নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকেই গতকাল মিষ্টি খায়নি, রায় কার্যকর করার পর মিষ্টি খাবেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪



সকাল সাড়ে নয়টার পর পাল্টে যায় শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের পরিবেশ। উল্লাসে ফেটে পড়েন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী থেকে শুরু করে ছাত্র-শিক্ষকসহ দেশপ্রেমিক মানুষ। সবার মুখে মুখে সেøাগান ওঠে ‘এইমাত্র খবর এলো-কাদের মোল্লার ফাঁসি হলো’। বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলে মুহূর্মহু সেøাগান আর আনন্দ মিছিল। সবার প্রত্যাশার যেন রায়ের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন ঘটেছে, এ কথা বলার আর অপেক্ষা ছিল না। উল্লাস আর শাহবাগের চিত্রই বলে দিচ্ছিল তরুণ প্রজন্ম সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে কতটুকু অনড়।

এদিকে বিকেলে আনন্দ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। জামায়াতের ডাকা আজকের হরতাল প্রতিহত করার ডাক দিয়ে আজ সকাল ১১টায় প্রজন্ম চত্বর থেকে হরতালবিরোধী মিছিলের ডাক দিয়েছে প্রজন্ম সেনারা। শুক্রবার বিকেল চারটায় শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে গণসমাবেশ।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রথম চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতে ইসলামী নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ওরয়ে কসাই কাদেরের ফাঁসির রায়ে আনন্দ সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। মঙ্গলবার সকালে আপীল বিভাগের রায় পেয়ে শাহবাগে আনন্দ সমাবেশে যোগ দেয় হাজারো জনতা। চলে দীর্ঘ সময় অবস্থান। গত ৫ ফব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় ঘোষণা করে। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে এ দিন রাত থেকেই গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরু হয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনের গ-ি দেশের সীমানা পেরিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সকল মহল থেকেই দাবি ওঠে কাদের মোল্লার ফাঁসির। এক দফা দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলন শুরু করলেও একপর্যায়ে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনের নতুন মাত্রা যোগ হয়। দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেন এ আন্দোলনে। অনলাইনে আহ্বান জানিয়ে অহিংস এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। যা গোটা বিশ্বে গণআন্দোলনের নজির স্থাপন করেছে।

আপীল বিভাগের রায় শেষে জাতীয় পতাকা হাতে ‘যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’- সেøাগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শাহবাগ। অনেককেই দেখা যায় মিষ্টি বিতরণ করতে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ব্যানারসহ খ- খ- মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করে শাহবাগের জাদুঘরের সামনে। প্রতিটি মিছিল পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে সেøাাগান আর উল্লাসে তাদের স্বাগত জানান অবস্থানরত কর্মীরা।

আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদ-ের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও শাহবাগে জড়ো হওয়ার অন্যদের মতো মিষ্টি খেতে রাজি হননি গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, অন্তত একটি ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমি মিষ্টি খাব না। রায়ের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। আমরা এর ধারাবাহিকতা চাই। ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার নিয়ে আমাদের মনে যে শঙ্কা ছিল, তা দূর হয়েছে। রায় দ্রুত কার্যকরের তাগিদ দেন তিনি। সেই সঙ্গে অন্য যুদ্ধাপরাধীদের আপীল দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশাও সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি রেখেছেন তিনি।

এভাবে চললে একটা একটা করে মামলা নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লেগে যাবে এমন মন্তব্য করে ইমরান বলেন, আপীল বিভাগকে গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে অনুরোধ জানাই। জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুলে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী এই রাজনৈতিক দলটির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে দ্রুততর সময়ে তাদের নিষিদ্ধ করা উচিত।

ইমরান বলেন, শুধু রায় বাস্তবায়ন করলেই হবে না। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার ইতোমধ্যে পালিয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানান তিনি। এছাড়া আমেরিকায় অপর এক যুদ্ধাপরাধী রয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা চাই তাকেও দ্রুত ফিরিয়ে আনা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের পূর্ণ সফলতা আসবে না।

বিকেলে প্রজন্ম চত্বর থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। এতে অংশ নেন হাজারো জনতা। মিছিলটি প্রজন্ম চত্বরের আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবারও শাহবাগে ফিরে আসে। শুক্রবারের গণসমাবেশে সর্বস্তরের মানুষকে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে প্রজন্ম সেনারা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহবাগ গনজাগরন মঞ্চের অবস্থান আবারো সঠিক প্রমানিত হল।
এখন সবাই বোঝে শাহাবাগ না হলে কশাই কাদের মোল্লার ফাঁসি তো দুরের কথা সরকার আপিল করার ক্ষমতাই থাকতো না।
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.