![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংলাপে না বসলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন_ বিএনপি জোটের এমন হুমকি আমলে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে রাজপথে যে কোনো ধরনের আন্দোলন মোকাবিলা করার শক্তি সঞ্চয়ে দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েই ঈদের পর মাঠে নামবে শাসক দল। আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সফলভাবে জাপান ও চীন সফর এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ ও শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কাজ করার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে স্বস্তিতে শাসক দল। এ ছাড়া রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার মতো বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিও নেই বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপির সঙ্গে মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের সংলাপ-সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা দেখছে না দলের নীতিনির্ধারক মহল। যে কারণে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তারা মনে করছেন, এখন বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ভাববার সময় নেই। আগে দলকে ঢেলে সাজাতে হবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঈদের পর আন্দোলন বিএনপির ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। তবে আমরা জেলা সম্মেলন শুরু করেছি। ঈদের পর সংগঠন গতিশীল ও শক্তিশালী করতে মাঠে নামব। বর্তমান সরকারের অধীনে দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। বর্তমান সরকার পূর্ণ মেয়াদেই ক্ষমতায় থেকে ২০১৯ সালে নির্বাচন দেবে। ওই পর্যন্ত বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে কোনো সংলাপ-সমঝোতা হওয়ার সুযোগ নেই। দলীয় সূত্রমতে, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এবং দলকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ক্লিন ইমেজ কাজে লাগাতে চায় শাসক দল। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখন থেকেই মাঠে নামতে চায় তারা। এর নেতৃত্বে রাখা হবে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে। কারণ হিসেবে দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, জয় যেখানেই যাবেন সেখানেই বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের বিপুল সাড়া মিলবে।
তিনি সারা দেশ ঘুরে সংগঠন শক্তিশালী করার পাশাপাশি সরকারের সাফল্য জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। ১২ জুলাই রংপুর থেকে তার এ সাংগঠনিক সফর শুরু হবে। এ নিয়ে করণীয় নির্ধারণে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন জয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, 'বিগত পাঁচ বছর আমরা সফলভাবে দেশ চালিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে। এখন থেকেই আমি দলকে শক্তিশালী করত চাই।' দলের নীতিনির্ধারক মহল মনে করছে, জয়ের দলের প্রতি মনোযোগী হওয়ায় সংগঠন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হবে।
দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সংগঠন শক্তিশালী না হলে সরকারে একাকার হয়ে যায়। এ মুহূর্তে বেশি দরকার সংগঠন শক্তিশালী করা। আমাদের তরুণ নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় সংগঠনের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। তাকে দিয়েও জনগণের সঙ্গে সংগঠনের সেতুবন্ধ তৈরি করা যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়েছে। সংগঠন শক্তিশালী করতে ঈদের পর আওয়ামী লীগ মাঠে নামবে। সম্মেলনের পাশাপাশি সরকারের সাফল্যগুলোও জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আপাপত ভাবছি না। কারণ বিএনপির আন্দোলন মানেই জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা। এসবের কারণে জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। দেশের মানুষ চায় না আবার সহিংসতা ফিরে আসুক। ঘুমন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হোক। সহিংসতা করে জনগণের আস্থা যেমন অর্জন করতে পারবে না তেমনি সরকার পতনের স্বপ্নও তাদের পূরণ হবে না।' বিএনপির আন্দোলন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি নেইও বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৪
গাধা গরু বলেছেন: র্যাব পুলিস শামিম ওসমানের মত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের যারা পোষে তারা সব কিছুকেই থোরাই জ্ঞান করবে এটাই স্বাভাবিক
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: বিএনপি কি একটা আমলে নেবার মত দল?
যারা হুমকি দিলে রাস্তার কুত্তাও ফ্যাক ফ্যাক করে হাসে!