নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্জিত সমুদ্রসীমা পাহারায় রাখতে হবে

১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জয়ের পর আগে যেখানে বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রে যেতে পারত না, এই রায়ের পর সেখানে যেতে কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কাউসার আহমেদ। তিনি বলেন, এ রায়ের পর এখন বাংলাদেশের জেলেরা আগের চেয়ে সমুদ্রের অনেক ভেতরে গিয়ে মৎস্য আহরণ করতে পারবে। এখন আর কোনো দেশ বাধা দিতে পারবে না। তিনি বলেন, 'এ ছাড়া আমাদের এখন গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করাও অনেক সহজ হবে। আর আমাদের নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার দরকার। কারণ ১২-১৩ বছর পর বাংলাদেশের গ্যাসের মজুদ শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই বিকল্প জ্বালানি হিসেবে আমাদের নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে হবে। এ জন্য গভীর সমুদ্রে আমাদের অনেক অনুসন্ধান করতে হবে।



মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো 'নিটল টাটা আওয়ার ডেমোক্রেসি' অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।



আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক জানতে চান, মিয়ানমারের পর বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গেও একটি সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে পক্ষে রায় পেয়েছে। এ রায়ে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হলো- কিভাবে বিশ্লেষণ করবেন।



জবাবে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, 'বাংলাদেশ যে জন্য মামলা করেছিল, তার তুলনায় অনেক কম সমুদ্রসীমা পেয়েছে। তবে আমাদের এ বিষয়ে আরো অভিজ্ঞ লোক থাকা দরকার ছিল।' তিনি বলেন, 'আমাদের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ শুরু হয়েছে মাত্র দুই বছর হলো। তাও এটা হয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়ের পর। এটা যদি আরো ৪০ বছর আগে করা হতো, তাহলে আরো অনেক অভিজ্ঞ লোক আমাদের এ সেক্টরে কাজ করতে পারত।' তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে এখন শুধু সমুদ্রসীমা নয়, আকাশপথ, ল্যান্ড বাউন্ডারিসহ সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা দরকার। এ বিষয়ে সরকারকে গবেষণা করার সুযোগ তৈরি করতে হবে।' তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য সমুদ্রসীমা জয় ভালো, কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ সমুদ্র আমাদের রক্ষণাবেক্ষণের কোনো লোকবল বা আধুনিক সরঞ্জাম নেই। তাই সরকারের উচিত হবে এখন অর্জিত সমুদ্রসীমা যাতে নিজস্ব পাহারায় রাখা যায়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।



আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে যে সমুদ্রসীমা জয় পেয়েছে, এ বিষয়ে বিএনপির সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর হাফিজউদ্দিন বলেছেন, এ রায় বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। এ রায় নিয়ে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাচ্ছে। তাই এ রায় বাংলাদেশের পক্ষে না গেলেও সরকার তা ফলাও করে প্রচার করছে। আবার সরকার বলছে, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে আইনি মোকাবিলা করে রায় ছিনিয়ে এনেছে। আসলে কিভাবে দেখবেন?



জবাবে ড. কাউসার আহমেদ বলেন, এ রায় হলো টেকনিক্যাল। না বুঝে এর সম্পর্কে মন্তব্য করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় একটি টেকনিক্যাল বিষয়। এ রায় নিয়ে কারোরই রাজনীতি করা ঠিক না। তিনি বলেন, 'ভারতের নিযুক্ত আইনজীবী বাংলাদেশের দাবির বিষয়ে আপত্তি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই আপত্তি ৪-১ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। তাই বলছি, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এ মামলায় বাংলাদেশের আরো অভিজ্ঞ আইনজীবী থাকলেই বাংলাদেশ আরো রায় পেত, তা নয়। আইনিভাবে যা হওয়ার দরকার ছিল তা-ই হয়েছে।'

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.