![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের প্রথম দিনে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। অবরোধ সফল করতে শিবির কর্মীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পক্ষান্তরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তৎপরতা ছিল কম।
গতকাল অবরোধ চলাকালে সকাল থেকে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে যানবাহন। গতকালও প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। অটোরিকশার দাপটও ছিল সোমবারের মতই। অফিস আদালত স্বাভাবিক থাকলেও জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করেছে।
জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের মিছিল ও পিকেটিং করে। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে শাখা সেক্রেটারি দাইয়ান সালেহিনের নেতৃত্বে একটি মিছিল কোর্ট কাচারীর দিকে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে রাস্তায় আগুন জ্বেলে সড়ক অবরোধ করে শিবির কর্মীরা। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে সেখানে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ধোলাইখালে মিছিল বের করে জামায়াত। এ সময় রাস্তায় আগুন জ্বেলে অবরোধ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে সেখানে ৮টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটায়। পুলিশের লাঠিচার্জে একজন শিবিরকর্মী গুরুতর আহত হয়। তবে সেখান থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। একই সময় মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী।
এছাড়া দুপুরে শাহজাদপুরে পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই শিবিরকর্মীকে আটক করে পুলিশ। শিবিরের কেন্দ্রীয় এইচ আর ডি সম্পাদক রাকিব মাহমুদের নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে শিবির। মিছিলটি উত্তর বাড্ডা থেকে শুরু হয়ে শাহজাদপুর আসলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময়ই বাধে সংঘর্ষ। বিক্ষুদ্ধ শিবির কর্মীরা ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ এসময় ফাঁকা গুলি এবং টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। সকাল ৮টায় খিলগাঁও চৌরাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী। অবরোধের সমর্থনে বাড্ডা থানা এলাকায় মিছিল বের করে জামায়াতে ইসলামী। সকাল পৌনে ৭টায় মগবাজার রেলক্রসিংয়ে বেশ কিছু সময় অবরোধ করে রাখে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।
এদিকে গতকাল বিকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক আনসার সদস্য দগ্ধ হন। দুপুর ২টার দিকে রাজউকের সামনে একটি বিআরটিসি বাস ও একটি প্রাইভেট করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষণে গাড়ি দুটি পুড়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৩টায় শাহবাগে শিখর পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারিরা।
একই সময়ে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া রাজধানীর কদমতলীর লাল মসজিদের সামনে পুলিশের একটি লেগুনায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় মনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক আনসার সদস্য দগ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা : আসাদুজ্জামান সম্রাট
রাজধানী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি
তোফাজ্জল হোসেন : বিএনপির দেশব্যাপী লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে গতকাল মঙ্গলবার দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। অবরোধের কারণে বাস মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গাবতলীর হানিফ কাউন্টারের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, যাত্রী না থাকায় ও অবরোধের কারণে টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়া হবে না।
মহাখালী -গাবতলী-সায়েদাবাদ বাসটার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি থেকেই খুব কম সংখ্যক দুর-পাল্লার বাস চলাচল করছে। অভ্যন্তরীণ রুটে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মাওয়া ও আরিচা রুটে বেশ কিছু লোকাল বাস চলাচল করেছে। আর গাবতলী-সাভার রুটে বিআরটিসিসহ বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীবাহী চলাচল করতে দেখা গেছে। মহাখালী বাস টার্মিনাল সারাদিন কাউন্টার বন্ধ ছিল।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকেও দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না বলে জানিয়েছেন দুরপাল্লার বাস কাউন্টরের কর্মচারি। দক্ষিণাঞ্চলগামী গাড়িগুলো টার্মিনালের মধ্যে রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কিছু যানবাহন কাঁচপুর পর্যন্ত চলাচল করছে। টার্মিনালের সব কাউন্টারই বলা যায় বন্ধ। পদ্মা পরিবহনের কাউন্টারে থাকা আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোনো গাড়ি যাচ্ছেনা।
©somewhere in net ltd.