![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
০৯ সেপ্টেম্বর এ এস এইচ কে সাদেকের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যেসব ব্যক্তিবর্গ তাঁর প্রশাসনকে সমুজ্জ্বল করেছিলেন এবং যথাযথ দায়িত্বপালনকালে রাষ্ট্রকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে যাঁদের অসামান্য অবদান ছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক। আবু শরাফ হিফজুল কাদের সাদেক (এ এস এইচ কে সাদেক) ছিলেন সাবেক সচিব, দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও সফল শিক্ষামন্ত্রী। তিনি ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে একজন সিএসপি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭০-৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাফিল ফাউন্ডেশন থেকে ফেলোশিপ অর্জন করেন। তাঁর কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতার কারণে নীলফামারী ও নারায়ণগঞ্জ মহকুমা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান এবং পরবর্তীতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সরকারের একজন সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল এ এস এইচ কে সাদেক এবং তাঁর স্ত্রী ও বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের বিশেষ অবদান। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহরের এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত এ এস এইচ কে সাদেকের সরকারি বাসভবন ১নং টেনামেন্ট হাউজ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম ঘাঁটি। মুক্তিযোদ্ধারা প্রায়ই তাঁদের অস্ত্র গোলাবারুদ এই সরকারি বাসভবনে রাখতেন। তাঁরা উভয়েই মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রদানসহ সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মরহুম সাদেক স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহম্মদের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন এবং ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী বেগম ইসমাত আরা যশোর-৬ (কেশবপুর) নির্বাচনি এলাকা থেকে দশম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হলে তাঁকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
এ এস এইচ কে সাদেক তাঁর বিচিত্র অভিজ্ঞতাময় জীবনে জনপ্রশাসনের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ইউএনআইডি-এর প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞ এবং আঞ্চলিক শিল্প উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ২৫ মার্চ ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচত হন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দলীয় মনোনয়নে তাঁকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর শিক্ষাক্ষেত্রে এক আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপদ্ধতির সাথে সমন্বয় রেখে দেশের সকল ফলাফলে ‘জিপিএ’ সিস্টেম চালু করার পাশাপাশি সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তনসহ শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল আকাশ ছোঁয়া। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রূপে স্বীকৃতি প্রদান এবং সুন্দরবনকে ইউনেস্কোর অধীনে ডড়ৎষফ ঐবৎরঃধমব-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সফল হয়েছিলেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ২০১০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়। ব্যক্তি হিসেবে তিনি ছিলেন অমায়িক, নম্র, ভদ্র এবং কখনো পরনিন্দা করতেন না। কখনো অন্যের গালমন্দ করে নিজেকে হাইলাইট করেননি। তিনি কাজে বিশ্বাসী ছিলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে বিশ্বাসী ছিলেন। নিজের এলাকায় দলকে সুসংগঠিত করার জন্য সবসময় সোচ্চার থাকতেন। দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে তিনি সবসময় খুব কঠোর ছিলেন। অবৈধ কোনো নিয়মনীতি তিনি কখনো মেনে নেননি বা প্রশ্রয় দেননি। তাই কিছু লোভী বা স্বার্থান্বেষী মানুষ তাঁর প্রতি ছিল বিদ্বেষ মনোভাবাপন্ন। তবে পরবর্তীতে তিনি তা বুঝতে পেরে তাদেরকে এড়িয়ে চলেছেন। আসলে তাঁর মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শচেতনা ও দৃঢ় মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিত্বÑ যেটা একজন আদর্শ নেতার মধ্যে লুকিয়ে থাকা উচ্চমানের বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য হয়।
