নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র-শিবির সভাপতি হুমকি দিয়েছেন, আটক ‘জামাত নেতাদের ব্যাপারে কোনো অন্যায় সিদ্ধান্তের আভাস পাওয়া মাত্রই সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৬





২১ জানুয়ারি ২০১৩ইং প্রথম একটি যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। ২৬ মার্চ ’৭১ইং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং সে বছরই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধী মামলার রায়ের ২১ জানুয়ারি ’১৩ইং দিনটিকেও বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের অবিস্মরণীয় একটি দিন বলে গণ্য হবে। একাত্তরে কতিপয় দালাল-রাজাকার ছাড়া প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অস্ত্রহাতে কিংবা অন্তর্গত বিশ্বাসে সকল বাঙালিই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর নামে-নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম রাজনৈতিক শক্তি। এতোকাল পরে সেই আওয়ামী লীগ যখন রাষ্ট্রক্ষমতায়, তখনই সম্ভব হলো যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার। রাজনীতির সাথে আমার কোনো প্রত্যক্ষ সংযোগ নেই, সুতরাং দলীয় দায়বদ্ধতাও নেই। কিন্তু রাজনীতির সচেতন দর্শক-পাঠক হিসেবেই লক্ষ করছি, মুক্তিযুদ্ধ থেকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার পর্যন্ত, অনস্বীকার্য যে, মূলত আওয়ামী লীগই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের উদ্যোক্তা এবং বাস্তবায়নের মূল অংশভাগী। মুক্তিযুদ্ধের সাথে যেমন বঙ্গবন্ধু মুজিবের নাম একান্তই অবিভাজ্য, ঠিক তেমনি যুদ্ধাপরাধী-বিচার তথা জাতীয় দায়-কলঙ্ক মোচনের ক্ষেত্রে অবিভাজ্য হয়ে থাকলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নাম। প্রকৃতপক্ষেই এটা দলীয় রাজনীতির কথা নয়, ইতিহাসের গৌরবময় স্বীকৃতি বলেই বিশ্বাস করি।



আজ অন্য কথায় যাবার আগে সশ্রদ্ধ-কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি আরেকটি নামÑ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। সকলেই স্মরণ করতে পারবেন, পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু-হত্যার ধারাবাহিকতার বেনিফিশিয়ারি জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসনে-দুঃশাসনে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ আর দায়বদ্ধতা যখন নির্বাসিত, দালাল-রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীরা যখন রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত এবং প্রবল ক্ষমতাধর, তখনই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানের মা জাহানার ইমাম আপন বুকের দুঃখের প্রদীপকে মশাল বানিয়ে দাবি তুলেছিলেন যুদ্ধাপরাধী বিচারের। পাঠক স্মরণ করতে পারবেন, আজ যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, সেই দালাল-রাজকাররা সেদিন চরম ধৃষ্টতায় এই সাহসী-মহীয়সী নারীর নাম বিকৃত করে বলতো-লিখতো ‘জাহান্নমের ইমাম’। আজ যখন যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বিচার শেষে রায়-ঘোষণা শুরু করেছেন, তখন পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি শহীদ-জননী জাহানারা ইমামকে।



স্মরণ করছি প্রয়াত অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, প্রয়াত অধ্যাপক আহমেদ শরীফ, প্রয়াত ভাষাসৈনিক গাজিউল হক, প্রয়াত আ.লীগ-নেতা আব্দুর রাজ্জাক এবং সেইসাথে শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুনসহ আরো অনেকের কথা। এমন অগণিত অগ্রসর-চিন্তার মানুষের সমর্থন-সহযোগিতায় জাহানারা ইমাম ১৯৯২ইং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা-দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে ‘গণ-আদালত’ বসিয়েছিলেন সেখানে সমবেত হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে আস্থাশীল হাজার হাজার মানুষ। সেই আদালতে ১০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তদানীন্তন জামাতের আমির গোলাম আযমের ‘প্রতীকী বিচার’ করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট বিচারক প্যানেলের প্রধান জাহানারা ইমাম রায় ঘোষণা করে বলেছিলেন, ‘১০টি অপরাধ মৃত্যুদ-যোগ্য’। আদালতের পক্ষ থেকে রায়টি কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তখন জামাত-প্রভাবিত বিএনপি সরকার সে রায় কার্যকরকরণের উদ্যোগের বদলে শহীদ-জননীসহ স্বনামে-সুনামে সুপরিচিত ২৪জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলা জারি করেছিল। ‘রাষ্ট্রদোহের মামলা’ মাথায় নিয়েই মারা গিয়েছিলেন শহীদ-জননী জাহানারা ইমাম। পরবর্তী সময়ে বিএনপির সমর্থন-সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধজয়ী বাংলাদেশের মন্ত্রী হয়ে বাড়িতে-গাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়েছিলেন নিজামী-মুজাহিদ প্রমুখ অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীরা। প্রকৃতপক্ষেই একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিজয়ীর লেবাসে ফিরে এসেছিল পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে।



