নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ এখন আলাউদ্দিনের চেরাগ নয়, বাস্তবতা

০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:০৭


দেশে বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতা বেড়েছে। তবে উৎপাদন খরচ কমেনি। এদিকে গ্যাসের অভাবে স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে পর্যাপ্ত গ্যাস পাচ্ছে কুইক রেন্টাল, রেন্টাল, আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার) এবং এসআইপিপি (সাপোর্টিং আইপিপি) বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ইউনিট (আমদানিসহ) বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে গ্যাসে হচ্ছে ১০০ কোটি ইউনিট, খরচ পড়ছে ৭ কোটি টাকা। আর তেল পুড়িয়ে হচ্ছে ১৫ কোটি ইউনিট, খরচ হচ্ছে ২০ কোটি টাকা। এদিকে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে তেল এবং গ্যাসভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বিদ্যুতের বর্তমান স্থাপিত ক্ষমতা ১৩ হাজার ২৬৫ মেগাওয়াট।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আর কোন নতুন তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ দেশের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক হবে না। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারকে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ওপর জোর দিতে হবে। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সরকারের আরও বেশি নজর দিতে হবে।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন বাংলাদেশের আছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। দেশে লোডশেডিং নেই। আরও নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও চুক্তি অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে তেলের ব্যবহার কমাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নির্মাণের দিকে এগুচ্ছে সরকার। এছাড়া সৌরবিদ্যুৎ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।বর্তমানে ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রয়েছে। সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত ১৫ এপ্রিল ৭ হাজার ৫৭১ মেগাওয়াট। পিডিবির গত এক মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দৈনিক চাহিদার বিপরীতে দেশে প্রতিদিন গড়ে (কমবেশি) ১৩০ মিলিয়ন কিলোওয়াট আওয়ার (১৩০ মিলিয়ন ইউনিট) বিদ্যুৎ (আমদানিসহ) উৎপাদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে গ্যাস থেকে আসছে ১০০ মিলিয়ন ইউনিট আর তেল থেকে ১৫ মিলিয়ন ইউনিট, কয়লা থেকে সাড়ে ৩, জলবিদ্যুৎ প্রায় এক মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়া ভারত থেকে (কমবেশি) ১১ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ আসছে।পিডিবির তথ্যে দেখা গেছে, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে যেখানে ৭ কোটি টাকা মূল্যের গ্যাসে ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০ কোটি টাকার তেল পুড়িয়ে মাত্র ১৫ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।এদিকে গত রোববারও গ্যাসের অভাবে ইজিসিবি এবং পিডিবি'র দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। একই দিন চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পেয়েছে কয়েকটি রেন্টাল, কুইক রেন্টাল, আইপিপি, এসআইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্র।জানা গেছে, ইজিসিবি'র (ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কো. অফ বাংলাদেশ) সিদ্ধিরগঞ্জ গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে গ্যাস স্বল্পতার কারণে ১৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। এছাড়া, পিডিবি'র টঙ্গী গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্রেও ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয় গ্যাসের অভাবে। তবে পর্যাপ্ত গ্যাস পেয়ে বিদ্যুৎ পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে ঘোড়াশাল (এগ্রিকো) ১০০ মেগাওয়াট কুইক-রেন্টাল, ঘোড়াশাল (এগ্রিকো) ৪৫ মেগাওয়াট কুইক-রেন্টাল, নরসিংদী (ডরেন) এসআইপিপি ২২ মেগাওয়াট, সামিট পাওয়ার এসআইপিপি ১৪৬ মেগাওয়াট। এদিকে চট্টগ্রামেও গ্যাসের অভাবে পিডিবি'র দুইটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। এর মধ্যে চিটাগাং এসটি ইউনিট-১ এ ১৮০ মেগাওয়াট এবং ইউনিট-২ এ ৬০ মেগাওয়াট এবং শিকলবাহার একটি কেন্দ্রে ৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে বাড়বকুন্ড (রিজেন্ট) এসআইপিপি এবং মালঞ্চ (ইউনাইটেড) বিদ্যুৎকেন্দ্র চাহিদা মাফিক গ্যাস পেয়ে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।দেশে তেলের কোন সংকট না থাকায় পুরোদমে চলছে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এর মধ্যে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল, আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলভিত্তিক এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাত্রাতিরিক্ত উৎপাদন খরচের কারণে বিদ্যুৎ খাতে আকাশচুম্বী ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণও তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। মোট গ্রাহকসংখ্যা এক কোটি ৬৭ লাখ। ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পেঁৗছে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বর্তমানে ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রয়েছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ৭৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি করেছে। এর মধ্যে উৎপাদনে এসেছে চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ৬৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

মু. সাদ উদ্দিন বলেছেন: হুম , এজন্যই তো বলি লোড শেডিং এতো বেশী হয় ক্যারে ?

২| ০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

আহমেদ রশীদ বলেছেন: এখন বিদ্যুৎ গেলেও মাত্র ১ মি: স্থায়ী থাকে। আর তোর খালেদার মার আমলে মাঝরাতে মানুষ বেড ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসছে। এটা ঢাকাবাসী এখনো মনে রাখছে। বিদ্যুতে যে সরকারের এতো সাফল্য যে অস্বিকার করবে মনে হয় সে জারজ ছাড়া আর কিছু না!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.