![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়েছে। নিউইয়র্কে প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার ১৫ দিনের মাথায় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করল সরকার। এ লক্ষ্যে রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
এ বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন পড়ে শুনিয়ে তিনি বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের (২) দফার (গ) উপ-দফা অনুযায়ী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রী পদে নিয়োগের অবসান হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ কেন লতিফের মন্ত্রিত্বের ‘অবসান’ ঘটানো হলো- সে বিষয়টি অবশ্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও এর বাইরে কিছু বলেননি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এই প্রশ্নের জবাব এখানে দেয়ার কোন আবশ্যকতা নাই। আমিও এ সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। আমি শুধু বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রপতি অনুরূপ নির্দেশ দিয়েছেন।’ এই অবসানের অর্থ ‘অপসারণ’ না ‘অব্যাহতি’ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে ভাষা ব্যবহার করেন করতে পারেন। কারণ উল্লেখ করার আবশ্যকতা নেই। কারণ বলতে বাধ্যবাধকতাও নেই। মিনিং একই। আমরা সংবিধানের ভাষা ব্যবহার করেছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লতিফ সিদ্দিকী ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ওই পদে নতুন কেউ নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকবে বলে জানান সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী জনাব আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রী পদে নিয়োগের অবসান হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হবে কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে অন্য কাউকে অর্পণ না করা পর্যন্ত রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর বিধি ৩(৪) অনুযায়ী এ মন্ত্রণালয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবে।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের সময়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর। সেদিন টাঙ্গাইল সমিতির এক অনুষ্ঠানে লতিফ বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তবলীগ জামাতের ঘোরতরবিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী।’ এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রমশক্তির ‘অপচয়’ হয়।
তাঁর ওই বক্তব্যের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে কয়েকটি ইসলামী দল আন্দোলনের হুমকি দেয়। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার পাশাপাশি গ্রেফতারের দাবিও তোলে বিএনপি। লতিফ সিদ্দিকী ঈদ করার পর এখনও নিউইয়র্কে রয়েছেন। এর মধ্যেই ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অন্তত দুই ডজন মামলাও হয়েছে।
নিউইয়র্ক থেকে ফিরে গত ৩ অক্টোবরই এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন লতিফ সিদ্দিকী আর মন্ত্রিসভায় থাকবেন না। তবে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ হজ পালনে সৌদি আরবে থাকায় লতিফকে বাদ দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা ঝুলে থাকে আরও এক সপ্তাহ।
ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি নির্দেশ দিলে রিজাইন (পদত্যাগ) করতে হবে। নইলে বিদায় করে দিতে হবে। কিন্তু বিদায় দিতে হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ফাইল পাঠাতে হবে। রাষ্ট্রপতি হজে গেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও হজে গেছেন। আমি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ফাইল তৈরি করে রাখতে বলেছি, অফিস খুললে ফাইল চলে আসবে।’
হজ পালনের পর রাষ্ট্রপতি দেশে ফেরেন শুক্রবার। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও এরই মধ্যে ফিরে আসেন। শনিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে (লতিফ সিদ্দিকীর অপসারণ) একটি ফাইল আসবে। আমরা একটি সামারি তৈরি করে তা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠাব। রাষ্ট্রপতি তাতে সাইন করার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’ এরপর রবিবার দুপুর ২টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে সঙ্গে নিয়েই বঙ্গভবনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে বৈঠক করেন পুরো এক ঘণ্টা।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ঈদ ও হজের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিতে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে ইহসানুল করিম বলেন, ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্বে অবসান সংক্রান্ত ফাইলে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেছেন।’
এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর নিয়ে সচিবালয়ে ফিরে সাংবাদিকদের সামনে আসেন মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট হয়ে নিয়োগের (লতিফ সিদ্দিকীর) অবসান ঘটানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি তাতে সন্তুষ্ট হয়েই সই করেছেন এবং অনুরূপ নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।’
গত ৬ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে আসা খবরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। এটা আমার নলেজে নেই।’
লতিফকে দল থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গত ৩ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দল থেকে বাদ দিতে হলে তা নিয়ে দলে আলোচনা করতে হবে। অভিযোগ তুলে ধরে আলোচনা করতে হবে। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ‘ওয়ার্কিং কমিটি যদি মনে করে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া ভাল- তাহলে অব্যাহতি দিয়ে দেবে।’
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবার সংসদে যাওয়া লতিফ সিদ্দিকী গত মহাজোট সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর চলতি বছরের শুরুতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।
শেখ হাসিনার গত সরকারে বাদ পড়তে হয়েছিল পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সমালোচনায় থাকা সৈয়দ আবুল হোসেনকে। এ ছাড়া অর্থ কেলেঙ্কারিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করলেও তাঁকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করে রাখা হয়েছিল।
