নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ভয় না থাকলেই জয়’

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:২৬



নতুন দিনের দ্বার উন্মোচনে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল কাল মাঠে নামবে ক্রিকেটতীর্থ মেলবোর্নে। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ক্রিকেটাঙ্গন। কারণ এবার বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ দল। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সঙ্গে হেরেই বিশ্বকাপ স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছিল ভারতীয়দের। এবার তাদের ভয় জেঁকে ধরেছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়ার। ভারতের ক্রিকেট বোদ্ধা ও সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ নানা রকম মন্তব্য করে বাংলাদেশের উপর স্নায়ু চাপ তৈরির হীন চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু টাইগারদের সহঅধিনায়ক জানিয়ে দিলেন ভারতকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। সতীর্থদের প্রতি আহ্বান জানালেন ভয়হীন খেলার। গতকাল মেলবোর্নে অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ যে ভারতকে ভয় পায় না জানিয়ে দিয়েছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সেদিন (২০০৭ সালে) আমরা ভয়হীন খেলেছিলাম। সেবার যেমনটা খেলেছিলাম, তেমনটাই খেলতে চাই। এ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মনে হয় সেটি করতে পেরেছি। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন খেলেছি, তেমনটা খেললে আশা করি ম্যাচটা দারুণই হবে। এটি আসলে ওই দিনের ওপর নির্ভর করছে। এ জন্য আমাদের ভাল শুরু করা দরকার। তাহলে যে কোন কিছুই সম্ভব।’
চলতি বিশ্বকাপে পুল ‘বি’ এর দল ভারত একটি ম্যাচেও হারের মুখ দেখেনি। ৬ ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়নাদের দলটি কোন ভাবেই ছোট করে দেখার নেই। সাকিব ভয় না পেলেও ভারতের শক্তিকে কোন ভাবেই ছোট করে দেখছেন না। ভারত ক্রিকেট দল নিয়ে সাকিব বলেন, ‘ভারত খুবই ভাল দল। মাঠে ও মাঠের বাইরেও তারা বেশ শক্তিশালী। তারা বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাদের দলে বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার রয়েছে। তবে আমরাও কিন্তু এ বিশ্বকাপে ভাল খেলছি। আমাদের আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে। এ ম্যাচের জন্য আমরা প্রস্তুত। অবশ্যই কাগজে-কলমে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত এগিয়ে। এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এটি এক ম্যাচের খেলা। যদি দিনটা আমাদের হয় আর তাদের খারাপ হয় তাহলে কেউ জানে না কী হবে।’
২০০৭ বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল সাকিব আল হাসানের। আর সে আসরেই ভারতকে হারিয়ে দেয়ার সুখ স্মৃতি। এরপর ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে সাকিবের নেতৃত্বে ভাল খেলেও দল হারে। এবার সাকিব আল হাসান দলের সহঅধিনায়ক। এই মুহূর্তে কোন বিশ্বকাপকে এগিয়ে রাখবেন সাকিব? সাকিব বলেন, ‘আমি আসলে ২০০৭ সালকেই এগিয়ে রাখতে চাই। কারণ সেটি ছিল আমার প্রথম বিশ্বকাপ। আর সেবার আমরা অনেক ভাল করেছিলাম।’ সাকিব দেশের হয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলছেন। এবারও তার লক্ষ্য দলের জন্য সুযোগ পেলেই ভাল করার। দলের সহঅধিনায়ক ও সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে দায়িত্বটা খুব ভালভাবেই জানেন তিনি। সাকিব বলেন, ‘আমি জানি আমার করণীয় কি? দলের সহঅধিনায়ক হিসেবে যেখানে দরকার সেখানেই ভূমিকা রাখবো। আমি মাঠে দলের প্রয়োজনে কথা বলি সবার সঙ্গে আলোচনা করি।’ শুধু সহঅধিনায়ক হিসেবেই নয় দলের জন্য ব্যাট-বল হাতে নিজের ভূমিকাটা রাখতেও বদ্ধপরিকর তিনি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের একটি লক্ষ্য থাকে। তবে সবার আগে দলের প্রয়োজনটা দেখতে হবে। আমি এই বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে খুব একটা ভাল করতে পারিনি। তাই আমরা সেই বিষয়টিতে জোর দিচ্ছি, যেন দলের প্রয়োজনে আমি ব্যাট হাতেও ভূমিকা রাখতে পারি।’
২০১১ বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক সাকিব এবার সহঅধিনায়ক। সেবার ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া মাশরাফি বিন মর্তুজাই এবার দলের নেতৃত্বে। তার নেতৃত্বের উপর কতটা আস্থা রাখেন সাকিব? ভারতীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাশরাফি এমন একজন ক্রিকেটার যার ক্ষমতা আছে দলকে যে কোন সময় মোটিভেট করার। আমি মনে করি তিনি অসাধারণ একজন অধিনায়ক।’ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডও বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচের আগে আলোচনায়। এখানে প্রায় ১ লাখ দর্শক বসতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে তার বেশির ভাগটাই ভরা থাকবে ভারতীয় দর্শক দিয়ে। এটি চাপ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমি কলকাতায় আইপিএলে খেলেছি। প্রায় ৮০ হাজার দর্শকও মাঠে বসে খেলা দেখে। আর তাই আমার এই বিষয়ে করণীয়টা জানা আছে।’
ক্রিকেটে বিশ্বায়ন চান সাকিব
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে ইংল্যান্ডে। সেই আসরের আগেই ‘বিগ থ্রি’ (ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া) ফন্দি আঁটছে ছোট দলগুলো ছেটে ফেলার। গুঞ্জন রয়েছে হতে পারে ৯-১০ দলের বিশ্বকাপ। আর সেখানে বাংলাদেশকেও আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টে লড়াই করে আসতে হবে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপিয়ান এক সাংবাদিক এই বিষয়ে সাকিবের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি আসলে আইসিসি’র বিষয়। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আইসিসিই জানে যে ক্রিকেট নিয়ে কি করণীয়। আমার মনে হয় তারাই যথাযথ সিদ্ধান্ত নিবেন। আর যদি আমার মতামত জানতে চান তাহলে বলবো-ক্রিকেটে বিশ্বায়ন চাইলে বেশি বেশি দল খেলানো উচিত।’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.