![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা। প্রসিকিউশনের ক্লিয়ারেন্স পেলেই তদন্ত সংস্থা যে কোন দিন চূড়ান্ত রিপোর্ট চীফ প্রসিকিউটরের বরারর দাখিল করবে। এখন রিপোর্টের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করছে তদন্ত সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটরবৃন্দ। ২৬ মার্চ সামনে রেখেই তদন্ত সংস্থা জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ কয়েক মাস তারা জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট তৈরি করেছে। সম্প্রতি প্রসিকিউশনপক্ষে চীফ প্রসিকিউটর ও চীফ কোঅর্ডিনেটরের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে রিপোর্ট জমা দিতে দেরি হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্ত সংস্থা রিপোর্ট দেয়ার পর পরই প্রসিকিউশন পক্ষ তা ফরমাল চার্জ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে। আশা করা হচ্ছে ২৬ মার্চের আগেই তদন্ত সংস্থা তাদের রিপোর্ট প্রসিকিউশন পক্ষে দাখিল করতে পারে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার চৌকস কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল কাজ করছে। আর প্রসিকিউশনের পক্ষে রয়েছেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। তাঁরা দেশী-বিদেশী পত্রপত্রিকা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্টের জামায়েতের নিবন্ধন বাতিলের রায়সহ অন্যান্য দলিলপত্র দেখে তদন্ত করেছেন। সাক্ষী হিসেবে দেশী-বিদেশী প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশী বেশ কিছু মামলার ডকুমেন্টও দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীকে ‘অপরাধী সংগঠন’ (ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন) হিসেবে আখ্যায়িত করার পর তদন্ত সংস্থা এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এরই মধ্যে তদন্ত সংস্থা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টির প্রায় ২৯ জন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে; আর সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী। তদন্ত করার পর ট্রাইব্যুনালে ৯টি মামলায় ১০ জনের দ- প্রদান করা হয়েছে। ৭ জনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। জামায়াতসহ আরও নয়টি মামলার তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক জনকণ্ঠকে বলেছেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছি। প্রসিকিউশন পক্ষ ইঙ্গিত দিলেই আমরা ওই রিপোর্ট চীফ প্রসিকিউটরের বরাবর দাখিল করব। আরেক সমন্বয়ক এম এ হান্নান খান জনকণ্ঠকে বলেছেন, এ মাসেই আমরা জামায়াতের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেব। এখন শুধু যাচাইবাছাই চলছে। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ জনকণ্ঠকে বলেছেন, তদন্ত সংস্থার কাজ অনেকাংশে হয়ে গেছে। আমরা এখন খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দেখছি। তদন্ত সংস্থা চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়ার পর আমরা চেষ্টা করব এ মাসেই যাতে ফরমাল চার্জ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা য়ায়। তিনি আরও বলেন, নুরেমবার্গ ট্রায়ালে অভিযুক্তদের পাশাপাশি ৭টি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনেরও বিচার হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ১) নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব ২) রাইখ সরকারের মন্ত্রিসভা ৩) এসএস ৪) গেস্টাপো ৫) এসডি ৬) এসএ এবং ৭) জার্মান হাইকমান্ড। বিচারে সব সংগঠন দোষী প্রমাণিত হয়েছে এবং রায়ে এদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সে বিষয়টিও আমরা মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চালিয়েছি।
জামায়াতের অতীত, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা এবং বর্তমান কর্মকা-ের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জামায়াত স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছে। পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করে আলবদর সৃষ্টি করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। ব্যক্তিবিশেষ ছাড়া ও সংগঠন হিসেবে তারা অপরাধ করেছে। যেমনটি হয়েছিল নুরেমবার্গ ট্রায়ালে। সেখানে অভিযুক্তদের পাশাপাশি সংগঠনকেও দোষী সাব্যস্ত করে নিষিদ্ধ করা হয়।
তদন্ত সংস্থা ১৮ আগস্ট থেকে জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত সংস্থা ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি রায়, হাইকোর্টে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায়সহ নানান বিষয় খতিয়ে দেখছে। ১৫ জুলাই গোলাম আযমের বয়স বিবেচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির পরিবর্তে ৯০ বছর কারাদ- প্রদান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ে জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এ সব বিষয় তদন্তকারী সংস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখছে। তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেছেন, আমরা জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছি। এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যে কোন দিন ওই রিপোর্ট প্রসিকিউশনে দাখিল করা হবে। তদন্তে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ভূমিকা এবং বর্তমানের কর্মকা-ের বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করেছি।
জামায়াতে ইসলাম এর আগে কয়েকবার নিষিদ্ধ হয়েছিল। সর্বপ্রথম ১৯৫৯ সালে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পর ১৯৬৪ সাালে দ্বিতীয়বার ও ১৯৭২ সালে তৃতীয়বার। জিয়াউর রহমান আসার পর ১৯৭৯ সালের ২৫ মে প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ পায় জামায়াতে ইসলামী। এর পর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালে জামায়াতের শীর্ষ ৬ নেতাকে বিভিন্ন দ- প্রদান করা হয়।
তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, তারা তদন্ত করতে যে বিষয়গুলো এনেছে তার মধ্যে রয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কাল। চারটি বিষয় সামনে নিয়ে তদন্তকাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এগুলো হলো মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা। এ ছাড়া ওই সময়ে জামায়াত কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধে জামায়াতের ভূমিকা।