টাঙ্গাইলে প্রভাবশালী সিদ্দিকীদের জ্যেষ্ঠ ভাই ৭৬ বছর বয়সী লতিফ সিদ্দিকী রাজনীতিতে স্পষ্টভাষী হিসেবে যেমন পরিচিত, তেমনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তীর্যক বক্তব্য দিয়ে এর আগেও আলোচনায় এসেছেন।
২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারির পর তিনিই বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন। ষাটের দশকে বাঙালীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামের দিনগুলোতে একাধিকবার কারাগারে যেতে হয় বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য লতিফ সিদ্দিকীকে। ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে ১৯৬৪-৬৫ সালে তিনি করটিয়া সাদত কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ’৬৬-এর ছয় দফা ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় এই নেতা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবেও ভূমিকা রাখেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর সামরিক শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকীকে প্রায় ছয় বছর কারাগারে কাটাতে হয়। এরশাদের আমলে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মুক্তি পান তিনি।
বিগত সরকারের শুরুর দিকে এক অধিবেশনে সংসদের প্রথমসারিতে মন্ত্রী ও সরকারী দলের সাংসদদের অনুপস্থিতি দেখে তখনকার স্পীকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করলে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই তার জবাব দেন লতিফ সিদ্দিকী। সংসদে তিনি বলেন, ‘স্পীকার হচ্ছেন সংসদের সেবক। তিনি প্রভু নন। কোন সাংসদের পয়েন্ট অব অর্ডারেই শুধু রুলিং দিতে পারেন স্পীকার।’
২০১১ সালে পাট নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘যথাযথ মর্যাদা’ না দেয়ার অভিযোগ তুলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতেই আয়োজকদের তুলোধুনো করেন তখনকার পাটমন্ত্রী লতিফ। বাংলাদেশে সব পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন চালুর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যেই বিগত বছর রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনাকে একটি চিঠি লেখেন তখনকার বস্ত্রমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। যে চিঠির শিরোনাম ছিল ‘ট্রেড ইউনিয়ন প্রশ্নে আপনি বলার কে?’
লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আরও এক মামলা, সমন জারি ॥ স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, হজ ও তাবলীগ জামাত নিয়ে কটূক্তিসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার সকালে এ্যাডভোকেট শাহ মাজহার নামের এক বিএনপি নেতা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে সমন জারি করেছে আদালত। বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাঈনউদ্দিন জানান, আদালত আর্জি গ্রহণ করে বিবাদী লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সমন জারি করে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দলীয় সদস্যপদও স্থগিত
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সব কূলই হারালেন আলোচিত-সমালোচিত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভাপতিমন্ডলীর সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার করেছে শাসক দল আওয়ামী লীগ। বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীর প্রাথমিক সদস্যপদও স্থগিত করা হয়েছে। কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে লতিফ সিদ্দিকীকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সোমবার তাঁর কাছে এ নোটিস পাঠানো হবে। অর্থাৎ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বেফাঁস মন্তব্যের কারণে ৬০ বছরের আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় অবদানের অবসান ঘটলো টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বড় সন্তান লতিফ সিদ্দিকীর।
বৈঠক সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিষ্কারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রবল দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে লতিফ সিদ্দিকী যে বক্তব্য রেখেছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হজসহ ইসলাম ধর্মের প্রতি কটূক্তি করে তিনি গর্হিত অপরাধ করেছেন। এ জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, বিতর্কিত মন্তব্য করে দল ও সরকারকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কারের প্রস্তাব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতাই হাত তুলে কিংবা টেবিল চাপড়িয়ে এ প্রস্তাবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। সিদ্ধান্ত হয়, লতিফ সিদ্দিকীকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এ জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হবে। তবে বৈঠক সূত্র জানায়, আজ সোমবার নোটিসটি লতিফ সিদ্দিকীর স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী যুক্তিসঙ্গত ও সন্তোষজনক জবাব নিতে না পারলে আবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আহ্বান করা হবে। সেখানে লতিফ সিদ্দিকীর প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র, আদর্শ ও ঘোষণাপত্রের পরিপন্থী কাজ করার জন্য লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের একটি আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তাঁর সংসদ সদস্যপদের বিষয়ে কী হবে- জানতে চাইলে আশরাফ বলেন, প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল হলে তাঁর সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে। লতিফ সিদ্দিকী বিদেশে আছেন না দেশে আছেন জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ মৃদু হেসে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, আপনারাই তো বলছেন দেশের বাইরে আছেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে উপস্থিত সকল সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের নিন্দা জানান। এক পর্যায়ে আব্দুল লতিফের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও কার্যকলাপের কথা তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে উল্লিখিত দুটি শাস্তিমূল
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০৮
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: বেটা তো তাই চেয়েছিল
আপনি কষ্ট পাচ্ছেন কেন ভাই
মোটা বাঁশ টা যদি ওর সয়
ত আপনার আর আমার কিসের
এত ভাবনা।।
বুঝলেন না......?
ভাল থাকা হোক