দুই. যুদ্ধাপরাধী বিচারের ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে ‘বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসি’ ঘোষণার পর দেশজুড়েই এমনকি বিদেশেও বাঙালি সাধারণ মানুষ এবং রাজনীতি-আইন-সংস্কৃতির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ একান্ত স্বাভাবিক কারণেই আনন্দ-স্বস্তি প্রকাশ করছেন। এতদ্বিষয়ক সংবাদ-ভাষ্যে ‘মুক্তপ্রাণের আভাÑ বিজয়ের নতুন স্বাদ’ শিরেনামে (জনকণ্ঠ, ২২জানুয়ারি) লিখেছে, ‘দীর্ঘ ৪১ বছর অপেক্ষার পর মুক্তপ্রাণের আভায় প্রজন্মের এগিয়ে চলার নতুন পথ তৈরি হলোৃ এই মাইলফলক বাঙালি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ’৭১-এর অপরাধ সৃষ্টিকারীদের একে একে অপসারিত করে প্রজন্মের কাছে দায়মুক্ত করবে।’ ‘ইতিহাসের দায় মেটালো বাংলাদেশ’ শিরেনামের (প্র.আ.২২ জানুয়ারি) প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, ‘ইতিহাসের সন্তান বাংলাদেশ আরেকটি ইতিহাসের জন্ম দিলো। ৃমানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ- দেয়া হলো। মানবতার ইতিহাসের এক রুদ্ধ দুয়ার খুললো এই ঐতিহাসিক রায়ে।’



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে দেশের জনগণের নবযাত্রা শুরু হলো। দেশবাসীকে দেয়া আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ হলো। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছি। এই রায়ের মাধ্যমে জাতির দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পূরণ হলো।ৃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ চলতেই থাকবে। ৃএ বিচারের পথ কেউ রুদ্ধ করতে পারবে না।’ ভবিষ্যতে কেউ (যেন) একাত্তরের গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য দেশবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। শেখ হাসিনা অবশ্যই রাজনীতির মানুষ, আ.লীগ দলীয় প্রধান। কিন্তু আজ প্রত্যেকেরই নিজের মনে বিবেচনা করে দেখতে হবে, শেখ হাসিনার বক্তব্যটি কি ‘রাজনীতির কথা’ নাকি যথার্থই জাতির দায়বদ্ধতার আন্তরিক অংশভাগী মানুষের প্রাণের কথা?



দেশের প্রখ্যাত আইনজীবীরা বলছেন, একাত্তরে যে জঘন্যতম গণহত্যা হয়েছিল তার প্রথম রায়ের মধ্য দিয়ে জাতির ৪১ বছরের গ্লানিমুক্তির সূত্রপাত ঘটেছে। কোনো অপরাধী আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না, তার বার্তা দেয়া হয়েছে।ৃ এ রায় প্রতিশোধমূলক নয়, তবে প্রতিষেধমূলক।ৃ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘একাত্তরে পৃথিবীর যে জঘন্যতম গণহত্যা, নারী-ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিলৃ তার প্রথম রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন নিশ্চিত করা হয়েছে। ৃজাতি মৌলিক মূল্যবোধ পুনঃস্থাপনের করার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছে।ৃ যুদ্ধের সময় যারা নির্যাতিত তাদের অনেক জীবিত নেই। এ রায়ের মাধ্যমে তাদের আত্মা স্বস্তি ও শান্তি পাবে।’



অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে তথা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চেয়েৃ সহযোগিতা করে আসছি। স্বভাবতই একজনের বিচার শেষ হওয়ায় স্বস্তিবোধ করছি।ৃ আশা করি অন্য মামলাগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন হবে।’ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘এই রায় আমাদের জাতীয় জীবনের একটি বড় অর্জন। ৃ আইনের ঊর্ধ্বে থাকার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল, এই বিচারের মাধ্যমে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।’ ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের পর্যবেক্ষণ, ‘এই বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন বিজয়ের দিকে যাত্রা করলো।ৃ প্রমাণিত হয়েছে, ১৯৭১ সালে জামাতে ইসলামী মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল।ৃ তারা ন্যায়বিচারের কাছে পরাস্ত হয়েছে। ঘাতক-দালাল নির্মূল (জামাত-কথিত ‘ঘাদানি’) কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ‘শহীদ-জননী জাহানারা ইমাম ২১ বছর আগে যে নাগরিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা এই রায়ের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখলো। ৃ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ ছিল জামাতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফের মন্তব্য, ‘জামাত যে যুদ্ধাপরাধীদের দল, তা এই রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আনন্দিত। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে দায়িত্বহীনতার সংস্কৃতি চলে আসছিল। এ রায়ের মাধ্যমে তার অবসান ঘটলো। আর ব্যথিত এজন্য যে, একজন ঘৃণ্য অপরাধী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে গেলো।’ সুধী পাঠক, এসব মন্তব্যের কোনোটিতে কি আপত্তি আছে আপনার?