সূত্র জানায়, জামায়াতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষী করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কারও নাম বলা যাবে না। ৩০ থেকে ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনাগুলোর বিভিন্ন দলিল, ওই সময়ে দেশ-বিদেশে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা, দেশে ও দেশের বাইরের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের লেখা বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধ, বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত জামায়াতের কর্মকা-ের বিবরণ, জামায়াত নেতাদের লিখিত বই, তাদের দেয়া বক্তব্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো যাচাইবাছাইয়ের কাজও শেষ। তার প্রয়োজনীয় ‘ডকুমেন্ট’ তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি জানান, ডকুমেন্ট ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি থাকছে ‘পলিসি উইটনেস।’ রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে ট্রাইব্যুনালে সংগঠনটির বিষয়ে ‘পলিসি উইটনেস’ সাক্ষ্য দেবে। তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত জনকণ্ঠকে বলেন, সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হলে মামলায় তদন্তে নথিপত্র ও ডকুমেন্ট ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর বরাবর দাখিল করা হবে। তবে এটা বলতে পারি প্রতিবেদন দাখিলের পর আমরা তা পর্যবেক্ষণ করব, যদি দলটির অপরাধ মিলে তাহলে আদালত আমলে নেবেন। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের জন্য উপস্থাপন করব। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করার পর দলটির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে।
প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল যিনি এ মামলার একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি জনকণ্ঠকে বলেছেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত প্রায় শেষ করেছি। যে কোন দিন তদন্ত সংস্থা চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রসিকিউশনে দাখিল করবে। আমরা এখন জামায়াতের তদন্তের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দেখছি। এ মাসেই জামায়াতের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হবে বলে আশা করছি।
সূত্র আরও জানায়, যারা সংগঠনটির ভূমিকার বিষয়ে প্রত্যক্ষ করেছে এবং দীর্ঘদিন গবেষণামূলক কাজ করছেন, এ নিয়ে একাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন এমন কেউ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে তাকে বলা হয় ‘পলিসি উইটনেস।’ এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিভিন্ন মামলায় ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। দলটির সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলার বিচারে সাক্ষী হিসেবে বিভিন্ন ডকুমেন্ট পেশ করা হয়েছিল। জামায়াতের বিষয়েও তদন্তে সেই ডকুমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতার মামলায় রায় হয়েছে। দলটির আরও অনেকের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। ইতোমধ্যে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার রায় কার্যকর করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, আলবদর হলো জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র গ্রুপ। আলবদর গঠিত হয়েছিল ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীদের দ্বারা। জামায়াতে ইসলামী মিলিটারিদের কার্যক্রমে সাহায্য করার জন্য দুটি শাখা গঠন করে। সুতরাং ঐতিহাসিকভাবে বলা যেতে পারে, জামায়াতে ইসলামী কার্যকর ভূমিকা আলবদর, রাজাকার, আলশামস এবং শান্তি কমিটি গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বেসামরিক লোকজন এবং তাদের সম্পদ রক্ষা করার কোনক্রমেই কোন ভূমিকা রাখেনি। জামায়াতে ইসলামী দুটি প্যারামিলিটারি ইউনিট গঠন করে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫০ হাজার রাজাকার রিক্রুট করা হয়। জামায়াতে ইসলামী আলবদরের দ্বারা সংগঠিত হত্যা, নির্যাতনের দায় এড়াতে পারে না। যদিও জামায়াত বলত যে, তাদের মানবিকতা এগুলো মহান ধর্ম ইসলামের জন্য। কিন্তু একাত্তরের কর্মকা-ে সেটা দেখা যায়নি। রায়ে বলা হয়, মুজাহিদ তৎকালীন ছাত্র সংঘের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আলবদর বাহিনী তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ বিষয়গুলো ধরেই তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা তদন্ত করেছে।
প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪১ সালের এপ্রিল মাস থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে মাওলানা মওদুদী প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামের তৎপরতা শুরু ভারতীয় উপমহাদেশে। একই বছরের ২৬ আগস্ট ৭৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে লাহোরে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। ওই দিন সম্মেলন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত ইসলামী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগে ১৯৩৮ সালে জামায়াত প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চারজন কর্মী নিয়ে ‘দারুল ইসলাম’ নামক সংগঠন যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির সময় পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী ও ভারত জামায়াত ইসলামী নামে বিভক্ত হয় জামায়াত। পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব সৃষ্টি হয় জামায়াতের। ‘কাদিয়ানী সমস্যা’ নামক একটি বিতর্কিত বই লিখে ১৯৫৩ সালের ২৮ মার্চ গ্রেফতার হন জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী এবং সামরিক আদালতে তার ফাঁসি হয়। পরে সৌদি বাদশাহর হস্তক্ষেপে ১৯৫৫ সালের ২৯ এপ্রিল মুক্তি দেয়া হয় তাকে। এ সব বিষয় তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউটরগণ খতিয়ে দেখছেন। তবে মামলার স্বার্থে এ মুহূর্তে অনেক কিছুই বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন পক্ষ।
©somewhere in net ltd.