নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একমাত্র হাসিনার হাতেই দেশকে নিরাপদে রাখা সম্ভব কারণ, আ’লীগ উন্নয়নে বিশ্বাস করে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৬



অনেকের ধারণা, দেশের সামনে এখন একমাত্র সমস্যা হচ্ছে পরবর্তী নির্বাচন। পরবর্তী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের বিপরীতমুখী অবস্থান। বিরোধী দল বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, তারা এটা বিশ্বাস করে না। অথচ ১৫তম সংবিধান সংশোধনীর পর আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ক্ষমতাসীন দলের বক্তব্য হচ্ছে গত সাড়ে চার বছরের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৬ হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার কোনোটিতেই কোনো অনিয়মের অভিযোগ ওঠেনি। ওইসব নির্বাচনে সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা প্রায় সমহারে নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ ৫টা সিটি নির্বাচনে তারা বিপুল ভোটে এককভাবে বিজয়ী হয়েছেন। যে সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল কোনো কথা বলেননি। বরং ক্ষেত্র বিশেষে প্রশংসাও করেছেন। সরকারি দলের বক্তব্য হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো চিরস্থায়ী সমাধান নয়। বিশেষ সময়ে বিশেষ প্রয়োজনে এটা প্রবর্তন করতে হয়েছিল। এখনকার বিরোধী দল তখন সরকারি দল হিসেবে বিরোধী দলের চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল। প্রায় সাড়ে তিন বছরের সংগ্রামের ফসল হচ্ছে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়ে ওই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন পরিত্যক্ত হয়েছিল। সহিংসতা চালিয়ে কয়েক ডজন লোক হত্যা করার পর বেগম জিয়া নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দিলেও এক মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। পরে তাকে আবার নির্বাচন দিতে হয়েছে এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়েছে। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়েছে তা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হলে ২০০৬ সালে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, সে নির্বাচনে বেগম জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে এমনভাবে প্রভাবিত করে বিজয়ী হতে চেয়েছিলেন, যা কখনো অবাধ ও নিরপেক্ষ বলে বিবেচিত হতো না এবং সে কারণে শেখ হাসিনা মহাজোট গঠন করে তা প্রতিরোধ করেন। একটা পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। ৯০ দিনের পরিবর্তে তারা প্রায় দুই বছর পর নির্র্বাচন দেয়। সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় শেখ হাসিনার মহাজোট ক্ষমতায় আসে। মোটামুটি এটাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইতিহাস।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যত নির্বাচন হয়েছে তা স্বাচ্ছন্দ্যে মেনে নিয়েছিল, কোনো অভিযোগ তোলেনি। সরকারি দলের অভিমত হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা চালু থাকলে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে না। কিছু সময় অনির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা চলে যায় এবং ওই প্রতিনিধিরা দল নিরপেক্ষ নাও হতে পারে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলেই যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে তার নিশ্চয়তা কী? তাছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন প্রথম প্রবর্তন করা হয় তখন বলা হয়েছিল এটা মাত্র কয়েকটি নির্বাচন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ওই ব্যবস্থাকে চিরস্থায়ী করার কোনো পরিকল্পনা কারো ছিল না। সরকার ও বিরোধী দলের ভেতর সমাঝোতা না হাওয়ার কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করতে হয়। কয়েক বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু থাকা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার ও বিরোধী দলের ভেতর সমঝোতার প্রশ্নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। সুতরাং সরকার নির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি নয়। বরং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়াটাই ক্ষমতাসীন দলের বাঞ্ছনীয় বলে মনে করে। বিভিন্ন সময়ে সরকার যে বক্তব্য পেশ করেছে তাতে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরোধী দলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে হয়তো সে সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চাইতেও প্রয়োজন সরকার ও বিরোধী দলের সমঝোতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিরোধী দল অন্তর্ভুক্ত হলে এবং বৃহৎ দুটি দলের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না কেন?

তাছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনকে যদি স্বাধীন ও স্বয়ংবর করা যায় এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব তাদের হাতে সম্পূর্ণভাবে হস্তান্তর করা যায় তাহলেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না কেন? পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে যা সম্ভবপর হয়েছে বাংলাদেশে তা সম্ভব হবে না কেন? সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সরকার ও বিরোধী দলের মধ্য সমঝোতা। ধরে নিলাম আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলো ও বিরোধী দল বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হলো। বিগত সাড়ে চার বছর বর্তমান বিরোধী দল যে ভূমিকা পলান করলো, যেভাবে রাজপথ উত্তপ্ত রাখলো, সংসদকে অকার্যকর রাখলো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে সরকারকে বিপর্যস্ত করলো, দেশের অর্থনীতকে ধ্বংস করলো এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ধ্বংস করলো তার কী হবে? গণতন্ত্র যাতে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে না পারে সেই লক্ষ্যে বিরোধী দল যদি একই ধরনের আচরণ করে তাহলে দেশের অবস্থাটা গিয়ে দাঁড়াবে কোথায়? তাছাড়া বর্তমান বিরোধী দল অন্যান্য যে সব সহিংস জঙ্গিবাদী সংগঠনের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের অনেকেই শুধু গণতন্ত্র বিরোধী নন তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বেরও বিরোধী। তাদের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ যা কিছু অর্জন করেছে তা পাল্টে দিয়ে পাকিস্তানি ধারায় বাংলাদেশকে একটা সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা। আন্দোলন করে তারা জনগণকে বুঝিয়েছেন তাদের আন্দোলনের লক্ষ্য কী? হেফাজতের ১৩ দফা যার সঙ্গে বিএনপি সমর্থন করল। তা কি বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অথচ বিরোধী দল ক্ষমতাসীন হলেই জঙ্গিবাদী মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতি নির্ধারণে এমন কি সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন আনতে চাইবে যা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেই বিপন্ন করবে। তাই দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনতার সব শক্তি সৃষ্টি হোক এটা জেনে শুনে কি কেউ মেনে নিতে পারে? তাই প্রশ্ন তো শুধু নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর নয়। মূল প্রশ্ন হচ্ছে আগামীতে বাংলাদেশ কারা শাসন করবে? স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি না স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী শক্তি।

