![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা এমন এক দেশের নাগরিক যে দেশ বিশ্বের কাছে সগৌরবে পরিচিত দু’টি কারণে। তার একটি আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ; অন্যটি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছোট খোকা, পরে শেখ মুজিবুরের দেশ, বাংলাদেশ। বাঙালীর শেষ ঠিকানাÑবাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সত্যিকার অর্থে আজও বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ‘বঙ্গবন্ধু বা শেখ মুজিব’ নামটির মাঝেই দেশপ্রেম তথা স্বদেশকে উপলব্ধি করেন। এ আবেদন রইবে ততদিন বাংলাদেশ নামক দেশটি রইবে যতদিন...। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের লালসবুজ পতাকা, আমাদের বঙ্গবন্ধু Ñ এই তো বাঙালীর পরিচয়, এই তো আমাদের আহঙ্কার। অথচ কি আশ্চর্যজনকভাবে পাকিস্তানী বৈষম্যপীড়িত সমাজ বদলের একজন সমাজকর্মী, রাজনৈতিক কর্মী থেকে শেখ মুজিব হয়ে উঠলেন বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা, সমগ্র জাতির জনক।
সমাজ পরিবর্তনে বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তার যে ত্যাগ,অসম সাহস, দূরদর্শিতা সর্বোপরি কর্মদক্ষতার সৌন্দর্যবোধ সে যেন সময়ে, সময়ে আজ এক অসামান্য নিপুণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। তাকে ধারণ করার অর্থই হলো বাঙালী জাতি হিসাবে আমাদের মূল অস্তিত্বকে ধারণ করা।
অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির স্রষ্ট্রা শেখ মুজিব কখনও হিন্দু-মুসলমানকে দুই চোখে দেখেননি। তাই তো তিনি বলে গেছেন ‘আমি মানুষকে কেবল মানুষ হিসাবেই দেখি। রাজনীতিতে আমার কাছে মুসলমান,হিন্দু, খ্রীস্টান বলে কিছু নাই। সবাই মানুষ।’
বঙ্গবন্ধু মহামানব, এক ক্ষণজন্মা পুরুষ। জাতির পিতা হিসাবে বাঙালীকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যতটুকু দেবার তিনি তা দিয়ে গেছেন, যা বলার তা তিনি বলে গেছেন, যা দৃষ্টান্ত স্থাপন করার তাও করে গেছেন। জাতির জন্য সঠিক আদর্শ ও সঠিক পথটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের তরে তিনি রচনা করে গেছেন। স্বাধীন সার্বভৈাম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বময় আমাদের পরিচিত করে গেছেন ‘বীর বাঙালী’ হিসাবে সকল সময়ে-অন্যায়ে আপোসহীন জাতি হিসাবে। ‘ক্ষণজন্মা বঙ্গবন্ধু’ যা কিছু করেছেন তা নির্দিষ্ট করে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয়; তা সামগ্রিক, গোটা জাতির,সমগ্র রাষ্ট্রের। জাতি হিসাবে প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্যই তাই সময় এসেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক চর্চা ও দশর্নের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জানা; তা গভীরভাবে উপলব্ধি করা, সর্বাত্মকভাবে আমাদের চিন্তা ও কর্মে তাকে প্রতিষ্ঠা করা। ব্যক্তি,সমাজ-রাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠিত করাই আজ সময়ের দাবি। সকল কালে, সকল সরকারের ঐতিহাসিক দায়িত-কর্তব্য।
‘বঞ্চিত-নিপীড়িত-শোষিত,দুঃখী মানুষের জন্য, মানুষের তরেই সকল কিছু’Ñঅবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে শুধু যে এ কথাই সত্য ছিল।
সময় এসেছে, জাতি হিসাবে সকলে মিলে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে সকল ভেদাভেদ ভুলে এ মন্ত্রকে অনুসরণ করার, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে আতœনিয়োগ করার। দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালীর অর্থনৈতিক মুক্তির যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে যার যার অবস্থান হতে সম্পৃক্ত হয়ে আত্মনিয়োগ করার। আর এই সংগ্রামে সৈনিক আমরা নতুন প্রজন্মের সন্তানরা।
কবির ভাষায়, ‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার’। তাই, আমরা নতুনরাই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করব। আমরাই দেখাব: ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’। সোনার বাংলা গড়ার মধ্য দিয়ে তোমার অসমাপ্ত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবÑ এ অঙ্গীকার পিতা তোমার জন্মদিনে...।
©somewhere in net ltd.