![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।
রাজনীতি কোন কিছুর অধিন নয় বরং সকল কিছুই রাজনীতির অধিন । যদিও রাজনীতি Super Structural Fenomenon তবুও রাজনীতি একমাত্র রাস্তা যা দিয়ে সমাজের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে পরিবর্তিত করতে পারে । সেখানে পরিবেশ একটি কর্মসূচী মাত্র । তারপরও পরিবেশ নিয়ে যারা বেশি সোচ্চার তাদের সাথে বিশেষ করে অনুন্নত পুজিবাদি রাষ্ট্রসমূহে একটি দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যায় । আর তা হচ্ছে অনুন্নত পুজিবাদি রাষ্ট্রে পরিবেশবাদীরা শিল্পায়নের বিকাশের বিপক্ষে অবস্থান নেয় । কিন্তু শিল্পায়ন ব্যাতিত পুজিবাদের উন্নয়নের আর কোন রাস্তা আছে কিনা জানা নেই । সাম্রাজ্যবাদ হচ্ছে পুজির উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক রুপ । পুজি তার বিকাশের স্বার্থে সাম্রাজন্যবাদের এই রাজনৈতিক রুপকে ব্যবহার করে এবং এই প্রক্রিয়ায় সে নিজস্ব সিমানা অতিক্রম করে । এই concept থেকে পুজি বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে এবং যেখানে পুজির বিকাশ ঘটে নাই সেখানে বিকাশ ঘটায় । বিকাশের এই পর্যায়ে পুজি তার রাজনীতিতে আন্তরজাতিকতার লেবাস নেয় । ঠিক তার বিপরীতে নিজ দেশের পুজি সাম্রাজ্যবাদী পুজির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে জাতীয়তাবাদের আশ্রয় নেয় ।
বাংলাদেশে পরিবেশ এজেনডা বাস্তবায়িত করা অত্যন্ত কঠিন । কারন এখানে এখন পুজির বিকাশের সময় । লুটেরা পুজি হোক আর সাম্রাজ্যবাদী পুজি হোক , উভয়ই এদেশের শিল্প বিকাশের কথা বলবে । বাংলাদেশের রাজনীতি এই শিল্প বিকাশকে মুল এজেনডা হিসেবে নির্ধারণ করবে এবং জনগণ তাকে সমর্থন করবে । এর বাইরে অন্যকিছু ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই যদি না একটি পারমানবিক যুদ্ধ সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয় । সমাজবিকাশের নিয়ম যারা আবিষ্কার করেছেন তারা সামন্ত অর্থনীতির উপর পুজিবাদের বিকাশকে বরাবরই সমর্থন করেছেন । এই ধরনের Transitional period এ পুঁজির বিকাশের প্রক্রিয়াটা হয় নির্মম এবং সামন্ত অর্থনীতির জমিধারি শান্তিপ্রিয় সংস্কৃতি এই নির্মমতাকে সহ্য করতে পারে না । ফলে সেই সময় পরিবেশ সংক্রান্ত এজেনডা এই শান্তিপ্রিয় মানুষদের কাছে খুব গ্রহণযোগ্য হয় এবং সাম্রাজ্যবাদ তার আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব হিসেবে এই এজেনডাকে ব্যবহার করে অথচ সাম্রাজ্যবাদ নিজেই এই পুঁজির বিকাশ ঘটাতে গিয়ে শত বতসর পূর্বে এই পরিবেশকে ধ্বংস করেছে । এখন নব্যপুঁজির বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করতে পরিবেশকে একটি রাজনতিক এজেনডা বানিয়েছে ।
আমার মুল পয়েন্ট ছিল গার্মেন্টস । এই গার্মেন্টস পুঁজির বিকাশের একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ । আস্তে আস্তে অন্য সেক্টরেও সে ছরিয়ে পরছে । ২০ বিলিয়ন এক্সপোর্টকে কমপক্ষে ৫০ বিলিয়নে নেয়ার চেষ্টা করবে । সাথে সস্তা স্রমের অন্যন্য শিল্পও বিকশিত হবে । পরিবেশবাদীরা সক্রিয় থাকবে কিন্তু যেহেতু পরিবেশবাদীরা রাজনীতিবিদ হিসেবে সামনে আসবে না কাজেই তাদের প্রতিবাদ একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন হিসেবে থেকে যাবে ।
©somewhere in net ltd.