নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে নিই, কে এই ক্রিকেট রাজাকার আলিম দার?

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৭


ক্রিকেট ম্যাচে ব্যাটসম্যান বোলারদের নিয়ে সবার থাকে মাতামাতি কিন্তু যারা ম্যাচ পরিচালনা করেন তাদের কথা আমরা সবাই জানিনা। এমনই একজন হচ্ছেন বর্তমানের সবচেয়ে সমালোচিত বিতর্কিত আম্পায়ার আলিম দার। তার পুরো নাম আলীম সারওয়ার দার ১৯৬৮ সালের পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝং এলাকায় ৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন এই ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকার অন্যতম সদস্য। ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং লেগ-ব্রেক বোলার হিসেবে তিনি এলাইড ব্যাংক লিমিটেড, গুজরানওয়ালা ক্রিকেট এসোসিয়েশন, লাহোর ক্রিকেট দল এবং পাকিস্তান রেলওয়েজ ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। অবসরগ্রহণের পর থেকে অদ্যাবধি তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ‘ শীর্ষস্থানীয়’ আম্পায়াররূপে পরিচিত হয়ে আসছেন। লাহোরের সিভিল লাইন্স এলাকায় অবস্থিত ইসলামিয়া কলেজ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাগুলোয় আম্পায়ার হিসেবেই মূলত আলীম দার ক্রিকেটাঙ্গনে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ সালে গুজরানওয়ালার জিন্নাহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের মধ্যেকার একদিবসীয় ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ঘটান। ২০০২ সালে তিনি আইসিসি’র আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক প্যানেলে সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও আম্পায়ারিংয়ে তিনি অন্যান্য সেরা আম্পায়ারদের সহযোগী ছিলেন। অক্টোবর, ২০০৩ সালে তিনি আম্পায়ারিত্ব করেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে; সেখানে তিনি বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলার মাধ্যমে টেস্টে আম্পায়ারের অভিষেক ঘটান। কিন্তু এ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের কোন টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিত্ব করেননি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক তালিকা প্রবর্তনের পর সকল টেস্ট ম্যাচ নিরপেক্ষ আম্পায়ার দ্বারা পরিচালিত হয়।

এপ্রিল,২০০৪ সালে প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে আইসিসি’র আম্পায়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।

১৭ অক্টোবর, ২০০৭ সালে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার খেলায় আলীম দার ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বের দশম আম্পায়ার হিসেবে শততম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিত্ব করেন।

২০০৫ এবং ২০০৬ সালে পরপর দুইবার আইসিসি’র বর্ষসেরা আম্পায়ারের জন্যেও মনোনীত হয়েছিলেন আজকের দিনের বিতর্কিত এই আম্পায়ার। অতঃপর ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বার্ষিকভিত্তিতে প্রদেয় পুরস্কার জয় করেন। অক্টোবর, ২০১০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার জিতেন। এরপর সেপ্টেম্বর,২০১১ সালে ধারাবাহিকভাবে পরপর তিনবার এ পুরস্কার লাভ করেন। উল্লেখ্য যে,২০০৪ সালে আইসিসি’র বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার প্রবর্তনের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার সাইমন টাওফেল এবং তিনি -এ দু’জন উক্ত পুরস্কার ভাগাভাগি করে নিয়েছেন যা ২০১২ সালে কুমার ধর্মসেনার উত্থানজনিত কারণে ছেদ ঘটে।

১৪ আগস্ট, ২০১০ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে প্রাইড অব পারফরমেন্স পদকে ভূষিত করে সবিশেষ সম্মানিত করে। এছাড়াও, ১৫০টি ওডিআই পরিচালনা করায়ও আইসিসি তাঁকে সম্মানিত করে।

পাঠক, এই ছিলো এই সময়ের সর্বাধিক সমালোচিত বিতর্কিত আম্পায়ার আলীম দা’র ক্যারিয়ারে সাফল্যের ইতিহাস। তবে আলীম দা’র দীর্ঘ সাফল্যের ইতিহাসে গত ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচে ‘নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব’ আর ভুল সিদ্ধান্তের কারনেই সর্বশেষ যোগ হল কলংকের ইতিহাস ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

নিজাম বলেছেন: আলিম দার মুর্দাবাদ।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

মনোজ কুমার বলেছেন: ভাই আপনার লেখাটা ঠিক আছে কিন্তু title টা ঠিক নাই।সবকিছুতে রাজাকার আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আসা ঠিক না।This will make our liberation war silly.

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আমার কাছে তথ্য প্রমান এই মূহুর্তে হাতে নেই, তবে আমি যতটুকু জানি আম্পায়ার হওয়ার আগে সে TAXI ড্রাইভার ছিল এবং জীবনের শুরুর দিকে বেশ কষ্টে দিন যাপন করত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.