![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।
কিছুদিন আগে এক টক শোতে ইনু ভাই ( মাননীয় মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ) বলেছেন এদেশের রাজনীতিতে ২১ শে আগস্ট দুই ভাগ হয়ে গিয়েছে । অর্থাৎ ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তৎকালীন সরকারী দল বিএনপি এর ইন্দন বা মদদ ছিল এই অভিযোগ থেকে দেশ বিভক্ত হয়ে গেছে। এদেশের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের উপর রাষ্ট্র যন্ত্রের ব্যাবহার নতুন কোন ঘটনা নয় বরং পুরনো ধারাবাহিকতা যা এখনও চলছে । ১৯৭১ সাল থেকেই তা শুরু হয়েছে । ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তখন জাসদের ৩০০০০ কর্মী সহ মোট ৪০ হাজার বামপন্থীকে হত্যাকারী হিসেবে আওয়ামীলীগকে দায়ী করা হয় । সিরাজ শিকদারকে হত্যা করা হয় । এ দাবী এরশাদ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দলনের সময় আপনারা সবসময় বক্তৃতায় , সেমিনারে বলেছেন কিন্তু এখন বলা বন্ধ করে দিয়েছেন । আমাদের বয়সী রাজনৈতিক জেনারেশন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বাই প্রোডাক্ট , সেই হিসেবে ৮০ সাল পর্যন্ত স্কুল গোয়িং ছাত্র থাকায় ৭৫ সাল পর্যন্ত ঘটনাবলী বক্তৃতায় সেমিনারে শুনতে শুনতে জানা হয়েছে । বেশিরভাগ লেখা ছিল ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের উপর , ৭৫ পরবর্তী লেখা শুরু হয় মুলত ৯০ সাল এর পর থেকে । সেই হিসেবে ৪০ হাজার বামপন্থী হত্যাকারীদের সাথে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে মহাজোট হোল ? নিজের সন্তানের মত কর্মীদের হত্যাকারীদের সাথে কিভাবে রাজনৈতিক জোট গঠন সম্ভব হোল ? এই প্রশ্ন আমাদের রাজনৈতিক পথ প্রদর্শক ইনু ভাইয়ের কাছে রইলো ।
জাসদ যদি ৭১ – ৭৫ ভুলে গিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে রাজনৈতিক ঐক্য করতে পারে । তবে বিএনপি’র উপর ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দায় চাপালেও রাজনীতি দুই ভাগ হয় নাই । বুর্জোয়া শ্রেণী প্রতিনিধিত্বকারী দল আওয়ামীলীগ ও শ্রমিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী দল জাসদ যদি সময়ের প্রয়োজনে জোটে অংশ নিতে পারে তবে বুর্জোয়া শ্রেণীর দুই প্রতিনিধি আওয়ামীলীগ ও বিএনপি বসে সংলাপ করতে পারবে না , রাজনীতির সুত্র ও নিয়ম কানুনে ইনু ভাইয়ের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় । এখানে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে জোট যদি কৌশলে আরও ক্ষমতায় থাকতে চায় এবং ইনু ভাইয়ের মন্ত্রিত্বের সময় আরও বাড়াতে চায় সেই যুক্তিতে উনারা চাইবেন বিএনপি ছাড়া একটি নির্বাচন করতে । সেখানে সংলাপ বর্জন এর আভাস পাওয়া যাচ্ছে ইনু ভাইয়ের এই কথা থেকে । একজন খুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে আমার জন্য এই পরিস্থিতি আতংকের বিষয় । আমাকে এখুনি চিন্তা করতে হবে আগামী দিনে ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে থাকা সম্ভব কিনা , যদি সম্ভব না হয় তাহলে কোন পেশায় গেলে তা সম্ভব হবে তার ফয়সালা এখনি করা ।
একজন ভোটার হিসেবে অধিকার নিয়ে আমি কার কাছে প্রশ্ন করব ? যদি কেউ নৌকার ভোটার না হয় তবে তার ভোট কোথায় যাবে ? ভোটের অধিকার একজন নাগরিকের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অধিকার । ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা নয় বৎসর আন্দোলন করে স্বৈরাচার হটিয়ে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । যদি বিএনপি ছাড়া নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র হয় তবে যারা নৌকার ভোটার না , তাদের ভোট গিয়ে পড়বে আবার স্বৈরাচার হিসেবে পরিচিত এরশাদের জাতিয় পার্টির লাঙ্গল মার্কায় । আবার স্বৈরাচার এরশাদ রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হবে । যে প্রক্রিয়ায় আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে ও বিএনপি ২০০১ সালে জামাত-গোলাম আজমকে প্রতিষ্ঠা করেছিল , একই প্রক্রিয়ায় এবার এরশাদ প্রতিষ্ঠিত হবে ।
রাজনীতির এই অসুস্থ ধারা বৃত্তের মত এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে ও বিএনপি ২০০১ সালে জামাত-গোলাম আজমকে প্রতিষ্ঠা করেছিল , একই প্রক্রিয়ায় এবার এরশাদ প্রতিষ্ঠিত হবে ।
রাজনীতির এই অসুস্থ ধারা বৃত্তের মত এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে ।