নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন : নতুন ইতিহাস রচনা

২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:২৪

অবশেষে ভারতীয় পার্লামেন্টের অনুমোদন পেল স্থল সীমান্ত চুক্তি, যা মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি নামে পরিচিত। এর জন্য অপেক্ষা করতে হলো দীর্ঘ ৪১টি বছর। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে ছিটমহল নামের অঘোষিত কারাগারে বসবাস করে আসছিল যে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ, তারা আজ উদ্বেলিত। স্বাধীন মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পারব- এই একটি আশায়ই তারা আজ আনন্দে আত্মহারা।

চুক্তি বাস্তবায়নে ৪১ বছর কেন অপেক্ষা করতে হলো আমাদের? কারণ ১৯৭৪ সালের ১৬ মে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরের বছরই স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তির চক্রান্তের শিকার হয়ে সপরিবারে নিহত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ চলে যায় সেই পরাজিত শক্তির হাতে। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চায় আবারও উল্টোপথে। ফলে আটকে যায় মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বাস্তবায়নও। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এবং বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকারগুলো আদায়ের চেষ্টা শুরু হয়। সে সময়ই গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি হয়। এর আগে শুধু কথাই হয়েছে, কোন কাজ হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার স্থল সীমান্ত চুক্তি, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনসহ আরও অনেক বিষয়েই আলোচনা এগিয়ে নেয়। কিন্তু আবারও ছেদ পড়ে ২০০১ সালে, যখন বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় একই উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই ফল হিসেবে ভারতীয় পার্লামেন্ট সর্বসম্মতভাবে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। শুধু তাই নয়, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে যে দীর্ঘ বিরোধ ছিল এ সময়ে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে তারও সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশ বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমায় তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে এবং সমাধান বেরিয়ে আসবে।

স্থল সীমান্ত বিল নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল তা তুলনাহীন। তারা ফিরে গিয়েছিলেন একাত্তরে। ফিরে গিয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে স্মৃতি রোমন্থনে। অবাঙালি হয়েও অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছেন কোন কোন সদস্য। তারা ভারতের বর্তমান সরকারকে বলেছেন 'বড় ভাইসুলভ' আচরণ বাদ দিয়ে ভাই হিসেবে প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য। পার্লামেন্টের সেই দৃশ্য আমাদেরও কম আবেগাপ্লুত করেনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনারা যখন বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন প্রাণ বাঁচাতে এক কোটিরও বেশি মানুষ ছুটে গিয়েছিল সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলোতে। ভারতের মানুষ এবং ভারতের সরকার তাদের সাধ্যমতো এই এক কোটি মানুষকে ৯ মাস আশ্রয় দিয়েছিল, খাদ্য জুগিয়েছিল। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সারা দুনিয়া চষে বেড়িয়েছেন। ভারত যদি সেদিন আমাদের পাশে না দাঁড়াত, তাহলে আমাদের দুঃখকষ্টের কোন সীমা-পরিসীমা থাকত না। আমারও চাই, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠতা পাক, দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হোক। ২ ভারতের রাজ্যসভায় বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত বিল অনুমোদনের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এটি একটি বিরলতম ঘটনা। মনমোহন সিং এটি করে গিয়েছেন, আমরা তা এগিয়ে নিয়ে গেলাম। বাংলাদেশের সঙ্গে এ চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে আমরা যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে বিশ্বাসী, সেই বার্তা পেঁৗছুবে। এরই সূত্র ধরে ৭ মে লোকসভায়ও চুক্তিটি পাস হয়েছে। এটি আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে সুখবর। বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দুটি দেশের মধ্যে নানা বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় স্থলসীমান্ত ও তিস্তা ইস্যুতে ছিল বহুমাত্রিক জটিলতা। স্থলসীমান্ত চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেয়। এ নিয়ে যথেষ্ট দেনদরবারের পর ভারতের রাজ্যসভার পর লোকসভাও এটির অনুমোদন দিয়েছে। ফলে চুক্তিটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব বাধা অপসারিত হলো এমনটি মনে করা যায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও লোকসভায় বিলটি পাসের পর টুইটার বার্তায় বলেছেন, ্তুস্থলসীমান্ত বিল পাসের ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের মাইলফলক।্থ এতে যেমন নরেন্দ্র মোদির আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, তেমনি এ ঘটনাকে বাংলাদেশের অন্যতম কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেও দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন এজন্যই জরুরি যে, বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল রয়েছে, যার আয়তন ১৭ হাজার ১৪৯ একর। অন্যদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহলের সংখ্যা ৫১টি, যার আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর। বিলটি পাস হওয়ায় এসব ছিটমহল বিনিময় হতে আর কোন বাধা নেই। ছিটমহলবাসী এ দিনটির অপেক্ষায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ড. মনমোহন সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরকালে ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তির অতিরিক্ত প্রটোকলে সই করেন। যে কারণে চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সংবিধানে সংশোধনী আনা হলো। অন্যদিকে চুক্তিটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের এ সিদ্ধান্তের ফলে স্থল সীমান্ত চুক্তি ও এর আওতায় সই হওয়া প্রটোকল অবিলম্বে বাস্তবায়িত হবে এমনটি আশা করা যায়।