২০০১ সালে যখন বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসীন, তখনো তিনি যশোর-৬ কেশবপুর থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেসময় যেখানে সারাদেশে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছিল আর তখন তিনি এমপি হয়েছিলেন কারণ তাঁর কাজ-কর্ম ও উন্নয়ন ছিল কেশবপুরবাসীর কাছে অভূতপূর্ব। পরবর্তীতে ১/১১ ধরপাকড়ের সময় তাঁর সাবেক কর্মকা-ের হিসাব-নিকাশে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তাঁর গায়ে কোনো কলঙ্ক লেপন করতে পারেনি কেউ; কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এ মহান নেতার আকস্মিক মৃত্যুর পর কেশবপুরবাসীর ভাগ্যে নেমে আসে এক অযাচিত ও অদ্ভুত অমাবস্যা। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেশবপুর-অভয়নগরকে একটি আসনে রূপান্তরিত করে। ২০০৮ সালে আওয়ামী সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার পর অভয়নগরের আব্দুল ওহাব জাতীয় সংসদের হুইপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কেশবপুরবাসী খুব আনন্দ-উল্লাস করেছিল; তবে সেই উল্লাস বেশিদিন টিকে থাকেনি। এ এস এইচ কে সাদেকের কেতাদুরস্ত উন্নয়নকে করেছিল ধূলিস্যাৎ, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি আর নিয়োগ বাণিজ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে করেছিল ধ্বংস।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ২০১৪ সালে নির্বাচনে সাদেক পরিবারের আরেকজনকে পেয়ে কেশবপুর হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত। সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর সহধর্মিণী ইসমাত আরা সাদেক নির্বাচনে জয়লাভ করার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁকে সরকার ও রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর তাঁর একটাই কথা ছিলÑ ‘কখনো দুর্নীতি করবো না আর দুর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেব না।’ আর তারই আলোকে জনপ্রশাসনকে তিনি গড়ে তুলেছেন এক আদর্শিক রূপরেখায় এবং সুসংগঠিত করেছেন জনস্বার্থকে মাথায় রেখে। পাশাপাশি তিনি এলাকার গণমানুষের নিয়মিত খোঁজখবর রেখে চলেছেন এবং এলাকার অবকাঠামোর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছেন। সরকারের সকল প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি গরিব ও অসহায় মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে চলেছেন তিনি। এত অল্প সময়ে তাঁর এলাকার রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ভবন নির্মাণ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়েছে বা হচ্ছে, যা অবিশ্বাস্য। যেসব এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেসব এলাকায় তিনি দ্রুতগতিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন। এই মহীয়সী, সৎ ও আদর্শ নারী গরিব, দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। গত জুলাই মাসে মন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থ মসজিদ, মন্দির ও দরিদ্রদের মাঝে নগদ টাকা ও চেকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ঋণ বিতরণও করেছেন তিনি। এছাড়া তিনি ১১৬ জন গরিব ও দুস্থদের মাঝে নগদ ৩ লাখ টাকা, ১৪টি মসজিদে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৩টি মন্দিরে ৩০ হাজার এবং ৩৪ জন নারীর মাঝে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেছেন।
ইসমাত আরা সাদেক ১৯৪২ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজের মধ্যেও তাঁর পরিবার ছিল বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। পরিবারের সদস্যরা ছিলেন শিক্ষিত, উদার ও সংস্কৃতিমনা। সংগীত চর্চার ক্ষেত্রেও ছিল তাঁদের বিশেষ আগ্রহ। সে সময়ে মুসলিম পরিবারের মহিলাদের লেখাপড়া বিরল থাকলেও তাঁর পরিবারের মহিলা সদস্যদের লেখাপড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে উৎসাহিত করা হতো। দাদা খান বাহাদুর হাফিজুর রহমান সমাজসেবক ও দানশীল ব্যক্তি হিসেবে সর্বত্র সমাদৃত ছিলেন। বেগম ইসমাত আরা ১৯৫৬ সালে বগুড়া ভিএম গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৮ সালে ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েড এবং ১৯৬০ সালে ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। নব্বই দশকের একইসময় এ এস এইচ কে সাদেক ও ইসমাত আরা সাদেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি যুক্ত হন। যদিও এ দম্পতির আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি জোরালো সমর্থন ছিল। ১৯৯৬ সালে তিনি কেশবপুর মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা এবং সুসংগঠিত করেন। তখন থেকে কেশবপুর মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের সদস্য হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া তিনি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘সাথী সমাজকল্যাণ সংস্থার’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সংস্থা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা, পোশাক ও শিক্ষা উপকরণসহ আনুষঙ্গিক সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকে।
