![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য জামায়াত-শিবিরকে পাকিস্তান ‘নূরানীচাপা ডট ওয়ার্ডপ্রেস ডটকম’ নামে ব্লগ ও ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়েছে। বর্তমানে এ সাইটের মাধ্যমে সরকার বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াত-শিবির। বিটিআরসি নূরানী চাপা ব্লগ ও ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা আবার এটি সচল করে ফেলে। এখন পর্যন্ত এ সাইট দিয়ে জামায়াত-শিবির তাদের কর্মকা- পরিচালনা করে যাচ্ছে। কর্মী পর্যায়ে সাংগঠনিক নির্দেশসহ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী প্রচারে লিপ্ত রয়েছে। জামায়াত-শিবিরের মিত্র দেশগুলোর সহযোগিতায় কয়েক হাজার ব্লগ ও ওয়েবসাইট খুলে দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। পাকিস্তানের পাশাপাশি তুর্কী ইন্দোনেশিয়ার সাইবার আর্মিরা সহযোগিতা দিচ্ছে।
এসব ব্লগ ও ওয়েবসাইটে তারা হাজার হাজার পোস্ট দিচ্ছে। প্রতিটি পোস্টে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার বক্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে। এ সাইটে ‘নূরানী চাপা’ সমগ্রের লিঙ্ক প্রকাশ করে পাকিস্তানের একটি ওয়েবসাইট। জামায়াত-শিবির তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পাকিস্তান, তুর্কী ও ইন্দোনেশিয়ার সাইবার আর্মির দক্ষ তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ব্যবহার করছে।
পাকিস্তানের তৈরি ব্লগ পেজে নিম্নের ঠিকানাটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঠিকানায় যদি কেউ ঢোকেন তাহলে কয়েক জামায়াতের কয়েক শ’ ওয়েবসাইট ও ব্লগের সন্ধান মিলবে। এই লিঙ্কে প্রকাশিত পোস্টগুলোর হাজার হাজার লিঙ্ক করছে জামায়াত-শিবির। উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে জামায়াতের কয়েকটি সহযোগী রাজনৈতিক দলও এক যোগে কাজ করছে। এ ব্লগেই রাজীব হায়দারকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। ব্লগটি বিটিআরসি এখন পর্যন্ত বন্ধ করতে পারেনি। শিবিরের ‘বাঁশের কেল্লা’ নামের ওয়েব পেজ থেকেও ইসলামের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন পোস্ট দিচ্ছে। এই সাইটটি বিটিআরসি বন্ধ করে দিলেও আবার এটি তুর্কী সাইবার আর্মির সহযোগিতায় শিবির চালু করেছে। এখন জামায়াতের ‘মাদার’ সাইট হচ্ছে বাঁশের কেল্লা। বাঁশের কেল্লাকে ঘিরে কয়েক হাজার ওয়েবসাইট ও ব্লগ তারা পরিচালনা করে যাচ্ছে।
জামায়াত-শিবির বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ, টুইটার ও ব্লগে ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কার্যক্রমে সরকার বিন্দু পরিমাণ ঘাটতি ফেলতে পারেনি। শুধু তাদের কয়েক নেতাকর্মীকে জেল হাজতে নিয়েছে মাত্র। বাকি সব কিছুই ঠিকঠাক মতো চলছে। সংগঠনের ‘চেন অব কমান্ড’ আগের তুলনায় এখন আরও দৃঢ় হয়েছে। তাগে তাদের আইটি বিভাগ এত শক্তিশালী ছিল না। বর্তমানে সরকার যেহেতু মাঠে আন্দোলন করতে দিচ্ছে না-তাই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্দোলনের ভাষা চারদিকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
জামায়াত কৌশলে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়টিকে নিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার নীল নক্সা বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে এ লড়াই ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য। একটা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজ তথা রাষ্ট্র গঠনের জন্য। এই লড়াই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিরোধী জামায়াত-শিবির ও তাদের দেশী-বিদেশী দোসরদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগণের। এ লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের। ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে যে বিক্ষোভ আন্দোলনের সূত্রপাত হয় তা অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াত বিএনপিকে সহযোগিতায় দিচ্ছে জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাত-উল-জিহাদ আল ইসলামী (হুজি), হিযবুত তাহরির, ইসলামী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (আইডিপি), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশসহ (জেএমজেবি) কয়েকটি জঙ্গী সংগঠন। এসব সংগঠন নিষিদ্ধ।
তথ্য প্রযুক্তিবিদরা বলেন, বর্তমানে জামায়াত-শিবির ইন্টারনেটে দেশ বিরোধী অপপ্রচার আরও জোরদার করেছে। নতুন নতুন ওয়েবসাইট খুলে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। ভুয়া ব্লগ খুলেও একইভাবে দেশ বিরোধী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিটিআরসি জামায়াতী অনেক ওয়েবসাইট ও ব্লগ বন্ধ করলেও তারা থেমে নেই। দেশ-বিদেশ থেকে তারা প্রতিনিয়ত ভুয়া ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফেসবুকে-টুইটারে ভুয়া আইডি খুলে ক্রমাগত সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য পোস্ট করছে। ওইসব মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানার বক্তব্য দিচ্ছে। বর্তমানে কোণ্ঠাসা জামায়াত-শিবির সুযোগ বুঝে নাশকতা চালাতে পারে বলে খবর মিলেছে।
সূত্র জানিয়েছে, ওয়েবসাইটের ট্রাফিক-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহকারী ওয়েবসাইট ‘এ্যালেক্সা’ ও ‘কোয়ান্টক্রাস্ট’ জামায়াতী কয়েক শ’ ভুয়া ওয়েবসাইটের সন্ধান পেয়েছে। এই ওয়েবসাইটগুলো বেশিরভাগই বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া থেকে এসব ওয়েবসাইটে থেকে অপপ্রচারের বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। ওইসব দেশ থেকে ফেসবুক-টুইটারে ভুয়া আইডি খুলে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইন্টারনেটে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে শর্টকোড ব্যবহার করে জামায়াত অপপ্রচারের এসএমএস যাচ্ছে দেশের লাখ লাখ মোবাইল গ্রাহকের কাছে। বিটিআরসি গত দুইদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে কারণ খুঁজে পাচ্ছে না। বিটিআরসি এ ধরনের এসএমএস বন্ধ করার জন্য দেশী-বিদেশী কয়েকটি কোম্পানির সহযোগিতা নিচ্ছে। একই সঙ্গে সর্বক্ষণিক কল ও এসএমএস মনিটর করে যাচ্ছে। অপপ্রচারের এসএমএস দিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বন্ধ করতে বিটিআরসি দিনরাত কাজ করে গেলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। জামায়াতের ওয়েবসাইট ও ব্লগগুলোর ওপর বিটিআরসি নজরদারি বাড়িয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫১
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমার দেশ নিষিদ্ধ করেও হলোনা? হাস্যকর! চালায়া যান যুদ্ধ। এত কিছু শাহবাগ, গণজাগরণ করেও উপজেলা নির্বাচনে জামাত-শিবিরের কাছে আওয়ামীলীগ পরাজিত হয় । চালায়া যান যুদ্ধ।