তিন. এবার একই রায় প্রসঙ্গে বিএনপি-জামাতের প্রতিক্রিয়ার কথা। রায় ঘোষণার আগের দিন বিএনপি-নেতা এম কে আনোয়ার বলেছিলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু রায় ঘোষণার পর তিনি কিছুই বলেননি। খন্দকার মোশাররফ, ব্যারিস্টার মওদুদ, ব্রি. জে.(অব) হান্নান শাহ প্রমুখ উচ্চস্তরের বিএনপি-নেতৃবৃন্দও কিছু বলতে রাজি নন। সম্ভবত তারা বিব্রত বোধ করছেন। জাতি যে রায়ে উল্লসিত তার বিরুদ্ধে কিছু বললে ‘জাতিচ্যুতি’র আশঙ্কা, আবার রায়টির পক্ষে অবস্থান নিলে আশঙ্কা ‘জামাত-সমর্থন’ হারানোর। তবে ‘সর্বাবস্থায় নির্ভয়’ মানুষ তো কেউ কেউ আছেনই। গয়েশ্বর রায় বলেছেন, ‘সঠিক বিচার করলে আপত্তি নেই। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিচার করা হলে সমস্যা।’ একটি রায় প্রকাশের পরও কি তিনি বুঝতে পারছেন না, কেন, কিভাবে বিচার করা হলো। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এমন ‘জলেতে নামিব, চুল ভিজাব না’ ধরনের মন্তব্য তার অবস্থানটিকে কোন দিকে নিয়ে গেলো? বিএনপি-সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার দল হিসেবে বিএনপি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার পূর্ণভাবে সমর্থন করে’ চমৎকার কথা। তবে তিনিও ‘নোখ্তা’ লাগিয়েছেন, ‘বিচারের নামে কোনো রাজনৈতিক দলের ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়িত হোক, সেটা বিএনপি চায় না।’ তরিকুল অবশ্যই গয়েশ্বরের চেয়ে উচ্চস্তরের দায়িত্বশীল নেতা, কিন্তু দুজনের মন্তব্যে কোনো ফারাক তো নেই।



তরিকুল বলেছেন, এ সরকারের পতনের আন্দোলনের কথা আর শিবির-সভাপতি বলেছেন, এ সরকারের ঠাঁই হবে আঁস্তাকুড়ে। ছাত্র-শিবির সভাপতি হুমকি দিয়েছেন, আটক ‘জামাত নেতাদের ব্যাপারে কোনো অন্যায় সিদ্ধান্তের আভাস পাওয়া মাত্রই সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ট্রাইব্যুনাল ঘেরাও থেকে শুরু করে প্রয়োজনে সারা দেশ অচল করে দিতে হবে।’ তিনি হয়তো সংগ্রামী জোশে ভুলেই গেছেন, একাত্তর, পঁচাত্তর আর ২০১৩ সময়টা কিংবা সাধারণ মানুষ এক জায়গায় নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রের বিধিসম্মত ‘ট্রাইব্যুনাল’ প্রসঙ্গে এমন হুমকির উচ্চারণ কি রাজনৈতিক আচরণ নাকি প্রত্যক্ষ রাষ্ট্রদ্রোহ? শিবির সভাপতি আরো বলেছেন, গোলাম আযম-নিজামী-সাইদীদের ‘বিরুদ্ধে চলা বিচারের নামে প্রহসন দেখতে দেখতেৃ সবাই বুঝে গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নাটক সাজিয়েছে।’ বিএনপি ও জামাত-শিবিরের বক্তব্যের মিলটা অত্যন্ত প্রকটভাবেই লক্ষণীয় বটে। একান্তই প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, বিএনপি-জামাতের এমন গভীর মিলের কারণটা কি আমজনতার অজানা?



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

এস্কিমো বলেছেন: শিবিরের পাখা উঠছে মরিবার তরে।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১১

াহো বলেছেন: এস্কিমো বলেছেন: শিবিরের পাখা উঠছে মরিবার তরে।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১১

াহো বলেছেন: এস্কিমো বলেছেন: শিবিরের পাখা উঠছে মরিবার তরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.