![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশে আবার পাকিস্তানী স্টাইলের রাজনীতি প্রবর্তন হয় । ১৯৭৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করেন এবং হাজার হাজার কারাবন্দি জামাত/পাকিস্তান বাহিনীর দালাদেরকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়া । ১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ ঘোষিত হলে জামাতের নেতা মাওলানা রহিমের নেতৃত্বে জামাত ও কয়েকটি দক্ষিনপন্থী ইসলামী দলের নেতারা একত্রিত হয়ে "ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ (ওউখ ) ’নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন । নবগঠিত (ওউখ ) দলের ছত্রছায়ায় জামাতী ক্যাডাররা নিজেদের সংগঠিত করতে থাকে । কিন্তু মাওলানা রহিমের সাথে কট্টর জামাতীদের দ্বন্দের সৃষ্টি হলে মাওলানা রহিম ওউখ থেকে বেরিয়ে যান । এ সময়ে লন্ডনে অবস্থানকারী গোলাম আযম ১৯৭৬, ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে ৩ দফায় তার নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেন । ২০ মার্চ ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে নাগরিকত্ব প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় । ১১ জুলাই ১৯৭৮ তারিখে অধ্যাপক গোলাম পাকিস্তানি পাসপোর্টে তন মাসের ভিসা নিয়ে অসুস্থ মাকে দেখতে বাংলাদেশে আসেন । তিন মাসের ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পরও গোলাম আযম বাংলাদেশে অবস্থান করেন এবং দেশজুড়ে গোপন সফর কর্মসূচীতে দলকে সংগঠিত করতে থাকেন । ২৫, ২৬ ও ২৭ মে ১৯৭৯ তারিখে ঢাকায় তিনদিনের সম্মেলনে "জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ’ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে এবং গোলাম আযমকে গোপনে আমির নির্বাচিত করা হয় নাগরিকত্ব লাভ স্বাপেক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত আমির নির্বাচিত হন আব¦াস আলী খান । ফেব্র“য়ারি ১৯৮০ থেকে জামাতে ইসলামী তৎকালীন জিয়া সরকারের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় দেশব্যাপী জোরালো সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে দলকে দৃঢ় সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সমর্থ হয় । এ সময়ে জামাতে ইসলামীর নেতৃত্বে "গোলাম আযমের নাগরিকত্ব পুর্ণবহাল কমিটি’ দেশব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে । ৭ ডিসেম্বর ১৯৮০ তারিখে জামাতের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত আমির আব¦াস আলী খান বলেন, ""১৯৭১ সালে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য যা করেছি ঠিকই করেছি । ভারতীয় আগ্রাসন থেকে জনগণকে হেফাজত করার জন্য কাজ করেছি’’ । তার এরুপ ঔদ্বত্বপূর্ণ বক্ত্যের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দেশব্যাপী "রাজাকার প্রতিরোধ সপ্তাহ’ কর্মসূচী পালনকালে রংপুরে জামাতের সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা অফিস আক্রমণ করে । ২৯ মার্চ ১৯৮১ তারিখে আব¦াস আলী খান সংবাদ সম্মেলনে আবারো বলেন, "" ১৯৭১ সালে আমরা যা করেছি তা ঠিকই করেছি এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের কনসেপ্ট সঠিক ছিলনা’’। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি তাঁর এ ধরনের অবজ্ঞাসূচক বক্তব্য দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলে এবং অনেকস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জামাত কর্মীদের সংঘাত/সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে (তথ্যসূত্রঃ সাপ্তাহিক বিচিত্রা ১৭ এপ্রিল ১৯৮১) ।জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে জামাতের কার্যক্রম । ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশে আবার পাকিস্তানী স্টাইলের রাজনীতি প্রবর্তন হয় । ১৯৭৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করেন এবং হাজার হাজার কারাবন্দি জামাত/পাকিস্তান বাহিনীর দালাদেরকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়া । ১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ ঘোষিত হলে জামাতের নেতা মাওলানা রহিমের নেতৃত্বে জামাত ও কয়েকটি দক্ষিনপন্থী ইসলামী দলের নেতারা একত্রিত হয়ে "ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ (ওউখ ) ’নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন । নবগঠিত (ওউখ ) দলের ছত্রছায়ায় জামাতী ক্যাডাররা নিজেদের