![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে বিনা পয়সায় প্রতি মাসে ১০ হাজার কর্মী যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল সোমবার সকালে সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবন মিলনায়তনে কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া ও অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণসহ সামগ্রিক বিষয় চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে সকাল ৯টায় ওই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক চলে।
নিয়োগকর্তাই কর্মীর ভ্রমণ ব্যয়সহ সব ব্যয় বহন করবে জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, গৃহস্থালির কাজে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার কর্মী সৌদি আরব যেতে পারবে। এ জন্য তাদের কোনো টাকা-পয়সা লাগবে না। কর্মীদের সব খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা সৌদি কম্পানি। তারা মাসে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ রিয়াল (প্রায় ২৪ হাজার থেকে ৩১ হাজার টাকা) বেতন পাবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শুধু পাসপোর্ট তৈরি ও মেডিক্যাল পরীক্ষার খরচ বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি সরকারের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি রবিবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশে আসে। দলটি তিন দিন থাকবে। ওই দেশের শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আল ফাহিদ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার, জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জ্যোতির্ময় দত্ত ও মো. নুরুল ইসলাম এবং স্বাগতিক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সৌদি আরবের পক্ষে উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আল ফাহিদ, শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আল শারেখ, কর্মী তত্ত্বাবধান বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল আজিজ আল হার্ব এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি সরকারের সঙ্গে আমরা লং টার্ম কাজ করতে চাই। আমরা চাই না কোনো কারণে হঠাৎ দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাক। যেসব কর্মী সৌদি আরব যাবে, আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি; প্রয়োজনে তারাও দেবে।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের পর থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোও বাজার গুটিয়ে নিয়েছিল। সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে লিডিংয়ে আছে। তাই সে দেশের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোও তাদের বাজার উন্মুক্ত করবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সৌদিতে সব ধরনের কর্মীই ব্যক্তিগতভাবে যাবে। সেখানকার রিক্রুটিং এজেন্সি এম্বেসির মাধ্যমে আমাদের কাছে ডিমান্ড লেটার পাঠাবে। ডিমান্ড অনুযায়ী আমরা ক্লিয়ারেন্স দিলে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি লোক পাঠাবে।’
সৌদি উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আল ফাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের কনস্ট্রাকশনসহ সব খাতে লোক নেওয়া হবে। কর্মীর যাওয়ার খরচ নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বহন করবে।’ কী পরিমাণ লোক নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত বছর সারা বিশ্ব থেকে ১৩ লাখ লোক সৌদি সরকার নিয়েছে। এ বছরও আমাদের এ পরিমাণ লোকের চাহিদা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
আল ফাহিদ বলেন, ‘সৌদিতে যদি জিরো কস্টে লোক পাঠানো যায় তাহলে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে। সৌদি সরকার মনে করে, এ দেশের কর্মীরা ভালো কাজ করতে পারে।’
সৌদি গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন শুরু : সৌদি আরবে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের (পুরুষ ও নারী) নিবন্ধন প্রক্রিয়া গতকাল সোমবার সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে। এটা চলতে থাকবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলায়ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মেলার আয়োজন করেছে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি); চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। গতকাল মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সারা দেশের প্রতিটি জেলায় জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যালয়ে নিবন্ধন করা যাবে। ডিজিটাল মেলায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ৬০ নম্বর প্যাভিলিয়নে ২০০ টাকায় নিবন্ধন করা যাবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ : সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সৌদি প্রতিনিধিদল। তারা কর্মী নেওয়ার আগ্রহের কথা জানায় প্রধানমন্ত্রীকে। সৌদি উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আল ফাহিদ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। গণভবনে সে সময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
বাংলাদেশ থেকে আবার শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সৌদি আরবের বাদশা এবং প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ থেকে যেসব শ্রমিক যাবে তাদের সৌদি আরবের ভাষা, আইন ও রীতিনীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে প্রতিনিধিদের জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী ফাহিদ জানান, বাংলাদেশের শ্রমিকরা পরিশ্রমী, বিশ্বাসী। তারা তাঁদের দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: ্িনার চাপা আগেও শুনসি।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: প্রথম ভাল লাগা।
গতকাল রাত ৭টা একটি প্রাইভেট চ্যানেলে সংবাদটি শুনছিলাম, ভালই লাগলো। ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রি সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে। শুভকামনা ভবিষ্যৎ যাত্রীদের জন্য।