নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুখে দেব ষড়যন্ত্র

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৩

যুদ্ধাপরাধের সকল রায় কার্যকর ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতি গতকাল মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার গ্রহণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়েছে।রুখে দেব ষড়যন্ত্র
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। শেরেবাংলা নগরে তিন বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ছিল মনোমুগ্ধকর। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবল্পুুব্দ ভবনে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের উচ্চারণে ছিল দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ মাত্রা। নগরীতে বিজয় শোভাযাত্রাও ভিন্ন মাত্রা আনে।

সোমবার রাত থেকেই আতশবাজি আর নানা দেশাত্মবোধক গানে জেগে ওঠে রাজধানীসহ গোটা দেশ। ঢাকার পাড়া-মহল্লায় এসব আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণও বাজতে থাকে। গতকাল ছিল সরকারি ছুটি। এ দিনে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো ছিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত। প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং রঙবেরঙের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। আর তা ছড়িয়ে দেয় উৎসবের রঙ। গতকাল দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদেও ছিল লাল-সবুজের মিশেল। গায়ে লাল-সবুজ জামা, কপাল ও মুখমণ্ডলে আঁকা লাল-সবুজ পতাকা। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নানা অনুষ্ঠান।

ভোরে নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৩তম বার্ষিকীর কর্মসূচির শুরু। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর টকটকে লাল ও গাঢ় সবুজের জাতীয় পতাকা এবং ফুল হাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে শহীদের স্মৃতির মিনারে।এ সময় শেরেবাংলা নগরে সশস্ত্র বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টার নয়নাভিরাম এই কুচকাওয়াজের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কন্টিনজেন্ট, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অগ্রগতির তথ্য জানানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আনন্দ স্বরূপের নেতৃত্বে ১৭ জন ভারতীয় উপস্থিত ছিলেন কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে।এ দিন বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা হিসেবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ফুল এবং মিষ্টি পাঠিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের। বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। এ ছাড়াও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে নগরীতে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে।সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতারা বলেন, 'স্বাধীনতার পর আমাদের জন্য সহজ কাজ ছিল রাজাকার ও আলবদরদের তালিকা তৈরি করা। সেটা করতে পারিনি বলেই আজ আমাদের নিজেদের মধ্যে নানা মতবিরোধ ও হানাহানি তৈরি হয়েছে।'খালেদার অপেক্ষায় জটলা :বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সকাল সাড়ে ৯টার কিছু পরে। সাড়ে ৭টা থেকেই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেদিতে অবস্থান নেন। এ কারণে অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষকে বেদিতে পেঁৗছতে কিছুটা ভিড় ঠেলার বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শহীদ বেদির সামনে বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিভিন্ন স্থান থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসহ প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে আসা বিএনপি কর্মীদের এ সময় নিজেদের স্থানীয় নেতার নামে স্লোগান দিতে শোনা যায়। সংগঠনগুলোর বিভিন্ন নেতার নাম লেখা ব্যান্ডও দেখা যায় অনেকের মাথায়। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানও দেন।মানুষের ঢল :বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধভাঙা স্রোতের মতো মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন জেলা থেকেও বাস-ট্রাকে করে দলে দলে মানুষ আসে। মানুষের চাপে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। ফোরামের সাবেক মহাসচিব লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশীদ বীরপ্রতীক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরপরই আমাদের সবচেয়ে জরুরি ও সহজ কাজটি আমরা করতে পারিনি। তখন রাজাকার ও আলবদরদের তালিকা তৈরি করতে পারলে আজ নিজেদের মধ্যে এই হানাহানির পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই জনগণ মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল_ 'জিয়াউর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গবন্ধুসহ অন্য নেতাদের অবস্থান কোথায়?' তিনি এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান।

আরও যেসব সংগঠন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে_ সিপিবি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরাম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় পার্টি (জেপি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাসদ, সাম্যবাদী দল, জাকের পার্টি, গণআজাদী লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ওলামা লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, যুব শ্রমিক লীগ, আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদ, যুবলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, গণমুক্তি ইউনিয়ন, মহিলা পরিষদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ, বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ইসলামী ছাত্র সেনা, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগ, জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, সচিবালয় কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, শেখ রাসেল শিশু সংঘ, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু হারবাল চিকিৎসক পরিষদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, জাতীয় জাদুঘর, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, চারণ সাংস্কৃতিক সংঘ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, প্রাইভেট হসপিটাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সাভার, বিজেএমসি, পর্যটন করপোরেশন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-ঢাকা জেলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, নারীমুক্তি সংসদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন, কর্মজীবী নারী, জাগপা, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতি, সজাগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, টিসিবি সাহিত্য সংহতি ও ক্রীড়া পরিষদ, বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, ঢাবি কর্মচারী সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ছাত্র ইউনিয়ন, গণফোরাম ও পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।বঙ্গবন্ধু ভবনের কর্মসূচি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর এই মহান নেতার স্মরণে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। শেখ হাসিনা পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চোধুরী, মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এখনও মরিয়া হয়ে আছে। খালেদা জিয়া নির্বাচন না করে ও পরাজয়ের গ্গ্নানি ভুলতে না পেরে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। দেশি-বিদেশি শক্তিও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়। কিন্তু বাংলার মানুষ বিজয় দিবসে শপথ নিয়েছে, ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবন ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থানটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে জনতার ঢল নামে। এতে ফুলে ফুলে ভরে যায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি।এর আগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত বিজয় র‌্যালি করেছে দলটি। কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়েছেন। দু'দিনব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিন আজ বিকেল ৩টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর ফুল ও মিষ্টি :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা হিসেবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ফুল-ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর ও উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন মোহাম্মদপুরে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাসরত পরিবারগুলোর কাছে এসব উপহার সামগ্রী পেঁৗছে দেন। এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিটি জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবে তাদের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও একই মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড উন্মোচন করেন।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা : বিজয় দিবস উপলক্ষে দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং শহীদদের আত্মার সদ্গতি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সেবায়েত প্রদীপ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, সুজিত রায় নন্দী, পংকজ দেবনাথ, স্বপন কুমার সাহা, কাজল দেবনাথ, জয়ন্ত কুমার দেব, নারায়ণ সাহা মনি, মিলন কান্তি দত্ত, সত্যেন্দ্র চন্দ্র ভক্ত, অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, নির্মল চ্যাটার্জী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.