নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার হাতেই প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্রের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০



অতীতের কথা বাদ দিলাম। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ, আহ্বান, আন্তরিক সদিচ্ছা, অনুরোধ ও আমন্ত্রণকে বিএনপি কখনও শুধু পাত্তাই দেয়নি, উপরন্তু তাকে সব সময় বাঁকা চোখেই দেখে আসছে এবং সেসব ক্ষেত্রে কোমর বেঁধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়েছে। আওয়ামী লীগ যেখানেই হাত দেয় বিএনপি সেখানেই ষড়যন্ত্র ও দুরভিসন্ধির গন্ধ খুঁজে পায় এবং আমলে নেয়ার অনুপযুক্ত ও অচ্ছুত বলেই উপস্থাপিত বিষয়গুলোকে স্বভাবসুলভ নিয়মে কালিমালিপ্ত করে। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেটাও তারা স্বীকার করে না; স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকেও কোন ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করে না। তারা বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে জিয়াকেই স্বাধীনতার প্রধান পুরুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় নিরন্তর লিপ্ত থেকে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে পৈশাচিক জন্মোৎসব পালন করে সহজাত ঘৃণা ও তীব্র প্রতিহিংসার বহির্প্রকাশ ঘটিয়ে আসছে দীর্ঘকাল থেকেই। ঠিক একই অবস্থানে রয়েছেন আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তি। তারাও আওয়ামী লীগের কোন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা তো দূরে থাক, ফাঁকফোকর খুঁজে দোষত্রুটি বের করে দলটিকে সর্বদাই আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে যেন সিদ্ধহস্ত। অবাঞ্ছিত পন্থায় ও পথে বিএনপির উত্থান এবং জন্মলগ্ন থেকেই দলটির কলঙ্কময় অতীত, নজিরবিহীন অপকর্ম নিয়ে তারা মোটেও টু শব্দটিও উচ্চারণ করেন না। শুধু কি তাই, বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গ এলে স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা সম্বোধন দূরে থাক, এই বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই বঙ্গবন্ধু নামটি পর্যন্ত মুখে উচ্চারণ করতে কুণ্ঠা এবং শেখ মুজিব সম্বোধনেই বেশি স্বস্তি বোধ করেন। এছাড়া পান থেকে চুন খসলেই যেন আওয়ামী লীগ বা সরকারের সমালোচনা এবং বিরোধী দলের অযৌক্তিক দাবির পক্ষে দ্রুত অবস্থান নিয়ে একজোট হয়ে সর্বত্র সোচ্চার কণ্ঠে জনমতকে প্রভাবিত বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় গলদঘর্ম থাকে। এই কর্মসূচির আওতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহাল ইস্যুটি এখন এদের প্রধান এজেন্ডা ও মাথাব্যথার কারণ। যদি দুই নেত্রীর মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল প্রসঙ্গে আলোকপাত করি তাহলে দেখা যাবে, আলোচিত সুশীল নামের হাজার মুনির হাজার মত। তবে সব শেয়ালের এক রা-এর মতই মূল কথা একটাই: বিরোধী দলের দাবিটিই যৌক্তিক। এ প্রসঙ্গে সংলাপ বিষয়ে একটি উদাহরণ দেই। কদিন আগে চ্যানেল আইয়ে টকশো তৃতীয় মাত্রা দেখছিলাম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের একজন শিক্ষক, এক সময় যে বিভাগের ছাত্র আমি নিজেও ছিলাম তাই, যাকে নিয়ে গর্ব বোধ করছিলাম, সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যাই বলি তার একটি মন্তব্য বা মূল্যায়নে আমি এতটাই হতাশ হই যে, এই ধরনের বুদ্ধিজীবীদের কথা শোনার আগ্রহ এখন একেবারেই হারিয়ে ফেলেছি। দুই নেত্রীর সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলছিলেন, যেহেতু খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তাই তার মনের ভেতর ক্ষোভ এবং প্রতিহিংসা তুষের আগুনের মতো জ্বলছে এবং তা সহজে নেভার মতো নয়। অপরদিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ঘটনাটি শেখ হাসিনারও সহজে ভোলার কথা নয়। তাই দুই নেত্রীর মুখ দেখাদেখি এবং সংলাপ অনুষ্ঠানের প্রধান বাধাই হলো এটি। আমি আশ্চর্য হলাম। কি চমৎকার সরলীকরণ! কি অদ্ভুত সমীকরণ এইসব নমস্য বুদ্ধিজীবীদের! যে নেত্রী এবং তার দল প্রতিপক্ষ নির্মূলে দৃঢ়সঙ্কল্পবদ্ধ তার পার্টির জন্মলগ্ন থেকেই যার মর্মন্তুদ নজির ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়রূপে সন্নিবেশিত হয়েছে; সপরিবারে জাতির জনকের বর্বরোচিত হত্যাকা- ও ২১ আগস্টের পৈশাচিক হামলার সঙ্গে যে দলের প্রতিষ্ঠাতা খলনায়ক ও তার আদর্শ উত্তরসূরি মাতা-পুত্র গং ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং যারা খুনীদের করেছে পুরস্কৃত এবং যে দল সেই খুনীচক্র এবং স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিপক্ষে তৎপর থেকে জাতির সব অর্জনগুলোকে নস্যাত করার কাজে লিপ্ত– সেই বিষয়গুলো তার বিবেচনা এবং মূল্যায়নে স্থান পায়নি এতটুকু। কি মানবতাবিরোধী ও দেশদ্রোহী অপরাজনীতিই না তারা করছে এ দেশে, এসব বিবেচনায় আসেনি আলোচিত এই মহান শিক্ষক বুদ্ধিজীবীর মূল্যায়নে। জাতিকে একটি নতুন পতাকাসহ স্বাধীন ভুখ- ও নতুন পরিচয় দান এবং তার অগ্রগতি ও কল্যাণে (যে কারণে তারা আজ বুদ্ধিজীবী) আওয়ামী লীগের অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও ঐতিহাসিক সুমহান কীর্তি এবং বর্তমানের সহনশীল গণতান্ত্রিক ধারার ইতিবাচক রাজনীতির চর্চার মধ্য দিয়ে অর্জিত যুগান্তকারী সাফল্য বা পরিবর্তন (কারচুপির নির্বাচনের কবর রচনা, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন) সাধনের মতো স্বচ্ছ বিষয়গুলো নজরে আসে না তথাকথিত নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকা আমাদের সুশীল বুদ্ধিজীবীদের এবং এসব কখনই স্থান পায় না তাদের বিবেচনা বোধ ও মূল্যায়নে! অথচ আওয়ামী লীগের গৃহীত ও অনুসৃত এসব রাজনৈতিক দর্শনের উল্টোপথেই সব সময় হেঁটে চলেছে বিএনপি। এবং এরাই বরাবর পেয়ে আসছে সুশীলদের কৃপাপূর্ণ সহানুভূতিশীল দৃষ্টি, যার সর্বশেষ উদাহরণ ‘আমার দেশ’ সম্পাদক ও অধিকারের সম্পাদকের কাহিনী। গোটা জাতিই দেখছে মহাঅপকর্মের হোতাদের প্রতি তথাকথিত সুশীলদের প্রাণপাত করা সহানুভূতি ও সরকারের প্রতি তাদের জোটবদ্ধ সম্মিলিত তীব্র সমালোচনা ও অসন্তুষ্টি। হাজার গর্হিত অপরাধ করলেও বিএনপি বা তার গুণধর দোসরদের প্রতি কখনই বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা বিপরীতে অবস্থান নেই এদের। জামায়াত-শিবির-হেফাজতীদের অপকর্ম এবং তা-বের প্রতি দেখুন কি নমনীয় ও পক্ষপাতমূলক একদেশদর্শী অবস্থান এবং এরই পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের প্রতি তাদের নেতিবাচক অবাঞ্ছিত প্রতিক্রিয়া।

