নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ পাচ্ছেন ‘জ্যেষ্ঠ নাগরিকের’ মর্যাদা

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত ষাটোর্ধ বয়সের নাগরিকরা বিশেষ (সিনিয়র সিটিজেন) মর্যাদা পেতে যাচ্ছেন। দেশের প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ প্রবীণকে আজ বৃহস্পতিবার ‘সিনিয়র সিটিজেন’ হিসেবে ঘোষণা দেবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বিশেষ মর্যাদা পাওয়া নাগরিকরা সব ধরনের পরিবহনে কম ভাড়ায় যাতায়াত, হাসপাতালে সাশ্রয়ী মূল্যে আলাদা চিকিৎসাসেবা, আলাদা বাসস্থান সুবিধা পাবেন বলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে শীঘ্রই বয়স্ক নাগরিকদের আলাদা পরিচয়পত্র দেয়া হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মসূচীতে বুধবার জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আজ বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় এক অনুষ্ঠানে প্রবীণদের ‘জ্যেষ্ঠ নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা দেবেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনও এতে উপস্থিত থাকবেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ হোসেন মোল্লা বলেন, গত বছরের ১৭ নবেম্বর ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা, ২০১৩’ অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। নীতিমালায় প্রবীণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জ্যেষ্ঠ নাগরিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এক কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ রয়েছেন। তাঁরা অবহেলিত। বেসরকারী পর্যায়ে প্রবীণদের নিয়ে কিছু কাজ হয়েছে। সরকারী পর্যায়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে ২৭ লাখ ২৩ হাজার প্রবীণকে মাসে ৪০০ টাকা করে বছরে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে থাকি। ১৯৯৬ সালে এ কর্মসূচী শুরু হয়েছিল।
যুগ্ম-সচিব বলেন, জ্যেষ্ঠ নাগরিক ঘোষণার জন্য প্রবীণ বিষয়ক জাতীয় কমিটি জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানকে প্রধান করে একটি কোর কমিটি গঠন করে। কোর কমিটি জাতীয় কমিটির কাছে প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদনের আলোকে একটি এ্যাকশন প্ল্যান (কর্মপরিকল্পনা) করা হয়েছে।
বয়স্ক নাগরিকদের নিয়ে কর্মপরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে হোসেন মোল্লা বলেন, প্রবীণরা সাধারণত হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসে ভুগে থাকেন। এ সব রোগের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালগুলোতে ‘জেরিয়েটিক মেডিসিন’ বিভাগ চালু করা হবে। এ জন্য আমরা ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। প্রবীণদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ৯০টি বড় হাসপাতালকে এক লাখ টাকা করে দেয়া হবে। বয়স্ক নাগরিকরা সেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে সব ধরনের সেবা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া সরকারী ও বেসরকারীভাবে যে সব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে, সেখানে ‘প্যারেন্ট’ রুম থাকবে। এ কক্ষে প্রবীণরা টয়লেট ব্যবহারসহ সবকিছু যাতে সহজে করতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হবে। এ ছাড়া সিনিয়র নাগরিকরা স্বল্প খরচে যেকোন যানবাহনে ভ্রমণ করতে পারবেন, কর্মপরিকল্পনায় সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘প্রবীণরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন জ্ঞান দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে ও হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখতে পারেন। এ জন্য তাদের সম্মানী দেয়া হবে’ বলেন যুগ্ম-সচিব।
বয়স্ক নাগরিকদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে জানিয়ে হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে কয়েক দফা মিটিং করেছি। তারা গোলাপী রঙের কার্ডে বিশেষ লোগো ব্যবহার করে সিনিয়র সিটিজেনদের পরিচয়পত্র দেবেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখার যুগ্ম-সচিব জানান, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা শীঘ্রই কাজ শুরু করব। একটি নতুন আইনের আওতায় প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠন করে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে আইনের খসড়া করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোতে ৬৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের প্রবীণ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং জাতিসংঘ বিবেচনায় ৬০ বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রবীণ বলা হয়। জাতিসংঘের স্বীকৃতি বিবেচনায় বাংলাদেশে ৬০ বছর এবং তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরা প্রবীণ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
মৃত্যুহার কমে গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিআইডিএসের পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার চার দশমিক ৯৮ শতাংশ ছিল প্রবীণ জনগোষ্ঠী এবং জনসংখ্যা প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০৫০ সালে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর এই হার হবে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন হবেন প্রবীণ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মধ্যবয়সী বা যুবক বয়সী কতজন এই তালিকায় প্রবেশ করে কে যানে ! আমাদের দেশে তো কোন কিছুই সুষ্ঠুভাবে হয় না , নতুন কোন কিছু করতে যাওয়া মানেই হল নতুন করে একটি দুর্নীতির খাট তৈরি হওয়া ।

তবে এই তালিকা সুষ্ঠু হোক , এবং প্রকৃত প্রবীণরা এই সুযোগ সুবিধা ভোগ করুন , সেটাই কাম্য ।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: সরকারী কিছু আমলা আর নেতাদের টাকা বানানোর সুযোগ হচ্ছে আর কি! এদেশে কখনোই কিছু সুষ্ঠুভাবে হয় না।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২১

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: সমালোচনা না করে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্পের মতো ভুয়া বুইড়া প্রকল্প হবে নাতো । এখন হটাত কইরাই বুড়োদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। যুবতী স্ত্রী এসে কলার ধরে বলবে তুমি এই লাইনে ক্যান , বিয়ার আগে কইছ বয়স ৪৫, হরমোনে চুল পাকছে চাপা বইসা গেছে, তুমি থাক লাইনে আমি তোমার ছোট ভাইরে খুজি গিয়া =p~ =p~ =p~

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

আহমেদ রশীদ বলেছেন: নিন্দুকেরা কখনো কোন ভাল কাজকে সাপোর্ট করে না ও ভাল কাজকে সহ্য করতে পারে না। তারা নিন্দা করবেই!!!!!!!!!

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

আহলান বলেছেন:

ভালো উদ্যোগ ....তবে সঠিক প্রয়োগ কতদূর হয়, সেটাই দেখার বিষয় .... অবহেলিত বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের জন্য সহযোগিতা তো আসলেই দরকার .....

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

আলআমিন১২৩ বলেছেন: কমসুচি বাসতবায়ন হলে দেখেশুনে মনতব্য করা যাবে । সরকারী তো ঃঃঃ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.