![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় পরিবহন ও সেবাসহ বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির জন্য একটি বিরাট বাধা।
আইএমএফের সফরকারী প্রতিনিধিদল গতকাল সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজনীতির কারণে অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সংস্থাটির তরফে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৬.১ শতাংশ হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদলের প্রধান ও সংস্থাটির এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের উপপ্রধান রডরিগো কুবেরো বক্তব্য দেন।
চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭.৩ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় সেই স্বপ্ন যে পূরণ হবে না, তা ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি অর্থবছর ৫ থেকে ৫.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের তিন বছর মেয়াদি চলমান ‘বর্ধিত ঋণ সহায়তা’র (ইসিএফ) অর্থছাড়পূর্ব পঞ্চম ও ষষ্ঠ কিস্তি পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসে।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে রডরিগো বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের পরিবহন ও সেবাসহ বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক এই অনিশ্চয়তা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির জন্যও একটি বিরাট বাধা। রাজনৈতিক সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতিতে আরো বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
রডরিগো জানান, মধ্য মেয়াদে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি ও টেকসই দারিদ্র্য বিমোচনে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেটে যথেষ্ট বরাদ্দ রাখা দরকার। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা না থাকলে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৬ শতাংশেরও অধিক হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রডরিগো বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়েছে, এটি এত দ্রুত নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।’
এই ঋণ সহায়তার শর্ত হিসেবে বরাবরই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম এবং গ্যাসের মূল্য বাড়াতে সরকারের ওপর চাপ দিয়ে আসছে সংস্থাটি। তবে সম্প্রতি বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমে গেছে। ফলে সরকারকে এখন এ খাতে আর ভর্তুকি দিতে হয় না, উল্টো মুনাফা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের আপত্তি সত্ত্বেও নতুন ভ্যাট আইন চালু হলে রাজস্ব আদায় বাড়বে এমনটা দাবি করে আইএমএফ কর্মকর্তা বলেন, এতে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও অভিযোগও কমবে। একই সঙ্গে কর প্রশাসন আধুনিকীকরণ ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্ব দেন তিনি।
এ ছাড়া বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, সহনীয় মূল্যস্ফীতি ও দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য প্রশংসা করে রডরিগো বলেন, বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। এটি বাড়াতে আরো নজর দিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
ভিটামিন সি বলেছেন: হ ঠিকই কইচুইন দাদা। ৪ মাস ধইরা দেশে ডলার পাডাই না, প্রতিদিন দাম কমবার লাগছে। যে ডলার (সিং) ছিলো ৬৩ টাকা, সেইডা আইজকা ৫৫.৮০ টাকা। আর আফনেগর মুহে হুনি খালি জিডিপি বাড়ে। আংগো তো খালি কমতাছে। কার কার বাড়ে গো দাদা?