| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই গেজেট প্রকাশ করে। পর্যায়ক্রমে বীরাঙ্গনাদের সবাই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাবেন।
এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, “বীরাঙ্গনারা মুক্তিযোদ্ধাদের মত সব ধরনের সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। চলতি বছরের জুলাই থেকেই তাদের এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।”
অন্য বীরাঙ্গনাদেরও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আনতে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “পরে যাদের নাম গেজেটভুক্ত হবে, তারাও জুলাই থেকেই এ সুবিধা পাবেন।”
মোজাম্মেল হক জানান, বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ জনের একটি তালিকা নিয়ে কাজ চলছে। এক মাসের মধ্যে তা গুছিয়ে আনা যাবে বলে তারা আশা করছেন।
১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। তার নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত চলছিল।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামরিক শাসকদের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানি জান্তার সহযোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরইমধ্যে এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও আসে।
শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর পর গতবছর ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। এরপর চলতি বছর ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।
মন্ত্রী বলেন, প্রথম গেজেট যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, তা সংগ্রহ করা হয়েছে জাতীয় যাদুঘরে সংরক্ষিত তথ্য থেকে। বিভিন্ন বইপত্র থেকেও বীরাঙ্গনাদের নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে।
“বীরাঙ্গনারা এখনও আবেদন করতে পারেন। মহিলা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই হচ্ছে। তারা যে প্রতিবেদন দেবেন, তার ভিত্তিতেই তালিকা হালনাগাদ হবে।”
বীরাঙ্গনাদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে মারা গেছেন, তাদের ওয়ারিশরা আবেদন করলেও সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেন মোজাম্মেল হক।
২|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: মহত কাজ। প্রতি জন বীরাঙ্গনা এই মহত িকাজের ভাগীদার হউন
৩|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
//শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর পর গতবছর ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। এরপর চলতি বছর ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।//
আশা করি, বীরাঙ্গনারা তাদের প্রাপ্য সম্মান টুকু পাবে।
৪|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: বীরাঙ্গনারা তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু পাক এই কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০১
সুমন কর বলেছেন: প্রতিটি প্রকৃত বীরাঙ্গনা তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু যাতে পেতে পারে।