![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামাত রাঁধে-বাড়ে, বিএনপি খায় এবং বিএনপি'র হাতঝাড়া থেকে জামাতও সামান্য কিছু পায়। এতদিন তাই চলছিল। জামাত কৌশল প্রণয়ন করে কিন্তু কৌশলগত কারণে সরাসরি কৌশলের ফল ভোগ করতে না পেরে বিএনপি'র ঘাঁড়ে তুলে দেয়। প্রমাণ; ১৯৭৫ ( জিয়া = বিএনপি ধরে), ১৯৯১ এবং ২০০১। ১৯৯১ এবং ২০০১ আপনারা দেখেছেন। ১৯৭৫ সালে জামাতি পরিকল্পনায় এবং আইএসআই'র অনুমোদনে তাদের চর প্রয়াত জিয়ার দ্বিমুখী নীতি (সুযোগ সন্ধানী/সুবিধাদাদী)-র সফল প্রতিফলন, ২৭ মার্চে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার সাইনবোর্ড কাজে লাগিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তাকে ক্ষমতায় বসানো হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড এবং ধাঁপে ধাঁপে অন্যান্য অপারেশন্স; ৪ নেতা হত্যাকান্ড, খূনী মুস্তাকের অপসরণ, খালেদের মুশাররফের উথ্থান-পতন, কর্নেল তাহেরের উথ্থান-পতন এবং চুড়ান্ত ধাঁপে ৭ নভেম্বরে জিয়াকে হিরো হিসেবে ফোকাস করিয়ে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনায় আইএসআইয়ের সঙ্গে জামাত ভাগীদার হলেও সেইসময়ে কৌশলগত কারণে জামাতকে প্রকাশ্যে ক্ষমতার বাইরে দেখিয়ে পর্দার অন্তরালে রাখা হয়। ধাঁপে ধাঁপে বিভিন্ন অপারেশন্স / ষড়যন্ত্রের সফল বাস্তবায়নকারী জামাতকে তখন ক্ষমতায় বসানো হলে জনগণ বুঝতে সক্ষম হবে যে দেশের ক্ষমতা আবারও পাকিস্তানিরা করায়ত্ব করেছে। আবার মুত্তিযুদ্ধ অবধারিত। জামাতের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আইএসআই এজন্য তাদের চর জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে যেন মুক্তিযুদ্ধারাই ক্ষমতায় আছে। প্রকাশ্যে ক্ষমতার বাইরে থাকলেও অন্তরালে ক্ষমতার সকল সুযোগ-সুবিধা জামাতিরা অগ্রাধিকারক্রমে নিতে থাকে - যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ ও রাজাকারদের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দেয়া জিয়া কর্তৃক সংঘটিত হয়।
বেগম জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের জামাত বিরোধি বর্তমান বিবৃতি সত্যিই অবাক বিষয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ জামাতকে জিয়াই রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়েছিল এবং বর্তমানে এখন পর্যন্ত জামাত নিষিদ্ধ নয়; তাই নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া জামাতের নিজস্ব ব্যাপার। তাছাড়া নির্বাচন বজর্নে জামাতের ইতিহাস জানা নেই। লিয়াঁজো কমিটির আলোচনায় ১৫০/১৫০ আসন না পেয়ে নির্বাচন বর্জন করে ১৯৮৬ সালে বিএনপি'র 'আপসহীন সাজার ইতিহাসই বরং আমাদের জানা। সমঝোতায় ১৫০ আসন পেলে 'আপসহীন' দৌঁড়ায় পালাত। বিএনপি কর্তৃক নির্বাচন বর্জন হলে 'মুসলিম লীগ' সাজা ছাড়া আগামীতে 'আপসহীন' সাজার কোন রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। সুবিধাবাদীরা দীর্ঘ সময় কোন সুবিধা না পেলে একে একে সকলে বিএনপি থেকে কেটে পড়বে এবং অবশিষ্ট রবে শুধু মুসলিম লীগের ন্যায় সাইনবোর্ড। জামাতকে বয়কট করতে হলে সকল দল মিলে তাদেরকে এদেশ থেকে তাড়িয়ে পাকিস্তান ফেরত পাঠাতে হবে। যেহেতু তারা এদেশকে এখনও মনে-প্রাণে স্বীকার করে না, এ জন্য তারাও আটকেপড়া পাকিস্তানি। আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীলদের নিকট অপদস্থ হয়ে জামাতিরা বিএনপি'র পতাকা তলে সমবেত হয়ে বিএনপি হিসেবে জায়েজ হবে এবং বিএনপি'র ভোট বাড়াবে, তাও মেনে নেয়া যায় না।
আইএসআই এবং জামাত মিলে সুযোগ সন্ধানী সুবিধাবাদীদের প্লাটফর্ম হিসেবে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে কথা বলে। ঘটনা কী। মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ টানপোড়েন, না-কি জামাত আর এভাবে রাজনৈতিক পরিশ্রম করে সুবিধাবাদী বিএনপিকে ঘরে বসিয়ে খাওয়াতে রাজি নয়। জামাত আন্দোলন করতে যেয়ে পুলিশ ও পাবলিকে মার-গুঁতো খাবে কিন্তু বিএনপি নন্দলালের ন্যায় শুয়ে শূয়ে / ঘরে বসে সেই আন্দোলনের ফল খাবে- তা মনে হয় জামাত আর মানতে রাজি নয়। না-কি খেনা অন্য জায়গায়। জামাত ও বিএনপি'র কূটকৌশল আইএসআই'র দ্বারা নিয়ণ্ত্রিত হয়। পিছন থেকে জামাত ও বিএনপি'র মধ্যে ঝগড়া ঝগড়া খেলা দেখিয়ে পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের সুযোগ সৃষ্টির অপচেষ্টাও হতে পারে। আমরা নিরুপায় হয়ে wait & see. উপসংহারে বলা যায় :
শুনলে কথা হাসি পায়;
©somewhere in net ltd.