![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, কিসের মধ্যবর্তী নির্বাচন? দেশে এমন কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে? কার সঙ্গে সংলাপ আর কিসের সংলাপ? সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। কেউ নির্বাচনে না এলে সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। রাজনীতিতে কেউ ভুল সিদ্ধান্ত নিলে সেই ভুলের খেসারত সেই দলকেই দিতে হবে। দেশের মানুষ আজ ভাল আছে। সামাজিক এবং অর্থনীতির সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরে আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষষ্ঠতম দিন শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় নিউইয়র্কের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবাসী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের মানুষ ভাল আছে সেটা কি ভাল লাগছে না? আপনারা কি আবার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের দলকে ক্ষমতায় দেখতে চান? আবারও কি দেশে হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবনের সন্ত্রাস-দুর্নীতির মহোৎসব দেখতে চান? দুর্নীতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে শক্তহাতে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন করেছি বলেই বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও দেশে ৬ ভাগেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দুর্নীতি হলে দেশের এত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি হতো না।
‘বিদেশে পালাতে ভিসা নিন’- প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার এমন উক্তি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি কখনও পালাই না। আর আমি পালাব কেন? আমার জন্ম বাংলাদেশের মাটিতে, টুঙ্গিপাড়ায়। তাই আমি দেশের থাকব। ১/১১ সময় উনি (খালেদা জিয়) তো পোটলা-পুটলি গুছিয়েই রেখেছিলেন। দুই ছেলে ছেড়ে দিতে রাজি হলেই উনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেন। আমিই প্রথম এর প্রতিবাদ করেছি। এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আমি তাঁকে বিদেশ পাঠানোর প্রতিবাদ জানিয়েছি। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি কেন বিদেশে পালাব? আমার যেতে ভিসা লাগবে না। বরং যিনি বলেছেন তাঁর (খালেদা জিয়া) জন্ম তো ভারতের শিলিগুড়ি চা বাগানে। লাগলে উনার ভিসা লাগবে, আমার নয়।
জনাকীর্ণ এই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা প্রবাসী ও বিদেশী সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের কড়া প্রশ্নেরও উত্তর দেন হাস্যোজ্জ্বল চিত্তে। সংবাদ সম্মেলনের মূল মঞ্চে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও জতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন উপবিষ্ট ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন স্থায়ী মিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মামুন-অর-রশিদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রবাসী এক সাংবাদিক নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ ভোট না দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করলে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে ভোট প্রদান মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। তাই মানুষকে ভোট প্রদানে বাধা দেয়া যেমন অসাংবিধানিক, ঠিক তেমনি ইচ্ছে করে ভোট না দেয়াও সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। অনেকে মিথ্যার ফুলঝুরি নিয়ে অনেক কথায় বলেন। আসলে তারা গণতন্ত্র চায় না, সাংবিধানিক শাসনে বিশ্বাস করে না। নির্বাচনে ভোট না দিয়ে উনারা (বদিউল আলম মজুমদার) কি অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক কাউকে আনতে চেয়েছিলেন? তিনি বলেন, মধ্যরাতে টিভিতে বসে নানান কথাই বলা হয়, কিন্ত সেই বেসরকারী টেলিভিশনের লাইসেন্স আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। এয়ার কন্ডিশনে বসে মিথ্যাচারে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
কথিত সুশীল সমাজের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কিছু মানুষ আছে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা আছে। অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের মূল্যায়ন হয়, মন্ত্রিত্ব ও গাড়িতে পতাকা লাগানোর স্বপ্ন দেখেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এতই যদি পতাকা ও ক্ষমতার স্বাদ থেকে থাকে, তবে রাজনীতি করেন না কেন? জনগণের ম্যান্ডেট নেয়ার সাহস কেন দেখাতে পারেন না? মনে রাখবেন অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় দখলকে সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। অবৈধপন্থায় জিয়ার ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে সব ধরনের অপকর্ম করে গেছে। নিষিদ্ধ হওয়া জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী বানিয়েছেন। কিন্তু সেই দিন আর নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জনমানুষের মনে সৃষ্ট সরকারের সঙ্গে জামায়াতের গোপন আঁতাতের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনও আঁতাতের রাজনীতি করি না। আর জিয়াই তো জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে গেছেন। আমরাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, রায়ও কার্যকর করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে। তিনি বলেন, আমরা তো কোন রায় দিচ্ছি না। রায় দিচ্ছে স্বাধীন বিচার বিভাগ। আমরা কখনও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করি না। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা করতে ক্ষমতায় আসিনি। জনগণের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার টার্গেট নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে পদ্মা সেতুর উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার সবসময়ই সচেতন। পদ্মা সেতু নিয়ে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থাও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জ করলে তারা তার সদুত্তর দিতে পারেনি। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাসীন থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছিল বলেই কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। বর্তমান সরকারের মাত্র ৫ বছরে বিদ্যুত উৎপাদন চাহিদারও বেশি অর্থাৎ ১১ হাজার ৭শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দুর্নীতি হলে এত উন্নয়ন সম্ভব হতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর নীতির প্রতি আস্থা রেখে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে চলেছে। পাশাপাাশি দেশের অভ্যন্তরেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমানভাবে তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে পরপর দ্বিতীয়বারের মতো আমরা সরকার গঠন করেছি। বাংলাদেশে এই প্রথম একটি নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।