এছাড়া পূর্বেই তিনি অসহায় মানুষের জন্য একটি ফাউন্ডেশন করেছিলেন সেখান থেকে গরিব মেধাবীদের জন্য পড়ালেখার খরচ, বিভিন্ন উৎসব পার্বণে নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কেশবপুর উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে সকল প্রকার সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধান করার জন্য তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। একজন প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আজ একটি উপজেলার মানুষের কোনো অভাব নেই, রাস্তাঘাট অলিগলিতে পিচঢালা পথ হওয়ার কারণে যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা শহরমুখী হয়েছে। মানুষের কর্মব্যস্ততা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসাবাণিজ্য গতিশীল হয়েছে। কোমলমতি ছেলেমেয়েরা সকলেই স্কুলমুখী হচ্ছে। দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর কঠোর দৃষ্টি থাকায় এলাকায় কোনো প্রকার অনৈতিক কার্যক্রম চলছে না। তবে কিছু এলাকায় আগের সেই দুর্নীতিবাজ ওহাবের অনুসারী আছে, যারা অসহায় মানুষকে জিম্মি করে অর্থকড়ি আদায় করছে। মন্ত্রী মহোদয়ের সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখা ও দ্রুত প্রতিকার করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। সবচেয়ে বড় খুশির খবর হলো যেসব মেধাবী ছাত্ররা অর্থের অভাবে পড়াশুনা করতে পারেনি, তাদেরকে তিনি চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যা অবিশ্বাস্য। ইতঃপূর্বে এক মেধাবী ছাত্রের বাসের হেল্পার হওয়ার কথা শুনে মন্ত্রী তাকে পুলিশের চাকরি দিয়েছেন, যা নজিরবিহীন। এ রকম বাস্তব দৃষ্টান্ত রয়েছে অনেক। ভ্যানচালক এক বৃত্তি পাওয়া ছাত্র সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছে স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের নাইটগার্ড হিসেবে। তিনি এভাবেই চাকরি দিয়েছেন অসহায় কিন্তু শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে। এছাড়া সম্প্রতি কয়েকটি দপ্তরে নিয়োগ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি অসহায় গরিব মেধাবীদের দিকে লক্ষ্য করেছিলেন ও নিয়োগ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যার ফলে অধিকাংশ নিয়োগে চাকরি পেয়েছে দিনমজুরি ও খেটে খাওয়া মেধাবীরা। এসব অসহায় মানুষ কখনো ভাবতে পারেনি তারা বিনা টাকায় চাকরি পাবে।
ইসমাত আরা সাদেক ধনী-গরিবের বৈষম্য কমানোর জন্য অসহায় মানুষের প্রতি বেশি খেয়াল রাখছেন যাতে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাসহ সকল উন্নয়নের কর্মকা- থেকে তারা সুবিধাবঞ্চিত না হয়। এজন্য তারা মন্ত্রীকে প্রাণভরে দোয়া করে। খুশিতে অনেকেই কেঁদে ফেলেছেন। একজন মানবতাবাদী মন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোসহ তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। আজ তাঁর এলাকায় উন্নয়নের জন্য যেসব ব্যক্তিবর্গ বেশি ভূমিকা রেখে চলেছেন এবং যারা মন্ত্রীর পাশে সবসময় ছায়ার মতো লেগে আছেন তাঁরা হলেন প্রতিথযশা সাংবাদিক শ্যামল সরকারসহ এক অসহায় স্পর্শকাতর নারী; উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী রেবা ভৌমিক। যাঁর একমাত্র সহায়-সম্বল আপনজন আকস্মিক মৃত্যুর কারণে না ফেরার দেশে চলে গেলেও তিনি দলের ও জনকল্যাণের জন্য মন্ত্রীর সাথে ছায়ার মতো লেগে আছেন; কিন্তু এত শোকগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি দলের জন্য অতি সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া কেশবপুর উপজেলার উন্নয়নের জন্য যাঁদের কথা না বললেই নয়Ñ তাঁরা হলেন : উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাদেক পরিবারের আরেক সদস্য মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মন্ত্রীর এপিএস, উপজেলা ডিগ্রি কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও তার সহধর্মিণী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক প্রমুখ। এই ব্যক্তিবর্গ অসহায় মানুষের ডাকে সাড়া পেয়ে তাদের পাশে থেকে উপকার করার চেষ্টা করে চলেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটা উপজেলা বা থানা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এলাকার মতো অনুসরণ ও অনুকরণ করে যদি চলত, তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে এদেশ দ্রুত এগিয়ে যেত। অতীতের খ্যাতিমান এ এস এইচ কে সাদেক এবং বর্তমানের নন্দিত বেগম ইসমাত আরা সাদেকÑ এই উভয় রাজনীতিকের নেতৃত্বের প্রতি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আগ্রহ ও আস্থা স্পষ্ট। তাঁদের দুজনকেই আমাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: এসব চোর, বালছাল নিয়ে কি লিখছেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
আমায় ডেকো না বলেছেন: লাল সালাম কেন?এ এস এইচ কে সাদেক সাহেব নিশ্চয় কোন কমুনিষ্ট ছিলেন না,একজন সাধারন মুসলিম ছিলেন।তাই তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার ভালো কাজগুলো স্মরন করার পাশাপাশি রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে হবে।