এবার আসা যাক নির্বাচন প্রসঙ্গে। এ পর্যন্ত বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সিংহভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধী দল বিএনপিই জয়লাভ করেছে। সর্বশেষ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে- যেখানে তারা শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে সেক্ষেত্রে এবং এর আগের প্রতিটি নির্বাচনে দেখা গেছে বিএনপি তার স্বভাবসুলভ মিথ্যাচার করে বলেছে: ব্যাপক কারচুপির নির্বাচনের নীল নকশা সরকার আগে থেকেই করে রেখেছে; ফলাফলও সরকার নির্ধারণ করে রেখেছে। কিন্তু বিএনপির সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তথাকথিত সুশীল সমাজও পক্ষপাতমূলক নেতিবাচক পূর্বাভাস ব্যক্ত করেছিল এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার বিষয়ে উভয় পক্ষ (বিএনপি এবং সুশীল) একযোগে যে মনগড়া আশঙ্কা প্রচার করছিল তার কোনটাই সত্য প্রমাণিত হয়নি। এমনকি জয়লাভের পরেও বিএনপি তার বদ খাসলত অনুযায়ী বার বারই বলেছে, সরকার ব্যাপক কারচুপি করেও বিএনপির বিজয় ঠেকাতে পারেনি।

সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন আসে, এইসব নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সুশীলবেশধারী বুদ্ধিজীবী এবং গায়ে সিলমারা শ্রেণীবদ্ধ সুশীলরা একবারও ভুল করে বলছেন না বিএনপির আমলে বিপন্ন হওয়া প্রশাসন এবং সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (যেমন, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ) সাংবিধানিক নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রবর্তন এবং সেগুলোকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর এবং শক্তিশালীভাবে গড়ে তোলার যে কাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার করে যাচ্ছে তার ইতিবাচক ফল ও সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা। এখনও তারা বিএনপির দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের পক্ষেই তুলছেন সোচ্চার আওয়াজ। অথচ এই বিএনপিই নজিরবিহীন অপকর্মের মধ্য দিয়ে ধ্বংস ও কালিমালিপ্ত করেছিল এই ব্যবস্থাকে। এটা বেমালুম ভুলে গিয়ে আবারও সেই অগণতান্ত্রিক ও পরিত্যক্ত ব্যবস্থাকেই পুনর্বহালের জন্যে প্রাণপাত করছেন আমাদের সুশীল গণতন্ত্রীরা।



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

হাসিব০৭ বলেছেন: কত পাইছেন দালালি কইরা???? =p~ =p~ =p~ =p~

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

ক্লিকবাজ বলেছেন: জোক অফ দ্যা ডে। :> :> :>

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

হাসিব০৭ বলেছেন: @ক্লিকবাজ বলেছেন: জোক অফ দ্যা ডে।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

ভিটামিন সি বলেছেন: দালালের দিন শেষ।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

সাদা ঘোটক বলেছেন: একবারে লাজ শরমহীন বেহায়া দালাল বলদ

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

পথহারা সৈকত বলেছেন: সাদা ঘোটক বলেছেন: একবারে লাজ শরমহীন বেহায়া দালাল বলদ

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

এস এইচ খান বলেছেন: রশিক বাঈয়ের রসবোধ সেই পূর্বের মতই আছে দেখে কি যে ভাল লাগছে :-B
আফটার অল পুরনো ব্লগার!
ধন্যবাদ রশিক বাঈ ;)

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

জাহিদ মজুমদার বলেছেন: স্বপ্নে রসগোল্লা খাইতে সমস্যা কি?

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

নানাভাই বলেছেন: আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে মা-মেয়েকে রাতভর গণধর্ষণ Click This Link

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

বিডি আমিনুর বলেছেন: আরে হারুন বাই যে কেমন আছেন ? শুনলাম মাঝে নাকি পেমেন্ট বন্ধ ছিল /:) /:) /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.