদে সকাল বেলা সেমাই রান্না করতে গিয়ে নজরে আসে কুলসন সেমাই । আব্বু অর্ধরাঁধা সেই সেমাই কুকুর দিয়ে খাইয়ে দেন । সেমাই না খেয়েই আমরা দু'ভাই ঈদগাহে যাই ।
মহাপণ্য জামাত-শিবিরঃ
আশির দশক । আব্বু 'আমারই আম্মু'কে বিয়ে করতে রওনা হবেন । সাথে আমার বড় চাচা । দাদা চাচাকে ডেকে বললেন, খেয়াল রাখিস যেন কোন 'জামাতের মৌলবি' বিয়ে না পড়ায় !!
এবার নিজের ঢোল একটু পেটাইঃ
গতশীতে একটা লিপজেল কিনি ফার্মগেট থেকে । সপ্তাহখানেক ব্যবহার করছি । এরপর ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর হঠাৎ লক্ষ্য করি পাকিস্তানের তৈরি । রাস্তায় ফেলে আচ্ছা মত পাড়াই । কিন্তু ভুলটা যেহেতু আমারই, তাই আত্মশাস্তিস্বরূপ গত বছর মুখে কোন প্রসাধনী ব্যবহার করি নাই । ঠোঁট আমার যত্ন পায় নাই ।
দাদা চলে গেছেন । কিন্তু যেন যুগে যুগে তারুণ্যের জাগরণে তিনি ফিরে ফিরে আসেন । কোথা থেকে যেন তার হাস্যোজ্জল বদনখানি বারবার প্রেরণা যোগায় ।
স্যালুট দাদা, তোমাদের মতন আত্মমর্যাদাশীলদের চেতনার প্রহরীরা জেগে আজো আছে...
তুমি ঘুমাও নির্বিঘ্নে...ঘুমাও নিশ্চিন্তে...
তোমার সে প্রদীপের শিখা জ্বলবে,
জয়যাত্রার পথে অনন্তের শেষ প্রান্তে...
ফেসবুক লিঙ্কঃ Click This Link
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: :-)
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: জেগে উঠ বাংলার সকল মানুষ তাদের সবকিছু বর্জন করি। স্যালুট টু ইউর দাদা এন্ড ইউ
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: আমাকে দেওয়ার কিছু নেই । দাদার জন্য দোয়া করবেন । সংগ্রামের এই পথে আছি, থাকব, সকলে মিলে !
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭
নিশি মানব বলেছেন: স্যালুট দাদা, তোমাদের মতন আত্মমর্যাদাশীলদের চেতনার প্রহরীরা জেগে আজো আছে...
তুমি ঘুমাও নির্বিঘ্নে...ঘুমাও নিশ্চিন্তে...
তোমার সে প্রদীপের শিখা জ্বলবে,
জয়যাত্রার পথে অনন্তের শেষ প্রান্তে...
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৩
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন:
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫১
অপ্রচলিত বলেছেন: আপনার দাদার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৩
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: হ্যাটস অফ
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৬
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন:
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১০
নিয়েল হিমু বলেছেন: এত অনিশ্চয়তা , এত হতাশা সব ভুলে যাবার মত লেখা দিয়েছেন । অন্তরের অন্তস্ত থেকে সেলুট দাদাকে ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৬
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৯
হাতীর ডিম বলেছেন: আপনাদের পরিবারের জন্য সালাম।
জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৭
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু ।।
৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
কাফের বলেছেন: গভীর শ্রদ্ধার সাথে একটা স্যালুট আপনার দাদার প্রতি।
আমার বাড়ী কোনো পাকিস্থানী পণ্য যাতে না ঢোকে সে দিকে সব সময় খেয়াল রাখি।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৭
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন: হাত মেলান
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: স্যালুট দাদা, তোমাদের মতন আত্মমর্যাদাশীলদের চেতনার প্রহরীরা জেগে আজো আছে...
তুমি ঘুমাও নির্বিঘ্নে...ঘুমাও নিশ্চিন্তে...
তোমার সে প্রদীপের শিখা জ্বলবে,
জয়যাত্রার পথে অনন্তের শেষ প্রান্তে...
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪৮
রক্তাক্ত-আমি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: স্যালুট