সত্য যে, সীমান্তে চোরাচালান, ছিটমহলের বাসিন্দাদের মানবেতর জীবনযাপন উভয় দেশের সম্পর্কের জন্য বিব্রতকর, যা অনেকবারই সংবাদ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। দেশি ও আন্তর্জাতিক বিমস্নেষকরাও বারবার স্থলসীমান্ত ও প্রটোকল চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর তাগিদ দিয়ে এসেছেন। বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে উভয় দেশের অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য যৌক্তিক পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে। লক্ষণীয় যে, স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে ৬৮ বছরে উভয় দেশকে অনেক পথ হাঁটতে হলেও শেষ পর্যন্ত একটা যৌক্তিক সমাধানে এসেছে উভয় দেশ। বাংলায় একটা প্রবাদ রয়েছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমরা মনে করি, এখন নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উভয় দেশকে শেষ ভালোর দিকে হাঁটতে হবে।

প্রসঙ্গত বলা যায়, নরেন্দ্র্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার ইতিবাচক মনোভাব এ দেশের মানুষকে আশান্বিত করে তোলে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতদিন দেখা গেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে নিমরাজি থাকতে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় এটি বিশেষভাবে আলোচনায় আসে। অবশেষে তিনিও বাংলাদেশের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে, চলতি বছর বাংলাদেশ সফর করেন। এটি নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লোকসভায় বিল পাসের পর এমনটিই উল্লেখ করেছেন। ফলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের নতুন ইতিহাস রচিত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

আগামী জুনে ঢাকা সফরে আসতে আগ্রহী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমাদের প্রত্যাশা, এ সময়ের মধ্যে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা দরকার। অন্যদিকে তিস্তা চুক্তি ফলপ্রসূ করতেও সরকারকে জোর দিতে হবে। চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ভিত আরও সুদৃঢ় হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

৩ বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল ভারতীয় লোকসভায় পাস হয়েছে। তার আগে রাজ্যসভায় এটি পাস করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে উভয় সভায়ই ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তিটি পাস করা হয়েছে। এখন শুধু বিধান সভায় পাস হলেই এ প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটবে। এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র। ধরে নেয়া যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মধ্যে অন্যতম স্থল সীমান্ত সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হলো।

স্থল সীমান্ত চুক্তির সমাধান হওয়ায় বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ১৭ হাজার ১৫৮ একর আয়তনের ১১১টি ছিটমহল ও ২২৬৭.৬৮২ একর অপদখলীয় জমি পাবে। ভারত পাবে ৭১১০ একর আয়তনের ৫১টি ছিটমহল ও ২৭৭৭.০৩৮ একর অপদখলীয় জমি। বলা বাহুল্য, স্থল সীমান্তের এ সমস্যা ৪১ বছরের নয়, প্রকৃতপক্ষে ৬৮ বছরের। '৪৭-এ দেশ ভাগ হওয়ার পর থেকেই এ সমস্যা চলে আসছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর '৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির মাধ্যমে এ সমস্যার সুরাহার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ সময়ে চুক্তিটি সাফল্যের মুখ না দেখায় ছিটমহলবাসীকে অবর্ণনীয় দুঃখ-দর্দশার মধ্যে দিনাপতিপাত করতে হয়েছে। তারা অনেকটা না ঘরকা না ঘাটকা অবস্থায় ছিল। তাদের নাগরিকত্ব ছিল, কিন্তু নাগরিক সুবিধা বলে কিছু ছিল না। এ নিয়ে তারা দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান হতে যাচ্ছে। চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার পরের সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এখন একটি ট্রনাজিশন পিরিয়ড চলছে। এ সময়টিতে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি যথাযথভাবে সংরক্ষণ, সীমানা নির্ধারণের পরিকল্পনা এবং ছিটমহলবাসীকে আশ্বস্ত করা জরুরি। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের পরিকল্পনা কালবিলম্ব না করে এখনই শুরু করা প্রয়োজন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসাপেক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকায় দেশের মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে। ১১১টি ছিটমহল এবং অপদখলীয় জমি বাংলাদেশের যুক্ত হওয়াসহ ভারতের সঙ্গে ৫৫টি ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি যুক্ত হওয়ায় নতুন করে মানচিত্রের পরিবর্তন করতে হবে। এ কাজটিও অত্যন্ত দ্রুত সময়ে সম্পন্নের উদ্যোগ নিয়ে জনসাধারণের সামনে পরিবর্তিত মানচিত্র উপস্থাপন করতে হবে। স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি পেয়ে গেছি বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। এগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে রাষ্ট্রের অধীন এবং অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত এবং উন্নয় সাধন সবচেয়ে বেশি জরুরি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটাও বলা হচ্ছে, তার সফরের আগে ভারতের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে স্থল সীমান্ত চুক্তি রাজ্যসভা ও লোকসভায় পাস করে আসতে চান। ইতোমধ্যে তা করা হয়েছে। মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অমীমাংসিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ যৌথ নদনদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ, উভয় দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধার ভারসাম্যের বিষয়গুলোকে প্যাকে আকারে উপস্থাপন করে সমাধানে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে, তাই আমরা মনে করি, এসব সমস্যা সমাধান করা কঠিন কিছু হবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:০০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:২২

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: ঘুম থেকে উঠেই মে বি লিখতে বসেছেন?

৩| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

সরদার হারুন বলেছেন: এখনও সব শেষ হয়নি ।তবে আশার আলো দেখা যায় ।

৪| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.