৫ জানুয়ারী নির্বাচনপূর্ব বিএনপি-জামায়াতের ভয়াল সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে বাসে-ট্রাকে বোমা মেরে, গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে মানুষ খুন করেছে। সহিংসতা ছড়িয়ে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের কথিত আন্দোলনের নামে একাত্তরের কায়দায় মানুষ হত্যার কর্মসূচী সাড়া দেয়নি। নিজেরা নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বানচালের নামে ভয়াল তা-ব চালালেও শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নির্বাচন হয়েছে, দেশের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছে। টানা দ্বিতীয়বারে মতো ক্ষমতায় এসেই আমরা দেশের আইন-শ্ঙ্খৃলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের ব্যাপক সাফল্য ও উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আমরা সফল হব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই।
শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগামীতেও বাংলাদেশ সামনে থাকবে ॥ বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের শুক্রবার জাতিসংঘের সদর দফতরে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে পালিত হলো বাংলাদেশের জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভের ৪০ বছরপূর্তি। বিদেশীদের কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতার গান পরিবেশন আর সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশের নয়নাভিরাম দৃশ্য তুলে ধারায় কিছুক্ষণের জন্য হলেও যেন জাতিসংঘের সদর দফতরে ফুটে উঠেছিল একখ- বাংলাদেশ। ইউএনডিপির প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক বাংলায় ‘শুভ অপরাহ্ন’ এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা ‘সবাইকে ধন্যবাদ’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ‘জয় বাংলা’ বলে বক্তৃতা শেষ করেন, তখন পুরো অনুষ্ঠানেই এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছিল।
এতে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমরা সংঘাত নয়, বিশ্বময় শান্তি চাই। শান্তি ও সংঘাত বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি যুদ্ধ প্রত্যাখ্যান করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা ও প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ এখনও সামনে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় জাতিসংঘের সদর দফতরের ৩ নম্বর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনসহ আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দিশাই বিসওয়াল, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী গানাদি গাতিলভ, ভারতের বিনোদ কুমার, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি আমিরা হক প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ডাক ও টেলিযোগযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ সরকারী ও বেসরকারী উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্কের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্তের। জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে অকৃত্রিম সহায়তার জন্য ভারত ও রাশিয়ার মতো দুই বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এই দু’টি দেশ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে এবং জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্যপদ লাভেও সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
সদস্যপদ লাভের ৪০তম বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে, জার্মানিসহ বাংলাদেশের দুর্দিনে যেসব দেশ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেসব দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাই, যিনি যেসময় ব্যক্তিগত মানবিক বোধ থেকে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সিনেটর কেনেডি কেবল বাংলাদেশী জনগণের ওপর গণহত্যা ও স্বৈরতান্ত্রিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কণ্ঠ সোচ্চারই করেননি, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশ পরিদর্শনও করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে নিঃস্বার্থভাবে সমর্থন ও স্বাধীনতা পরবর্তী জাতিসংঘের সদস্যপদলাভে সহায়তার জন্য এশিয়ান ও ন্যাম জোটভুক্ত আফ্রিকান বন্ধুদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সকলকে এ নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, জাতিসংঘভুক্ত থেকে আমরা আমাদের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা দৃঢ় থেকে আরও দৃঢ়তর করব। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পারমাণবিক, সামুদ্রিক, মহাকাশ ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ এজেন্ডা বাস্তবায়নে দৃঢ় সমর্থন প্রদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ভবিষ্যতে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতামূলক সম্পৃক্তার রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে- জাতিসংঘ মহাসচিব ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ সত্যিই বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তির কথা বাংলাদেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে, শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নারী ও পুরুষ শান্তিরক্ষীরা তাদের অবদান রেখে চলেছে। আমি আশা করি এটি অব্যাহত থাকবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে বাংলাদেশ তার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনছে উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, বাংলাদেশের এই অগ্রগতির কথা আমি বিভিন্ন নেতাকে বলি এবং তাদের এখান থেকে শিক্ষা নিতে বলি। কূটনৈতিক জীবনের শুরুতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি যে ফাউন্টেন কলম দিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে কূটনীতিক হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলাম তা এখনও সযতেœ রেখে দিয়েছি। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, উন্নয়ন ও শান্তির পথে বাংলাদেশ ক্রমেই এগিয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৯
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: বিএনপি কি লজ্জা শরমের মাথাসুদ্ধ খেয়ে শেষ করে ফেলেছে? নইলে কোন ভরসায় আশা করে যে সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দিবে?