![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মগবাজারে কেন্দ্রীয়, পল্টনে মহানগর জামায়াত ও শিবিরের কেন্দ্রীয়সহ সারা দেশে দলের প্রায় সব কার্যালয় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ। প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা নেই নেতা-কর্মীদের। নিষিদ্ধ দলের মতোই চলছে জামায়াতে ইসলামী। শীর্ষ নেতাদের অনেকেরই অবস্থান ফাঁসির দড়ির নিচে। এক বছর আগে আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের প্রায় সব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রয়েছে মামলার খড়গ। বেশির ভাগ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে। দলটির নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি উচ্চ আদালতে মীমাংসার অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে রীতিমতো বিপর্যস্ত জামায়াত।
এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- জামায়াত কীভাবে চলে, কারা চালায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পরিচালিত হচ্ছে দলটি। গোপন জায়গা থেকে গণমাধ্যমে নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। তবে দলের নেতাদের বাসায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাদের নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ফেসবুকের মাধ্যমে নিয়মিত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করছেন নেতা-কর্মীরা। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ২০ দল থেকে বের হওয়ার শর্তে জামায়াত নেতাদের মামলা থেকে রক্ষাসহ দলটিকে নিষিদ্ধ করা হবে না- এমন টোপ দেওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। তবে সেই টোপ এখন পর্যন্ত গেলেনি দলটি। বরং পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকেই দলীয় কর্মকাণ্ড চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামায়াত নেতারা। জামায়াত নেতারা বলেন, প্রতিষ্ঠার পর এবারই সবচেয়ে বেশি বিপদের মধ্যে রয়েছেন তারা। দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের ওপর তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দমননীতি চালানো হচ্ছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী- গত পাঁচ বছরে তাদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা, এসব মামলায় ৮ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি, ৫ লাখ নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত, লক্ষাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে অনেকে জামিনে আছেন। জামায়াতের ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ১২ জন কারাগারে, সাতজন বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে। বাকি দুজনের একজন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। তিনি আইনি বিষয়াদি ছাড়া দলীয় অন্য কর্মকাণ্ডে সক্রিয় নন। তিনিও প্রায় এক বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। অন্যজন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু নাছের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের, তিনিও দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে। দলের ঢাকা মহানগরী কমিটির সবাই আত্মগোপনে। একাধিক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দল পরিচালনা করছেন ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগরী জামায়াতের এক নেতা বলেন, দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীর বাসা আর ব্যবসায়িক কার্যালয়ই এখন জামায়াতের অফিস। তিনি বলেন, ‘জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় রাজনীতি করছে। দেশের সংবিধান ও আইন অনুসরণ করেই নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে নিবন্ধন দিয়েছে। এরই মধ্যে জামায়াত গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছে। আমরা আশাবাদী মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাব।’ তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকেই চলবে জামায়াতের রাজনীতি। জামায়াতের এক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জানান, পুলিশ প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে প্রকাশ্যে বের হওয়া দূরের কথা, ঘরের ভিতরও পাঁচজন সদস্য এক হতে পারছেন না। এমনকি পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে গেলেও আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে। তিনি বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক নেতা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে আসার জন্য। পরবর্তীতে সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে গেলে সেই নির্বাচনেও জামায়াতকে পৃথকভাবে অংশ নিতে হবে। বিনিময়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হবে না। যুদ্ধাপরাধের মামলায় দলের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায় কার্যকরের বিষয়টি নিয়েও কথা হয়। কিন্তু ব্যারিস্টার রাজ্জাক কোনো সমঝোতায় আসেননি। আর সেজন্যই তিনি এক বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। দেশে ফিরতে পারছেন না। নেতা-কর্মীদের আশঙ্কা, ব্যারিস্টার রাজ্জাক দেশে ফিরলে বিমানবন্দর থেকেই তাকে আটক করা হবে। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনের কর্তাব্যক্তি, কূটনীতিক, প্রভাবশালী সরকারি-বেসরকারি লোকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। জামায়াত নেতা-কর্মীরা মনে করেন, আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে ভালোই চলছে জামায়াত। তাদের সমর্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে খরচ বহন করা হচ্ছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোরও কমিটি পুনর্গঠনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটি চূড়ান্ত হয়েছে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার। নতুন পরিকল্পনায় মাঠে নেমেছে জামায়াত। আন্দোলনের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে আবার সক্রিয় হওয়ার পরিকল্পনা করছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির।দেশকে ১৫টি সাংগঠনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা গোপনে সফর করে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ কর্মসূচির মধ্যে নিজেদের সংগঠিত করছেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কর্মপরিষদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত আঞ্চলিক তত্ত্বাবধায়করা সারা দেশে সফর করছেন।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: আপনি কি ভাবে জানলেন জামতি ইসলাম আল্লাহ্র নির্বাচিত দল ?
আপনিও কি আল্লাহ্র নির্বাচত প্রতিনিধী ? তাই জানতে পেরেছেন ?
@নীল আকাশ ২০১৪
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে মুমিনদের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। তিনি মুমিন বান্দাদেরকে সুনির্দিষ্ট কিছু দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। যারা সেসব বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, অথবা যারা আল্লাহ্র নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে, তারা যে দলভুক্ত, সেটাই আল্লাহ্র নির্বাচিত দল।
জামায়াতের প্রতিটি কর্মী ফরজ ইবাদতের ব্যাপারে প্রচন্ড রকম কন্সার্ন্ড । জামায়াতের সব নেতারাই প্লেন এন্ড সিম্পল লাইফে অভ্যস্ত। আর রাজনৈতিকভাবে নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য তারা যে কারো সাথে আপোষ করেনা তা তো নিজ চোখেই দেখলেন।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
এনামুল রেজা বলেছেন: জামাত?? ফাক.. ঐশ্বরিক ও গণতান্ত্রিক, দুভাবেই ফাকড...
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
যে কজন জামাত ও শিবীর -এর লোক দেখেছি তারা সবাই ভন্ড, অন্তরে প্রতিশোধের বীষ ।
এ সমস্ত জানোয়াররা বিলীন হোক কামনা করি ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আল্লাহ্র নির্বাচিত দলটি আল্লাহ নিজেই চালান। এর নেতা কর্মীরা সব সরকারের অত্যাচারে নির্মূল হতে পারেন, কিন্তু দল ঠিকই টিকে থাকবে।