![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে বিএনপিকে এখন সরকারবিরোধী তীব্র আন্দোলন শানানো দরকার। দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্যও প্রয়োজন বিএনপির শক্ত অবস্থান। কিন্তু বিএনপির বাস্তব অবস্থা তেমন নয়। ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে বিএনপিকে অনেকটা পথহারা মনে হচ্ছিল। রাজনীতির মাঠে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল প্রকট। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছরে সুশাসন সংকট আবার বিএনপিকে এগিয়ে আসার সুযোগ এনে দেয়। কিন্তু সে সুযোগের সদ্ব্যবহার বিএনপি নেতৃত্ব করতে পারেনি। এটি না পারার পেছনে দলের ভেতর গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকা প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা যায়। বলয়বন্দি দলের সিনিয়র নেতারাও স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। দেশের ভেতর খালেদা জিয়া আর লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার নির্দেশনা মানতেই তাঁদের গলদঘর্ম হতে হয়। এর চেয়েও বড় বিষফোড়া এখন জামায়াতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা বন্ধুত্ব, যার ভবিষ্যৎ কুফল নিয়ে আমরা বহুবার লিখেছি। কিন্তু আত্মবিশ্বাসহীন বিএনপি নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত জামায়াতের কাছেই আত্মসমর্পণ করে নিজ অবস্থানকে ক্ষুণ্ন করে ফেলেছে।
বছরের শেষে এসে বিএনপি নেতারা সময়ের ও বিগত পথচলার অঙ্ক মেলাতে পেরেছেন কি না জানি না। তবে আমাদের আশঙ্কা, নতুন বছরটি বিএনপির জন্য কোনো শুভ সংবাদ নিয়ে আসবে না। দলীয় শক্তি-সামর্থ্যের চর্চা না করে আন্দোলনের মাঠে বিএনপি এখন ভাড়াটে শক্তি দিয়ে চলতে চায়। কিন্তু প্রকৃত আন্দোলন কি ভাড়াটেদের দিয়ে সম্ভব? এমন পরিবেশে সরকারের দলননীতি বিপন্ন করে ফেলতে পারে দুর্বলকে।
নিকট-অতীতে ভাড়াটে শক্তির ওপর ভরসা করতে গিয়ে বিএনপি কম তো হোঁচট খায়নি। কিন্তু আত্মশক্তি এতটা তলানিতে চলে গেছে যে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো চেষ্টাই করেনি। হেফাজতের মতো একটি নামগোত্রহীন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে বাঘ বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে বিএনপি নেতৃত্ব। হেফাজতের ঢাকা অবরোধের সময় বেগম জিয়া যেভাবে সমর্থন জোগালেন, তাকে রাজনৈতিক দৈন্য ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। এর পর থেকে মাঠের আন্দোলনের রিলে রেসের কাঠিটি আর বিএনপি এবং যুবদল-ছাত্রদলের হাতে রইল না। চলে গেল হেফাজত, শিবির আর জামায়াতের হাতে। ফলে বিএনপির নেতা-কর্মীর আন্দোলনের অভ্যাস নষ্ট হয়ে যেতে থাকল। অবস্থাটি প্রকট হলো গত ডিসেম্বরে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাত থেকে মাঠের আন্দোলন পুরোটাই নিয়ে নিল শিবির ও জামায়াত। নাকে শর্ষের তেল দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঠ থেকে অবসর নেওয়াটা স্পষ্ট হলো তখন থেকে।
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে জামায়াত-শিবির আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করল পাইকারি হারে। ককটেল ও পেট্রলবোমা ছুড়তে থাকল। আহত-নিহত হতে থাকল সাধারণ মানুষ। গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা দিতে থাকল। রেললাইন উপড়ে ফেলা হলো। ভাড়াটেদের মাঠে নামিয়ে এভাবে নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের আত্মশক্তি নিঃশেষ করা হলো। তাই নিষ্ফল হলো ঢাকা অবরোধের ডাক। পুলিশি নিপীড়নের দোহাই দিয়ে ঢাকার রাজপথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের খুঁজে পাওয়া গেল না। নিজ বাসায় অসহায় অবরুদ্ধ হয়ে রইলেন বেগম জিয়া। কোনো নেতা-কর্মী এগিয়ে আসার সাহস দেখাল না। এর পরও ভাড়াটে শক্তি দিয়ে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে সাধারণ ভোটারের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে লাগল। নির্বাচনী কর্মকর্তাকে খুন করা হলো। নির্বাচনের কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত অনেক স্কুলে অগ্নিসংযোগ করা হলো। এর সব কিছুই দল হিসেবে বিএনপির ভেতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে থাকে।
এ ধারার স্খলন বিএনপির জন্য নতুন নয়। আজ বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও অমন ইস্যুতে বিএনপির পেছনে সাধারণ মানুষের দাঁড়ানোর কি কোনো কারণ আছে? বিএনপি কি অতীতে নানা অন্ধকার পথ হাতড়ে ক্ষমতাবান থাকতে চায়নি? ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হারানোর পর বিএনপির মধ্যে অস্থিরতা ও হতাশা দেখা গিয়েছিল। ফলে পরবর্তী পাঁচ বছর কূটকৌশলে পারদর্শীরা গোপন ছক কেটেছে। আর তার ফসল ফলেছে ২০০১ সালের নির্বাচনে। এই নির্বাচনে ভোটারের রায়ের প্রতিফলন কতটা ছিল, তা সময় হয়তো কোনো দিন বলে দেবে। তবে ক্ষমতায় এসে বিএনপি অনেকটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়ে। এ আত্মবিশ্বাস ছিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার গোপন কৌশল আত্মস্থ করার। তাই বোধ হয় ভবিষ্যতে জবাবদিহিতা করার কেউ থাকবে না বিবেচনায় দুর্নীতির বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল। রাজপুত্র, পাত্র-মিত্র সবাই দুর্নীতির মচ্ছবে মেতে উঠেছিল। জনগণের হৃদয়ের কথা আর চোখের ভাষা বিএনপি নেতৃত্বের তখন পড়ে দেখার অবকাশ ছিল না। পড়তে পারলে বোঝা সহজ হতো কিভাবে দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতৃত্বের হাতের মুঠোয় ততক্ষণে বন্দি বিএনপি। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ক্রমেই প্রতিবাদী হয়ে পড়ছিল সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিচ্ছিন্ন করানোর সব আয়োজন বুমেরাং হলো। যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবে নিন্দিত হলো বিএনপি। এসব প্রেক্ষাপটের একটি বড় প্রভাব ছিল নির্বাচনে বিএনপির মহাধস নামার।
ভাড়াটে শক্তিতে আন্দোলন হয় না
সচেতন মানুষের নির্বাচনোত্তর বিএনপিকে নিয়ে অনেক ভাবনা ছিল। আমাদের মতো অপূর্ণ গণতান্ত্রিক বোধের দেশে শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। বিএনপি ছাড়া তেমন বিরোধী দল বেরিয়ে আসার সুযোগ নিকট ভবিষ্যতে আছে মনে করার কোনো কারণ নেই। আবার আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নেতৃত্বের মেধা এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে না যে বিপুল জনসমর্থন পাওয়া সরকারি দল এই জনগণের শক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারবে। নেতৃত্বের যোগ্যতা অনুযায়ীই তারা ক্রমাগত ভুল করতে থাকবে। আর ভালো ফিল্ডারের মতো যোগ্যতা থাকলে সেসব বল লুফে নেবে বিএনপি। তাই দূরদর্শিতা প্রয়োগ করে বিএনপির উচিত ছিল বিগত দিনের অন্যায়ের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে ন্যায়নিষ্ঠ হয়ে দল পুনর্গঠন করা। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের দল থেকে বহিষ্কার করে সদিচ্ছার প্রমাণ রাখা। এভাবে দল পুনর্গঠিত হলে সরকারি দলের ভুল বলগুলো নিয়ে রাজনীতির মাঠে দাবড়ে বেড়ানো যেত।
