![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’ ঘোষিত কাউন্সিলর প্রার্থী তালিকা প্রত্যাখ্যান করেছে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী। এ তালিকায় প্রার্থীদের ভোট কিংবা কোনো রকমের সমর্থন না দেওয়ার জন্য দলের অভ্যন্তরে প্রতিটি স্তরে শিগগিরই নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে। ভিতরে ভিতরে ২০-দলীয় জোটের অন্য শরিকরাও ক্ষুব্ধ। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ও দলের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম বুলবুল গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুই সিটি নির্বাচনে ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের’ ঘোষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে কোনো কিছুই অবগত নন। কীভাবে এ তালিকা এসেছে জামায়াতের কেউ কিছু জানেন না। এমনকি জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ে কথাবার্তা হলেও কাউন্সিলরদের এ তালিকার বিষয়ে জামায়াতের কারও কোনো কথা হয়নি। তবে ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’-এর নেতারা জানান, এটা কোনো দলীয় নির্বাচন নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সাধারণ মানুষ ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়নের’ পক্ষে রায় দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এ নিয়ে রাগ বা অভিমানের কিছু নেই। সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা শুধু সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীদের নিয়েই ভাবছি এবং এ নিয়ে কাজ করছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব নেই। এর আগে ১০ এপ্রিল রাতে গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের’ পক্ষে দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ এবং সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দুই সিটি নির্বাচনসহ মেয়র প্রার্থীদের বিষয়ে জোটের শরিকদের সঙ্গে বিএনপি আলোচনা করলেও কাউন্সিলর প্রার্থী তালিকার বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি। এর ফলে জামায়াতে ইসলামীর মতো কয়েকটি শরিক দলও ভিতরে ভিতরে ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জানান, ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’ ঘোষিত কাউন্সিলর প্রার্থী তালিকায় ঢাকা উত্তরের ২৮ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের কথাও উল্লেখ করেন কয়েকটি শরিক দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা।
তারা বলেন, একই নির্বাচনে মেয়র পদে শরিকদের সমর্থন লাগলে কাউন্সিলর পদে কেন নয়। দুই-চারটি ওয়ার্ডে তো আমাদেরও প্রার্থী রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এমনিতেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এর মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে এলাকা ও ব্যক্তির প্রাধান্যই বেশি থাকে। তবে স্থানীয়ভাবে জোট নেতারা বসে সম্মিলিতভাবে তাদের এলাকার প্রার্থী ‘চয়েস’ করতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
ইলুসন বলেছেন: জামাতকে লাথি দিয়ে জোট থেকে বের করে দিলেই পারে। তাহলেই হয়। একা নির্বাচন করলে ২টা সিট পায়, তারা আবার মাতব্বরি করতে আসে।