নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার কথা

আহমেদ রশীদ

আহমেদ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকায় ভারত সমর্থক সুধীরের উপর হামলা হয়নি: প্রত্যক্ষদর্শী

২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬



রোববার রাতে খেলা শেষের পর স্টেডিয়ামের গেইটের কাছে সুধীর গৌতমের উপর ‘হামলার’ খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়।

এদিন ভারতকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। গ্যালারিভরতি টাইগার সমর্থকদের উল্লাসধ্বনির মধ্যে ভারতীয় সমর্থক সুধীরও খেলা দেখেছিলেন।

মুখ ও শরীরে ভারতের পতাকা এঁকে খেলা দেখতে যাওয়া সুধীর বের হওয়ার পর টাইগার সমর্থকদের তোপে পড়েন বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর।

ঘটনাস্থলে থাকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোকচিত্র সাংবাদিক আসিফ মাহমুদ অভি বলেন, সুধীরের উপর শারীরিক আক্রমণের কোনো ঘটনা দেখা যায়নি।

স্টেডিয়ামের ২ ও ৩ নম্বর গেইটের মাঝামাঝিতে সুধীরের অটোরিকশায় ওঠার ছবিও তোলেন অভি।

তিনি বলেন, “খেলা শেষে পৌনে ১২টার পরপরই গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় বাংলাদেশের সমর্থকরা সবাই সুধীর গৌতমকে ঘিরে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলছিল। ‘মওকা-মওকা’ বলেও টিটকারি করছিলেন কয়েকজন।”

গত বিশ্বকাপে প্রথমে ভারত-পাকিস্তান খেলা নিয়ে ‘মওকা-মওকা’ নিয়ে বিজ্ঞাপন করেছিল স্টার স্পোর্টস। বিজ্ঞাপনটি আলোচিত হওয়ায় পরে ভারতের প্রতিটি ম্যাচের আগেই বানানো হয়েছিল নতুন নতুন ‘মওকা মওকা’ বিজ্ঞাপন।

এর মধ্যে ভারতের সমর্থকরা বাংলাদেশকে নিয়েও নিজেদের তৈরি কিছু ‘মওকা’ ভিডিও ইউটিউবে ছাড়ে, যাতে বাংলাদেশকে অবমাননা করা হয়েছে অভিযোগ করে পাল্টা ভিডিও ছাড়া হয়।
অভি বলেন, “সুধীর সিএনজি ভাড়া করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ সমর্থকরা তাকে ঘিরে টিপ্পনী কাটতে থাকেন। ভিড় দেখে সেখানে দায়িত্ব পালন করা কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে তাকে ঘিরে রেখে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয়। তখন বাংলাদেশ সমর্থকদের বেশ কয়েকজন ‘ভুয়া-ভুয়া’ বলে কিছু দূর অটোরিকশা পেছন পেছন যায়।”

সুধীরকে উদ্ধৃত করে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে, বাংলাদেশের এক দল সমর্থক ভারতের এই সমর্থকের উপর হামলা চালিয়েছিল। তার অটোরিকশা লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়।

অভি বলেন, “তাকে (সুধীর) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার মতো কিছুই আমার নজরে পড়েনি।”

ভারতীয় ক্রিকেট দল ও শচীন টেন্ডুলকারের জন্য জীবন উৎসর্গের ঘোষণা দেওয়া সুধীরের ঘটনাটিকে ‘হামলা’ বলে ভারতের প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে।

ভারতের খেলা দেখতে এনিয়ে অষ্টমবার ঢাকায় এসেছেন সুধীর।

মিরপুর থানা পুলিশও বলছে, ভারতীয় সমর্থকের উপর হামলার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার কাইয়ুমউজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্টেডিয়ামসহ পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ।

“অত্র এলাকায় কারও উপর কেউ হামলা করেছে বা আক্রমণ করেছে, এরকম কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।”

সুধীরের ওপর আক্রমণের খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

ইউটিউবের সেই ভিডিওটির স্ক্রিনশট, যেখানে তারিখ দেখাচ্ছে ২১ জুনখবরটির উৎ​স এবিপি নিউজ। স্পর্শকাতর খবর হওয়া সেটি এরই মধ্যে সেটি ছড়িয়ে পড়েছে সারা ক্রিকেট বিশ্বে। ভারত তো বটেই, পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ডনসহ আরও অনেক দেশের সংবাদমাধ্যমেও এসেছে খবরটা: ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ সুধীর গৌতমের ওপর কয়েক জন বাংলাদেশি সমর্থক আক্রমণ করেছেন গতকাল ম্যাচ শেষে।
কিন্তু খবরটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন ওঠার কারণ এবিপি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ভিডিও। ‘ভারতের জনপ্রিয় সমর্থক সুধীর গৌতম কথা বলছেন এবিপি নিউজের সঙ্গে’ শিরোনামে এবিপি নিউজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওটিতে ছবি পোস্ট করার তারিখ দেখা যাচ্ছে ২১ জুন, ২০১৫। ভিডিওটির বর্ণনাতে লেখা হয়েছে, ‘ভারতের জনপ্রিয় সমর্থক সুধীর গৌতম কথা বলছেন এবিপি নিউজের সঙ্গে। ঢাকায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের পর তিনি আক্রমণের শিকার হন।’
কিন্তু ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে সুধীর কথা বলছেন দিনের বেলায় (ভিডিওটি দেখুন)। অনেকেরই প্রশ্ন, ২১ জুন রাতে শেষ হয়েছে ম্যাচ। খবরের ভাষ্য অনুযায়ী এর পর আক্রমণের শিকার হন সুধীর। কিন্তু তিনি এ নিয়ে কথা বলছেন দিনের বেলায়। তাহলে ভিডিওটি আজকের হওয়ার কথা। অর্থাৎ​ ২২ জুন। কিন্তু ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সেটি পোস্ট করা হয়েছে ২১ জুন। এই প্রশ্ন তাই ওঠে, ভিডিওটি আগেই তৈরি করে পোস্ট করা হয়েছে কিনা। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই দাবি করছেন, ইচ্ছে করেই এমন খবর তৈরি করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:০৩

মধু নদীর জোলা বলেছেন: ভয়ানক ঘটনা

২| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১১

জনতার রায় বলেছেন: প্রত্যক্ষদর্শীরা তো সবাই বাংলাদেশীই, তাই না?

তবে বাংলাদেশের সাথে প্রতিযোগিতা জমানর ভারতীয় এই প্রচেষ্টা সত্যিই হাস্যকর।

আর যেসব বাংলাদেশী এই ঘটনায় জাতি হিসেবে লজ্জিত, ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতের কাছে ক্ষমা চাইছেন, বাংলাবাঁশের অংশবিশেষ তাদেরকেও দেওয়া হোক।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

সিদ্ধা বলেছেন:

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.