বিএনপি আজকেই যে শুধু মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলছে, তা-ই নয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ধসনামা পরাজয় বিএনপির জন্য ছিল মর্মান্তিক। কারণ দীর্ঘস্থায়ী শাসনক্ষমতার অধীশ্বর হওয়ার জন্য সব ধরনের কূটকৌশল গ্রহণ করেছিল তারা। নিজেদের কুশলী আচরণের ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিন্ত ছিল বলে মৌরসি পাট্টা মনে করে দেশের সম্পদ দুই হাতে লুটেপুটে খাচ্ছিল। হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো পায়ের নিচের মাটি আর মাথার ওপরের ছাদ সরে যাওয়ায় স্বাভাবিক হতাশা গ্রাস করে; কিন্তু মেনে নিতে পারেনি। সব কিছু দুঃস্বপ্ন বিবেচনা করে অনেকটা তাড়াতাড়িই ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পথ তৈরি করতে থাকে। পাঁচ বছরের জন্য ম্যান্ডেট পাওয়া আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকারের চার মাস না যেতেই বিএনপি মধ্যবর্তী নির্বাচনের আওয়াজ দিয়ে ফেলেছিল তখন।
দল হিসেবে বিএনপির কয়েকটি সংকট জন্মলগ্ন থেকেই ছিল। কোনো রাজনৈতিক দল ঐতিহ্য নিয়ে জন্মায় না, ধীরে ধীরে ঐতিহ্য গড়ে তোলে। এ জন্য প্রথমেই একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শের ভিত্তিতে দলটিকে দাঁড়াতে হয়। দলের হাল ধরতে হয় মেধাবী দূরদর্শী রাজনীতিকদের। এসব হোমওয়ার্ক না করেই বিএনপি জন্মের পর থেকে বেড়ে উঠেছিল। নিজেকে যৌক্তিকভাবে গড়ে তুলে ঐতিহ্য সৃষ্টির চেয়ে হঠাৎ বড়লোক হওয়া দিগ্ভ্রান্ত মানুষের মতো রাত পোহাতেই ঐতিহ্যের শূন্যতা পূরণ করতে চাইল। আওয়ামী লীগকে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম নেওয়া দল হলেও মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনের পুরো কৃতিত্বটিই নিতে চাইল। তাদের শহীদ দলনেতাকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক এবং একমাত্র কাণ্ডারি বানাল। কিন্তু ক্ষমতার শক্তি আর প্রচারণার দাপটে যে ইতিহাসের সত্য পাল্টানো যায় না, তা বিএনপির নেতারা বুঝতে চাননি। একেবারে বুঝতে যে পারেননি, তা বোধ হয় নয়। কিন্তু ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারেননি।
আজ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বিএনপি বারবার হোঁচট খাচ্ছে। এখন তো এককভাবে বিএনপি একটি জনসভা করতেও সাহস পায় না। জনসভায় জনসমাগমের দায়িত্ব নিয়েছে জামায়াত। আমাদের ধারণা, মেধাবী জামায়াত নেতারা বিএনপিকে নিজেদের ওপর নির্ভরশীল করে তুলতে স্বেচ্ছায়ই এ দায়িত্ব নিয়েছেন। জনসভা যেহেতু জামায়াতই সফল করায়, তাই সভাস্থলে এ দলের দাপুটে অবস্থানকে মেনে নিতে বাধ্য থাকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাই অধুনা বেগম জিয়ার সব জনসভায় সামনের সারিগুলোতে জামায়াত-শিবিরের অবস্থান থাকে। পেছনে জায়গা হয় ছাত্রদল আর বিএনপির নেতা-কর্মীদের। অতি সম্প্রতি বেগম জিয়ার নারায়ণগঞ্জ জনসভাকে স্মরণ করতে পারি। মঞ্চ থেকে নেতা-নেত্রীদের চোখ আটকে যাবে শিবিরের নামফলক আর প্ল্যাকার্ড দেখে। বেলুনে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের ছবি। কার্যত বিএনপির অস্তিত্ব সেখানে নেই বললেই চলে।
এভাবে বিএনপির হাত থেকে আন্দোলনের মশাল ভাড়াটেদের হাতে চলে গেছে। তাই জানুয়ারির আন্দোলন নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নতুন করে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমাদের মনে হয় না। তা ছাড়া আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো পরিবেশ চারদিকে তৈরি হয়নি। এ মুহূর্তে আন্দোলন জরুরি- সাধারণ মানুষ এমনটি ভাবছে না। মানুষের মধ্যে নানা ধরনের অস্বস্তি হয়তো আছে, তবে সরকার পরিবর্তন করে অন্য কোনো পবিত্র হাতে তা অর্পণ করার বাস্তবতা কি মানুষ দেখছে!
