![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ এখন নতুন অধ্যায়ে। এ অধ্যায়ের নাম জাগরণের অধ্যায়। যুদ্ধাপরাধের একটি রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে যে গণজাগরণের উন্মেষ ঘটেছে তা অভূতপূর্ব হলেও অনাকাক্সিক্ষত নয়। হয়তো সময়েরই দাবি। আদালতের কোনো রায়ের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের এরকম ফুঁসে ওঠার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। এটা একটা ভিন্ন ইতিহাস। যা এ জাতি মনে রাখবে যোজন যোজন কাল। এই আন্দোলন, এই গণসমাবেশ, এই বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের মনে চেতনার নতুন বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছে। মানুষের মনে নতুন করে সাহসের সঞ্চার করেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদ। সরকার প্রধান হয়েও শাহবাগের তরুণদের আন্দোলনকে মন থেকে গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টই বলে ফেললেন, ‘আমার মন পড়ে আছে শাহবাগে।’ কেবল প্রধানমন্ত্রীরই নয়, দেশের অনেক গুণীজনেরই মন কেড়ে নিয়েছে শাহবাগ। দেশপ্রেমের আবেগ বুকে ধারণ করে যে তারুণ্য দেশের প্রয়োজনে ঘুরে দাঁড়াতে জানে, তাদের আর কিছু না হোক গভীর ভালোবাসায় মনের অলিন্দে ঠাঁই দেবে যে কেউ। এই তারুণ্য গর্বের। এই তারুণ্য প্রার্থনার। যে তারুণ্যর চোখে প্রশ্নের বাণ, যে তারুণ্যের বুকে জিজ্ঞাসার টর্নেডোÑ কেন স্বাধীনতার বিয়াল্লিশ বছরে এসে এখনো আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে মাঠে নামতে হয়! এখনো কেমন করে পাকিস্তানের দোসর সেই শকুনেরা নিত্যনতুন ধমক দেয়ার সাহস পায়! ভয় দেখায়! এখনো কেমন করে বুকের ওপর দিয়েই দাপটের সঙ্গে হেঁটে বেড়ায় সেই সব জামাত-রাজাকাররা? যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতো পবিত্র যুদ্ধেও বর্বর পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিল। যাদের আজ বাংলার সীমানার বাইরে থাকার কথা ছিল, সেই রাজাকারদের কেউ এই দেশের মন্ত্রী হয়ে বাংলার মাটি অপবিত্র করেছে, তাদের গাড়িতে নির্লজ্জভাবে আমাদের লাল-সবুজের গর্বিত পতাকাটি উড়িয়ে এর মান ভূলুণ্ঠিত করেছে। যে দেশে একটি মহান মুক্তিযুদ্ধ হতে পারে, যে দেশে ভাষার অধিকার রক্ষায় তরুণরা রাজপথে রক্ত দিতে পারে, সে দেশে এখনো কেমন করে পবিত্রতার মোড়কে ঘুরে বেড়ায় অপবিত্রতা? এ একেবারেই অসহ্য এবং রীতিবিরুদ্ধ। তাই জেগে উঠেছে তারুণ্য। জেগে উঠেছে শাহবাগ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী সংগঠন জামাতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে অভূতপূর্ব জাগরণ দেখলো রাজধানীর শাহবাগ। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এই শাহবাগে চারদিন ধরে অবস্থান চালিয়ে আসার পর মহাসমাবেশে জামাতকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত রাজপথে সোচ্চার থাকার শপথ নিয়েছেন লাখো জনতা। লাখো মানুষের মহাসমাবেশ করে একাত্তরের হত্যাকারী আর ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জামাতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছে তারা। একই সঙ্গে জামাত সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়িক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয় এ সমাবেশ থেকে। এ এক অদ্ভুত জাগরণ।
মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। গণজাগরণ দেখেছি। তাই আর ঘরে বসে থাকতে পারলাম না। ছুটে এসেছি জনসমুদ্রে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এই ছিল একজন শিক্ষার্থীর অনুভূতি। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ওই শিক্ষার্থী বললেন, ‘কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্ত ঋণ শোধ করতে হলে রাজাকারদের অবশ্যই মৃত্যুদ- দিতে হবে।’ কেবল একা নয়, সঙ্গে আছে তার বন্ধুরাও। তাদের দাবিও অভিন্ন। আরেকজন বললেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও চার লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের স্বাধীন দেশে যুদ্ধাপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবে আমরা তা আর হতে দেবো না। একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের স্বাধীন মানচিত্র দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে অবশ্যই রাজাকার-আলবদরদের ফাঁসি দিতে হবে। তরুণ প্রজন্ম সেজন্যই আজ রাজপথে এসেছি।’আরেকজন বললেন, ‘আমাদের নিয়ে আগের প্রজন্মের হতাশা ছিল। সমাজ-দেশ নিয়ে উদাসীন এরকম একটা অভিযোগ আমাদের প্রতি ছিল। না, আজ তাদের সে অভিযোগ আমরা মিথ্যা প্রমাণ করেছি। আমাদের আজ একটাই দাবি, দেশকে রাজাকারমুক্ত করতে হবে। অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি।’ এই হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। আমাদের অহংকার। ‘তরুণ প্রজন্মও যে দেশ নিয়ে চিন্তা করেন তার প্রমাণ, এ সময়ের গণজাগরণ। তরুণ প্রজন্ম আজ এটাই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধে কোনো ধরনের ছাড় তারা মানবে না, মেনে নেবে না। আজকের যে তরুণরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করার সুযোগ পায়নি, তারা স্বাধীনতার ৪১ বছর পরে এসে ওই যুদ্ধে শহীদ লাখ বাঙালির রক্তের ঋণ শোধ করবার যে মহান সুযোগ এসেছে, তা বানচালের কোনো চক্রান্ত সফল হতে দেবে না। শাহবাগের আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের সমাগমে এটাই পরিষ্কার যে, দেশের জন্য ডাক দিলে এবং সেই ডাকে সততা এবং আন্তরিকতা থাকলে মানুষ সাড়া দেয়।
শাহবাগের এ আন্দোলন তেমন একটি আন্দোলন। ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এ আন্দোলনে ঢাকার শাহবাগ চত্বরের নাম বদলে হয়েছে শাহবাগ স্কয়ার। দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। অভূতপূর্ব এ আন্দোলন। দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনেও এ ধরনের গুণগত পরিবর্তন সময়ের দাবি। গণমানুষের দাবি আদায়ে একটি গণতান্ত্রিক দেশে সহিংসতা এবং রক্তপাত মোটেও প্রত্যাশিত নয়। শান্তিপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় আলোচনাই এখানে গ্রহণযোগ্য মডেল হওয়া উচিত। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর কোনো অরাজনৈতিক ইস্যুতে তারুণ্যের এ ক্ষোভ মোটেই মূল্যহীন নয়। অন্তত আমি মূল্যহীন মনে করি না। দেশজুড়ে ফেসবুক, টুইটার এবং বাংলা ব্লগসাইটগুলোতে লাখ লাখ মন্তব্য আর অভিজ্ঞতার কথা লিপিবদ্ধ হচ্ছে। ফেসবুক, ব্লগ এখন উত্তাল। স্ট্যাটাস, মন্তব্য এবং ব্লগের লেখায় জ্বলছে আগুন। দেশে সামাজিক গণমাধ্যমের এ অভিনব দাবি প্রকাশকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেখছেন নতুন কৌশল হিসেবে। কেউ বলছেন, এটা ডিজিটাল সময়ের ডিজিটাল কৌশল। শুধু দেশের প্রতিটি জেলা শহর নয়, প্রবাসেও চলছে সোচ্চার প্রতিবাদ। উদ্দেশ্য গণমানুষের দাবি আদায়।
আন্দোলনরত তরুণদের বক্তব্য, সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তাদের প্রত্যক্ষ জনসংযোগ ছিল না। কিন্তু এতো বছর পরে হলেও দেশের স্বাধীনতার সম্মান রক্ষার্থে তারা এ আন্দোলনে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই আলোক আমাকে মুগ্ধ করেছে। এতোদিন পরে হলেও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দেশজুড়ে সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক সক্রিয় আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতে পেরেছে।
‘আর কোনো দাবি নয়, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’ এ সেøাগান ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে। এ দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সমবেত হচ্ছে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে। তারুণ্যের দীপ্তকণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে দাবি আদায়ের সংগ্রাম। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে প্রতিবাদী সেøাগান সংবলিত পোস্টার, ব্যানার, ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। ‘যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তরুণরা জেগেছে। ওদের দাবি, একাত্তরের ঘাতক-রাজাকারদের ফাঁসি দিতে হবে। সাড়ে তিনশ খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদ- বাতিল করে ফাঁসি দিতে হবে।’ ভাবতে ভালোই লাগছে যে, জাতির একমাত্র এই অমোঘ চাওয়াটিকে আজ কাঁধে তুলে নিয়েছে তরুণ প্রজন্ম। এটা একটা জাগরণ। তারুণ্যের জাগরণ। এ জাগরণ থামবার নয়ৃ। থেমে যাক এটাও কাম্য নয়। আমি আশাবাদী, তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে বদলে দেবে। এই প্রক্রিয়াটা শুরু হয়ে গেছে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে আজ রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের দল কারা এটা যেমন তরুণরা জানে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া কতোখানি জরুরি এটাও তারা বোঝে। এ বিষয়টি বুঝতে এখন আর ভাবতে হবে না। গবেষণারও প্রয়োজন নেই। যে তরুণ সমাজকে নিয়ে সবাই আশা করছিল একদিন তারাই আন্দোলনে রাজপথে নামবে। অবশেষে তররুণরা মাঠে নেমে প্রমাণ করে দিলো শুধু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নয়, প্রয়োজনে মাঠে নেমে প্রতিবাদও করতে জানে। দেশপ্রেমের উন্মাদনায়, ভালোবাসায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে জানে। তাদের সবার মুখে প্রতিবাদ, চোখেমুখে ক্ষোভ, হৃদয়ে স্বাধীনতার চেতনা। যে চেতনার তাগিদে শাহবাগ হয়ে উঠছে ইতিহাস। হাতে রেখে হাত এক দাবি এক সেøাগান। যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ছাড়া আর কোনো রায় কেউ প্রত্যাশা করে না। শুধু তাই নয়, এ রায় কার্যকর করতে হবে। প্রিয়ভাষিণী কাঁদবে কেন, জাহানারা ইমাম কাঁদবে কেনÑ যে তরুণদের কণ্ঠে এমন উদ্দীপ্ত সেøাগান, তাদের নিয়ে চোখ বুজে গর্ব করা যায়। ওদের আন্দোলনের সঙ্গে সারা দেশ একাত্ম। নয় মোটে এ জাগরণ থামবার। এ প্রজন্মের উত্তাল ঢেউয়ে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাক রাজাকার। দেশ হোক কলঙ্কমুক্ত। স্বাধীন দেশ হবে রাজাকারহীন, এমনটাই প্রত্যাশা। একাত্তরের যুদ্ধে বিধ্বস্ত মানুষ, শহীদ পরিবারের সন্তানরা, মুক্তিযোদ্ধা মায়েরা কিংবা দেশের আপামর মানুষদের মনে নতুন করে যে প্রত্যাশার আলো জ্বলে উঠেছে তা যেন কোনো ভাবেই নিভে যেতে না পারে সে ভার আজ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
খুব সাধারন একজন বলেছেন: ---ডিভাইড এন্ড রুল---
আমরা সত্যর পক্ষে আবেগের আন্দোলন করি অরা দেয় দাবা-পাশা খেলার গুটির চাল। আমরা বিচার চাই আর অরা নানা দিকে দৃষ্টি ঘোরায়- গাঁজা, গান বাজনা, নাস্তিকতা, সাগর রুনী, ছাত্রলীগ, ধর্মীয় অবমাননা, বিশ্বজিৎ, চাউলের দাম, সীমান্ত, 'আর সব'যুদ্ধাপরাধী... এখনো আজো একাত্তুরেও।
রাজীব থাবা বাবা হওয়ায় মারা গেলে অনেক আগে যেত। সে মারা গেছে শাহবাগে যাওয়ায়। সে মারা গেছে বাংলাদেশে একাত্তর সালে যারা ৩০ লাখ খুন, ৪ লাখ নারীকে ধর্ষণ, এখনো মুক্তিযুদ্ধাদের প্রকাশ্যে লাথি দেয়, গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেয় আর একাত্তরের খুনীদের রক্ষা করতে প্রতিদিন আটশো কোটি টাকা গচ্চা দেয় হরতাল দিয়ে সেই জামাতির বিচার চাইতে গিয়ে।
রাজীবের জানাযার কথা ভোলেন। মূল প্রসঙ্গে আসো বাংলাদেশের মানুষ। রাজীব নাস্তিক এইজন্য খুন হয় নাই। রাজীব শাহবাগে যায় তাই খুন হয়েছে।
প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলমানের পাঁচটি কর্তব্য। তার মধ্যে এক কর্তব্য হল, যখন কোন লাশ যায়, তার যা বিশ্বাসই হোক না কেন, সম্মান দেখিয়ে উঠে দাঁড়াবে।
বাংলার মানুষ, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে। দশটা কথার জবাবে একটা কথা হলেও বল। বাংলাদেশ সবার দেশ। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-নাস্তিক-বাংগালী-চাকমা-মারমা সবাই একাত্তুরে খুন হয়েছে পাকিস্তানিদের হাতে। মনে রেখ, তোমার শত্রু তোমাকে চেনে বাংগালী বাংলাদেশী হিসাবে, কিন্তু মুখে বলে, নাস্তিক-আওয়ামী-শাহবাগী
কয়দিন পরে বলবে, খুন হইসে ভাল হইসে, ঠিকই তো করসে, ওই পোলা সিগারেট খায় জিন্সের পেন্ট পড়ে।
এক পলকে একাত্তর---এভাবে দেখাও---এবং এভাবে---পাকিস্তানে উল্লাস---চাই সতর্কতা,---ইনডাইরেক্টলি,---ভিন্নখাত