সংগঠিত করতে থাকে । কিন্তু মাওলানা রহিমের সাথে কট্টর জামাতীদের দ্বন্দের সৃষ্টি হলে মাওলানা রহিম ওউখ থেকে বেরিয়ে যান । এ সময়ে লন্ডনে অবস্থানকারী গোলাম আযম ১৯৭৬, ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে ৩ দফায় তার নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেন । ২০ মার্চ ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে নাগরিকত্ব প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় । ১১ জুলাই ১৯৭৮ তারিখে অধ্যাপক গোলাম পাকিস্তানি পাসপোর্টে তন মাসের ভিসা নিয়ে অসুস্থ মাকে দেখতে বাংলাদেশে আসেন । তিন মাসের ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পরও গোলাম আযম বাংলাদেশে অবস্থান করেন এবং দেশজুড়ে গোপন সফর কর্মসূচীতে দলকে সংগঠিত করতে থাকেন । ২৫, ২৬ ও ২৭ মে ১৯৭৯ তারিখে ঢাকায় তিনদিনের সম্মেলনে "জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ’ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে এবং গোলাম আযমকে গোপনে আমির নির্বাচিত করা হয় নাগরিকত্ব লাভ স্বাপেক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত আমির নির্বাচিত হন আব¦াস আলী খান । ফেব্র“য়ারি ১৯৮০ থেকে জামাতে ইসলামী তৎকালীন জিয়া সরকারের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় দেশব্যাপী জোরালো সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে দলকে দৃঢ় সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সমর্থ হয় । এ সময়ে জামাতে ইসলামীর নেতৃত্বে "গোলাম আযমের নাগরিকত্ব পুর্ণবহাল কমিটি’ দেশব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে । ৭ ডিসেম্বর ১৯৮০ তারিখে জামাতের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত আমির আব¦াস আলী খান বলেন, ""১৯৭১ সালে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য যা করেছি ঠিকই করেছি । ভারতীয় আগ্রাসন থেকে জনগণকে হেফাজত করার জন্য কাজ করেছি’’ । তার এরুপ ঔদ্বত্বপূর্ণ বক্ত্যের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দেশব্যাপী "রাজাকার প্রতিরোধ সপ্তাহ’ কর্মসূচী পালনকালে রংপুরে জামাতের সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা অফিস আক্রমণ করে । ২৯ মার্চ ১৯৮১ তারিখে আব¦াস আলী খান সংবাদ সম্মেলনে আবারো বলেন, "" ১৯৭১ সালে আমরা যা করেছি তা ঠিকই করেছি এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের কনসেপ্ট সঠিক ছিলনা’’। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি তাঁর এ ধরনের অবজ্ঞাসূচক বক্তব্য দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলে এবং অনেকস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জামাত কর্মীদের সংঘাত/সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে (তথ্যসূত্রঃ সাপ্তাহিক বিচিত্রা ১৭ এপ্রিল ১৯৮১)
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫১
আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:





১৯৭৩ থিক্যাই শুরু করি তাইলে....
- যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী খান এ সবুরকে মুক্তি দিয়েছিলেন শেখ মুজিব ৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ - Nurul Momen, Bangladesh, the first four years (from 16 december 1971- 15 December 1975), Pg. 85 -
মুক্তির পরে খান এ সবুরের লগে মুজিব
- যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পীস কমিটির কনভেনর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী খাজা খায়েরুদ্দিনকে মুক্তি দিয়েছিলেন শেখ মুজিব ৭ ডিসেম্বর ১৯৭৩ - Nurul Momen, Bangladesh, the first four years (from 16 december 1971- 15 December 1975), Pg. 85 -
- যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী গভর্নর মালিককে মুক্তি দিয়েছিলেন শেখ মুজিব - Nurul Momen, Bangladesh, the first four years (from 16 december 1971- 15 December 1975), Pg. 44 -
- রাজাকার আবদুল আলীমরে জয়পুরহাট সুগার মিলের পরিচালক নিযুক্ত করেন শেখ মুজিব - Click This Link
- প্রেসিডেন্ট জিয়া ঘু আযমরে/কুনু সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীরে ছাড়েন ও নাই/নাগরিকত্ব ও দেননাই,সব আগেই ছাড়া পাইছে - একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায় (মুরগা কবির ও আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ লিখিত - পৃষ্ঠা ৬৩) -