নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ও শান্তির অনন্য বার্তা

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও ভারতের দুই প্রজন্মের দুই প্রতিনিধি, যার একজন কিশোরী মালালা ইউসুফজাই, অন্যজন প্রবীণ কৈলাস সত্যার্থী। বয়স ও অভিজ্ঞতার বিপুল ব্যবধান ছাপিয়ে তাদের যে মিলটি নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটির বিবেচনায় এসেছে, সেটা হচ্ছে_ তারা নিজেদের উৎসর্গ করেছেন শিশুর অধিকার ও শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। একটি শিশুর প্রকৃত ঠিকানা তার স্কুল_ সেটা দু'জনেই বুঝেছেন। তিন দশক আগে ভারতের কৈলাস সত্যার্থী শিশুশ্রম বন্ধ করে প্রতিটি শিশুকে স্কুলের বেঞ্চে বসানোর স্বপ্ন পূরণে কাজ শুরু করেছিলেন। স্কুলছুট, পাচার হয়ে যাওয়া, পতিতালয়কে ঠিকানা করতে বাধ্য হওয়া_ এ ধরনের ৮০ হাজারের বেশি শিশুকে তিনি উদ্ধার করেছেন এবং তাদের জীবন-জয়ের পথ দেখিয়েছেন। এই পথচলা নির্বিঘ্ন ছিল না। কখনও পাচারকারী, কখনও দোকান মালিক, কখনও বা সার্কাস মাফিয়াদের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। তার অফিস ভাংচুর হয়েছে। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাননি। শিশুশ্রম রোধ, শিশু অধিকার রক্ষা ও সর্বশিক্ষা অভিযান_ এ তিন উদ্যোগকে এক সুতায় বাঁধেন তিনি।
আর পাকিস্তানের সোয়াতের সাহসিনী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পাওয়া মালালার জন্ম কৈলাসের বাচপান বাঁচাও আন্দোলন শুরুর এক যুগেরও বেশি সময় পর। পাকিস্তানের তালেবানি অপশক্তি ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর মালালাকে খতম করে দেওয়ার জন্য মস্তকে বন্দুক রেখে গুলি করেছিল। তার বেঁচে থাকা সম্ভব হয়েছে বিশ্বের অনেক অনেক শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ঐকান্তিক চেষ্টা ও সহযোগিতায়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেও তিনি থেমে থাকেননি। নারীশিক্ষার জন্য কাজ করে চলেছেন নিরলস। তিনি আমাদের সবার সামনে এ দৃৃষ্টান্তও তুলে ধরতে পেরেছেন_ ছোটরাও বিশ্বকে বদলে দিতে পারে। প্রাণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই আলো হাতে পথ চলতে পারা যায়। আমাদের আশা, মালালা যেন তার নিজের এলাকা সোয়াতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে পারেন। হিংস্র শ্বাপদরা যেন তার এবং তার মতো আরও অনেক শিশু-কিশোরীর জন্য হুমকি হিসেবে বিরাজ না করে। তিনি নারীশিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে বিশ্বসমাজে স্বীকৃতি পেলেন। স্বদেশের জনগণ, বিশেষ করে নারীসমাজকে অশিক্ষার অভিশাপ থকে মুক্ত করার সংগ্রামে তিনি জয়ী হবেন_ এটাই কাম্য। গত বছর জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে কিশোরী মালালা বলেছিলেন, 'চরমপন্থিরা বই ও কলমের শক্তিকে ভয় পায়।' বাংলায় প্রবাদ আছে_ 'অসির চেয়ে মসি শক্তিশালী।' পাকিস্তানের জনগণকেই এটা প্রমাণ করতে হবে। আর এটা করতে পারলেই মালালার প্রকৃত জয় হবে। ধর্মান্ধ চরমপন্থিদের পরাস্ত করে পাকিস্তান নিজেদের বদলাতে পারে কি-না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
১২৫ কোটি লোকের দেশ ভারতে অগণিত শিশু নিজেদের হারিয়ে ফেলছে। মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত। শুধু ভারতে নয়; আমাদের বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশের লাখ লাখ শিশু রয়ে গেছে অবহেলিত। তারা চায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার। আত্মবিকাশের অধিকার। সমাজে মাথা তুলে দাঁড়ানোর অধিকার। কৈলাস সত্যার্থীর নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে নোবেল কমিটি তাদের আর্তিকেই বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। এর বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে জোরালো হলো বৈকি।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণার সময় নরওয়ে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, 'বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে ও শিক্ষার দাবিতে যে লড়াই, সেই লড়াইয়ে এক হিন্দু ও এক মুসলিম, এক ভারতীয় ও এক পাকিস্তানিকে এক সূত্রে বেঁধে ফেলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব' করেছেন তারা। আমাদের উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য এ তাগিদ কিন্তু আমাদেরও।
এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও ভারতের দুই প্রজন্মের দুই প্রতিনিধি, যার একজন কিশোরী মালালা ইউসুফজাই, অন্যজন প্রবীণ কৈলাস সত্যার্থী। বয়স ও অভিজ্ঞতার বিপুল ব্যবধান ছাপিয়ে তাদের যে মিলটি নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটির বিবেচনায় এসেছে, সেটা হচ্ছে_ তারা নিজেদের উৎসর্গ করেছেন শিশুর অধিকার ও শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। একটি শিশুর প্রকৃত ঠিকানা তার স্কুল_ সেটা দু'জনেই বুঝেছেন। তিন দশক আগে ভারতের কৈলাস সত্যার্থী শিশুশ্রম বন্ধ করে প্রতিটি শিশুকে স্কুলের বেঞ্চে বসানোর স্বপ্ন পূরণে কাজ শুরু করেছিলেন। স্কুলছুট, পাচার হয়ে যাওয়া, পতিতালয়কে ঠিকানা করতে বাধ্য হওয়া_ এ ধরনের ৮০ হাজারের বেশি শিশুকে তিনি উদ্ধার করেছেন এবং তাদের জীবন-জয়ের পথ দেখিয়েছেন। এই পথচলা নির্বিঘ্ন ছিল না। কখনও পাচারকারী, কখনও দোকান মালিক, কখনও বা সার্কাস মাফিয়াদের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। তার অফিস ভাংচুর হয়েছে। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাননি। শিশুশ্রম রোধ, শিশু অধিকার রক্ষা ও সর্বশিক্ষা অভিযান_ এ তিন উদ্যোগকে এক সুতায় বাঁধেন তিনি।
আর পাকিস্তানের সোয়াতের সাহসিনী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পাওয়া মালালার জন্ম কৈলাসের বাচপান বাঁচাও আন্দোলন শুরুর এক যুগেরও বেশি সময় পর। পাকিস্তানের তালেবানি অপশক্তি ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর মালালাকে খতম করে দেওয়ার জন্য মস্তকে বন্দুক রেখে গুলি করেছিল। তার বেঁচে থাকা সম্ভব হয়েছে বিশ্বের অনেক অনেক শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ঐকান্তিক চেষ্টা ও সহযোগিতায়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেও তিনি থেমে থাকেননি। নারীশিক্ষার জন্য কাজ করে চলেছেন নিরলস। তিনি আমাদের সবার সামনে এ দৃৃষ্টান্তও তুলে ধরতে পেরেছেন_ ছোটরাও বিশ্বকে বদলে দিতে পারে। প্রাণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই আলো হাতে পথ চলতে পারা যায়। আমাদের আশা, মালালা যেন তার নিজের এলাকা সোয়াতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে পারেন। হিংস্র শ্বাপদরা যেন তার এবং তার মতো আরও অনেক শিশু-কিশোরীর জন্য হুমকি হিসেবে বিরাজ না করে। তিনি নারীশিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে বিশ্বসমাজে স্বীকৃতি পেলেন। স্বদেশের জনগণ, বিশেষ করে নারীসমাজকে অশিক্ষার অভিশাপ থকে মুক্ত করার সংগ্রামে তিনি জয়ী হবেন_ এটাই কাম্য। গত বছর জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে কিশোরী মালালা বলেছিলেন, 'চরমপন্থিরা বই ও কলমের শক্তিকে ভয় পায়।' বাংলায় প্রবাদ আছে_ 'অসির চেয়ে মসি শক্তিশালী।' পাকিস্তানের জনগণকেই এটা প্রমাণ করতে হবে। আর এটা করতে পারলেই মালালার প্রকৃত জয় হবে। ধর্মান্ধ চরমপন্থিদের পরাস্ত করে পাকিস্তান নিজেদের বদলাতে পারে কি-না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
১২৫ কোটি লোকের দেশ ভারতে অগণিত শিশু নিজেদের হারিয়ে ফেলছে। মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত। শুধু ভারতে নয়; আমাদের বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশের লাখ লাখ শিশু রয়ে গেছে অবহেলিত। তারা চায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার। আত্মবিকাশের অধিকার। সমাজে মাথা তুলে দাঁড়ানোর অধিকার। কৈলাস সত্যার্থীর নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে নোবেল কমিটি তাদের আর্তিকেই বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। এর বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে জোরালো হলো বৈকি।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণার সময় নরওয়ে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, 'বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে ও শিক্ষার দাবিতে যে লড়াই, সেই লড়াইয়ে এক হিন্দু ও এক মুসলিম, এক ভারতীয় ও এক পাকিস্তানিকে এক সূত্রে বেঁধে ফেলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব' করেছেন তারা। আমাদের উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য এ তাগিদ কিন্তু আমাদেরও।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.