দেশকে এই গৃহযুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সব দলের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তির ব্যাপারে সমঝোতায় পেঁৗছাতে হবে। স্বাধীনতার শত্রুদের নিয়ে ক্ষমতায় গেলে কী অবস্থার সৃষ্টি হয় তাতো বেগম জিয়ার দ্বিতীয়বার শাসন আমলে তা স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রশ্ন তো শুধু বেগম জিয়া ক্ষামতায় যাওয়া নয়, তিনি কাদের নিয়ে কী উদ্দেশ্যে ক্ষমতায় যেতে চান সেটাই বড় কথা। বাংলাদেশকে যারা ইসলামিক রিপাবলিক ঘোষণার চিন্তাভাবনা করে বা তার চাইতেও এগিয়ে সাম্প্রদায়িক তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তাদের রাজনীতি করার অধিকার নিয়েই তো জনগণ প্রশ্ন তুলেছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। বেগম জিয়া ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন? তিনি তো একবার বলেই ফেলেছিলেন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী নেই। যাদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালে দাঁড় করানো হয়েছে এবং কয়েকটি রায় হয়েছে বেগম জিয়ার কথায় বর্তমান ক্রিয়াকর্মে মনে হয়, তিনি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চান। এ অবস্থায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এবং দেশের প্রায় সব জনগণ যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় তারা শুধু সরকার পরিবর্তনে তুষ্ট হতে যাবে কেন?

বর্তমান বিরোধী দল ও তাদের জোট প্রায়ই বলে থাকেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারা ক্ষমতায় যেতে চান। ক্ষমতাসীন দলের হাতে গণতন্ত্র নাকি বিপর্যস্ত হচ্ছে। কিন্তু তাদের অতীতের ক্রিয়াকর্ম এবং বর্তমানে বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রামের প্রকৃতি দেখে এটা কি বলা যায়, যে বেগম জিয়া তার রাজনৈতিক সহচরদের নিয়ে ক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে।

একথা ঠিক বর্তমান সরকার আমলেও সবকিছু সঠিকভাবে চলছে এরূপ দাবি করা যাবে না। কিন্তু এর থেকে আরো অবনতি হোক এটাতো কখনো প্রত্যাশিত নয়। শেখ হাসিনা ও তার মহাজোট সরকারের হাতে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। একইভাবে বলা যায়, বিরোধী দল ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিস্তার লাভের যে মারাত্মক আশঙ্কা রয়েছে, বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন থাকলে ওইরূপ অবস্থা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং বর্তমান সরকার সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এখন জনগণই বিবেচনা ও বিচার করবে_ তারা কাকে ক্ষমতায় আনবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২১

সদালাপী। বলেছেন: ভাই দলবাজী বাদ দিয়ে দেশের কথা ভাবেন।

এই দেশে কোন দলই মানুষের কথা ভাবে না।

বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগ এলে ভারত হবে যাবে, আজ পর্যন্ত হয়নি, পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ বলে বিএনপি এলে পাকিস্তান হয়ে যাবে দেশ, কিন্তু আজো সেটা হয়নি?? তাহলে এই ফালতু অভিযাগ-পাল্টা অভিযোগ কেন??

২০০৫ সালে শীর্ষ জঙ্গী জেএমবি নেতাদের ফাঁসি বিএনপি দিয়ে জঙ্গীবাদের অবসানের সূচনা করেছিল, কিন্তু এরপরে কি আর কোন জঙ্গীদের বিচার কাজ সম্পূরণ হয়েছে??

রামুর ঘটনা কি জঙ্গিবাদ নয়?? এটা কার আমলে হলো?? মাটিরাঙ্গা ঘটনা কি???

ভাই আপনাদের মত দলীয় লোকদের কারণেই আজও দেশে সমঝোতা হচ্ছে না। গোর্তুমী করে দেশ চালানো যায় না।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: আমি বাংলাদেশের কোন দলকেও সাপোর্ট করিনা। আবার সব দলই যে খারাপ সেই অভিযোগও করিনা।

কারন আমরা জনগন ভাল না। তাহলে দেশের প্রধানমন্ত্রি কিভাবে ভাল হতে পারে?

ভাব্বার বিষয়

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

মেদভেদ বলেছেন: হাম্বা...আ.....হাম্বা...আ.....হাম্বা...আ.....হাম্বা...আ.....

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আমরা যেমন সরকারের খারাপ কাজ গুলা সমালোচনা করি ঠিক তেমনই উচিৎ সরকারের ভালো কাজ গুলার প্রশংসা করার !! কিন্তু ভাই আপনি প্রতিদিন নির্লজ্জ ভাবে একটা দলের সাপোর্ট দিয়ে পোষ্ট করে যায় যা মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে । সরকারের খারাপ কাজ গুলাকেও ভালো আর ভালো গুলাও ভালো বলে চালিয়ে দেন , এইভাবে নির্লজ্জ পোষ্ট দেওয়া বন্ধ করে । খারাপ কাজের সমালোচনা আর ভালো কাজের প্রশংসা করতে শিখুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.