![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন বছরের শুরু থেকেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে জোটবন্ধু জামায়াতকে রাজপথে সর্বোচ্চ সক্রিয় দেখতে চান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য বিএনপির ওপর জামায়াত নেতাদের অপ্রকাশ্যের ‘অভিমান’ ভাঙানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। প্রায়-নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন জামায়াত নেতাদের সঙ্গে। ২০-দলীয় জোটের আসন্ন নতুনপর্বের আন্দোলনে জামায়াতের কী করণীয় হতে পারে, সে বিষয়েও মতামত দিচ্ছেন তারেক রহমান। তাঁর ঘনিষ্ট দাবীদার একাধিক সূত্রে মিলেছে এ তথ্য।
সূত্রমতে, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান গত এক সপ্তায় কয়েক দফায় টেলিফোনে কথা বলেছেন জামায়াত নেতা ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে। জামায়াতের এই প্রভাবশালী নেতা কিছুদিন ধরে দেশের বাইরে রয়েছেন। প্রথমে তিনি সৌদি আরব ছিলেন। বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
সূত্রগুলো দাবি করেছে, তারেক রহমানের সঙ্গে জামায়াত নেতার আলোচনায় স্থান পেয়েছে সরকারবিরোধী রাজনীতিতে জামায়াতের সাম্প্রতিক ‘গা বাঁচিয়ে চলার রাজনীতি’ ও বিএনপিকে কিছুটা ‘এড়িয়ে চলার’ কৌশল বিষয়ে। ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব ব্যাপারে সরাসরি বিএনপিকেই দোষারোপ করেছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জামায়াতের সহিংসমূর্তিকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের গা বাঁচিয়ে চলার খেসারত জামায়াত দিচ্ছে বলেও মত দেন তিনি। তাছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় না হলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা নতুন কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হচ্ছে না বলেও তারেক রহমানকে জানানো হয়। বিএনপি কী কৌশলে এগুলে জামায়াত আগের মতো সরকারবিরোধী অবস্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে, আলাপকালে এমন প্রশ্নও রাখেন তারেক রহমান। জবাবে জামায়াত নেতা স্পষ্ট জানান, বিএনপি সবপর্যায়ের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের মাঠে সর্বোচ্চ সক্রিয় হলেই জামায়াত আন্দোলনের গতি বাড়াতে ও রাজপথে উত্তাপ ছড়াতে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি জামায়াতের একক আন্দোলনে বিএনপির নৈতিক সমর্থনও দাবি করেন তাহের। আন্দোলনকালে প্রয়োজনে জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অর্থযোগান দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায় বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ীই জামায়াত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তারেক রহমান। জামায়াতকে সরকারবিরোধী ভুমিকায় সক্রিয় করার ক্ষেত্রে বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারণী নেতা ব্যর্থ হওয়ার পরই তারেক রহমানকে জামায়াত ‘ম্যানেজের’ দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, দেশের বাইরে যাওয়ার আগে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় গিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। বৈঠকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতকে আরও সক্রিয় হতে বলেন খালেদা জিয়া। এ সময় জামায়াত নেতারা দলীয় ‘শর্ত’ জুড়ে দেন। তারা খালেদা জিয়াকে বলেন, ‘আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতারা ঘরে বসে থাকলে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে আপত্তি জানিয়েছে।’ এক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে রাজপথের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ারও অনুরোধ করেন জামায়াত নেতারা। বিষয়টি ভেবে দেখার কথা বলেন খালেদা জিয়া।
সূত্রমতে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পরও জামায়াত নেতারা অপ্রকাশ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। এমনকী গত ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২০-দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল জামায়াত প্রতিনিধি। এমনকী ফোনেও জামায়াতের কোনও নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বিএনপি নেতারা। এ অবস্থায় জামায়াতের মতামত ছাড়াই ২০-দলীয় জোট ২৯ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে। কৌশলগত কারণে জামায়াত নেতারা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও সর্বশেষ হরতালে দলটির উল্লেখযোগ্য কোনও ভূুমিকা ছিল না।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী একটি সূত্র জানায়, মুখে কেউ স্বীকার না করলেও অপ্রকাশ্যে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সাম্প্রতিক সম্পর্ক তেমন একটা ‘মধুর’ নয়। বরং দিনে-দিনে সম্পর্কের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় জামায়াতের ক্ষোভপ্রশমন ও ‘অভিমান’ দুর করার দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এক্ষেত্রে সফল হবেন বলেও মনে করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির নীতিনির্ধারকরা।
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
নিলু বলেছেন: আইনের শাসনের পথেই আগামী এগুবে বলে আশা করা যায়
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এছাড়া তারেকের আর ভরসা করার মত আছে কি? নিজ দলের নেতারা যেভাবে দিনে দিনে হিজড়া হয়ে যাচ্ছে!
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬
খেলাঘর বলেছেন:
অস্ত্র ও গ্রেনেড মামলায় নিজামীর সাথেই তারেকের ফাঁসী হবে; আইভি রহমানের রক্ত এখনো মুছেনি।