নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থন কূটনৈতিক প্রতিবেদক

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯



যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। গত সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধে চলমান বিচারের প্রথম রায় ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রভাবশালী ওই দেশগুলো এই অবস্থান প্রকাশ করেছে। প্রথম রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ফেরারি মাওলানা আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তবে বিচারের বিরোধিতা না করলেও মৃত্যুদণ্ডবিরোধী নীতির কারণে রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য।

বিচারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মান বজায় রাখার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গত বুধবার এক বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতি সমর্থন জানান। ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চলমান বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এ ধরনের অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচারকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের যেকোনো বিচার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হতে হবে। নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদসহ বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষর করা সব আন্তর্জাতিক সনদের আলোকে বিচারের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মানও বজায় থাকতে হবে।'

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ তার স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত নৃশংসতার বিচার করছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র আরো কয়েকটি রায়ের অপেক্ষা করছে। আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে যথাযথ মান বজায় রাখতে ও আইনের শাসনের প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে বিচার প্রক্রিয়া চালাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ গত কয়েক বছরে বেশ কবার বাংলাদেশ সফর করে এ বিচারপ্রক্রিয়া বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলাদেশই তাঁকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

বিচারে সমর্থন জানালেও মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী যুক্তরাজ্য : বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতি যুক্তরাজ্য সমর্থন জানালেও মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেছে দেশটি। এ বিষয়ে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে দেশটির ফরেন অফিস মিনিস্টার ব্যারোনেস ওয়ারসির মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের উদ্বেগ প্রসঙ্গে ব্যারোনেস ওয়ারসি বলেন, 'আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্রুত এর উদ্বেগ নিরসন করবে।' তিনি বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার স্বাধীনতা, গুরুত্ব ও সুনাম বজায় রাখার তাগিদ দেন।

মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হতাশা : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা করে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেছে। ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ ক্যাথরিন অ্যাসটোনের পক্ষে তাঁর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, '১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শুরু থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাব্য ব্যবহার নিয়ে বারবার উদ্বেগ জানিয়েছে।'

বিবৃতিতে বলা হয়, আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ক্যাথরিন অ্যাসটোন দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রত্যাশা করে, বাংলাদেশ মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপ করবে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মনে করে জার্মানি : বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আলব্রেখট কনিয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন, সে সম্পর্কে আদালতের বাইরের কারো মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচারকাজ সম্পন্ন হচ্ছে কি না, তা দেখতে জার্মানি ও ইউরোপ আগ্রহী।

বিচার নিয়ে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয় বলে মনে করে ফ্রান্স : বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিশেল ট্রিনকুইয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, 'আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের যথেষ্ট ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয়েছে। আমরা তাঁর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তাই এ বিচার নিয়ে হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। অতীতের সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে, সেটি ঠিক করার দায়িত্ব প্রত্যেক দেশেরই নিজেদের বিষয়। কোনো কোনো দেশ ক্ষমা প্রদর্শনের নীতি অনুসরণ করেছে। আবার কোনো কোনো দেশ যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ট্রাইব্যুনাল চালু করেছে।'

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.