প্রস্তুতি ছাড়া কেবল মসনদের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। তার চেয়ে দলকে সুসংগঠিত করাটা জরুরি। নিজেদের আন্দোলন নিজেদেরই করতে হয়। ভাড়াটেদের দিয়ে দ্রুত ক্ষমতা দখলের পদক্ষেপ বিএনপির পা পিছলে পড়ার আশঙ্কাকেই বাড়াবে। আর এ সময়ের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের তীক্ষ্ন মেধাবী আর কূটকৌশলের পাশাপাশি বিএনপি নেতাদের আচরণ আর হাঁটাচলা অনেক বেশি অপরিপক্ব বলেই মনে হচ্ছে। এসব সংস্কার না করে লক্ষ্য পূরণ বিএনপি নেতৃত্বের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
খেলাঘর বলেছেন:
" দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্যও প্রয়োজন বিএনপির শক্ত অবস্থান। কিন্তু বিএনপির বাস্তব অবস্থা তেমন নয়। ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে বিএনপিকে অনেকটা পথহারা মনে হচ্ছিল। মাঠে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল প্রকট। "
-রাজনীতি করার জন্য জেনারেল জিয়া বিএনপি গঠন করেননি; তিনি ক্যাপিটেলিস্ট ব্লকের হয়ে ক্যাপিটেলিজম চালু করেছে; এখন হাসিনাও উনার সৈনিক।
বিএনপি জাপার মতো ছোট দলে পরিণত হবে।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
আহলান বলেছেন: বিএনপি জেনারেশন গ্যাপে পড়ে গেছে .... এখনকার ফেসবুকিয় জেনারেশন ওসব আন্দোরোন ফান্দোলোন করে নিজকে শহীদ করতে রাজী না ..... কোন কারণে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামিলীগেরও এই অবস্থা হবে .... আমার তো তাই মনে হয় .... তবে যত দ্রুত এই দুটো দল এবোলিশ হয়,ততই মঙ্গল ... এরা থাকেন অট্টালিকার পরে, আর সাধারণ জনগনকে ব্যবহার করেন নিজেদেরে স্বার্থে
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬
নিরীহ বালক০০৮ বলেছেন: মেরুদণ্ডহীন হয়ে থাকবে যতদিন তারা শিবিরদের সাথে থাকবে।দুইটি দলের নীতিগত দিকের অনেক ফারাক।ছোট একটা শিশিতে পানি আর জল রাখলে যা হয় আর কি।তেল উপরে ভাসবে আর পানি নিচে।তেল সামান্য হলেও পানির উপরেই ভাসবে কারণ তেল ভারী।বি এন পি বিশাল দল কিন্তু আন্দোলন করার মত অবস্থা তার নেই।আর জামায়াত শিবির ছোট দল হলেও এরা মারমুখী ও ঐক্যবদ্ধ দল।তাই সর্বদাই এই দুই দলের মধ্যে নীতিগত কারণে মিল হবে না আর বি এন পি তলে তলানি হয়েই থাকবে।শিক্ষিত তরুণ প্রজম্ম কখনই যুদ্ধাপরাধীদের দলকে মেনে নিবে না।