![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজধানীতে ইতালীয় ও রংপুরে জাপানি নাগরিক খুনের ঘটনার পর চট্টগ্রামে অবস্থানরত কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই হাজার বিদেশি নাগরিকের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন এবং নগরীতে প্রবেশের আগে নগর পুলিশের বিশেষ শাখাকে অবহিত করার জন্য বিদেশি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম ইপিজেডসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোকে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থানের বিষয়ে নিয়মিত তথ্য দিতে বলেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ । এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরের পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, দেশের কুখ্যাত দুই যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্র কোনো ষড়যন্ত্র করছে কি না, তারও তদন্ত করা হচ্ছে। কারণ না হলে হঠাৎ করে বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যে দুজন বিদেশি নাগরিককে গুপ্তঘাতকরা হত্যা করল কেন ? তাই এ বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইতালীয় নাগরিক খুনের পর থেকে চট্টগ্রামের যেসব এলাকায় বেশিসংখ্যক বিদেশি নাগরিক অবস্থান করেন সেসব স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী কমিশনার কাজীমুর রশিদ। পাশাপাশি যেসব বিদেশি নাগরিক চট্টগ্রামে আসছেন ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিসিয়াল কাজসহ ভ্রমণের জন্য, তারা যাতে নগর পুলিশ বা যেসব এলাকায় যাচ্ছেন সেসব এলাকার পুলিশকে একটু জানিয়ে চলাফেরা করেন সে ব্যাপারেও সার্কুলার জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। নগরীর বিভিন্ন হোটেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি সাহায্য সংস্থার কর্তৃপক্ষকেও বলা হয়েছে তারা যেন বিদেশি নাগরিকদের চলাফেরার ব্যাপারে পুলিশকে আগেভাগে তথ্য দিয়ে সহায়তা করে। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগর বিশেষ শাখার নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ইতোমধ্যেই।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার বাবুল আক্তার জানিয়েছেন, নগরীতে যেসব স্থানে বিদেশি নাগরিকদের আধিক্য রয়েছে সেসব স্থানে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া চট্টগ্রামে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের তালিকা তৈরির কাজও চলছে। চট্টগ্রামে ইপিজেড, পতেঙ্গা, হালিশহর, আগ্রাবাদ, খুলশী,
নিজাম রোড, মেহেদীবাগ, মোহাম্মদ আলী রোডসহ বিভিন্ন এলাকাতে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থান বেশি। এসব এলাকায় চীন, কোরিয়া, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান এসব দেশের নাগরিকরাই বেশি বসবাস করেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ নিয়ে বিদেশি নাবিকরা আসেন। এর বাইরে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত আছেন আরো কয়েকটি দেশের নাগরিক। জাকির হোসেন রোডে ফয়’স লেক এলাকায় ইউএসটিসি ও মোহাম্মদ আলী রোডে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইম্যানসহ নগরীর আরো কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভারতীয় ও রাশিয়ান দূতাবাসের শাখা, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এসব নাগরিকের কর্মস্থল ও বাসস্থানের আশপাশের এলাকাতেও গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
তবে চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি চট্টগ্রামে হাজার দুই থেকে আড়াই হাজার বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তবে আমরা শুধু বিদেশি নাগরিকদের নয়, চট্টগ্রামবাসীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবকিছুই আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। যেহেতু আমাদের দায়িত্ব এই নগরীতে অবস্থানরত নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা, তাই আমরা সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে বিদেশিদের ব্যাপারে একটু বেশি সতর্ক অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। তবে তিনি এসব ব্যাপারে কোনো ভীতি যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারেও নগরবাসীকে সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এত বিদেশী নাগরিককে পাহারা দিয়ে রাখা সম্ভব নয়, সেটা বুঝেই ষড়ান্ত্রকারীরা মাঠে নেমেছে। দরকার ছিল, আরো ২ লাখ নতুন পুলিশ নেয়ার।
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩১
রোষানল বলেছেন: শেষে কেঁচো খুঁড়তে সাপ না বের হয়
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুলিশ ও গোয়েন্দা নেই।
মুরগী আগলে রক্ষা সম্ভব নয়, শিয়ালকে থামাতে হয়।