![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফের আলোচনায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল। আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা ও হত্যার অভিযোগে এই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আটটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিচারকাজ শুরু করার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে দেশের বিভিন্ন জেলায় থানা ও আদালতে ডজনখানেক মামলা এবং সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। এর বিপরীতে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাগুলো আমলে নিয়ে আটটিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য কয়েক ধাপে অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া জরুরি অবস্থার সময় হওয়া দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অন্তত ১২টি মামলায় তারেক আসামি।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি (ওয়ান্টেড পারসনস) হিসেবে তারেক রহমানের নাম-পরিচয় ও বিবরণ রয়েছে। তবে সেখানে রেড অ্যালার্ট জারির তারিখ উল্লেখ নেই। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের ৬১ জন তালিকাভুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে। তালিকায় সবার শেষে তারেক রহমানের নাম, ছবি ও বিবরণ রয়েছে। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তারেক রহমান সম্পর্কে বিবরণে বলা হয়েছে, তিনি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষা জানেন। নোটিসে তারেকের উচ্চতা, চুল ও চোখের রঙের সঙ্গে জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইন্টারপোলের বাংলাদেশ শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) প্রধান মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা অনেক দিন আগেই ইন্টারপোলে এ নোটিস পাঠিয়েছিলাম।’ ইন্টারপোলের নোটিসে মামলার কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এই গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত হন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ লোক আহত হন। ২০০৮ সালের ১১ জুন এ মামলায় ২২ জনকে আসামি করে সিআইডি প্রথম অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। মোট ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক আছেন। ইন্টারপোল সূত্র জানায়, রেড অ্যালার্ট আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা নয়। এর মাধ্যমে সংস্থাটির ১৯০টি সদস্য-দেশকে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করতে কোনো সদস্য-রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইন্টারপোল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থান নিশ্চিত করতে সদস্য-দেশগুলোর পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করে, যাতে এক দেশের সরকার অপর দেশের সরকারের কাছে অপরাধীকে গ্রেফতার ও প্রত্যর্পণে ব্যবস্থা নিতে পারে। ন্যূনপক্ষে ২৮টি মামলার আসামি তারেক রহমান বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চিকিৎসার জন্য জামিন নিয়ে লন্ডনে যান। এর পর থেকে তারেক ও তার পরিবারের সদস্যরা ছয় বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বৈধতা হারানোয় তিনি এখন শরণার্থী হিসেবে দেশটিতে অবস্থান করছেন বলে ঢাকা ও লন্ডনের বিভিন্ন সূত্রের খবর। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নিজস্ব ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির কয়েক ডজন মামলাতেও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে তারেকের কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি প্রচার বা প্রকাশের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার হওয়া তারেক জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার কথা বলে লন্ডন পাড়ি দিলেও সেখানে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করে আসছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সর্বশেষ অবস্থান জানাতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনেও চিঠি দেওয়া হয়।১৯৫৮ সালে গৃহীত শরণার্থী সনদের ওপর ভিত্তি করে তারেকের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের কথাও যুক্তরাজ্যের কাছে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ সরকার। ওই সনদ অনুযায়ী, শরণার্থী যে দেশে থাকে সেখানে কোনো রাজনৈতিক তৎপরতায় অংশ নিতে পারে না।ঢাকা ও লন্ডনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, তারেক ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে লন্ডনে যাওয়ার পর ওই বছরের ডিসেম্বরে তার পাসপোর্ট সর্বশেষ নবায়ন করেন। এর মেয়াদ ২০১৩ সালে শেষ হয়েছে। এরপর তিনি পাসপোর্ট নবায়ন করতে কখনোই লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করেননি। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টও পাননি বলে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
আমারনামবিডি বলেছেন: আর কত রসিকতা !!! অথচ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ লীগ / দল কিছুই বুঝতে চায় না। খালি চায় একটু শান্তিতে বাচতে।